বিএনপি
খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থতায় কর্মীরা স্বস্তি প্রকাশ করলেও নেতারা হতাশ এই ভেবে যে, বেগম জিয়ার সুস্থতা তাদের আন্দোলনে জল ঢেলে দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য 'খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য বিদেশেই নিতে হবে' -এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাতে বিএনপি নেতারা হতাশ; কারণ তাকে বিদেশে নেয়ার জন্য তাদের দেশব্যাপী যে সভা-সমাবেশ আন্দোলন করছিল, তাতে পানি ঢেলে দিয়েছে ডাক্তাররা। ডাক্তারেরা বলছেন, তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছেন এবং তার যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা আর্থরাইটিসসহ বার্ধক্যজনিত।'
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
কোনো ডাক্তার কি কখনো কোনো সংকটাপন্ন রোগীকে বাড়িতে পাঠায় -প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, 'রিজভী সাহেব হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল বকছেন। অপরদিকে কর্মীরা চেয়েছিলেন বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন, কিন্তু এতে নেতাদের মনে স্বস্তি নেই।'
সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সম্পাদক ফোরাম অনেকগুলো জনপ্রিয় পত্রিকার একটি বড় ফোরাম। করোনাকালের নানা প্রতিকূলতার এই সময়ে বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র বন্টন যেন কয়েকটি পত্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে তাদের বকেয়া বিল সহজে পাওয়ার বিষয়গুলো তারা তুলে ধরেছেন।
ড. হাছান বলেন, 'বাংলাদেশ আজকে অনেক এগিয়ে গেছে, কিন্তু যাদের এই উন্নয়ন- অগ্রগতি পছন্দ নয়, তারা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যসহ সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র ও বিদেশিদের কাছে নানা ভুল তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছে। এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং জনগণ যেন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয় সেবিষয়ে সম্পাদক ফোরাম তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।'
বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিমা খান মন্টি, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার ও সদস্য দুলাল আহমেদ চৌধুরী, মফিজুর রহমান খান বাবু ও রিমন মাহফুজ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: নারায়ণগঞ্জে মির্জা ফখরুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত। নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউসার আহমেদের আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলাটি গ্রহণ করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আকরাম হোসেন বাদল বাদী হয়ে মুখ্য বিচারিক হাকিম শামসাদ বেগমের আদালতে মামলার গ্রহণের আবেদন করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে। তার সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ইশরাক হোসেন, চাকরিচ্যুত মেজর দেলোয়ার হোসেন, নুরুল হক নুরু, মেজর (অব.) শহীদুল ইসলাম খান, মো. নূরে ইলিয়াস রিপন, এম রহমান মাসুম, আতিকুর রহমান সবুজ, জাহাঙ্গীর আলম, রেজাউল করিম, ইলিয়াস মোল্লা, জাকির হোসেন, শেখ মো. তিতুমীর আকাশ ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। বিষয়টি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেনে নিতে পারি না।’
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য বিরোধিতা: খালেদা, তারেক, ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা
বরিশালে বিএনপি নেতা আলালের বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির রাষ্ট্রদ্রোহিতার তদন্ত করে কাজ শুরু হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) যে কাজগুলো করেছে এবং করছে এগুলো রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এ বিষয়ে তদন্ত করে তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’
বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে তাদের খরচের হিসাব দিতে হয়। এখানে যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার জন্য, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য, তারা এই হিসাব নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে কি না। সেটি নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখবে। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, কী করবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের লেখা দুটি চিঠি গণমাধ্যমের সামনে পড়ে শোনান। এই চিঠি দুটির একটি লেখা হয়েছে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল ও অন্যটি ২৪ এপ্রিল। এছাড়া বিএনপির পক্ষে বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে দলটির নেতারা যে চুক্তি করেছেন তার নথিও তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশের ওপর ব্যবস্থা, এমনকি নিষেধাজ্ঞা দিতে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তিনি দাবি করেন, ‘একজন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি আজ আমাদের দলের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রবাসী কোনো পদক্ষেপ কোথাও নেয়, দেশের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য যদি কিছু করে, সে পদক্ষেপের দায়িত্ব তার, বিএনপির নয়।’
তবে সেই প্রবাসীর উদ্যোগে বিএনপির সমর্থন আছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
লবিস্ট নিয়োগের কথা অস্বীকার করলেও চিঠি লেখার কথা স্বীকার করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বিদেশে লেখা আমার ওই চিঠিগুলো কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।’
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে তিনি (মির্জা ফখরুল) আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন।’
চিঠির বক্তব্য তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তার কথার সারমর্ম হচ্ছে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করা। উনি গতকাল বলেছেন, তিনি সাহায্যের কোনো কথা বলেন নি। এখানে সাহায্য পূনর্মূল্যায়ন ও প্রকারান্তরে সাহায্য বন্ধের আহ্বান তিনি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব এই নথিগুলো কিভাবে অস্বীকার করবেন?
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে যারা এভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশকে বিব্রত করার জন্য এবং রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য, তাদের আসলে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা যে প্রচন্ড মিথ্যাচার করেন এটির প্রমাণ হলো এই নথিগুলো। দে আর অল লায়ার্স। তারা দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ এই নথিগুলো।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েও মিথ্যাচার করেছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যাচার করেছে ক্রমাগতভাবে গতকাল খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় তা প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ তাদের পুরো রাজনীতিটাই মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি যে মিথ্যাচার করে সেটি খালেদা জিয়া সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিভি কেবল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার সংবাদ এসেছে, এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি এবং আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যাতে বাসায় ফিরে যান। তিনি যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সে জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়াতিনি বলেন, বিএনপি যে তার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করেছে, বেগম জিয়ার সুস্থতার মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে তারা। ডাক্তারদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। বলেছে বেগম জিয়াকে যদি বিদেশে নেয়া না হয় তাহলে তার যেকোনো সময় যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই যে কথাগুলো বলেছিলো, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা যে অপরাজনীতি করেছে এটিই আজকে প্রমাণিত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বেও তারা একই কাজ করেছিলো। আগেও যখন বেগম জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখনও একই কথা বলেছিলেন। বিদেশ না নিলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না, এবারও একই কথা বলেছিলো। বিএনপি যে মিথ্যাচার করে, এটি প্রমাণিত হলো বেগম জিয়ার সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে।এসময় তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটকো)'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ মঙ্গলবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘চিকিৎসকরা আজ সন্ধ্যায় ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ত্যাগ করবেন খালেদা।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
শায়রুল বলেন, এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গঠিত বিএনপি প্রধানের মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা বিষয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রসঙ্গত, ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে বিএনপি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে: কাদের
১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে তাদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে তার দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দেশবিরোধী অপপ্রচার চালাতে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের সাম্প্রতিক প্রমাণের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রের অর্জন ও ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিরোধী দল অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই এই দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করছে। দেশের সব অর্জনের সঙ্গে রয়েছে দলটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা শেখ হাসিনার অর্জনকে বিতর্কিত করতে চায়। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেও বিতর্কিত করতে চায়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
দেশের জনগণের জন্য সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে বিএনপি রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে বুঝতে পেরে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব (বিএনপি মহাসচিব) নিজে দস্তখত দিয়ে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য। সাহায্য মানুষের জন্য, জনগণের জন্য আসে; সাহায্য সরকারের জন্য আসে না। যে রাজনৈতিক দল নিজে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা মহামারি ওমিক্রন সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেক্ষে প্রতিরোধসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম গতকাল বিএনপির একটি সভা হয়েছে, সেই সভায় পলাতক আসামি তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেছেন। হাইকোর্টের একটি আদেশ আছে, তারেক রহমানের ব্যাপারে কোনো সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। কিন্তু আমি গণমাধ্যমে সেই সংবাদ দেখলাম। এটি হাইকোর্টের নির্দেশনার বরখেলাপ।’
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করতে হয়েছে।
বিএনপি করোনার টিকা নিয়ে যত অপপ্রচার চালিয়েছে সে জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদেরও আমরা করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েছি। বিএনপির যে নেতারা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, আসুন আমরা আপনাদের বুস্টার ডোজ দেব। যেন আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। কিন্তু দয়া করে অহেতুক সমালোচনা করবেন না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন পাস করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ‘না’ রোগে পাওয়ায় তারা অহেতুক এ আইনের বিরোধিতা করছে। “আসলে বিএনপিকে ‘না’ রোগে পেয়ে বসেছে। সব কিছুতেই না বলা। না বলতে বলতে নিজেরাই যে কখন নাই হয়ে যায়, আমি সেই শঙ্কার মধ্যে আছি।”
আরও পড়ুন: বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে বিএনপি দেশদ্রোহী কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
নয়া ইসি আইন বাকশাল আইনের মতো: বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত সদ্য প্রণীত আইনটি বাকশাল আইনের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে যা সফলভাবে করতে পারেনি তা করতে গত ১৪ বছরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়েছে। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্রের আবরণ রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই।
সংসদে পাস হওয়া নতুন আইনটি নিয়ে রবিবার বিকালে ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫: বাকশাল’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। দেশ-বিদেশের বিএনপি নেতারা এতে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দল গত দুটি নির্বাচনকেও ‘আড়ালে’ সাজিয়ে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা এখন সেই বাকশালের মতো আইন করেছে। বাকশাল আইন ১১ মিনিটে তৈরি করা হয়েছিল এবং এবার তারা সংসদে (ইসি) সাত দিনের মধ্যে একটি আইন পাস করেছে।
ফখরুল বলেন, বাকশাল এখন একটি গালাগালি শব্দে পরিণত হয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন ধ্বংস করা হয়েছিল। তৎকালীন দলীয় শাসন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের গেজেট প্রকাশ
একইভাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন সবকিছুকে রাজনীতিকরণ করে জনগণের টাকা লুটপাটের সুযোগ তৈরি করেছে। সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডকে নৃশংসভাবে দমন করা হচ্ছে এবং গণতন্ত্রপন্থী মানুষ ও মুক্তচিন্তাকারীদের হত্যা ও গুম করার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক আইন করে সরকার জনগণের কণ্ঠকে দমন করছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
সরকার বাকশাল পুনরুদ্ধারে নানা পরিকল্পনা করছে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদের অধীনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপর ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সম্মতি দেন।
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত আইন না থাকায় অতীতে রাষ্ট্রপতি সিইসি ও অন্যান্য ইসি নিয়োগ দিতেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন বিল সংসদে কণ্ঠভোটে পাস
বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে বিএনপি দেশদ্রোহী কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সরকারের কর্মকান্ডের সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ধ্বংস করতে বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দেয়া, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা দেশদ্রোহী ও দেশবিরোধী কাজ। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। মূলত: বিএনপি ও তাদের নেতারা দেশদ্রোহী কাজ করছেন।'শনিবার দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'বিএনপি বিদেশে লবিস্ট নিয়োগসহ দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করছে সেগুলো তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে। অবৈধ অর্থ কোত্থেকে কিভাবে গেল, কারা নিলো সেগুলো খুঁজে বের করে সেই তদন্তের প্রক্ষিতে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীও সেদিন সংসদে বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।'
আরও পড়ুন: বিএনপি বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রীসম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'জনগণের উপর আস্থা থাকলে তো বিএনপির বিদেশিদের কাছে চিঠি দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এদেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ, জনগণই ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় যাবে এবং কারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে। মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে স্বাক্ষর করে ইউএস কংগ্রেসের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে যেভাবে চিঠি দিয়েছেন সেটি কোনভাবেই কাম্য নয়।'ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় লবিস্ট নিয়োগ করে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র এবং আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা এফবিআই এজেন্ট নিয়োগ করেছেন, সেই এজেন্টকে পরে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে। বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বন্ধ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছেন কয়েক বছর আগে।'মন্ত্রী বলেন, 'এই কাজগুলো তো দেশবিরোধী। দেশোদ্রোহী এ কাজগুলো তারা করেছেন। তারা যে বিভিন্ন জায়গায় লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, সে ডকুমেন্ট আমার আইপ্যাডে সংগৃহীত আছে। এই নিয়ে গণমাধ্যমেও ডকুমেন্টসহ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। নিজের আইপ্যাড থেকে এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে প্রমাণপত্রগুলো দেখান তথ্যমন্ত্রী।এর আগে বক্তব্য দেয়ার সময় বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে একটি জাতীয় স্তরের গণমাধ্যম উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর অবস্থান চট্টগ্রামে হলেও টেরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশের সত্তর ভাগ অংশে এটি দেখা যায়। আর কেবল কানেকশন দিয়ে সারা দেশে এবং এপসের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষ দেখতে পারে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে: তথ্যমন্ত্রীএসময় তিনি জানান, শিক্ষা ও কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান নিয়ে বিটিভি’র অধীনে খুব শিগগিরই আরেকটি চ্যানেল চালু করা হবে। এছাড়া দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বিটিভির নতুন কেন্দ্র চালুর প্রকল্প চলমান।চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় এখানে নতুন স্টুডিও, অডিটোরিয়াম ও নতুন ভবন হবে। ফলে এ কেন্দ্র থেকে আরও মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচার করা সম্ভব হবে।দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিদায়ী মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য ও এই পদে নবনিযুক্ত মাহফুজা আক্তার এবং কেন্দ্রের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি-জামায়াতের ‘বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার জয়ের
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্টদের সহায়তায় বিএনপি-জামায়াতের ‘বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ’ সম্পর্কে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
শুক্রবার জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি শেয়ার করার সময় লিখেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশকে সাহায্য ও উন্নয়ন সহায়তা দেয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লবিং করার জন্য আটটি সংস্থাকে নিয়োগ করেছিল।’
এসময় জয় উল্লেখ করেছেন যে, বিএনপি-জামায়াত আগেও একই কাজ করেছিল। যেমন বেগম জিয়া ২০১৩ সালে ওয়াশিংটন টাইমস-এ বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপ এবং তৈরি পোশাক খাতেজিএসপি সুবিধা বাতিলের জন্য একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাচেষ্টার ইতিহাস জানতে জয়ের আহ্বান
জয় বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন সুবিধা বন্ধ করতে মার্কিন নীতিনির্ধারক ও রাজনীতিবিদদের কাছে একাধিক চিঠি লিখেছিলেন।’
‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিং: ভাড়া করা লবির দোকানের সঙ্গে বাংলাদেশবিরোধী কার্যকলাপের এক ঝলক’ শিরোনামে ভিডিওটি দেখার আহ্বান জানান জয় এবং সে সম্পর্কে সবার মতামত জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জয়ের
মুক্তিযুদ্ধকালীন বর্বরতা ও পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজশের জন্য জামায়াতের কড়া সমালোচনা জয়ের