ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত থেকে মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপকমিটির প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম অংশ উদ্বোধন হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওরা সমালোচনা করুক, আমরা কাজ করে তার জবাব দেবো।
কাদের বলেন, বিএনপির মুখে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের কথা শুনলে হাসি পায়। যারা রাষ্ট্রকে ধংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছিল, তারা কিভাবে মেরামত করবে?
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারা গেল না, গেল গরুর হাটে (গোলাপবাগ মাঠ)। তাদের সব স্বপ্ন কর্পুরের মতো উড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আরেকটি চালান পৌঁছাল মোংলা বন্দরে
ইঞ্জিন-বগি নিয়ে মোংলা বন্দরে মেট্রোরেলের একাদশ চালান
বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়: কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়। এরপর নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা।
সাত বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না। মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না। বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট ও সন্ত্রাস করা। তারা দেশে কী করেছে তা আপনারা দেখেছেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশ থেকে অর্থ লুটপাট করে বিদেশ পাঠিয়েছেন পলাতক তারেক রহমান। তারা আবার রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। দেশে যথেষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় অন্য নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা করেন।
এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা শহর। সম্মেলনে অর্ধলাখ মানুষের সমাগম হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি কেনো সমাবেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে এবং তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো অপছন্দ, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দিবে।
বুধবার সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে বিএনপি’র উদ্দেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি কি জানে না বাংলাদেশের ইতিহাস? ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন এবং সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক - এই দু’জনকে পাক-হানাদার বাহিনী ও আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায়। ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর -এই বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো নৃশংসতম ঘটনা বাংলাদেশে সংগঠিত হয়।
জ্ঞান, গরিমা যাদেরকে ঘিরে সেই সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিক, চিকিৎসকদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য কেনো বিএনপি বেছে নিলো এটাই এখন প্রশ্ন?
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপি যেতে চায় না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে, সেই ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ভাষণ বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে - যদিও জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে সর্বকালের অন্যতম সেরা ভাষণ হিসেবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান, যেখানে স্বধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, ১৬ ডিসেম্বর যারা বিশ্বাস করে, সেখানেই পাক-হানাদার বাহিনী - মুক্তি বাহিনী, মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন - সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন বিএনপির অপছন্দ তা জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক উদ্যান। বিশাল জায়গা এখানে, আওয়ামী লীগের সব সমাবেশ ও জাতীয় সম্মেলন এখানেই হয়।
তাহলে বিএনপি কেনো তাদের পার্টি অফিসের সামনে ৩৫ হাজার স্কোয়ার ফিটের মতো একটা ছোট জায়গা সমাবেশের জন্য বেছে নিলো প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।
তিনি আরও জানতে চেয়ে বলেন, পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এতো দৃঢ়তা কেন? এখানে তাদের কি কোন বদ উদ্দেশ্য আছে? কোন মতলবে তারা এটা চায়?
আওয়ামী লীগ ১০ ডিসেম্বর সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এখনও নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই দল গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।
মঙ্গলবার নোয়াখালী শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এসময় ওবায়দুল কাদের তার রাজধানীর বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবদের অপপ্রচারের বিপরীতে আমরা গঠনমূলক সত্য প্রকাশ করবো এবং কাজ দিয়ে প্রমাণ করবো।
আন্দোলনের মাধ্যমে নির্যাতনের জবাব দেয়া হবে-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্যাতন কাকে বলে? বিএনপি কত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে? ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত কারা?
আরও পড়ুন: দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে বিএনপি হত্যা করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এখন বিএনপি নেতারা ঘরে আছেন, অথচ আমরা তাদের শাসনামলের ৫ বছরে ৫০ দিনও ঘরে থাকতে পারিনি।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুক, কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আগুন নিয়ে খেললে এবং সহিংসতা করতে এলে আমরাও সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত হয়ে আছি। জনগণের জানমাল রক্ষায় সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
সম্মেলনে নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না, মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে; শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা শাসক নয়, তিনি জনগণের সেবক।
নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদ উল্লাহ খান সোহেল এবং সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতাই হচ্ছে বিএনপি: কাদের
বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে, কোন শক্তি নেই পরাজিত করার।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি জেলার কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপির মসহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায় মুক্তি দিতে সংবিধানে কুখ্যাত আইন প্রণয়ন করেছে, ভুলিনি মির্জা ফখরুল। ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড। জাতীয় নেতাদের খুনিদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। আমরা ভুলিনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছেন। বিএনপি আমাদের মারতে চায়, হত্যা করতে চায়। কথায় কথায় বলে, ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
আরও পড়ুন: দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, লন্ডনে থাকা দণ্ডিত নেতা তারেক রহমান নাকি তাদের নেতা। বিএনপি তাকে নেতা মানতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ তাকে নেতা মানতে পারে না। তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনও পছন্দ করবে না, ঘৃণা করবে। ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জেনারেল জিয়াউর রহমান, ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান। এই খুনিরা আওয়ামীলীগকে সহ্য করে না। এ দল আওয়ামীলীগকে সহ্য করতে পারে না, শেখ হাসিনাকে সইতে পারে না। লন্ডন থেকে বলে হাসিনা, তুইও বলে, তুমিও বলে। বেয়াদপির একটা সীমা আছে।
সেতুমন্ত্রী বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে খুনের মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গেলে, তাদের দলের নেতা ফখরুল সাহেব, আপনিসহ আপনার নেতারা যে সব কথা উচ্চারণ করেন, যে সব ভাষায় কথা বলেন, পতন ঘটাবেন। আল্লাহ যাকে ক্ষমতায় রাখবে, কেউ কি তার পতন ঘটাতে পারবে। পতন আপনাদের হবে। আপনাদের পতন নেতিবাচক রাজনীতির জন্য অনিবার্য। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবো।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খাঁন সোহেল।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
খেলা হবে ডিসেম্বরে, আওয়ামী লীগ প্রস্তুত: ওবায়দুল কাদের
প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতাই হচ্ছে বিএনপি: কাদের
আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা হচ্ছে বিএনপি। জিয়াউর রহমানই প্রতিহিংসার রাজনীতি সূচনা করেছিল।
শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেবিআই) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই... যদিও বিএনপির মুখে রক্ষণাত্মক হলেও অন্তরে রয়েছে আক্রমণাত্মক শোডাউন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে যেন তারা ক্ষমতায় এসে গেছে, হাওয়া ভবন ফিরে পেলো, ঢাকার রাজপথে বিজয় মিছিল করবে।’
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা অতীতে একাধিকবার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিলেও সব ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) দিনের বেলায় রাতের অন্ধকার দেখে,তাই তারা সরকারের কোনও উন্নয়ন দেখতে পায় না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন যে বাংলাদেশ কখনও অনিশ্চয়তার দিকে যাবে না, বিএনপি যেভাবে অনিশ্চয়তার দিকে চলছে তাতে বিএনপিই অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের আহ্বায়ক শিরীন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি হারুনুর রশীদ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লড়াই করছে: কাদের
সুনামগঞ্জে আ.লীগের সম্মেলনের সঙ্গে কারও মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
সুনামগঞ্জে আ.লীগের সম্মেলনের সঙ্গে কারও মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বলেছেন, আরমান নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আয়োজিত দলীয় সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাদের বলেন, ‘তিনি (আরমান) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, এতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের ২৯তম সভায় যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
সোমবার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজমল হোসেন চৌধুরী ওরফে আরমান নামে ২৭ বছর বয়সী এক যুবক নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল এবং সোমবার অনুষ্ঠান চলাকালে সম্মেলনের মঞ্চে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহত অবস্থায় আরমানকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে বিকালে তার মৃত্যু হয় বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লড়াই করছে: কাদের
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের ইঙ্গিত করে বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে খেলা হবে আন্দোলনে ও নির্বাচনে, তাদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ।
তিনি বলেন, এখনই শুরু হয়ে গেছে মনোনয়ন বাণিজ্য। কাকে কাকে মনোনয়ন দিবে। মনোনয়নের কথা বলে বস্তায় বস্তায় টাকা নিচ্ছেন। তারেক জিয়া বস্তায় বস্তায় টাকা সুইস ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। তাদের এই বাণিজ্যের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে সরকার: সেতুমন্ত্রী
দীর্ঘ আট বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। এই জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করতে আইন সংশোধন করেছিল।
এছাড়া ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড হলো জিয়াউর রহমান, আর ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড হলো তারেক রহমান।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
তিনি বলেন, জিয়া মোশতাক ফারুক রশিদ বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত। তারা ছিল পাকিস্তানের এজেন্ট। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্থান বানাতে চেয়েছিল কিন্তু এদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট হামলার নায়ক ছিল তারেক রহমান। তারেক বাংলাদেশে আসতে চায়। আমরাও চাই আসুক। তাকে ৩৭ বছর সাজা খাটার ব্যবস্থা করব। তারেক রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে।
এছাড়া বিএনপি খুনী ও সন্ত্রাসের দল। তাদেরকে বিশ্বাস করবেন না।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি'র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও পূর্নবাসন সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান এমপি, এ্যারোমা দত্ত এমপি প্রমুখ।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের এমপি ক্যাপ্টেন (অবসর) তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের এমপি ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এমপি এবাদুল করিম বুলবুল।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
সম্মেলন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে পুনরায় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সেক্রেটারি হিসেবে পুনরায় আল মামুন সরকারের নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণের বিকল্প নেই: সেতুমন্ত্রী
আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিলের অর্থ উপ-কমিটির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত অর্থ উপ-কমিটির আহ্বানে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থ উপ-কমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন- দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মশিউর রহমান, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, লে.কর্নেল (অব) মোহাম্মদ ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য এবি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, আনিসুর রহমান, সাহাবুদ্দিন ফরাজী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং অর্থ উপ-কমিটির সদস্য জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল প্রমুখ।
অর্থ উপ-কমিটির সদস্য সচিব এসএম আশিকুর রহমান সমন্বয় সভায়টি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
আ.লীগ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লড়াই করছে: কাদের
খেলা হবে ডিসেম্বরে, আওয়ামী লীগ প্রস্তুত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। এই মাসে খেলা হবে, বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। টাঙ্গাইল তৈরি। খেলা হবে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, বিএনপি ১৩ বছরে ১৩ মিনিট আন্দোলন করতে পারে নাই। বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিএনপি নেতারা একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে নাই। তারা এখন সরকার পতনের আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে ১০ ডিসেম্বর তারা নাকি বিজয় মিছিল করবে। তারা এখন ‘খোমেনি স্টাইলে’ ক্ষমতায় আসতে চায়। আমরা যদি ডাক দেই তাহলে বিএনপি পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
গতকাল সোমবার বিকালে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দীর্ঘ সাত বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। সর্বশেষ বিগত ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরষ্কৃত করেছিলেন, এই খুনীদের বিচারের পথ বন্ধ করতে আইন করেছিলেন। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরষ্কৃত করেছিলেন, যারা এই খুনীদের বিচার বন্ধে আইন করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ক্ষমা করেছিলেন বাংলাদেশের মাটিতে তাদের ক্ষমা নাই। এদের ক্ষমা করা যায় না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বরিশালে নাকি মানুষের ঢল নেমেছিল। দুবাইয়ের টাকা আকাশে উড়ে। বিএনপি সেই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে উষ্কে দিচ্ছে। এই সরকার দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে। সাধারণ মানুষের প্রতি বিএনপির কোন দরদ নেই। এদের দরকার ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন। তাই জনগণকে সরকার পতনের আন্দোলনে উষ্কানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শুনলাম বিএনপি তাদের হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে আন্দোলন করছে। আসলে তারা তারেক রহমানের হারানো হাওয়া ভবন ফিরে পেতে আন্দোলন করতে চাইছে। এই তারেক রহমানের অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সময় আমরা ঘরে থাকতে পারি নাই। আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারে নাই। আর আপনারা এখন এসিতে বসে থাকেন। অপেক্ষা করুন, আন্দোলন কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী তা দেশের জনগণ আপনাদের বুঝিয়ে দেবে। এরপর বাঁশের লাঠিতে পতাকা লাগিয়ে রাস্তায় নামলে খবর আছে।
নতুন কমিটি গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কমিটি নিয়ে কোন বাণিজ্য হবে না। কোন পকেট কমিটি হবে না। কর্মীরা যাকে চায় তিনিই নেতা হবেন। দুঃসময়ে যাদের হাজার পাওয়ারের লাইট দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না তাকে নেতা বানানো হবে না।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য, শাহজাহান খান এমপি, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি।
মির্জা আজম তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিল বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন এই বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মারা যেত। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের মানুষ আজ সুখে আছে, শান্তিতে আছে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি’র পলাতক নেতা তারেক রহমান ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ ডায়লগ দিয়ে বাংলাদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ আর পেছনে ফিরে যেতে চায় না। তাই দেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিষ্কার কথা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই বাংলাদেশের মাটিতে আর হবে না। বিজয়ের মাস আমাদের মাস। এই মাসে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল অপশক্তি মোকাবেলা করব।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক।
বিশেষ বক্তা ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এছাড়া দলের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক মঞ্চেই দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের নাম ঘোষণা করেন। উপস্থিত কাউন্সিলররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা সমর্থন করেন। ফারুক ও জোয়াহের দুজনেই দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের