বিএনপি
বনানীতে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, তাবিথসহ আহত ১০
বিএনপির মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে এ্ই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় মাথায় চোট লাগায় চিকিৎসার জন্য তাবিথ ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সচিব নাজমুল হুদা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সাম্প্রতিক বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে তিনজন কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করছে।
শায়রুল জানান, সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হঠাৎ উপস্থিত হয়ে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের নেতাকর্মী ও সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন:জনগণকে শত্রু বানাবেন না: সরকারি আমলাদের সতর্ক করল বিএনপি
শায়রুল কবির আরও বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাকলী থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত চলার কথা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তা ঠেকাতে ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সড়ক অবরোধ করে রাখে।’
হামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ দলের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন।
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই তারা রাস্তার উল্টো দিকে অবস্থান নেয় এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য দেয়ার সময় হামলা চালায়। তারা কীভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এভাবে হামলা করতে পারে বুঝতে পারছি না।’
আরও পড়ুন:বিএনপির সমাবেশে হামলা: শনিবার সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি
দেশের সংবিধান মানলে বিএনপি'র অবশ্যই নির্বাচনে আসা উচিত: পরিকল্পনামন্ত্রী
বিএনপি যদি দেশের সংবিধান মেনে থাকে, দেশের আইনে মানে তাহলে তাদের অবশ্যই নির্বাচনে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না এটা তাদের ব্যাপার। এটা আমরা বলতে পারবও না। তবে আমরা চাই সবাই নির্বাচনে আসুক। এছাড়া আমাদের অনেক রাজনীতিবিদ তারা প্রতিদিন এ নিয়ে অনেক কথা বলছেন আপনারা নিশ্চয়ই শুনছেন। নির্বাচন চর্চার বিষয়। মারামারি হানাহানি নয়। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটাই জাতি আশা করে।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিকল্পনামন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, আমি ছোট একটি মন্ত্রণালয় নিয়ে কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কোন জেলায় কি কাজ হচ্ছে তা আমার দপ্তরের সাইনবোর্ডে লিখা থাকে।
আমাদের হাওর এলাকা সব সময় অবহেলিত। এখন একটি বড় কাজ হচ্ছে সেটি হল সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি হাওর এলাকার জন্য অনেক বড় মাইল ফলক।
উচ্চ শিক্ষার যে স্বপ্ন সেটি এখন হাওরবাসী পূরণ করতে পারবে। ইতোমধ্যে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে ধীরে ধীরে আরও কাজ হবে আশা করি।
মন্ত্রী আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে আরও আসবে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি মানুষ যাতে স্বস্তির মধ্যে থাকে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী সংকট চলছে। এ জন্য আমাদেরকে আরও সাশ্রয়ী হতে হবে।
রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেমন হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্, সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল।
এছাড়া সংগঠনের সাধারণ স¤পাদক হিমাদ্রি শেখর ভদ্রের পরিচালনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি আল হেলাল, সেলিম আহমদ তালুকদার, সবেক সহভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, মাসুম হেলাল, সাবেক সাধারণ স¤পাদক মাহবুবুর রহমান পীর, সাংবাদিক শামস শামীম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সামাজিক স্থিতিশীলতা এখন অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ: পরিকল্পনামন্ত্রী
রাস্তা নয়, হাওরাঞ্চলে ফ্লাইওভার নির্মাণ হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
মর্টার শেল নিক্ষেপে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বিএনপি
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মিয়ানমারের এ ধরনের দুঃসাহসিকতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই ।’
শনিবার বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় বক্তব্যে তিনি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সাহসিকতার সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর বারবার বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের দুর্বল ও আজ্ঞাবহ কূটনীতির কারণে গত ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক আগ্রাসন বেড়েই চলছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
ফখরুল বলেন, ‘সর্বশেষ ঘটনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ শুক্রবার মিয়ানমার বাহিনীর ছোঁড়া মর্টার শেলের আঘাতে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচ শিশু আহত হয়েছে।’
বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপের এক সপ্তাহ পর তিনি বলেন, মিয়ানমার বাহিনী বারবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে এবং যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন,
‘বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ১২০ মিটার ভেতরে মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। মিয়ানমার বাহিনী প্রায়ই আকাশসীমা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের দিকে গুলি চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে মিয়ানমার এমন স্পর্ধা দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি সাম্প্রদায়িক দল এবং পাকিস্তানকে ভালোবাসে: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটি সাম্প্রদায়িক দল যারা পাকিস্তানকে ভালোবাসে।
শনিবার নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ঢাকার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে পার পাবেন না: ওবায়দুল কাদের
সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে বলেছিলেন যে পাকিস্তানের যুগ ভালো ছিল, এবং এটি আবারও প্রমাণ করেছে। স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগের তুলনা করার জবাবে কাদের এমন মন্তব্য করেন।
এসময় ভবিষ্যদ্বাণী করে কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে রেকর্ড গড়েছেন তা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জিততে সাহায্য করবে।
কাদের শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সামলাচ্ছেন এবং সব দিবেন। তিনি নেতাকর্মীদের বিএনপির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুদিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেন।
আরও পড়ুন: মেগাপ্রকল্প বিএনপির ‘মেগা-যন্ত্রণার’ কারণ: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া: ওবায়দুল কাদের
মেগাপ্রকল্প বিএনপির ‘মেগা-যন্ত্রণার’ কারণ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অদক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কারণে বিএনপি তাদের মেয়াদে কোনো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি, তাই এখন আওয়ামী লীগের সাফল্যে তারা ব্যথিত।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে 'মেগাপ্রকল্প' বলতে বোঝায় বড় আকারের, উচ্চাভিলাষী, নজরকাড়া ও অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট যে প্রকল্পগুলো সাধারণত সরকার গ্রহণ করে। এই ধরনের প্রকল্পগুলো কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ, তবে এগুলোর সঙ্গে যুক্ত প্রশাসনের জন্য এর সম্ভাব্য রাজনৈতিক প্রতিদান বিশাল।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় ২০৫৭ সালের মধ্যে পরিশোধ করা হবে: ওবায়দুল কাদের
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মেগাপ্রকল্পগুলো দেখলে মেগা-যন্ত্রণায় ভোগে বিএনপি। কারণ তাদের শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি এতটাই নাজুক অবস্থায় ছিল যে, তারা দেশে কোনো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের মানসিকতা, সাহস, দক্ষতা ও আর্থিক সামর্থ্যের কথা চিন্তাও করতে পারেনি।’
কাদের বলেন, বিএনপি শুধু দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত ছিল।
তিনি বলেন, এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার যোগ্য নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও মেধা দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
এই আ. লীগ নেতা বলেন, তার নেতৃত্বে ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা-খরা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।
কাদের বলেন, পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ও ষড়যন্ত্রকারীরা যত অপচেষ্টাই চালাক না কেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলার জনগণ দেশবিরোধী সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে উন্নয়নের এই অভিযাত্রা অব্যাহত রাখবে। আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে সক্ষম হবো।
তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘পাকিস্তান আমলে তারা ভালো ছিল’ এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনাও করেন।
ফখরুলের এহেন মন্তব্যকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে এই বক্তব্য উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান কাদের।
এ মন্তব্যের মধ্য দিয়ে আবারও বিএনপির ঐতিহ্যগত বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান এবং স্বাধীনতাবিরোধীতার গোপন এজেন্ডা ও অপরাজনীতির প্রকাশ পেয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এই আ.লীগ নেতা বলেন, বিএনপি এখন দেশে সুশাসন, জননিরাপত্তা ও দারিদ্র্য নিয়ে আওয়াজ তুলছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তারা কীভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল তা দেশবাসী ভুলে যায়নি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে পার পাবেন না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির সমাবেশে হামলা: শনিবার সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি
রাজধানীর মিরপুরে দলীয় কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
শুক্রবার সকালে গুলশানের দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এসময় ফখরুল বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সকল মহানগর,জেলা ও উপজেলায় এই কর্মসূচি পালিত হবে।
এছাড়া নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগামীকাল (শনিবার) বিকাল তিনটায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী সংগঠন। যারা দেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন,‘আওয়ামী লীগ অতীতে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল, বর্তমান সময়েও তারা একই কায়দায় একদলীয় শাসন ‘বাকশাল’ কায়েম করতে চায়।’
তিনি বলেন, আ’লীগ অতীতেও একইভাবে বিএনপির নেতাকর্মী ও বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলা করেছে।
ফখরুল বলেন,‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ এখন যা করতে চায় তা হলো- এখানে যাতে কোনো সুস্থ, নির্বাচনী পরিবেশ না থাকে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ের আন্দোলনে জনগণ যাতে অংশ না নেয়।’
তিনি আরও বলেন, তারা (আ.লীগ) তাদের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কোন বিরোধী দল ছাড়াই আরেকটি নির্বাচন করতে চায়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০০ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বিএনপির ঢাকা উত্তর শাখার সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন,‘আমরা সমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম এবং সেই অনুযায়ী আমাদের কর্মীদের যোগ দিতে বলেছিলাম। আমাদের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার সময় আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠি ও রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন,ওইদিন পুলিশও বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এবং কমপক্ষে তাদের ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
আমিনুল বলেন,নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ সমাবেশে এ ধরনের হামলা প্রমাণ করে যে সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় গণতান্ত্রিক অধিকার রোধ করতে চায়।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জ্বালানি ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার ১৬টি জায়গায় জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
ভোলা ছাত্রদল নেতা নূরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জ যুবদল নেতা শাওন প্রধান হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দলের এই প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
ঢাকার প্রথম মেয়র বিএনপি নেতা আবুল হাসনাত আর নেই
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত আর নেই। শুক্রবার লন্ডনে তার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
তার ছেলে রাজীব হাসনাত বাবার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে জানান, বার্ধক্যজনিত জটিলতায় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবুল হাসনাত।
মৃত্যুকালে তিনি তার স্ত্রী নাসরিন বেগম, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ আর নেই
আবুল হাসনাত সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তিনি ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন, কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আর দেশে ফিরতে পারেননি।
আবুল হাসনাত ১৯৭৭-৮২ মেয়াদে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে তিনি আবারও মেয়র নির্বাচিত হন।
তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও।
রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভায় তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৯০ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং দলের প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে ঢাকা-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯০ সালে এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি আবার বিএনপিতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আর নেই
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হায়দার আলী আর নেই
রাজধানীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
একই স্থানে সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মিরপুর-৬ নম্বর সেকশনে মুকুল ফৌজ মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের তাদের নির্ধারিত সমাবেশস্থলে যেতে বাধা দিলে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মিরপুরে তাদের দলের সমাবেশ করার কথা ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে মুকুল ফৌজের মাঠে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রড-লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুকুল ফৌজ মাঠের আশপাশে বিএনপি কর্মীরা সমাবেশ করার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বেলা সোয়া ৩টা পর্যন্ত ওই এলাকার বিভিন্ন গলিতে বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলে।
ইকবাল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা তাদের সমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সভাস্থলে অবস্থান নেয়।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিএনপি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জ্বালানি ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটের অধীনে ১৬টি স্পটে জনসভা করার ঘোষণা দেয়।
ভোলা ছাত্রদল নেতা নূরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জ যুবদল নেতা শাওন প্রধান হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদের অংশ হিসেবেও এই সমাবেশ করা হয়।
দলটি এ পর্যন্ত চারটি সমাবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২২, আটক ২
গণফোরামের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
শাহ মোয়াজ্জেমের প্রতি বিএনপি শ্রদ্ধা নিবেদন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোয়াজ্জেমের কফিন বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একটি মঞ্চে রাখা হয়। এসময় দলটির নেতাকর্মীরা বুধবার রাতে মারা যাওয়া এই বিএনপি নেতাকে শেষবার দেখেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান প্রবীণ এই নেতার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং দলীয় পতাকা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক দলীয় নেতাকর্মী অংশ নেন।
আরও পড়ুন: খোকাকে বিএনপির শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে খন্দকার মোশাররফ বিভিন্ন আন্দোলন ও দেশের মুক্তিযুদ্ধে মোয়াজ্জেম হোসেনের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের সত্যিই শাহ মোয়াজ্জেমের মতো একজন নির্ভীক নেতা দরকার, কারণ আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করছি। কিন্তু তিনি অনন্তকালের জন্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।
তিনি জানান, শাহ মোয়াজ্জেমের সারা জীবনের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস অনুসরণ করে সফল আন্দোলন করে মোয়াজ্জেমকে জনগণের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে তারা।
মোশাররফ বলেন,‘আমি মৃত ব্যক্তির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও সমবেদনা জানাই।’
জানাজা শেষে মোয়াজ্জেমের মরদেহ মুন্সীগঞ্জের শ্রী নগরে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদ প্রাঙ্গণে তৃতীয় ও শেষ জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে গুলশানের বাসায় ৮৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৯৩৯ সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের দোগাছি গ্রামে তার জন্ম। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে ভাষা আন্দোলন এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য বিভিন্ন সংগ্রামে অংশগ্রহণের কারণে তিনি প্রায় ১৮ বছর জেলে কাটিয়েছেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদের চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে ১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন। পরে এইচ এম এরশাদের শাসনামলে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং দলের মহাসচিব ও দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী হন। মোয়াজ্জেম ২০০৬ সালে ফের বিএনপিতে যোগ দেন এবং মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত দলের সঙ্গেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: কে জি মোস্তফাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালো সাংবাদিক ও সহকর্মীরা
এম এ মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা বিএনপির
বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আর নেই
বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আর নেই। বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে তিনি তাঁর গুলশানের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
আরও পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হায়দার আলী আর নেই
শাহ মোয়াজ্জেম এক ছেলে, এক মেয়ে ও নাতিনাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রী ২০০৯ সালে মারা গেছেন।
এই বিএনপি নেতার নামাজের জানাজা বিষয়ে দলের এবং পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।
তাঁর ছেলে আমেরিকায় আছেন। তাকে তাঁর বাবার মৃত্যুর সংবাদ অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরের আ.লীগ নেতা নুরুজ্জামান আর নেই
দেশ রূপান্তরের সম্পাদক অমিত হাবিব আর নেই