বিএনপি
বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার আহ্বান বিএনপির
সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারকে সাহায্য না করে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটি।
শুক্রবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ আপিল বিভাগ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের করা লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেছেন ‘দুর্ভাগ্যবশত জনসাধারণের মনে ধারণা রয়েছে যে বিচার বিভাগসংবিধানে অর্পিত স্বাধীনতা রক্ষার পরিবর্তে অন্যায়ভাবে ক্ষমতাসীন দলের অবৈধ, দখলদার ও অনির্বাচিত সরকারকে সংকীর্ণ উদ্দেশ্যে সহযোগিতা করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের সভা এ ধরনের ঘৃণ্য প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
তিনি বলেন,আমরা সংবিধানকে সমুন্নত রেখে নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে স্বাধীনভাবে বিচার বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানাই।
আরও পড়ুন: বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না: বিএনপি
এর আগে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের একটি রায় বহাল রাখে। যা ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য নিম্ন আদালতের পথ পরিষ্কার করে।
ফখরুল বলেন, ডা. জুবাইদার রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এ মামলায় জড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন,‘কোনো ভিত্তি ছাড়াই শুধুমাত্র জিয়া পরিবারকে হয়রানি ও অপমান করার জন্য মামলাটি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছে তা নির্দেশিত (অন্য কারো) বলে মনে হচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার বিচার বিভাগের ওপর ‘নিয়ন্ত্রণ’ ও ‘প্রভাব’ প্রতিষ্ঠা করে ‘মিথ্যা’ মামলা করে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, একইভাবে তারা (সরকার) রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।
সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সংবিধানের গণতান্ত্রিক চরিত্র বিনষ্ট করে একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে: বিএনপি
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিচার বিভাগের রাজনীতিকরণের কারণে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিপীড়ন থেকে মুক্তি পাওয়ায় জনগণের আশা-আকাঙ্খার জায়গা হলো বিচার বিভাগ। দুর্ভাগ্যবশত, তারা (সরকার) বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ ও নিয়ন্ত্রণ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মামলার রায় জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট আয়োজিত ইফতার পার্টিতে ফখরুল এ অভিযোগ করেন।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক এক আদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান কখনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তবে সুপ্রিম কোর্ট ট্রায়াল কোর্টের দুর্নীতির একটি 'মিথ্যা' মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার পথ পরিষ্কার করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি এটা বৈধ নয়। আমরাও মনে করি বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে... তাই বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা এখন ন্যায়বিচার পাচ্ছে না।’
এর আগে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের একটি রায় বহাল রাখে। যাতে ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পথ পরিষ্কার হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আ.লীগ সরকারের অপকর্ম, চরম দুঃশাসন তুলে ধরা হয়েছে: বিএনপি
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের আড়ালে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘তাই তারা একে একে সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগই সেই জায়গা, যাতে তারা প্রথমে হস্তক্ষেপ করেছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘অবৈধ’ ও ‘দখলকারী’ সরকার গণতন্ত্র ও সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে বলে সারা দেশে অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিন বছর আগে তাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, আরও ৬০০ জনকে গুম করা হয়েছে এবং আরও এক হাজারের বেশি জনকে হত্যা করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার বিকল্প নেই।
গুমের শিকার বিএনপি নেতাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
দেশে খাদ্য সংকটের বিএনপির আশা পূরণ হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দেশে খাদ্য সংকট হোক’-বিএনপির এই আশা পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী দেখতে চায় দেশে খাদ্য নিয়ে হাহাকার হোক, দুর্ভিক্ষ হোক। তারা মনে করে-দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, রাস্তাঘাটে মানুষ না খেয়ে মরে পড়ে থাকবে, আর তা নিয়ে আন্দোলন করে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাবে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে শুক্রবার রাজধানীর শ্যামপুর মডেল স্কুল মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি ও কর্মসূচি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করোনাকালেও দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে আছেন। কাজেই, শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশে কখনও খাদ্য সংকট হবে না, কোন দুর্ভিক্ষও হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি জোট, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবীরা করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বাংলাদশের ব্যর্থতা দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে তাদের এই চাওয়াকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন। এখন জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সারা বিশ্ব বলছে, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় রোল মডেল। বাংলাদেশ আজ শুধু উন্নয়নের রোল মডেল নয়, করোনা মোকাবিলায়ও রোল মডেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
দেশের মানুষের বিপদে আপদে আওয়ামী লীগ সব সময়ই পাঁশে থাকে, বিএনপি কখনও থাকে না উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশটাকে লুটপাট করে অর্থবিত্ত উপার্জন করেছেন, নিজেদের ভোগবিলাসে ব্যয় করেছেন আর বিদেশে পাচার করেছেন। প্রয়োজনের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াননি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীরা সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, মানুষকে সহযোগিতা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আ.লীগ সরকারের অপকর্ম, চরম দুঃশাসন তুলে ধরা হয়েছে: বিএনপি
বিএনপি বাংলাদেশে মানবাধিকার চর্চার ওপর মার্কিন প্রতিবেদনের প্রশংসা করেছে। দলটি বলেছে, এই প্রতিবেদনে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্ম এবং 'চরম দুঃশাসন' তুলে ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগ সরকারের হাতে থাকা অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেয়া হয়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে, বিরোধীদের নির্মূল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘আমি বলতে চাই, এই প্রতিবেদনে আওয়ামী সরকারের অপকর্ম প্রকাশ পেয়েছে। এই প্রতিবেদনটি আরও পরামর্শ দেয় যে সরকার হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করেও কোনও অপকর্ম এবং চরম দুঃশাসনকে ধামাচাপা দিতে পারেনি,’ বিএনপি নেতা বলেছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রকাশ করেছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন।
এই প্রতিবেদনে অধিকার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কঠোর এবং জীবন-হুমকিপূর্ণ কারাগারের অবস্থা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, রাজনৈতিক বন্দি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে গুরুতর সমস্যা এবং গোপনীয়তার সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনি হস্তক্ষেপ।
সরকার অবশ্য বুধবার মার্কিন প্রতিবেদনটিকে প্রত্যাখান করে বলেছে, মার্কিন প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে ‘সরকারবিরোধী প্রচারণা মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা কিছু ‘ভুল তথ্য’ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গুম, নিপীড়ন বন্ধে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: ফখরুল
রিজভী বলেন, রাতভর ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে কবর দিতে দেশের আইন আদালতকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করেছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান, যিনি একেবারেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, তাকেও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সরকারের প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি কাল্পনিক মামলায় জড়ানো হয়েছে।
‘বেগম খালেদা জিয়া সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে গণতান্ত্রিক বিশ্ব বিভ্রান্ত নয়,’ রিজভী বলেন।
তিনি বলেন, এই সরকার যতই ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করুক না কেন অন্যায়, দুঃশাসন ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
বিএনপি বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিএনপি বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কষ্ট হচ্ছে কেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো হচ্ছে না? তাদের মনের চিন্তা বাংলার মানুষ অশিক্ষিত থাকবে, চিকিৎসাসেবা পাবেনা, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এগুলো করতে করতে বিএনপি বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্র থেকে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।’
বুধবার মানিকগঞ্জের আরিচায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য ৭টি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। নৌপথ খননের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে, আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ৪০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে,তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শাসন আমলে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কোন উন্নয়ন করেনি, উন্নয়নের বিষয়টি উপলব্ধি করেনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ইমাজিং টাইগারে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরিচায় ড্রেজার বেইজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ ড্রেজার বেইজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে: আপিল বিভাগ
দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ জুবায়দার করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।
এই আদেশের ফলে এখন নিম্ন আদালতে বিচার চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেয়ার আট সপ্তাহের মধ্যে ডা. জুবাইদাকে আদালতের বিচারকের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।’
জুবাইদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের স্ত্রীর আবেদন: আদেশ ১৩ এপ্রিল
মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে জোবায়দা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। যেটি আজ (বুধবার) খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ মে ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়।
আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
উল্লেখ্য এ মামলার আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে
শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া সামরিক শাসকদের দ্বারা গঠিত দুটি প্রধান বিরোধী দলের জনগণের মধ্যে ভিত্তি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা শক্তিশালী বিরোধী দল পাচ্ছি না। দেশের মানুষের মধ্যে তাদের অবস্থান নেই।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পুলিশ বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, দুটিই সামরিক স্বৈরশাসকদের তৈরি যারা সংবিধানকে অবজ্ঞা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে।
তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই।’
আরও পড়ুন: সব দেশে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
দেশ নয়, বিএনপিই খারাপ সময় পার করছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার বলেছেন, দেশ নয়, বিএনপিই খারাপ সময় পার করছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খারাপ সময়ের কথা বলে দেশের মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আসলে দেশে খারাপ সময় নেই; বিএনপির রাজনীতিতেই খারাপ সময় চলছে।
‘বর্তমান সরকারের দমন-পীড়ন ও দুঃশাসনের কারণে দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে না সরকার: ওবায়দুল কাদের
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, তাদের দলের ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে এবং আরও এক হাজারের বেশি নিহত হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন উদ্দেশ্যহীন পথিক। তারা এখন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থ নেতৃত্বের হাত থেকে রেহাই পেতে চায়। বিএনপি আমলের দুঃশাসন ভুলে যেতে চায় মানুষ।
তিনি আরও বলেন, জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে এবং বরাবরের মতো আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবে। সেটা বুঝতে পেরে বিএনপি এখন ভুগছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বারবার বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে ইস্যু নিষ্পত্তি করেছে তা উত্থাপনের কোনো মানে হয় না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘তাই আমি বিএনপিকে বলবো আপনারা যদি নির্বাচনে বিশ্বাস করেন, জনগণের প্রতি আস্থা রাখেন, তাহলে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। আশা করি, বিএনপির শুভবুদ্ধির জয় হবে।’
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিরোধী দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুকে নিয়ে দুদক কার্যালয়ে যান এবং চিঠিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, দুর্নীতির বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দুদক আমলে নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে: বিএনপি