সুপারিশ
মার্কিন মিশনের সুপারিশ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই: মোমেন
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন প্রতিনিধিদলের সুপারিশের বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য করার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা তাদের মতামত দিয়েছে। এটা তাদের মতামত। এগুলো আলাদা কিছু নয়। আমরা এগুলোকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না।’
আরও পড়ুন: আশার আলো ভারত মহাসাগর, কার্যক্রম পরিচালনা নিরাপদ করতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, অনেক বিদেশি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে মজা করে এবং কিছু মিডিয়া তাদের অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, তারা সবসময় সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তারা ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ওপর নির্ভর না করে তারা ভোটার চান।
তিনি আরও বলেন, তারা বিদেশিদের কাছে যান না, বরং বিদেশিরা দ্বিপক্ষীয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসে।
আইআরআই ও এনডিআই'র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক প্রাক-নির্বাচন-পূর্ব প্রতিনিধিদল রবিবার বলেছে, বাংলাদেশের জনগণই চূড়ান্তভাবে তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা এবং তাদের দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নির্ধারণ করবে।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে 'সমর্থন ও শক্তিশালী করার চেতনায়' তাদের প্রাক-নির্বাচনী বিবৃতি দেয়।
প্রতিনিধিদল বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের দিকে অগ্রগতির রোডম্যাপ হিসাবে নিচের সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেছে যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
সুপারিশগুলো হলো-
· সংযত আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী ইস্যুতে উন্মুক্ত ও অর্থপূর্ণ সংলাপে অংশ নেওয়া
· মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং ভিন্নমতকে সম্মান করা
· অহিংসতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করা
· স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা জোরদার করাসহ সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা এবং
· নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সক্রিয় নির্বাচনী অংশগ্রহণের সংস্কৃতি প্রচার করা।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
কৃষি জমি বাঁচাতে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সোমবার সংসদ ভবনে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির ৩০তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এতে ফসলি ও চরের জমিতে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ নিশ্চিত করতে জমিতে নির্মিত সোলার প্যানেলের উচ্চতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিগত বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে চরাঞ্চলে ভুট্টা, সূর্যমুখী ও সয়াবিনের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে।
বৈঠকে কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোসলেম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ কিরণ, আনোয়ারুল আবেদীন খান, উম্মে কুলসুম, হোসনে আরা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ
তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের সুপারিশের পর আশাবাদী বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২৫ জুলাই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর তাদের ২২ তম প্রতিবেদন ভারত সরকারের কাছে জমা দিয়েছে কমিটি। সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অর্থবহ সংলাপ শুরু করতে ভারত সরকারকে সুপারিশ করেছে কমিটি। তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমাদের দিল্লিস্থ মিশন থেকেও আমরা এ ব্যাপারে জেনেছি। বিষয়টি অবশ্যই আশাব্যাঞ্জক ও তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: চীন তিস্তা খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে যাবে: রাষ্ট্রদূত
সেহেলী সাবরিন বলেন, ‘ওই সংসদীয় কমিটিতে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেসসহ ভারতের সব রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য আছেন। তাই এ ধরনের একটি সুপারিশ আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। এই সুপারিশকে উদ্ধৃত করে বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগামী দিনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার হবে বলে আমরা আশা করি।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসংক্রান্ত অন্তর্বর্তী চুক্তি শেষ করতে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়ে নিষ্পত্তি করতে অনুরোধ করেন। যার খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নদ-নদীর দূষণের মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলায় এবং অভিন্ন নদীগুলোর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ এবং নদীর নাব্য উন্নত করার জন্য কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি প্রত্যাহারে ভারতের আরও দুটি খাল খনন পরিকল্পনায় বিএনপির উদ্বেগ প্রকাশ
বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সম্প্রতি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। তাকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য অপেক্ষা করছেন।
গত ২৫ জুলাই সংসদের রাজ্যসভা, লোকসভা, উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে সব দলের আইন প্রণেতাদের সমন্বয়ে গঠিত স্থায়ী কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সন বিজেপির পিপি চৌধুরী। এ ছাড়া কংগ্রেসের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, টিএমসি-র অভিষেক ব্যানার্জি, বিজেপি সংসদ সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত এবং রাজ্যসভা ও লোকসভার সংসদের আরও ২৭ জন সদস্য কমিটির মিডিয়া রিপোর্ট করেছেন।
প্রতিবেদনে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি বিশেষ অধ্যায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা নিয়ে কূটনৈতিক যোগাযোগে ভারতের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি বাংলাদেশ
মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট চিহ্নিতকরণে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুপারিশগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের পোড়া চাদর কিনলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তিনি বলেন, এখন ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বেড়েছে।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিস সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট এবং ফায়ার সার্ভিসের ৭২২ জন কর্মী আগুন নেভাতে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একদশকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ঢাবি ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ১১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ
নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন ও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় শিক্ষার্থীদের শাস্তির এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঢাবি প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিন্ডিকেটে পাসের পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, বহিষ্কৃত ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সুরজা সেন হলের জিম নাজমুল। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ইভটিজিংয়ের দায়ে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘আত্মহত্যা’ কেন বাড়ছে
এছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, ইভটিজিং, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম পরিপন্থী আচরণ ও মাদক সেবনের অভিযোগে ১১৩ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কমিটি বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজের ১১৩ জনকে শাস্তি প্রদান করে। অধিভুক্ত কলেজের প্রায় ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও দায়িত্ব পালনের সময় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দুই থেকে চার বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঢাবির অপর চার শিক্ষার্থীকেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: নিয়োগে অনিয়ম: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
চট্টগ্রাম-ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ‘বিশ্ববিদ্যালয় মেলা’ ২৯ ও ৩১ জানুয়ারি
ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআরের সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য তারা জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) সুপারিশ বিবেচনা করবে।
যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআর-এর সহযোগিতায় ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এই প্রোগ্রামটি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের বিস্তৃত প্রতিক্রিয়ার একটি উপাদান, যেখানে প্রধান ফোকাস রোহিঙ্গাদের স্বদেশে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত করা। যা বিশ্বব্যাপী মার্কিন রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রামের অংশ হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘বার্মার সামরিক বাহিনীর হাতে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শিকার হওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত এবং আমরা বাংলাদেশ ও ওই অঞ্চলে বার্মা থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এক দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করেছি।’
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং এই নৃশংসতার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহায়তা চায় ইউএনএইচসিআর
আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন একটি অভূতপূর্ব বাস্তুচ্যুতি সংকটের মুখে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বকে প্রতিফলিত করে। কারণ বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যুদ্ধ, নিপীড়ন ও অস্থিতিশীলতা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন একটি অভূতপূর্ব বাস্তুচ্যুতি সংকটের মুখে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বকে প্রতিফলিত করে। কারণ বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যুদ্ধ, নিপীড়ন ও অস্থিতিশীলতা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে ইউএনএইচসিআরের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞ নিয়োগে ১০ সিটি করপোরেশন মেয়রের সুপারিশ
প্রথমবারের মত দেশের ১০ সিটি করপোরেশনের মেয়র নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোগত বিভিন্ন দিক, এর চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় করোনাকালীন এবং করোনাপরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে অন্তত একজন এপিডেমিওলজিস্টের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।
বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (ইউএস সিডিসি) এর যৌথ উদ্যোগে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ও সেফটিনেট কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি’-এর অধীনে অনুষ্ঠিত ‘মেয়র সংলাপ: নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, মহামারি-অতিমারিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে মহামারি বিশেষজ্ঞের (এপিডেমিওলজিস্ট) গুরুত্ব পুরো বিশ্ব টের পেয়েছে। যার ফলে এক্ষেত্রে আরও বেশি কাজ করার আছে।
পিটার ডি হাস বলেন, ‘কোভিড- ১৯ মহামারি আমাদের দেখিয়েছে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা। একটি পরামর্শ বারবারই এসেছে- জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞদের স্থায়ীভাবে সিটি করপোরেশন কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন যে কিভাবে জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞদের ওপর বিনিয়োগ সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে খরচ এবং প্রভাবকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে পারে। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতে আরও ব্যাপক পরিসরে কাজ করার আছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার করা হবে: মেয়র তাপস
তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের জন্য সিটি করপোরেশনকে আইন দ্বারা ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমি যতটুকু জানি সিটি করপোরেশনগুলোতে এপিডেমিওলজিস্ট অন্তর্ভুক্ত করণের জন্য অরগানোগ্রামে একটি প্রস্তাব আমাদের দেয়া হয়েছে, আমাদের কিছু সম্মিলিত অনুমোদন লাগবে। আরবান ও রুরাল হেলথ কেয়ারগুলোকে টেক কেয়ার করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত। মেগা হেলথকেয়ার সেন্টার যেমন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল- এসব জায়গায় যদি স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়ন করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের কিছুটা ভার বহন করা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরক্ষে তখন অনেক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে।’
এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ১২টি সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ, ইউ এস সিডিসি এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সুসান (নিলি) কায়ডোস-ড্যানিয়েলস, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. শামীম জাহান, সেফটিনেট বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ডা. সৈয়দ হাসান আবদুল্লাহ, দেশের শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ও সেফটিনেট বাংলাদেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি’-টি জনস্বাস্থ্যগত কৌশলগত পরিকল্পনা, কার্যকারিতা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখে চলছে। এই লক্ষ্যে প্রতিটি নগরে এক জন করে জনস্বাস্থ্য রোগতত্ত্ববিদ সংযুক্ত করা হয়েছে–যারা নগর নেতৃত্বকে যথাযথ গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিমালা ও কর্মকাণ্ড গ্রহণে সাহায্য করে চলছে। একইসঙ্গে এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে দুই মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
২০ ফিটের কম প্রশস্তের রাস্তার উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নেই: মেয়র আতিক
মুনিয়াকে ধর্ষণ-হত্যা: আনভীরসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ
রাজধানীর গুলশানে কলেজশিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়া (২১)-কে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এ মামলায় অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের জেনারেল রেকডিং অফিসার উপপরিদর্শক সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ২১ নভেম্বর
পরে মোসারাতকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে নতুন মামলা করা হয়। তাঁর বোন নুসরাত গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ নালিশি মামলাটি করেন।
মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ মামলায় বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর, তার বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা, হুইপপুত্র শারুনের সাবেক স্ত্রী সাইফা রহমান মিম, কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, পিয়াসার বান্ধবী ও ঘটনাস্থল গুলশানের ফ্ল্যাট মালিকের স্ত্রী শারমিন ও তার স্বামী ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে আসামি করা হয়।
গত বছরের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন রাতেই তাঁর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। এই মামলায় গত বছরের জুলাইয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ডিবির দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত বছরের ১৮ আগস্ট গ্রহণ করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। আদালতের আদেশে মামলা থেকে অব্যাহতি পান একমাত্র আসামি সায়েম সোবহান।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা: হুইপপুত্র শারুনের সাবেক স্ত্রী সাইফা কারাগারে
মুনিয়া হত্যা মামলা: ফের পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ
ডেঙ্গু: তাকেদার টিকার অনুমোদনের সুপারিশ ইএমএ’র
ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) শুক্রবার জাপানি ফার্মাসিউটিক্যাল তাকেদা’র তৈরি ডেঙ্গু টিকার অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। যা ভয়াবহ এ রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ মানুষের জন্য লড়াইয়ে নতুন কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে।
শুক্রবার ইইউ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইএমএ এক বিবৃতিতে বলেছে, চার ধরনের ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে চার বছর বা তার বেশি বয়সের যে কেউ এই টিকা নিতে পারে। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৩৯০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ভাইরাল এই রোগে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যার বেশিরভাগই শিশু।
ইএমএ জানায়, ‘বর্তমান টিকার সুবিধা ও নিরাপত্তা ১৯টি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে মূল্যায়ন করা হয়েছে, যা ১৫ মাস থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৭ হাজারেরও বেশি লোককে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে বিরত রাখতে তাকেদা’র টিকা প্রায় ৮৪ শতাংশ কার্যকরী এবং টিকা দেয়ার চার বছর পর পর্যন্ত সংক্রমণ রোধে প্রায় ৬১ শতাংশ কার্যকর থাকে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ৩১০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ল্যাটিন আমেরিকার ১২০টি এবং এশিয়ার অনেক দেশে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ ডেঙ্গু। এ রোগের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। যদিও প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর সংক্রমণ মৃদু। অধিকাংশ রোগীর জানানো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা ও পেশী ব্যথা।
মশার মাধ্যমে ছড়ানো এ রোগ গুরুতর হলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, অঙ্গহানি এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
২০১৭ সালে সানোফি পাস্তুরের ডেঙ্গু ভ্যাকসিন ‘ডেঙ্গুভ্যাক্সিয়া’ ফিলিপাইনে জনস্বাস্থ্য সঙ্কট শুরু করার পরে তাকেদা ভ্যাকসিনের সুপারিশ করা হয়। ডেঙ্গুভ্যাক্সিয়া টিকা এমন লোকেদের দেহে গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যারা আগে ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয়নি। এমনকি এর ফলে ১০০টিরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়।
সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, সানোফি ভ্যাকসিনটি ফিলিপাইনজুড়ে প্রায় আট লাখ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল। অনেক বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাকে ‘অযথা তাড়াহুড়ো করে’ ভ্যাকসিনটি সুপারিশ করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
প্রসিকিউটররা বলেছিলেন যে এর ফলেই এই মৃত্যু ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগে একবার সানোফি পাস্তুর ভ্যাকসিনটি নিরাপদ বলে উপসংহারে পৌঁছেছিল। কিন্তু পরে বলেছে যে পরীক্ষা করে শুধুমাত্র আগে যে শিশুদের ডেঙ্গু হয়েছিল, শুধুমাত্র সেসব শিশুকেই এই টিকা দেয়া উচিত।
ইএমএ বলেছে, তাকেদা ভ্যাকসিনের অনুমোদনের অর্থ হল ‘বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের ওপর সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলার করা’।
সংস্থাটি আরও জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর আস্থা থাকা উচিত যে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও কার্যকর।
ম্যালেরিয়ার পরে, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে ফিরে আসা ইউরোপীয় ভ্রমণকারীদের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
ইন্দোনেশিয়া তাকেদা ভ্যাকসিনের লাইসেন্স দেয়া প্রথম দেশ। সেপ্টেম্বর মাসে দেশটি তাকেদা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু সবচেয়ে বেশি কক্সবাজারে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি বন্ধের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
একটি সংসদীয় পর্যবেক্ষক কমিটি সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশের আট বিভাগের মহাসড়কে অবৈধ ব্যাটারি চালিত তিন চাকার গাড়ি চালানো বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৫তম সভায় চেয়ারম্যান রওশন আরা মান্নান এমপির সভাপতিত্বে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটি আটটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (হাইওয়ে) সমন্বয়ে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
বৈঠকে গাজীপুরকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করার চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সর্বশেষ কার্যক্রম ও অগ্রগতি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয়।
এছাড়া স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপানো ও বিতরণের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিটি শিগগিরই বিতরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছে।
এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নবনিযুক্ত কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কমিটির সদস্য এনামুল হক, আবু জাহির, রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, সেলিম উদ্দিন ও শেখ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীতে কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যান বিস্ফোরণ, নিহত ১
হাজারীবাগে কুরিয়ার সার্ভিসের ডিপোতে বিস্ফোরণ, নিহত ১