বিএনপি
৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
৩০ মাসের বিল বকেয়া থাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের রায়েরবাজারের বাসায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিল খেলাপিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে সোমবার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লা জানান, ৩০ মাস ধরে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার টাকা বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা জানান, রায়েরবাজারের শেরে বাংলা রোডের গয়েশ্বর রায়ের বাসায় সাতটি ডাবল বার্নার চুলা রয়েছে।
পড়ুন: সিলেট গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে খনন করবে চীনের ‘সিনোপেক’
বিএনপি নেতা সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বিল পরিশোধ করেন। এরপর থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গত ৩০ মাসের বিল পরিশোধ করেননি তিনি।
তার মোট বকেয়া বিল দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৩৭৮ টাকা।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লা বলেন, জরিমানাসহ বকেয়া টাকা পরিশোধ করলে সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হবে।
তিতাস সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ সংযোগ এবং বিল খেলাপিদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে কোম্পানিটি তাদের ৩০টি টিমের মাধ্যমে রাজধানীজুড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।
ইতোমধ্যে মোট ১৩৩টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং ২৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বকেয়া তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়েছে।
পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপকের স্ত্রী কারাগারে
আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না। কারও কথায় নির্বাচন কমিশনও বাতিল করা হবে না। কারণ নির্বাচন কমিশন হয়েছে একটা নিয়মের মধ্যদিয়ে। সার্চ কমিটি বাছাই করে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিএনপির ধন্যবাদ দেয়া উচিত। অন্তত বিবৃতি দিয়ে দলটিকে টিকিয়ে রেখেছেন। বিবৃতির জন্য যদি নোবেল প্রাইজ দিতে হয়, তাহলে ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেই দিতে হবে।
সোমবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন,আগামী নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর কয়েক মাস বাকী আছে। এই এক বছরকে নির্বাচনের বছর হিসেবে চিহ্নিত করে আগামী নির্বাচনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। এক সঙ্গে থেকে দলকে সু সংগঠিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের জীবন হলো সংগঠন। আওয়ামী লীগের জীবন হলো কর্মী বাহিনী।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেক অত্যাচার করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের একটানা ১৪ বছরের শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিতে আছে।
তিনি আরও বলেন, ভোলায় প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে। ভোলা-বরিশাল সেতু হলে এই প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে জাতীয় গ্যাসের সংকট দূর করা সম্ভব হবে। ভোলার গ্যাস দিয়ে অনেক শিল্প-কারখানা হবে।
আরও পড়ুন: বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না: ওবায়দুল কাদের
এ সময় সভায় জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগের জন্য তার অনেক অবদান রয়েছে। আমরা চিরদিন শ্রদ্ধাভরে তাকে স্মরণ করবো।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলজারের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুল মমিন টুলু, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুসসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ১৭
সেপ্টেম্বরে রাজধানীতে ১৬টি সমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলন জোরদার করবে বিএনপি
চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে দলের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর ১৬টি স্থানে জনসভার কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই: বিএনপি
ভোলা ছাত্রদল নেতা নূর-ই-আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জ যুবদল নেতা শাওন প্রধান হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সমাবেশ করা হবে।
ফখরুল বলেন, আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, এটি অব্যাহত থাকবে। আমরা ঢাকা মহানগরীর ১৬ স্পটে বা জোনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করব যা শুরু হয়েছে আজকের এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
এসব কর্মসূচি পালনের পর সারাদেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। ফখরুল বলেন, আন্দোলনে যোগ দিন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর জোনের উদ্যোগে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: পাকুন্দিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
অন্য সমাবেশসমূহ হচ্ছে- আগামী ১১ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব জোন, ১২ সেপ্টেম্বর সেগুন বাগিচায়, ১৩ সেপ্টেম্বর উত্তরা পশ্চিম জোন, ১৫ সেপ্টেম্বর পল্লবী জোন, ১৬ সেপ্টেম্বর সূত্রাপুর, ১৮ সেপ্টেম্বর শ্যামপুর-কদমতলী জোন, ১৯ সেপ্টেম্বর গুলশান জোন, ২০ সেপ্টেম্বর বাসাবো বালুর মাঠ, ২১ সেপ্টেম্বর মীরপুর জোন, ২২ সেপ্টেম্বর যাত্রবাড়ী-ডেমরা, ২৩ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর জোন, ২৪ সেপ্টেম্বর লালবাগ-চকবাজার-কামরাঙ্গীরচর জোন, ২৫ সেপ্টেম্বর বাড্ডা জোন, ২৬ সেপ্টেম্বর কলাবাগান এবং ২৭ সেপ্টেম্বর তেঁজগাঁও জোনে।
এছাড়া আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিট মোমবাতি জ্বালিয়ে নীরব অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আন্দোলন বানচাল করতেই বিরোধীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন: বিএনপি
ফখরুল বলেন, কার্যকর আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য জনগণের শক্তিশালী ঐক্য প্রয়োজন এখন।
প্রসঙ্গত, সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিং নীতি গ্রহণের পর থেকে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
বিএনপির সময়ে ভারত সফরের প্রাপ্তি কী, আয়নায় দেখতে বললেন ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে অপপ্রচার আর গুজব না ছড়িয়ে বরং আয়নায় নিজেদের শাসনামলে দেশটি সফরের প্রাপ্তি কী ছিল তা দেখতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হলেও বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, কারণ তারা চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে। এছাড়া বিএনপি নেতারা যদি হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢেকে রাখে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কোন অর্জন দেখতে না পাওয়ারই কথা।
আরও পড়ন:পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, সে এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর: ওবায়দুল কাদের
প্রকাশ্যে বৈরিতা দেখিয়ে আবার দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকাই বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে গড়ে তুলেছে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল, ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প।
বিএনপি তাদের শাসনামলে দ্বিপক্ষীয় কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে রচনা করেছেন উভয় দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন।
তারই ধারাবাহিকতায় এবারের সফরও পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং উন্নয়নের পথরেখায় সম্ভাবনার নতুন আলো ছড়িয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ শেখ হাসিনার এই ভারত সফরে কি পেয়েছে, তা এক কথায় বলেন, বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত।
বিএনপি নাকি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে বিএনপির বসবাস সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে। বন্ধুকের নলের মুখেইতো বিএনপির জন্ম।
আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, পেট্রোল বোমা আর সন্ত্রাস কাদের সৃষ্টি প্রশ্ন রেখে এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা আর ষড়যন্ত্র এই তিনটি নিয়েই বিএনপির রাজনীতি।
বিএনপির টার্গেট লুটপাট আর দুর্নীতি এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন এ দেশের রাজনীতিতে মামলা-হামলা-ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাস-নৈরাজ্যকে লালন করছে বিএনপি-যা এখনও করছে।
আরও পড়ন:বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আ.লীগ ভীত নয়: ওবায়দুল কাদের
ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির শীর্ষ ৫ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শুক্রবার রাতে রাজধানীর আদাবর এলাকার রিং রোড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস, ভিপি শামিম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট ও কাজিপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ কবির চান্দু।
আরও পড়ুন:রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ১ সেপ্টেম্বর সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন শেষে সিরাজগঞ্জ শহরের নবদ্বীপ পুল এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাচ্চুসহ ১১৫ নেতাকর্মীর নামে পুলিশ বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করে।
ওসি বলেন, মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করা হয় এবং রাতেই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার আদাবর এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রিং রোড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই: বিএনপি
বগুড়ায় একই স্থানে আ. লীগ-বিএনপির সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
বগুড়ায় একই স্থানে আ. লীগ-বিএনপির সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
বগুড়ার শেরপুরে একই সময় একই স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা আহ্বান করায় সহিংসতা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শহরের বাসস্ট্যান্ড ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল হোসেন বলেন, ‘একই সময় ও স্থানে দুটি রাজনৈতিক দল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এই অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।’
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
জানা যায়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও পুলিশের গুলিতে দলীয় কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শেরপুর পৌর বিএনপি শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শনিবার বেলা ৩ টা থেকে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো। এতে বগুড়া জেলা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উপস্থিত থাকার কথা ছিলো।
শেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল বলেন, কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিক্ষোভ ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপির এই কর্মসূচি বানচাল করতেই আওয়ামী লীগ একই সময় ও স্থানে প্রতিহিংসামূলকভাবে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
অন্যদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামাত জোটের মিথ্যাচার ও আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শনিবার বিকাল ৩ টায় প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত আমাদের এই কর্মসূচি বানচাল করতেই বিএনপি সমাবেশের ডাক দেয়। একই সময় ও স্থানে দুটি রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, ‘এই নির্দেশ জারির পর থেকে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোন ধরনের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। এই জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।’
এছাড়া বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের ভারত সফর থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ‘দৃশ্যমান অর্জন’ নেই।
তিনি বলেন, ‘এই সফরে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত যে অর্জন আমরা দেখতে পাচ্ছি তা হলো কুশিয়ারা নদী থেকে ৫৩ কিউসেক পানি। আমরা আর কোনো দৃশ্যমান অর্জন দেখিনি।’
ভারতের কাছ থেকে সামরিক যান কেনার জন্য ৫০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। ‘যেদিন এই কথা বলা হয়েছিল, সে দিনেই দিনাজপুর সীমান্তে একজন নিহত হয়েছিল এবং আরও দুইজন নিখোঁজ ছিল। এটিই (তার সফরের) ফলাফল।’
আরও পড়ুন: আন্দোলন বানচাল করতেই বিরোধীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন: বিএনপি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এদিকে ভারতে চার দিনের সরকারি সফর শেষে বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার সফরকালে, হাসিনা তার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেছেন এবং মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও ভারতীয় উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন।
দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর, ঢাকা ও দিল্লি কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
ফখরুল বলেন, সফরে কোনো ফলাফল না আসলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভারতের প্রতি তাদের ভালোবাসা তুলে ধরছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আপনার অবশ্যই মনে আছে যে এই সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী (এ কে আব্দুল মোমেন) বলেছিলেন যেকোনো উপায়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি ভারতীয় নেতাদের অনুরোধ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: পাকুন্দিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল বিশ্বাস করে, গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে এবং বিশ্বব্যাপী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকল গণতান্ত্রিক দেশ তাদের ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের ভালো বন্ধু এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা বিশ্বাস করি যে ভারতও তার গণতান্ত্রিক চরিত্র অক্ষুণ্ণ রাখবে।’
সরকার কর্তৃক সন্ত্রাসের রাজত্ব উন্মোচন
সারাদেশে তাদের দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা এবং তাদের নেতাকর্মীদের ‘মিথ্যা’ ও ‘কাল্পনিক’ মামলায় ফাঁসানোর জন্য ফখরুল সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের অনেক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। অতীতের মতো আমাদের বিরুদ্ধেও কাল্পনিক মামলা করা হচ্ছে। আপনারা জানেন যে ইতিমধ্যে আমাদের তিন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।’
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কিশোরগঞ্জ শাখার ১৪ বছর বয়সী গুলিবিদ্ধ নেতা শ্রাবণকে দেখতে বৃহস্পতিবার পপুলার হাসপাতালে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ছেলেটির ফুসফুস, লিভার ও কিডনি গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘সে রক্ত বমি করছে... তার জীবন বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।’
তিনি আরও জানান, শ্রাবণ ছাড়াও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এবং অনেকে বিভিন্নভাবে আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। ‘তারা (সরকার) আবারও সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব জারি করেছে। আমি বলতে চাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়ে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’
সহিংসতার আশ্রয় না নিলে বিএনপির কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হবে না বলে আইনমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়... ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে। গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। জনগণের শক্তি দিয়ে আমরা তাদের পরাজিত করব।’
আরও পড়ুন: যুবদল কর্মী হত্যা: পুলিশ সুপারকে আসামি করে বিএনপির মামলার আবেদন
রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সংঘর্ষের এই ঘটনায় শুক্রবার বিকালে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা: বিএমডিএর ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন হত্যাসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গঙ্গাচড়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে উপজেলার পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গঙ্গাচড়া বাজারের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে পুলিশ ও বাজারের দোকান উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেনসহ ১৫ পুলিশ সদস্য ও বিএনপি নেতাকর্মী, পথচারী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক মিলে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ছুঁড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হোসাইন রায়হান বলেন, বর্তমানে গঙ্গাচড়ার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য যাচাই-বাছাই করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন
সুদিন আসবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভালো দিন আসবে এবং দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
বৃহস্পতিবার আহত কিশোরগঞ্জ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি) নেতা শ্রাবণের মাকে ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার ছেলে গণতন্ত্রের আন্দোলনে গুরুতর আহত হয়েছে। তার কষ্ট বৃথা যাবে না।’
গত ৩ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত শ্রাবণকে দেখতে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে যান তিনি।
পড়ুন: যুবদল কর্মী হত্যা: পুলিশ সুপারকে আসামি করে বিএনপির মামলার আবেদন
তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ছাত্রদল নেতার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
পরে শ্রাবণের মায়ের সঙ্গে কথা বলে এই বিএনপি নেতা বলেন, ছেলের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাদের দল তার পরিবারের পাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন বানচাল করতেই বিরোধীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘ধৈর্য্য ধারণ করেন এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ঐশী আশীর্বাদ কামনা করেন। আমরা আপনার সঙ্গে আছি... গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে এবং অবশ্যই ভালো দিন আসবে।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বুলেটের আঘাতে শ্রাবণের ফুসফুস, লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেরে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি নেতা ও তার সহযোগী গুলিবিদ্ধ
আন্দোলন বানচাল করতেই বিরোধীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন: বিএনপি
বিএনপি অভিযোগ করেছে, দ্রব্যমূল্য, জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্মম হামলা করছে সরকার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে আমাদের কর্মসূচি চলছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আমাদের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে নির্দয়ভাবে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে।
আরও পড়ুন: ঈদ আসলেই আওয়ামী পরিবহন সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে: রিজভী
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নবগঠিত কমিটির নেতাদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, হামলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, এমনকি অনেকে চোখ হারিয়েছেন ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে আমাদের তিনজন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক এলাকার নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, তারা কি অপরাধ করেছে? সভা সমাবেশ করা একটি চিরস্থায়ী গণতান্ত্রিক অধিকার।’
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতি নিয়ে জিএম কাদের ও রিজভীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা তথ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সারাদেশে বিএনপির মিছিলে বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে। ‘গতকাল নাটোরের লালপুরে আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আপনি প্রতিদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও রক্তক্ষরণের ঘটনা দেখবেন।’
রিজভী বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকতে মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে তখন তিনি ভারত সফরে গেছেন। ‘কিন্ত আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের অভিন্ন নদীর পানির সুষম বন্টন এবং তিস্তা চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
দেশের মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে আর্শীবাদ নিতে ভারত সফরে গেছেন কিনা তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন রিজভী।
আরও পড়ুন: পুলিশের বিরুদ্ধে রিজভীর মামলার আবেদন খারিজ