রুল
অভিন্ন সাজা প্রদান নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
দেশে অভিন্ন ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সাজার চর্চা নিশ্চিতে একটি সাজা প্রদান নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এই রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং আইন কমিশনের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের জন্য ‘নৈতিক আচরণবিধি’ প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির রিট আবেদনকারী। রিটে গত বছরের ১ ডিসেম্বর যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাদণ্ড সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ে সাজাপ্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনার প্রসঙ্গ রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিটি আইনের মামলায় বিএনপিপন্থি ১১ আইনজীবীর আগাম জামিন
রিটে বলা হয়, নির্দেশিকার অনুপস্থিতিতে বিস্তৃত এখতিয়ারের কারণে বিচারককে অনিশ্চিত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ সাজা প্রদানে পরিচালিত করে, যা সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। রিটে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের নীতিমালা রয়েছে। এটি নিশ্চিত হলে অপরাধের গুরুত্ব ও গভীরতা অনুসারে সাজা প্রদানের বিষয়টি নীতিমালায় ওঠে আসবে।
তালাকনামায় আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পাঠানো তালাক নোটিশ দেওয়ার সময় স্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর কথাবার্তা লেখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তালাক নোটিশের নির্ধারিত ফরম কেন তৈরি করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
সম্প্রতি এক নারীর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ে-তালাক ডিজিটালাইজেশন করতে হাইকোর্টের রুল
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়, নিবন্ধন অধিদপ্তরসহ তিন জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত কোনো ফরম নেই। কাজীরা একটি ফরম তৈরি করে তালাক দেওয়া কাজ চালাচ্ছেন। যেই ফরমে নারী সম্পর্কে অবমাননাকর কথাবার্তা লেখা হচ্ছে, যা আপত্তিকর। সে কারণেই বাদী এ রিটটি দায়ের করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন রাজধানীর বড় মগবাজার এলাকার প্রবাসী রাখী কে জামান। তিনি বর্তমানে কানাডার উইন্ডসর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে তিন তালাক এখন অপরাধ
আবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে রাকিব মুক্তাদির জোয়ারদারের সাথে বিয়ে হয় রাখী কে জামানের। পরে ২০১৭ সালের অক্টোবরে রাখীকে তালাক নোটিশ পাঠান রাকিব মুক্তাদির জোয়ারদার।
ওই নোটিশের একাংশে বলা হয়, ‘স্ত্রী, স্বামীর অবাধ্য– যাহা শরিয়তের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাহার উক্ত চাল-চলন পরিবর্তন করার জন্য আমি নিজেই বহুবার চেষ্টা করিয়াছি। কিন্তু অদ্যবধি তাহার কোনও পরিবর্তন সাধিত হয় নাই। ’
এ ধরনের শব্দ নারীর প্রতি অবমাননাকর, অমানবিক, অযৌক্তিক ও অবৈধ উল্লেখ করে গত ২ জুন হাইকোর্টে রিট করেন রাখী।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে তালাকের পর শ্যালিকাকে জোরপূবর্ক ‘ধর্ষণ’
পরে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, নোটিশে এ ধরনের শব্দের ব্যবহার একজন নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর। পরবর্তীতে বিয়ে করার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো নানা ধরনের জটিলতার মুখে পড়তে হয়।
রিটে বলা হয়, মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ এবং মুসলিম বিয়ে এবং তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী এ ধরনের শব্দের ব্যবহার স্পষ্টভাবে নারীর মানবাধিকার ও তার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। একই সঙ্গে সংবিধানের ২৭, ২৮ এবং ৩২ অনুচ্ছেদেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ডিআইজি মিজানের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের করা পৃথক দুই মামলায় কেন জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার তার পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আারও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মিজানুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদক অবৈধভাবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকার সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপন করার অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নার ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকেও আসামি করা হয়।
এ মামলায় মিজানের জামিন আবেদন ২০১৯ সালের পহেলা জুলাই হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন পর আবার জামিনের আবেদন করা হয়েছে।
এ মামলায় দুদকের আবেদনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ডিআইজি মিজানসহ আসামিদের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দেন। এছাড়া ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করে দুদক।
এছাড়া ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান থাকাবস্থায় অপর এক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতন এবং অপর এক নারী সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এসব অভিযোগের পর তাঁকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
রূপপুর বালিশকাণ্ড: চার মামলায় প্রকৌশলী আমিনুলের জামিন প্রশ্নে রুল
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির চার মামলায় সহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলামকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে তাকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
বাবার নামে মিলের খেসারত: নির্দোষ আরমানকে কারামুক্তি ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
বাবার নামে মিল থাকার খেসারত হিসেবে মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহাবুদ্দিন বিহারির পরিবর্তে চার বছর ধরে কারাগারে থাকা মো. আরমানের আটকাদেশ অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে তাকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এনামুল বাছিরের জামিন বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
পিরোজপুরের জেলা জজকে স্ট্যান্ড রিলিজ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নানকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিটের তথ্য চেয়েছে হাইকোর্ট
বাংলাদেশে ব্যবসা ও কাজ করা বিদেশি নাগরিকদের কাজের বৈধ অনুমতিপত্রের (ওয়ার্ক পারমিট) বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
বাড়ি ভাড়ার আদর্শ মান নির্ধারণে কমিশন গঠন কেন নয়: হাইকোর্ট
বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ভাড়া নির্ধারণ পদ্ধতি সংক্রান্ত ১৫ ধারা কেন আইন কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওয়ার্ড বেসিসে রেন্ট কন্ট্রোলার (ভাড়া নিয়ন্ত্রক) নিয়োগ, বাড়িভাড়া আইনের অসঙ্গতি দূর করে ভাড়ার আদর্শ মান নির্ধারণ ও সুপারিশের জন্য একটি কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।