আওয়ামী লীগ
উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো কুইক রেন্টাল, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের মতো উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগই নয়, যারা নির্লজ্জভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে, বিরোধী দল দমনে সহযোগিতা করেছে তারাও এই লুটপাটের অংশ।
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিএনপির আন্দোলনের সময় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি (বেনজীর) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ জাতি জানতে পেরেছে যে তিনি (বেনজির) একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করেছেন যা আলিফ লায়লার গল্পকে হার মানায়।’
কীভাবে তিনি এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করলেন জানতে চেয়ে প্রশ্ন তোলেন রিজভী।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ ও মাংস কেনা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। লেবুর দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় রোজা ভাঙার জন্য পানীয়ের ব্যবস্থা করাও সম্ভব নয়।
রিজভী বলেন, প্রতি কেজি খেজুর ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা একজন দিনমজুর বা রিকশাচালকের পক্ষে কেনা একেবারেই অসম্ভব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দল দিয়ে অর্জিত হয়েছে: বিএনপি নেতা হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আজ গণতন্ত্র নেই। নেই কোনো মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।
আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বৃহস্পতিবার বিএনপির গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো কৃতিত্ব দিতে চায় না। রাজনৈতিক দলের অবদান ছিল; নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা রাখার অধিকার ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা গণতান্ত্রিক রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, একমাত্র রাজনৈতিক দলই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষক ও সৈনিকসহ সর্বোচ্চ ত্যাগী সৈনিকসহ জনসাধারণের অবদানকে অস্বীকার করে তারা।
তিনি আরও বলেন, সে সময় দেশের সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধকে 'রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ' হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে।
জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা চারদিক থেকে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল, কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ থেকে ১ লাখ, কিন্তু আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে প্রায় আড়াই লাখ লোক ভাতা পাচ্ছেন।
পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিবহনে চাঁদাবাজি চলছে।
এটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করছি এবং ফলাফল একদিন আসবে।’
বিএনপি সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি অল্প সময়ের মধ্যে সরকার পরিবর্তনের দিবাস্বপ্ন দেখছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প নেই। সুতরাং তারা (বিএনপি) যদি সরকার পরিবর্তন করতে চায় তবে তাদের আরেকটি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপির আন্দোলনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। শেখ হাসিনার ওপর মানুষ খুশি। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বস্ত এবং এদেশের মানুষ তার সততা, পরিশ্রম ও নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কি না- এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মনে করি না এটি দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট ও মজুদদারির সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সরকার: কাদের
রমজানে আন্দোলন অব্যাহত রাখলে বিএনপি আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে: কাদের
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির এক সভায় এ অভিযোগে করেন তিনি।
মেজর হাফিজ বলেন, একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিতর্কিত করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রতিদিন গল্প-কবিতার মতো লেখা হচ্ছে।
হাফিজ বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার বা ১ লাখ, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ কীভাবে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে।
মেজর হাফিজ বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পর স্বাধীনতার সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয়। স্বাধীনতা আনতে দেশের মানুষ প্রাণ উৎসর্গ করেছে। আওয়ামী লীগ এ নিয়ে কথা বলে না। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের (আওয়ামী লীগের) কোনো অবদান নেই বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা প্রতিটি প্রান্তের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে প্রভাবিত করেছিল। জিয়ার ঘোষণার পর বিশ্ব সম্প্রদায় জানতে পারে। কিন্তু শাসক মহল জিয়ার ঘোষণা নিয়ে রসিকতা করে বলেছিল যে ‘গার্ড বেল বাজাল’।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, মেজর জিয়া ছিলেন একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং সেক্টর কমান্ডার যিনি যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান করে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আর অন্যান্য সেক্টর কমান্ডাররা ভারতে ছিলেন।
কিন্তু তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী করার জন্য আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে চিত্রিত করেছে।
মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, লাখ লাখ ছাত্র, যুবক ও সৈনিকদের অবদানকে উপেক্ষা করে সব কৃতিত্ব দাবি করে স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল যাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কোনো অবদান ছিল না, তারা স্বাধীনতা ও সব অর্জনকে ছিনতাই করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভেঙে নতুন দল গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন মেজর হাফিজ
আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ দাবিতে বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারে পরিবর্তন আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির আন্দোলনের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগ কথা বলতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর তাদের ক্ষমতায় আসতে ২১ বছর লেগেছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার পরিবর্তন চাই এবং বিশ্বাস করি যে এটি অনিবার্যভাবে ঘটবে।’
গত বছর গ্রেপ্তারের ছয় দিন পর হাসপাতালে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের গোপীবাগের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা বুলবুল গত ৩০ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বিএনপির অভিযোগ, নির্যাতনের ফলে হেফাজতে বাবুলের মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুর কারাগারে পাঠানোর ছয় দিন পর ৩০ নভেম্বর মারা যান ঢাকার সমাজকর্মী ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল।
আরও পড়ুন: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সময়ের দাবি অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি ও কৌশল প্রণয়ন করে।
তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধেসহ অতীতে বিভিন্ন আন্দোলনে তাদের দল বিজয়ী হয়েছে। ২০০৭ সালে সরকার রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার সময় নির্বাচন করতে চেয়েছিল কিন্তু আমাদের বাধার মুখে তা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আমরা এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রবর্তিত একদলীয় শাসন বাকশাল বাতিল করে তাদের দল বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপিও সামরিক স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সেজন্য এই বিএনপি আগামীতে বাংলাদেশে আবারও গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যুগপৎ আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারছে না বলে অভিযোগ করছে। বিএনপি ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। তারা ১০-১২ বছর আগে থেকেই বলে আসছে, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মতো শক্তি বিএনপির নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। এ সময় তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছিল নাকি সোজা ছিল?’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২১ বছর পর যখন ক্ষমতায় আসতে সময় লেগেছিল, তখন বিএনপির গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার আওয়ামী লীগের নেই।
সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ তুলে তিনি সুশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে কোনো ব্যক্তির স্বজনরা বিনা অপরাধে স্বজন হারানোর বেদনায় কান্নাকাটি করতে না পারে। কেউ অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু এখন কী হচ্ছে?
বিএনপি নেতা বুলবুলের হেফাজতে মৃত্যুকে ‘হত্যার ঘটনা’ আখ্যায়িত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে নজরুল বুলবুলের শোকসন্তপ্ত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা 'জনবিরোধী', নিষ্ঠুর: বিএনপি
সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না সরকার। তবে আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে বাধা আসবে।
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাধা দেওয়ার মতো সহিংস তৎপরতা, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস- এসব উপাদান যদি আন্দোলনে যুক্ত হয় তাহলে বাধা আসবে। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিরোধী দলের যে রাজনীতি, এর মূল ইস্যুই হচ্ছে যত দোষ নন্দ ঘোষ সরকারের। সরকারই সব অপরাধে অপরাধী। তারা নালিশ করতে যায় যুক্তরাষ্ট্রকে।’
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা মঈন খান মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে নালিশ করেছেন- দেশে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। এ হচ্ছে আমাদের প্রধান বিরোধী দলের অবস্থা।’
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরেছে, বিএনপি জিতেছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘সবাই জানে নির্বাচনে কারা জিতেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েই বিএনপি জিতে গেল? এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কি?’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবস্থা হচ্ছে, নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যত কঠোর হওয়া দরকার হব।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে পরবর্তী আন্দোলনের পরিবর্তে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ কাদেরের
উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) দেশে উগ্রবাদের প্রধান উৎস বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি উগ্রবাদকে লালন করছে এবং বেপরোয়া রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বাংলাদেশে উগ্রবাদের উৎপত্তি বিএনপির মাধ্যমে। বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগ ভিত্তিহীন বাগাড়ম্বর করে না, দায়িত্বশীল আলোচনায় লিপ্ত হয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে পরবর্তী আন্দোলনের পরিবর্তে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ কাদেরের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে 'বেপরোয়া চালকের' সঙ্গে তুলনা করে তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চায়, যা তারা ঐতিহাসিকভাবে করে আসছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করার জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাককে দায়ী করেন। এ ধরনের ঐতিহাসিক নৃশংসতার দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর বিএনপির চেষ্টার সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল নিয়েও মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে তাদের বারবার সমালোচনা বাস্তব ইস্যুর অভাব এবং হতাশা ও পরাজয় থেকে তাদের ভিত্তি তৈরির অপচেষ্টা।
মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বুদ্ধিদীপ্ত কূটনীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সব পক্ষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং সংঘাত এড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভুল রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে গেছে: কাদের
সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল আওয়ামী লীগ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।
বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: ভোলার চারটি আসনেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ
পঞ্চগড় থেকে রেজিয়া ইসলাম, ঠাকুরগাঁও থেকে দ্রৌপদী দেবী আগারওয়ার, নীলফামারী থেকে আশিকা সুলতানা, জয়পুরহাট থেকে রোকেয়া সুলতানা,নাটোর থেকে কোহলি কুদ্দুস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জেবিন মাহবুব, খুলনা থেকে রুনু রেজা, বাগেরহাট থেকে ফরিদা আক্তার,বরগুনা থেকে ফারজানা সুমি, ভোলা থেকে খালেদা ভান, পটুয়াখালী থেকে নাজনীন নাহার, নরসিংদী থেকে ফরিদা ইয়াসমিন, ময়মনসিংহ থেকে উম্মে ফারজানা, নেত্রকোণা থেকে নাদিয়া বিনতে আমিন, জয়পুরহাট থেকে মাহফুজা সুলতানা মলি, ঝিনাইদহ থেকে পারভীন জামান কল্পনা, কুমিল্লা থেকে অ্যারোমা দত্ত, সাতক্ষীরা থেকে লায়লা পারভীন,খুলনা থেকে বেগম মান্নিজামান সুফিয়ান, গোপালগঞ্জ থেকে বধুরা আহমেদ সালাম, ঢাকা থেকে শবনম জাহান, হাসিনা বাড়ি চৌধুরী, অনিমা মুক্তি গোমেজ, শেখ আনারকলি, নাহিদ ইজহার, সহিদা তারিক দীপ্তি, পারুল আখতার, সানজিদা খানম ও সাবেরা বেগম,বরিশাল থেকে শাম্মী আহমেদ, ফরিদপুর থেকে নাহার লাইলি, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন্নেছা , নরসিংদী থেকে মাসুদা সিদ্দিক রোজি, টাঙ্গাইল থেকে তারানা হালিম, অপরাজিতা ও বেগম শামসুন্নাহার, গাজীপুর থেকে মেহের আফরোজ চুমকি, গোপালগঞ্জ থেকে নাজমা আক্তার, সিলেট থেকে অরুণা চক্রবর্তী, ফরিদুর থেকে নাহার লাইলী, লক্ষ্মীপুর থেকে আশরাফুন নেছা, নোয়াখালী থেকে কানন আরা বেগম ও ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম থেকে শামীমা হারুন লুবনা, ডেলারা ইউসুফ ও ওয়াসিকা আয়েশা, রাঙ্গামাটি থেকে দার্তি এবং রংপুর থেকে নাসিমা জামান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে, যা এমনভাবে বরাদ্দ করা হয় যেখানে প্রতিটি রাজনৈতিক দল প্রতি ছয়টি সাধারণ আসনে জয়ী হলে একটি সংরক্ষিত আসন পেয়ে থাকেন।
ওই বিধান অনুযায়ী এককভাবে ও স্বতন্ত্রদের সমর্থনের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ ৪৮টি আসন লাভ করে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংরক্ষিত আসনের আবেদনপত্র বিক্রি শুরু হয়।
৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে ১ হাজার ৫৫৩টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কমিশনার বরাবর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল
বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে।’
আরও পড়ুন: জননিরাপত্তা নিশ্চিতে অপচেষ্টা প্রতিহত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশ সামরিক শাসনের অধীনে নিমজ্জিত ছিল।
দেশের মানুষকে তার অন্যতম শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সব সময় গ্রামীণ উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি অসংখ্য গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং জনগণকে খাদ্য উৎপাদন ছাড়া এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে না রাখতে উৎসাহিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি সবাইকে অনুরোধ করেছি যেভাবেই হোক খাদ্য উৎপাদনে সম্পৃক্ত হতে।’
তিনি আরও বলেন, অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছে ভারত। সেসময় প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয়ও দিয়েছে দেশটি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি এবং তার বোন শেখ রেহানা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিমসটেক মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।
তিনি বিমসটেকের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিমসটেকের চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন এবং স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনের সময় বিমসটেক নেতাদের উদ্বোধনের লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রস্তাবিত বিমসটেক সচিবালয় ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
প্রতিটি সেক্টরের জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ সহ সাতটি খাতে নামিয়ে আনাসহ বিমসটেকের অধীনে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিমসটেক সহযোগিতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং বাংলাদেশ এ খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ যখন সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে তখন পরবর্তী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ফোরামের কার্যক্রম আরও জোরদার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক প্রক্রিয়াকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যেহেতু নতুন মহাসচিব ও সভাপতিত্বে থাকবে দুটি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ এবং সচিবালয়ের আনুষ্ঠানিকতা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের পর এই গ্রুপের সভাপতিত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ বিমসটেক প্রক্রিয়ায় আরও দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্ত অরক্ষিত: বিএনপি
মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানাতে না পারায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিপত্তি রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত এখন অরক্ষিত। সরকারের নতজানু নীতির কারণে সেখানে রক্ত ঝরছে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি দেশের সার্বভৌমত্ব তখনই দুর্বল হয় যখন সে সরকার অন্য দেশের আজ্ঞাবহ হয়। ‘একটি দেশ তখনই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে যখন তার সরকারকে অন্য দেশ সম্মান করে না এবং সরকার যখন সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়।’
রিজভী বলেন, সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করায় মিয়ানমার সীমান্তে গোলযোগ সৃষ্টি করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার শাসনামলে সীমান্তে মিয়ানমার উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারেনি দাবি করে রিজভী বলেন, কারণ তারা যেকোনো উসকানির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বর্তমান সরকারের সেই সক্ষমতা ও জনসমর্থন না থাকায় আওয়াজ তুলতে ও প্রতিবাদ (সীমান্ত কোনো ঘটনার বিরুদ্ধে) করতে ভয় পায়। অন্য কোনো দেশ যখন আমাদের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করছে, তখন তাদের জনসমর্থন না থাকায় তারা (সরকার) কিছুই করতে পারছে না। তারা ক্ষমতা দখল করে এবং জনগণকে জিম্মি করে অন্যের আধিপত্য মেনে নিয়েছে।’
এদিকে, সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুইজন নিহত ও এক শিশু আহত হয়েছে।
জলপাইতলী ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিস্ফোরণ ঘটে।
অন্যদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, রবিবার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের নিন্দা বিএনপির