ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ২ ভাই আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সুহিনূর ওরফে সফিক (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সফিক নবীনগর গ্রামের হাফেজ মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ১০ কেজি হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ২
অভিযুক্তেরা হলেন- আব্দুর রহমান ও ফয়জুর রহমান। তারা ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি স্থানীয় অলেক শাহ মাজারে উরস অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় একই গ্রামের রুবেলের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রহমানের বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে মঙ্গলবার রাতে আব্দুর রহমানের বাড়িতে লোকজন নিয়ে যায় রুবেলের ভাই সফিক। সেখানে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সফিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে আব্দুর রহমান ও তার ভাই ফয়জুর রহমান। পাশাপাশি তারা দুই ভাইও আহত হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে রেললাইনে স্লিপার রেখে নাশকতাচেষ্টার অভিযোগ, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
আহত সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সফিককে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে মারধরের অভিযোগ, আ’লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অটোরিকশার চালক।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেড়তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার সোনাইসার গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুর রহমান (৫৫) ও হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ইকবাল হেসেন (৩২)।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আশুগঞ্জ থেকে একটি ট্রাক সরাইলের বিশ্বরোড যাওয়ার পথে বেড়তলা এলাকার পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আব্দুর রহমান মারা যান।
ওসি আরও জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইকবাল হেসেন মারা যান।
ওসি বলেন, ট্রাকটিকে আটক করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছে। দুইজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীর মৃত্যু, সহপাঠিদের সড়ক অবরোধ
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক যুবক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক রোগী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আশুগঞ্জ স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছালে এক অজ্ঞাত যুবক ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যায়।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, ওই যুবকের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে।
অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় শনাক্ত না হলে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’ লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করবে বলে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আজহার উদ্দিন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যবসায়ী নিহত
মেঘনায় গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে জুলেখা আক্তার (৭) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধরাভাঙ্গা গ্রামের পাশে এমপি টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: ডুবে যাওয়া জাহাজের নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
জুলেখা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের সুজন মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার জুলেখা তার মায়ের সঙ্গে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা গ্রামে তার নানা হান্নান মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার দুপুর ১টায় শিশুটি নানার বাড়ির পাশে মেঘনা নদীতে বড় বোনের সঙ্গে গোসল করতে যায়। নদীতে ডুব দিয়ে আর উপরে উঠেনি জুলেখা। স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পায়নি। বর্তমানে নবীনগর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কাউসার মাতব্বর জানান, সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশের একটি টিম ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে বৃদ্ধ নিখোঁজ
সিলেটে নিখোঁজের ৮ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘সুবর্ণচর এক্সপ্রেস’ ট্রেনে কাটা পড়ে মো. শামীম নামের একজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ভাতশালা রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
শামীম মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাবাড়ি গ্রামের মৃত মান্নান মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে নোয়াখালী অভিমুখী সুবর্ণচর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সদর উপজেলার ভাতশালা স্টেশন অতিক্রম করার সময় শামীম ট্রেনে কাটা পড়ে।
তিনি বলেন, পুলিশ শামীমকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, শামীমের লাশ রেলওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। নিহতের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক রোগী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়া, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ৩০-৪০ জন রোগী।
হাসপাতালে স্যালাইন ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় শীতে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বলছে, বেডের অভাব ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৬।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
সারি সারি চট-চাদর বিছিয়ে মাটিতে শুয়ে আছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সেখানেই চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আব্দুল্লাহ নামে এক শিশুর মা বলেন, গত দুদিন থেকে ছেলের পাতলা পায়খানা। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু শীতের দিনে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছি। হাসপাতাল থেকে কলেরা স্যালাইন দিচ্ছে না।
মানিক মিয়া নামে আরও এক শিশুর বাবা বলেন, শুক্রবার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু বেড না থাকায় মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে শুয়ে আছে আমার ছেলে ও স্ত্রী।
চেষ্টা করেও শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।
শহরের পৈরতলার এলাকার জহিরের ছেলে ভর্তি আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে। কিন্তু বেড নাই।
বারান্দাতেও কম্বল বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। এতে শিশুদের ডায়রিয়া ভালো করতে এসে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য ২০টি বেড মজুদ আছে। কিন্তু এবছর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে যে বেড রয়েছে, তা মোট ২০-২৫ জনকে দেওয়া সম্ভব। তাই রোগীদের মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শীতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে এবার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা যাদের বয়স মাত্র ৬ মাস থেকে এক বছর। আগামী দু'একদিনের মধ্যে কলেরা স্যালাইন রোগীদের দিতে পারব।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে ৯৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধু শুক্রবার ৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ রোগীই শিশু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, শীতে প্রতি বছর শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, এবারও বেড়েছে। তবে এবার শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ আছে। সবাই চিকিৎসা পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ
রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক কিশোরীর ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার লাউর ফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত সামিয়া আক্তার (১৫) উপজেলার লাউর ফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামের বিল্লাল মাস্টার বাড়ির আবুল হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীতে রাস্তার পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাশারুক গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সামিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারপর তারা পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা জানতে পারেন সামিয়ার স্বামী একজন মাদকসেবি।
তারা আরও জানান, পরে সামিয়া স্বামীর সঙ্গে রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী মাদকাসক্ত ও বাবা-মায়ের কটাক্ষ কথা সহ্য না করতে পেরে সামিয়া আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বলেন, 'আজকে (বৃহস্পতিবার) সকালে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: যশোরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার
সাতক্ষীরায় পুলিশের উপপরিদর্শকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক রোগী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেনে কাটা পড়ে আরিফ নামে এক মানসিক রোগী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টায় উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর রেললাইন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফ বগাবাড়ি এলাকার আকবর আলী খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার বিকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি গঙ্গানগর রেললাইন এলাকা অতিক্রম করার সময় আরিফ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি আরও বলেন, আরিফ মানসিক রোগী। দীর্ঘদিন যাবত তার চিকিৎসা চলছিল। বিকালে বাসা থেকে বের হয়ে গঙ্গানগর রেললাইনে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আরিফ মারা যান। নিহত পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে আরিফের লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুনের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বাড়ির সীমানা বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাইয়ের খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর বড় বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
নিহত ইয়াকুব আলী শ্রীপুর গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ভুঁইয়ার ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পৈতৃক সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই মো. ইসহাক আলী ভুঁইয়ার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল ছোট ভাই ইয়াকুব আলীর।
মঙ্গলবার সকালে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইসহাক তার ছেলে সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া, জাহিদ হাসান ভুঁইয়া ও স্ত্রী জোসনা বেগম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হামলা করে ইয়াকুবের উপর।
একপর্যায়ে ইসহাক হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ইয়াকুবের মৃত্যু হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানেবাড়ি গোষ্ঠি ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠি একটি পক্ষে এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠি আরেকটি পক্ষ।
একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মিয়া।
এই দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সন্ধ্যায় সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মেম্বারের পক্ষের দোলা গোষ্ঠির বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত ও তার ছেলেকে মারধর করে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়ার পক্ষের খানে বাড়ি ও সিরাজ আলীর গোষ্ঠির লোকজন।
বিষয়টি রাতেই স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সোমবার সকালে সদর থানায় মিমাংসা করার জন্য সালিশ সভা ডাকা হয়। সকালে সভা চলাকালে এলাকায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ