বিএনপি
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুন্ডাদের দ্বারা ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্মম হামলা এবং ছাত্রদলের নারী নেত্রীদের ওপর নিপীড়ন সম্বলিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে…আমরা বলতে চাই আওয়ামী লীগ এবং সরকারের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে অপরাধীরা এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।’
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তৃতায় বিএনপির এই নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের ‘নিষ্ঠুর’ হামলারও তীব্র নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ ছাত্রলীগ নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, তাদের ঊর্ধ্বতনদের কু-পরামর্শে সহপাঠীদের ওপর হামলার অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের রেহাই দেয়া হবে না। আগামী দিনে জনগণের আদালতে আপনাদের অপকর্মের বিচার হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (ছাত্রলীগের সদস্যদের) সতর্ক করতে চাই যে আপনাদের সিনিয়র নেতাদের প্ররোচনায় নিজেদের জীবন নষ্ট করবেন না। জনসমর্থনের অভাবে সরকার ছাত্রদের সন্ত্রাসীতে পরিণত করছে এবং স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী স্টাইলে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য তাদের ব্যবহার করছে।’
মোশাররফ বলেন, সরকারের নানা অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। ‘দেশে এখন গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে; এখানে জনগণের ভোটাধিকার সহ কোনো অধিকার নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষও অসহায় হয়ে পড়েছে।’
ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, তাদের নানা অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ‘দেশ ও বিদেশে সর্বত্র এই শাসকগোষ্ঠী সমর্থন শূন্য হয়ে গেছে। তাই এই সরকার ও শেখ হাসিনা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটি একটি দুর্বল শাসন এবং এটি অপসারণের জন্য শুধুমাত্র একটি ধাক্কা প্রয়োজন।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল রাজপথে গণজাগরণ সৃষ্টি করে সরকারের পতন নিশ্চিত করবে। ‘আমাদের ছাত্রদল ঢাকায় রক্ত দিয়ে এই শাসকদলকে অপসারণের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
পদ্মা সেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, প্রশ্ন আমীর খসরুর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতুতে বাড়তি ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকার সেতু ৪০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায়? আমরা জানি কোথায় গেছে। এগুলো সব বের হবে।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরী পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে চুবিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, পদ্মা সেতু থেকে নাকি বেগম খালেদা জিয়াকে ফেলে দেবে। মনে হয় বাপের টাকা দিয়ে সেতু করেছে, এখানে কেউ উঠলে তাদের ফেলে দেব। আরে টাকাটা কার? ১০ হাজার কোটি টাকার সেতু ৪০ হাজার কোটি টাকায় তৈরি করা হয়েছে। বাকি ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেছে। বড় বড় কথা বলার আগে উত্তর দিতে হবে।ি
আরও পড়ুন: লেবার পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নাকি ঠুস করে ফেলে দেবে।
তিনি বলেন, এর অনেকগুলো কারণ হতে পারে। একটি হলো খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার চেয়ে জনপ্রিয়। যিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এরশাদের পতন ঘটিয়েছেন। কিন্তু আপনি সেই এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। খালেদা জিয়া যখন সড়কে বের হবে, তখন লাখ লাখ মানুষ সমবেত হবে। সেটিকে আপনি ভয় পান। কারণ আপনি যখন সমাবেশ করতে যান, তখন পয়সা দিয়ে লোক আনলেও থাকতে চায় না।
জনগণ আওয়ামী লীগকে বর্ডার পর্যন্ত নিয়ে যাবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, মানুষ যখন হেরে যায় তখন বাঁচার জন্য শেষ চেষ্টা করে। এই জোয়ারে চুনিপুটি, ধামাচাপা পার্টি, চুরিচামারি পার্টি, হেলমেট লীগ, সন্ত্রাসী লীগ কোনো লীগই থাকবে না। এরা পালাতে পালাতে বর্ডার পর্যন্ত নিয়ে যাবে দেশের জনগণ। পালানোর পথ পাবে না এরা।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির
লেবার পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকের তিন দিন পর ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
পরে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, তারা দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মপন্থা এবং এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল নিয়েও কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
তবে বৈঠকের ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে তিনি জানান, তারা অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনার পরে তাদের ভবিষ্যত কর্মপন্থা সম্পর্কে একটি ঘোষণা নিয়ে আসবে।
এ প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর ইরান বলেন, দেশের এক সঙ্কটময় সময়ে তারা বিএনপির সঙ্গে বসেছেন। ‘আপনারা জানেন যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার নেই... এমন সময়ে আমরা বিএনপির সংলাপকে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় বিএনপি সফল হবে। ‘জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আমাদের দল বিএনপিকে সর্বাত্মক সমর্থন দেবে।’
মঙ্গলবার নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির
সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
পদ্মা সেতু হওয়ার পর ড. ইউনুসদের মুখে কথা নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ড. ইউনুসসহ আরও অনেকে যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা বিভিন্ন সময় অনেক বড় বড় কথা বলে, বিশ্বমন্দা, করোনা নিয়ে নসিহত করে, কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার পর তাদের মুখে আর কোনো কথা নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারে জেলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
সেতুবিরোধীদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'শুধু বিএনপিরই নয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে সিপিডি, টিআইবি এবং আরও যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, তাদেরও গাত্রদাহ হচ্ছে। আমি আমার চেয়ে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি গভীর সম্মান রেখেই বলছি, তিনি নিজেও হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি লিখেছিলেন যাতে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করে, সেই অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন।'
'কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা সমস্ত ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছেন' উল্লেখ করে হাছান বলেন, পদ্মা সেতু শুধু আমাদের গর্বের সেতু নয়, শুধু পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ সেতুই নয়, পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের বাংলাদেশ, আমাদের জনগণ ও সরকারের সক্ষমতার প্রতীক।
সমস্ত ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে যে এটি করা যায়, তা প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন, বলেন তিনি।
এসময় পদ্মা সেতুর সমালোচক বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের বিষয়েও কথা বলেন মন্ত্রী।
পড়ুন: জনগণের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: আইনমন্ত্রী
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণার পর সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পেছনে তারেক রহমানের হাত আছে কি না ও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিএনপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এমনকি হাইকোর্টের সামনে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সামনেও বহিরাগত ও সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এগুলোর পেছনে নিশ্চয়ই তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাত আছে।'
'আমাদের কাছে যতটুকু খবর আছে, তারেক রহমান সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় যতো সন্ত্রাসী আছে, তাদেরকে ফোন করে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বলেছে' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদেরকেও বলবো, জনগণকে সাথে নিয়ে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'তারেক রহমান দুর্নীতি ও গ্রেনেড হামলার দায়ে একজন শাস্তিপ্রাপ্ত, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দণ্ড কার্যকর করার জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারি পর্যায়ে আলাপ আলোচনা অব্যাহত আছে। আর প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বুঝতে ব্যর্থ বিএনপির বেগম জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর জন্য জনগণই দাবি তুলেছে।'
কক্সবাজারের রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, ডেপুটি কমিশনার মো. মামুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: বিএনপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার পরিণতি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের লাঠি দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে সমর্থন দিয়ে তাদের (ছাত্রলীগ) লেলিয়ে দিচ্ছেন, আপনারা (ক্ষমতাসীনরা) আপনাদের কথা চিন্তা করেন। যারা করছে তাদের পরিণতি কি হবে অতীতে আমাদেরকে কাছে বহু উদাহরণ রয়েছে। এর পরিণতি শুভ হবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখা আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে তাদের কোনো সমর্থন নেই এবং দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। চারিদিকে তাদের পথ অবরুদ্ধ হওয়ায় এখন তাদের কোন উপায় নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির
তিনি বলেন, জনসমর্থন ও পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে গেলে কোনো দলই গুণ্ডামি ও সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
খন্দকার মোশাররফ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিশ্বজিৎ ও আবরার ফাহাদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্রদল ঢাবিতে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমরা বলতে চাই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এদেশের জনগণের সন্তান। তাদের অভিভাবকরাও আপনাদের প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত। যারা বিএনপি ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তারা সবাই ভাই বা অভিভাবক। সুতরাং, এই অভিভাবকদের কেউ অলস বসে থাকবে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, চলমান আন্দোলনকে সফল করতে সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও দেশপ্রেমিক ঐক্যবদ্ধ হবে।
শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পরিণতি এড়াতে তিনি অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। দেশের জনগণ নিজেদের হাতে (ব্যালট পেপারের মাধ্যমে) ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন: ফখরুল
আ.লীগের `দুঃশাসন’ এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের
জনগণের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, দেশের জনগণের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিএনপির হিংসা হচ্ছে যা তাদের সহ্য হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের জনগণের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিএনপির হিংসা হচ্ছে যা তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। মূলত দেশের ভালো হোক তারা তা চায় না। তারা মিথ্যা বলতে এবং সন্ত্রাস করতে অভ্যস্ত।’
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার রাজাপুর ও চানপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ পাবেন আইনজীবীরা: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে দেশের কোথাও দুর্নীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী মারা গেছেন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক গৌতম দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে ও অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
গৌতম ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) থেকে বিএনপির মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন।
এদিকে গৌতমের মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সমবেদনা জানান।
পড়ুন: আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী যুবদলের আট সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ও মোনায়েম মুন্নাকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বলে শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি টুকু যুবদলের আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
এছাড়া আট সদস্যের কমিটিতে মামুন হাসান জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি, নুরুল ইসলাম নয়ন সহ-সভাপতি, শফিকুল ইসলাম মিল্টন প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গোলাম মাওলা শাহীন দ্বিতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ইসহাক সরকার সাংগঠনিক সম্পাদক ও কামরুজ্জামান দুলালকে দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি সাইফুল ইসলাম নীরবকে সভাপতি ও সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক যুবদলের সর্বশেষ কমিটি গঠিত হয়।
আরও পড়ুন: জেসিডির নারী নেত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: বিএনপি
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বিএনপি আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং দীর্ঘদিন ধরে দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে আসছে দলটি।
ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস ও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ‘সহিংস’ হামলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে ছাত্রদলের আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগের ‘ক্যাডাররা’ হাইকোর্টে ঢুকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরও আঘাত করেছে। তারা হাইকোর্টের বিভিন্ন কক্ষে যাওয়া ছাত্রদলের কর্মীদের মারধর করে। এমনকি তারা ছাত্রীদেরও রেহাই দেয়নি।
আরও পড়ুন: আ.লীগের `দুঃশাসন’ এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের
ফখরুল জানান, শমরিতা হাসপাতালে তিনি প্রায় ৫০ জন আহত নেতা-কর্মীকে দেখেছেন। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নেতাকর্মীদের মাথায় আঘাত করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আহত ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা এখন সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। এটা ফ্যাসিবাদী শাসনের চরিত্র। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা নতুন কিছু নয় যে আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় থেকেছে এবং তারা একইভাবে তা চালিয়ে যেতে চায়। সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়ে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের এ ধরনের সন্ত্রাসের পতন ঘটবে।
এর আগে তিনি রাজধানীর মহাখালী এলাকার ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল, কাকরাইল ও আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ছাত্রদলের আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে যান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নয়, প্রকল্প থেকে বিপুল অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচারেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার কথা ছিল, সেটি এখন ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। সুতরাং, সেতু নির্মাণের জন্য নয়, প্রকল্পের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটের কারণেই আমাদের গায়ে জ্বালা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি নেতা আরও অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছেন। এটি আমাদের মনকষ্টের কারণ।
আরও পড়ুন: আ.লীগের `দুঃশাসন’ এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের
ফখরুল বলেন, সরকার জাতির সব অর্জনকে ধ্বংস করে দেশের মানুষের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তারা এখন পদ্মা সেতু নিয়ে আস্ফালন করে। কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে এই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে না। দেশের জনগণের পকেট থেকে নেয়া অর্থ দিয়ে এটি নির্মিত হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নানাভাবে সব মেগা প্রকল্পের টাকা লুটপাট করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
রাজধানীতে নির্মাণাধীন মেট্রোরেল প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, শুধু জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য অপ্রয়োজনীয়ভাবে অল্প দূরত্বে অনেক স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। আমি পৃথিবীর কোনো মেট্রো রেলে এত কাছাকাছি দূরত্বে এত স্টেশন দেখিনি। তাদের (সরকারের) লক্ষ্য হলো দুর্নীতি ও লুণ্ঠন।
ফখরুল বলেন, দুঃশাসন, দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের কারণে জাতি এখন অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন। আমরা যদি এটা কাটিয়ে উঠতে না পারি তাহলে আমাদের গণতন্ত্র, অর্থনীতি, সমাজ, ভবিষ্যত ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি তরুণ প্রজন্মকে শক্তিশালী আন্দোলন করে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জেসিডির নারী নেত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: বিএনপি
পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়: বিএনপি