বিএনপি
জেসিডির নারী নেত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: বিএনপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) নারী নেত্রীদের ওপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ কাজ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে কাপুরুষ, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বানিয়েছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের ক্যাডাররা যেভাবে হামলা করেছে তা কাপুরুষোচিত কাজ।’
বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মনে করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ঠেলে দেয়ার যে মন্তব্য করেছেন তা প্রাণনাশের হুমকির শামিল।
আওয়ামী লীগ অবশ্য বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সংলাপ শুরু করল বিএনপি
শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা কীভাবে বিএনপির নারী নেত্রীদের মারধর করতে পারে তা নিয়ে বিস্মিত রিজভী বলেন, ছাত্রদের মানবতাবোধ থাকা উচিত।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি গতকাল (মঙ্গলবার) একটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম যেখানে মনসুরা এবং তৃনা ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।’
তিনি বলেন, নারী জেসিডি নেতাদের ওপর হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ‘কাপুরুষ ছাড়া আর কেউ মেয়েদের এত নৃশংসভাবে আঘাত করতে পারে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অনেক জেসিডি নেতা-কর্মীকে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে রাশেদ ও আফসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রিজভী এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং নারীসহ জেসিডির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও জেসিডির মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিকল্পনা বিএনপির
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু আজ
আ’লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করতে হবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীরা খারাপ আচরণ করলে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। আওয়ামী লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করতে হবে।’
বুধবার দুপুরে নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না: ওবায়দুল কাদের
দুঃসময়ের কর্মীদের কাছে টানতে হবে উল্লেখ করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সমস্যা আছে। মাঝে মাঝে তারা খারাপ খবরের শিরোনাম হয়। চট্টগ্রাম মহানগরে অন্তর্কলহে অনেকের প্রদীপ নিভে গেছে। এটি আমরা দেখতে চাই না।
এসময় তিনি দ্রুত চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করার নির্দেশ দেন।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু হওয়াতে সারাদেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি নাখোশ।
তিনি বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু হওয়াতে সারাদেশের মানুষ খুশি। সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর সবখানে সাজ সাজ রব।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন, পদ্মা সেতু হবে না। তিনি এখনও বেঁচে আছে। আল্লাহ তার হায়াত দান করুক। তিনি নিশ্চয়ই শুনেছেন পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। কাজ শেষ। শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। তাই বিএনপি ও তার দোসরদের বুকে বড় জ্বালা। কারণ তাদের কোনও উন্নয়ন নেই। তাদের আছে শুধু হাওয়া ভবন এবং পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কেলেঙ্কারি।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক, সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
এছাড়াও সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন: ওবায়দুল কাদের
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সংলাপ শুরু করল বিএনপি
নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছে বিএনপি। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করেছে দলটি।
বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারসহ জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারে বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য আমরা আলোচনা শুরু করেছি।’
রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে একটি সত্যিকারের সরকার ও জনগণের সংসদ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের মানুষ আশা করছে বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে ফলপ্রসূ ও কার্যকর আন্দোলন করবে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি সরকার ও জনগণের সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবর্তন আসবে।’
আরও পড়ুন: খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিকল্পনা বিএনপির
তিনি বলেন, তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথা বলবেন এবং তারা আশা করছেন দ্রুত সংলাপ শেষ করে যৌথ আন্দোলনের সূচনা করতে পারবেন। ‘আমরা আশা করি খুব শিগগিরই এটি করতে পারব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়গুলো হলো- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, জাতীয় সরকার গঠন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য সব বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি, ওই সব মামলা প্রত্যাহার এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কার্যকর আলোচনা করেছি। আমরা আশা করি অন্যান্য দলের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে এবং আমরা খুব শিগগিরই একটি আন্দোলনের কর্মসূচি উপস্থাপন করতে সক্ষম হব।’
বিকেল ৫টার দিকে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম ও জহির উদ্দিন স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে মির্জা ফখরুল নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে আসেন এবং মাহমুদুর রহমান মান্না ও তার দলের জ্যৈষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা আলোচনা করেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, তারা আন্দোলন করার মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। দেশের সব বিরোধী দল বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু আজ
এর ভিত্তিতে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠায় বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। ‘আমরা এই বৈঠককে একটি বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করার পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছি।’
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংলাপ শুরুর ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।
খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিকল্পনা বিএনপির
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ করবে দলটি।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো ঢাকা বাদে সব বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে এ বিক্ষোভ করবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন: ওবায়দুল কাদের
এর আগে সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের এক বৈঠকে বলেন, খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হওয়ায় ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। তিনি বলেন, ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ফেলে দিতে হবে।’
পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের তহবিল বন্ধের চেষ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসেরও সমালোচনা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসসহ দেশের প্রবীণ নাগরিকদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্যের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু আজ
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য বেগম খালেদা জিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার শামিল। অনির্বাচিত সরকার প্রধানের এই মন্তব্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ নির্বাহী শাখার প্রধান যখন কাউকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন তখন তা হত্যার নির্দেশের মধ্যে পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসকেও একই ধরনের হুমকি দিয়েছেন যা ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত’, ‘অশালীন’ ও ‘অসম্মানজনক’। সভা এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু আজ
গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ‘পুনরুদ্ধার’ করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়নে আজ (মঙ্গলবার) বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির পরিকল্পিত আলোচনা শুরু হবে।
মঙ্গলবার গুলশানে দলটির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
প্রথম দিন বিকাল ৫টায় তোপখানা রোডের কার্যালয়ে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা জানান, সোমবার রাতে তাদের দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়: বিএনপি
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) আমরা আলোচনা শুরু করছি।’
তিনি বলেন, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে আজকের বৈঠকের পর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে বসবেন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি শুধু জোটের শরিকদের সঙ্গে নয়, অন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আলোচনা করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনা করবেন কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা জামায়াতসহ সব দলের সঙ্গে কথা বলতে চান।
২০ দলীয় জোটের অস্তিত্ব নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা এখনো ২০ দলীয় জোট বিলুপ্ত করেননি। ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে জোটের ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত করবো।’
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বিএনপি নেতা তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বলে তার চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মির্জা আব্বাস বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।’
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল জানান, আব্বাসকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে রফিকুল বিএনপি নেতার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে ১৭ মে পেটে ব্যাথা নিয়ে অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র এবং খালেদা জিয়ার শেষ মন্ত্রিসভার সাবেক মন্ত্রী আব্বাসকে রাজধানীর শ্যামলী এলাকার বাংলাদেশ বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পড়ুন: মির্জা আব্বাস পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া: মোশাররফ
পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ভুলে গেলে চলবে না বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, কারণ এটি জনগণের টাকায় নির্মিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখন পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে বড়াই করছেন। আমরা বলতে চাই পদ্মা সেতু আপনাদের একার নয় এবং এটি আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়।’
সোমবার পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটগুলো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।
এই সমাবেশে বিএনপি নেতা বলেন, দেশের জনগণ ও করদাতাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘মানুষ জানতে চায় পদ্মা সেতু নির্মাণে আপনি মানুষের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন এবং কত খরচ করেছেন। তারা আরও জানতে চায়, আপনি দুর্নীতির মাধ্যমে কত টাকা পকেটস্থ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেতু নির্মাণের জন্য যে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হয়েছিল তা পরিশোধ করতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে কত টাকা ব্যয় করতে হবে তাও জনগণ জানতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির
পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে নদীতে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এই বিএনপি নেতা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনাও করেন।
তিনি বলেন,‘সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে লড়াই করতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের দেশের কৃষক, শ্রমিক এবং দিনমজুর শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা এখন কঠিন।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, দেশের মানুষের রোষানল এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই নিজের বাসভবনে আবদ্ধ রয়েছেন। ‘আপনি মানুষকে ভয় পান। এইজন্য আপনি মানুষের সামনে আসেন না।’
আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস ও জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে ফখরুল একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে `দমনমূলক’ গণমাধ্যম আইন বাতিল করব: বিএনপি
বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
খালেদা জিয়া সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির
পদ্মা সেতু থেকে খালেদা জিয়াকে নদীতে ফেলে দেয়া উচিত বলে করা মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপনি খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তিনি দেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় নেত্রী; যিনি কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক হত্যার হুমকির প্রতিবাদ’ শীর্ষক এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।
এ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ।
এসময় তিনি তাকে (খালেদা জিয়াকে)উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য তার দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ফখরুল বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য আসাটা অকল্পনীয়।
তিনি বলেন, ‘কোনও সভ্য দেশের মানুষ এ ধরনের মন্তব্য সহ্য করতে পারে না। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) আপনার মন্তব্যের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলছি।’
বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় জনগণ ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ না দিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
এর আগে বুধবার আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু প্যাচওয়ার্ক দিয়ে তৈরি হওয়ায় ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ঠুস করে ফেলে দেয়া উচিত।’
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এমন আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, কারণ তিনি এখন তার ক্ষমতার অবসান ঘটতে দেখছেন।
খালেদার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়া এখন খুবই অসুস্থ এবং বিদেশে যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ না দিলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
ফখরুল বলেন, ‘এই সমাবেশ থেকে আমরা সরকারের কাছে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে এবং সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানাতে চাই।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় চেয়ারপার্সনকে গণতন্ত্রের আন্দোলনে বাধা দিতে তাকে ‘গৃহবন্দি’ করে রেখেছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
একই বছর তিনি আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫শে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন।
তবে মুক্তির শর্ত ছিল, তিনি (খালেদা জিয়া) তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ রছরড় বাইরে যাবেন না।
ক্ষমতায় এলে `দমনমূলক’ গণমাধ্যম আইন বাতিল করব: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় এলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ)সহ সকল ‘দমনমূলক’ আইন ও অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করবে বিএনপি।
রবিবার বিএনপি আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র হত্যায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ‘ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, আগামী দিনে তাদের দল সরকার গঠন করলে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ওয়েজ বোর্ডের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে এবং প্রেস কাউন্সিলকে ক্ষমতায়ন করবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, `আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই , আমরা সরকার গঠন করলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতিবন্ধক সব দমনমূলক কর্মকাণ্ড ও অধ্যাদেশ বাতিল করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্রকে আন্তর্জাতিক রূপ দেয়া সম্ভব নয়। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই বিএনপি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি বেগম জিয়াকে ‘হত্যার হুমকি’র শামিল: ফখরুল
বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্পষ্টভাবে বলেছেন, তাদের দল বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে কোনো সংলাপে অংশ নেবে না।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিএনপির সংলাপে অংশ নেয়ার কোনো কারণ নেই। কমিশন সংলাপ করুক বা না করুক সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।’
শনিবার বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু।
আরও পড়ুন: অচিরেই বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ হবে: সিইসি
শিগগিরই বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের মন্তব্যের একদিন পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ আরও বলেন, তাদের দল মনে করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সংলাপের কোনো মূল্য নেই। তাই তাদের (ইসি) সঙ্গে কথা বলার প্রশ্নই আসে না।
আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তিনি বলেন, সরকার যখন বর্তমান ইসি গঠন করে তখন রাষ্ট্রপতি ও সার্চ কমিটির নাটকে বিএনপি অংশ নেয়নি। ‘যারা এখন কমিশনে আছেন, আমরা তাদের কোনভাবেই স্বীকৃতি দিতে পারি না।’
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা যে নির্বাচন চাই তা অবশ্যই শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে।
তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকার দেশের দায়িত্ব নিলে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠন করবে। তারপর আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব।
মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি ও জনগণ আর ক্ষমতাসীন দলের ফাঁদে পা দেবে না।
তিনি সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি থেকে কুমিল্লা সিটি মেয়র সাক্কু আজীবন বহিষ্কার
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের কোনো কিছুর ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মন-মেজাজ ভালো নেই। ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভালো ঘুমাতে পারেন না...অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, সরকার অর্থনীতির সব সূচক জনসমক্ষে প্রকাশ করছে না। ‘সরকার রিজার্ভের কথা বলে। অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার আমাদের রিজার্ভ থেকে ঋণ পরিশোধের তথ্য পুরোপুরি দিচ্ছে না।’