আওয়ামী লীগ
ভয়ভীতি সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে।
তিনি বলেন, ‘ভয় আছে, তবুও আমি বলছি ভোটারদের ভোটদান সন্তোষজনক হবে।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় কাদের এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে দুই সদস্যের ইইউ দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্ন। আর আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইইউ দল নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। আমরা বিএনপির নির্বাচনের পরাজয়ের সহিংসতার কথা বলেছি। বিএনপি সহিংসতা অবলম্বন করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জবাব দিচ্ছে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারের জন্য সদস্যপদ বহিষ্কার ও স্থগিতাদেশ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দলের যে কেউ একজন স্বাধীন প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কিছু ভুল নেই। তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। জেলা-উপজেলা কমিটির কাউকে বহিষ্কার বা সদস্যপদ স্থগিত করার অধিকার নেই। তারা কেবল কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠাতে পারে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা বুধবার
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ।
সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ মোট ২৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আর আরেক প্রধান দল বিএনপিসহ বেশ কিছু দল বর্জন করেছে এই নির্বাচন।
আরও পড়ুন: ‘বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে থাকুক এটা আমরা কখনোই চাইনি’
২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এরই মধ্যে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) রিপোর্টকে নির্জলা মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সিপিডির সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি বলেছেন, 'সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি। তাদের বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া অন্য কিছু নয়।'
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রীর নিজ জেলা চট্টগ্রামে বন্দরনগরীতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া শেষে সিপিডির দেওয়া তথ্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে যদিওবা গবেষণার কথা বলা হয়েছে, বাস্তবে গবেষণা করতে অনেক সময় লাগে, অনেক তথ্য-উপাত্ত থাকে। কিন্তু সিপিডি এই রিপোর্ট তৈরি ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অনেক লুকোচুরি করেছে এবং অনেক ভুল ও অসত্য তথ্য তারা পরিবেশন করেছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'যেমন সিপিডি বলেছে আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৭৫ শতাংশ হচ্ছে বিদেশনির্ভর। অথচ আসলে আমাদের চলতি বাজেটের ৩৫ শতাংশ হচ্ছে সাহায্যনির্ভর কিংবা বিদেশনির্ভর। এক সময় এটি ২০ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার কারণে এটি ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অথচ সিপিডি বলেছে এটি ৭৫ শতাংশ।'
ড. হাছান বলেন, 'সিপিডি বলেছে বেসিক ব্যাংক থেকে চার হাজার কোটি টাকা লোন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চার হাজার কোটি টাকার মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা ইতোমধ্যে আদায় করা হয়েছে এবং বাকি দুই হাজার কোটি টাকার জন্য মামলা করা হয়েছে। মামলা চলমান, আদায় প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সিপিডি আরও বলেছে নাবিল গ্রুপ ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। কিন্তু সেই ঋণ যেসব আদায় হয়েছে, সে তথ্য সিপিডির রিপোর্টে জানানো হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলোকে লুকানো হয়েছে। সিপিডি চট্টগ্রামভিত্তিক একটি গ্রুপের কথা বলেছে। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চেক করেছি। সেই গ্রুপের কোনো লোনই ক্লাসিফায়েড নয়। অর্থাৎ সিপিডি অসত্য তথ্য দিয়েছে।'
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'একইসঙ্গে সিপিডি বলেছে, ক্লাসিফায়েড লোনের আকার বেড়েছে। কিন্তু তারা শুধু আকারের কথা বলেছে, পারসেন্টেজের কথা বলে নাই। কারণ, ক্লাসিফায়েড লোনের হার কমেছে। ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপি ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলার। এখন জিডিপি হচ্ছে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন বা হাফ এ ট্রিলিয়ন ডলার। জিডিপি ৬ গুণ বৃদ্ধি পেলে তো ক্লাসিফায়েড বা ব্যাড লোনের আকারও বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পারসেন্টেজ কত, সেটাই হচ্ছে মূল বিষয়। ২০০৯ সালে ক্লাসিফায়েড লোন ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, আর এখন ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ তখনকার তুলনায় কমেছে।'
সিপিডির কেউ কেউ তো ২০০৭-২০০৮ সালে দেশ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তখন ব্যাড লোন ১০ শতাংশের উপরে ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এইভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিএনপির তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি যে তিনদিন কর্মসূচি দিয়েছে, জনগণও তা জানে না, কেউ খেয়ালও করে নাই। হয়তো বা সাংবাদিকরা খবরা-খবর রাখেন বলেই খেয়াল করেছেন। তারা কোন দিন হরতাল দেয়, কোন দিন অবরোধ দেয়, কেউ কিন্তু খেয়াল করে না। বাংলাদেশের মানুষও খেয়াল করে নাই, কাকপক্ষীও খেয়াল করেছে কি না আমি জানি না। সুতারং এগুলো গতানুগতিক কর্মসূচি ও হাস্যকর।'
আরও পড়ুন: বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ‘ফিউজ’ হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা তো আমেরিকার বহুল প্রচারিত ঘোষণা।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) সহ যে পাঁচ মার্কিন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে, এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী সংঘাতে জড়ালেই দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, “সংঘাতের আশঙ্কা সবসময় থাকেই। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিও অব্যাহত থাকবে।’’
কাদের বলেন, যারা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগ হোক কিংবা স্বতন্ত্র যেই হোক, দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবে এটাই প্রত্যাশা।
১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা যদি বিস্তারিত তথ্য দেয়, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপি লিফলেট বিতরণ করবে কেন? অসহযোগ করবে কেন? আসলে নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির এই প্রোগ্রাম।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
আসন্ন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে স্বতন্ত্ররা আছেন: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটকে অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ করতে তার দলের প্রার্থীরা ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) তিনি তেজগাঁওয়ে তার দলের ঢাকা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি একযোগে ছয়টি জেলায় জনসভায় ভাষণ দেন।
শেখ হাসিনা তার ভাষণে ব্যাখ্যা করেন, কেন আওয়ামী লীগ এবার দলের টিকিট পেতে ব্যর্থ হওয়া প্রার্থীদেরও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এর কারণ হলো আমরা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ চাই এবং তারা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে।
তিনি দলীয় মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব প্রার্থীকে ভোট চাইতে ঘরে ঘরে যেতে বলেন।
তিনি বলেন, যারা জনগণের ভোটে জিতবে তারাই এমপি হবেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশগুলো আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ, ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনার জেলা স্টেডিয়াম, রাঙ্গামাটি জেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় সম্প্রচারিত হয়।
তিনি আবারও বলেন, তিনি চান শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, যেখানে ভোটাররা তাদের ভোটাঅধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করবে।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে নিরাপদ করতে চাই, কারণ কোনো দেশে গণতন্ত্র বিরাজ করলে সে দেশ দ্রুত এগিয়ে যায় এবং আমরা তা প্রমাণ করেছি।
তিনি জানান, তার দল জনগণের কল্যাণে দেশের উন্নয়নের গতিকে ধরে রাখতে চায়।
হাসিনা বিএনপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসে না কিন্তু প্রতিহত করার নামে তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ করেছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
এই প্রসঙ্গে তিনি ট্রেনে আগুন ও রেল ট্র্যাক উপড়ে ফেলার সাম্প্রতিক ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনি বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া এত অসুস্থ হলেও তার ছেলে তারেক তাকে দেখতে আসেনি।
তিনি বলেন, তিনি সেখান থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন এবং বিএনপি নেতারা বাংলাদেশে মানুষ হত্যা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত সাহস থাকলে তাকে দেশে আসতে দিন, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এসব হত্যার প্রতিশোধ নেবে।
বিএনপি সন্ত্রাসী দল আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মোটেও রাজনৈতিক দল নয়,এর মিত্র জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধীদের দল।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে দেশকে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসীমুক্ত রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী বিএনপি ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, ‘তারা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না বলেই আমি দেশ ও জাতিকে এসব বিপদ থেকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকায় গত ১৫ বছরে দেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থী বাছাই করবে এবং গণতন্ত্র থাকবে বাধাহীন।
তিনি বলেন, আপনাদের সবার কাছে আমার অনুরোধ আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবে না। ‘এটা মনে রাখতে হবে।’
ঢাকা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং ছয় জেলা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাকিব
নির্বাচনী প্রচার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাকিব আল হাসান।
আসন্ন নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এই তারকা ক্রিকেটার তার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সদর উপজেলার আঠারোকান্দা, রাঘবদাইর, মোঘি ইউনিয়নসহ নির্বাচনী এলাকার গ্রাম,ইউনিয়ন ও এলাকা ঘুরে তাকে স্থানীয় ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: জবাবে যা বললেন সাকিব
এদিন সাকিবকে দেখতে প্রচুর মানুষ জড়ো হন এবং কেউ কেউ আবার সাকিবকে ফুল দিয়েও শুভেচ্ছা জানান।
তিনি ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান।
মাগুরার রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাসের বেগ জানান, মাগুরা-১ (মাগুরা-শ্রীপুর) আসনে ২ লাখ ৭০৭ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯০৭ জন নারীসহ মোট তিন লাখ ৯৯ হাজার ৬১৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর মাগুরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু নাসের বেগের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন সাকিব।
সাকিব প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোট দিন: সিলেটে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
জনগণকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা সমবেত জনতাকে জিজ্ঞেস করেন, 'আপনারা কি আমাদের প্রার্থীদের (আওয়ামী লীগের) ভোট দেবেন? আপনারা হাত উচু করুন এবং আমাকে ওয়াদা দিন’।
তিনি আবারও বিরোধী দল বিএনপিকে লুটেরা, খুনি, দুর্নীতিবাজ ও এতিমদের টাকা আত্মসাৎকারী আখ্যায়িত করে আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু হবে: সিইসি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারাই মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে।
এসময় মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র জনগণের জীবন কেড়ে নিতে চায় এবং জনগণকে ভোট দিতে বাধা দিয়ে নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
তিনি বলেন, তারা এত সাহস কোথা থেকে পায়? লন্ডনে একজন অপরাধী বসে হুকুম দেয় এবং কিছু লোক এখানে আগুন জ্বালায়, ...... সেই আগুনেই তাদের হাত পুড়ে যাবে। তিনি স্পষ্টতই যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা বলছিলেন।
আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছে বিএনপি-জামায়াত: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি ও জামায়াতের নিন্দা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা ভেবেছিল তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে সরকার জড়িয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, 'তারা ভেবেছিল কিছু অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকারের পতন ঘটবে। ব্যাপারটা খুব একটা সহজ নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার ফলে জনগণ সুফল পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সোনার বাংলা গড়ে তোলা এবং সে লক্ষ্যে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তার হারানোর কিছু নেই, কারণ তিনি বাবা, মা, ভাইসহ সবকিছু হারিয়েছেন।
‘আমার এবং আমার একমাত্র ছোট বোন বেঁচে গিয়েছিলাম। সবকিছু হারিয়ে এবং আমার ছোট সন্তানদের তাদের মাতৃপ্রেম থেকে বঞ্চিত করে আমি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম। শুধু আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য। স্বপ্নটি হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
ফরিদপুর-৩ আসনে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর মধ্যদিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সব আইনি পথ হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম।
আদালতে শামীম হকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, আইনজীবী তানজিব উল আলম এবং ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
গত ৫ ডিসেম্বর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপত্তি সত্ত্বেও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বৈধ ঘোষণা করেন।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টিকে সমর্থন করে বলেন, বাদী তাদের অভিযোগের পক্ষে কোনো দলিল জমা দিতে পারেননি।
গত ৮ ডিসেম্বর ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আবেদন করেন।
পরদিন শামীম হক হলফনামায় দ্বৈত নাগরিকত্ব ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে এ কে আজাদের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ইসিতে পাল্টা আবেদন করেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী এ কে আজাদের আপিল গ্রহণ করে ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শামীম হক ইসির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।
জাতীয় পার্টি ও শরিকদের সঙ্গে ৩২টি আসন ভাগাভাগি আওয়ামী লীগের
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে মোট ৩২টি আসন ভাগাভাগি করেছে।
৩২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬টি আসন জাপার জন্য এবং বাকি ছয়টি আসন ১৪ দলীয় জোটের তিনটি শরিকদের জন্য ছেড়ে দিয়েছে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) নগরীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এসব কথা জানান।
৩২টি আসনে তার দলের প্রার্থী প্রত্যাহারের বিষয়টি ইসিকে জানাতে এসেছিলেন বিপ্লব।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে তিনটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দুটি এবং জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) সঙ্গে একটি আসন ভাগাভাগি করছে আওয়ামী লীগ।
রবিবার আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন থেকে তাদের প্রার্থী তুলে নেয় এবং দলটি এর আগে ৩২টি আসনের মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী দেয়নি।
জাপার জন্য ছেড়ে দেওয়া ২৬টি আসন হলো ঠাকুরগাঁও- ৩, নীলফামারী- ৩ ও ৪, রংপুর- ১ ও ৩, কুড়িগ্রাম- ১ ও ২, গাইবান্ধা- ১ ও ২, বগুড়া- ২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী- ১, বরিশাল- ৩, পিরোজপুর- ৩, ময়মনসিংহ- ৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ- ৩, মানিকগঞ্জ- ১, ঢাকা- ১৮, হবিগঞ্জ- ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২, ফেনী- ৩, চট্টগ্রাম- ৫ ও ৮ এবং নারায়ণগঞ্জ- ৫।
আরও পড়ুন: ইসির আপিল শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৭৫ প্রার্থী
১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা ছয়টি আসন হলো বগুড়া-৪, রাজশাহী-২, কুষ্টিয়া-২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪।
২৬টি আসনে জাপা প্রার্থীরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ আসনে হোসেন মুকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ আসনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের), কুড়িগ্রাম-১ আসনে একেএম মুস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-১ আসনে আবদুর রশিদ সরকার, বগুড়া-২ আসনে শরীফুল ইসলাম জেন্নাহ, বগুড়া-৩ আসনে মো. নুরুল ইসলাম তালকুদার, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-৩ আসনে মো. মাশরেকুল আজম রবি, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ (মুক্তি), ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক (চুন্নু), মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা-১ আসনে শরিফা কাদের, হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. আবদুল মোনেম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মো. আবদুল হামিদ, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে মো. সোলায়মান আলম শেঠ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান।
জাসদের তিন প্রার্থী হলেন- বগুড়া-৪ আসনে একেএম রেজাউল করিম তানসেন, কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনু ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন।
এছাড়া, বরিশাল-২ আসনে রাশেদ খান মেনন ও রাজশাহী-২ আসনে ফজলে হোসেন বাদশা এবং পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির (জেপি-মঞ্জু) প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন (মঞ্জু)।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার জিএম কাদেরের
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না: কাদের
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আসন বণ্টনের বিষয় আসেনি: জাপার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের
তিনি বলেন, জোটের জন্য সাতটির বেশি আসন ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের পূর্ণ প্রচেষ্টা চালাবেন। দেশে একটি ভালো নির্বাচন হবে এবং কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না।
কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচন বানচালের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করছে বলেও মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়: কাদের