ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘সুবর্ণচর এক্সপ্রেস’ ট্রেনে কাটা পড়ে মো. শামীম নামের একজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ভাতশালা রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
শামীম মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাবাড়ি গ্রামের মৃত মান্নান মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে নোয়াখালী অভিমুখী সুবর্ণচর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সদর উপজেলার ভাতশালা স্টেশন অতিক্রম করার সময় শামীম ট্রেনে কাটা পড়ে।
তিনি বলেন, পুলিশ শামীমকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, শামীমের লাশ রেলওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। নিহতের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক রোগী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়া, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ৩০-৪০ জন রোগী।
হাসপাতালে স্যালাইন ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় শীতে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বলছে, বেডের অভাব ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৬।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
সারি সারি চট-চাদর বিছিয়ে মাটিতে শুয়ে আছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সেখানেই চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আব্দুল্লাহ নামে এক শিশুর মা বলেন, গত দুদিন থেকে ছেলের পাতলা পায়খানা। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু শীতের দিনে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছি। হাসপাতাল থেকে কলেরা স্যালাইন দিচ্ছে না।
মানিক মিয়া নামে আরও এক শিশুর বাবা বলেন, শুক্রবার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু বেড না থাকায় মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে শুয়ে আছে আমার ছেলে ও স্ত্রী।
চেষ্টা করেও শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।
শহরের পৈরতলার এলাকার জহিরের ছেলে ভর্তি আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে। কিন্তু বেড নাই।
বারান্দাতেও কম্বল বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। এতে শিশুদের ডায়রিয়া ভালো করতে এসে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য ২০টি বেড মজুদ আছে। কিন্তু এবছর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে যে বেড রয়েছে, তা মোট ২০-২৫ জনকে দেওয়া সম্ভব। তাই রোগীদের মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শীতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে এবার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা যাদের বয়স মাত্র ৬ মাস থেকে এক বছর। আগামী দু'একদিনের মধ্যে কলেরা স্যালাইন রোগীদের দিতে পারব।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে ৯৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধু শুক্রবার ৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ রোগীই শিশু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, শীতে প্রতি বছর শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, এবারও বেড়েছে। তবে এবার শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ আছে। সবাই চিকিৎসা পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ
রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক কিশোরীর ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার লাউর ফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত সামিয়া আক্তার (১৫) উপজেলার লাউর ফতেপুর ইউনিয়নের বাশারুক গ্রামের বিল্লাল মাস্টার বাড়ির আবুল হোসেনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীতে রাস্তার পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাশারুক গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সামিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারপর তারা পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা জানতে পারেন সামিয়ার স্বামী একজন মাদকসেবি।
তারা আরও জানান, পরে সামিয়া স্বামীর সঙ্গে রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী মাদকাসক্ত ও বাবা-মায়ের কটাক্ষ কথা সহ্য না করতে পেরে সামিয়া আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বলেন, 'আজকে (বৃহস্পতিবার) সকালে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: যশোরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার
সাতক্ষীরায় পুলিশের উপপরিদর্শকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক রোগী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেনে কাটা পড়ে আরিফ নামে এক মানসিক রোগী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টায় উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর রেললাইন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফ বগাবাড়ি এলাকার আকবর আলী খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার বিকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি গঙ্গানগর রেললাইন এলাকা অতিক্রম করার সময় আরিফ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি আরও বলেন, আরিফ মানসিক রোগী। দীর্ঘদিন যাবত তার চিকিৎসা চলছিল। বিকালে বাসা থেকে বের হয়ে গঙ্গানগর রেললাইনে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আরিফ মারা যান। নিহত পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে আরিফের লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুনের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বাড়ির সীমানা বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাইয়ের খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর বড় বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
নিহত ইয়াকুব আলী শ্রীপুর গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ভুঁইয়ার ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পৈতৃক সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই মো. ইসহাক আলী ভুঁইয়ার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল ছোট ভাই ইয়াকুব আলীর।
মঙ্গলবার সকালে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইসহাক তার ছেলে সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া, জাহিদ হাসান ভুঁইয়া ও স্ত্রী জোসনা বেগম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হামলা করে ইয়াকুবের উপর।
একপর্যায়ে ইসহাক হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ইয়াকুবের মৃত্যু হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানেবাড়ি গোষ্ঠি ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠি একটি পক্ষে এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠি আরেকটি পক্ষ।
একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মিয়া।
এই দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সন্ধ্যায় সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মেম্বারের পক্ষের দোলা গোষ্ঠির বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত ও তার ছেলেকে মারধর করে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়ার পক্ষের খানে বাড়ি ও সিরাজ আলীর গোষ্ঠির লোকজন।
বিষয়টি রাতেই স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সোমবার সকালে সদর থানায় মিমাংসা করার জন্য সালিশ সভা ডাকা হয়। সকালে সভা চলাকালে এলাকায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে চাচাতো ২ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুরের পুকুরে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- যাত্রাপুর বোট বাড়ির আব্দুস সালাম মিয়ার ছেলে সবুজ (৭) ও সালাম মিয়ার আপন ছোটভাই রুবেলের ছেলে সূর্য (৯)।
সবুজ ও সূর্য আপন চাচাতো ভাই। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সবুজ ও সূর্য দুজনেই সাতার জানত না। বিকালে পরিবারের সবার অগোচরে ২ ভাই গোসল করতে বাড়ির পাশের পুকুরে যায়। সেখানেই যে কোনভাবে তারা পানিতে ডুবে মারা যায়।
তারা আরও জানান, বিকালে সবুজের লাশ ভাসমান অবস্থায় পুকুরে দেখে এলাকাবাসী সবুজের লাশ উদ্ধার করে। পরে সূর্যকে খুঁজে না পাওয়ায় এলাকাবাসী পুকুরে তল্লাশি চালান। এ সময় সূর্যকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেসহ দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় স্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জামাই শামীম মিয়া পলাতক।
নিহত মো. হাফিজুর রহমান চম্পকনগর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মৃত মো. গুলু রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অভিযুক্ত শামীম মিয়া একই উপজেলার পেটুয়াজুড়ি গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নিহতের মেয়ে নাহিদার আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে পাশের গ্রামের অভিযুক্ত শামীম মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের কারণে নাহিদা আক্তার সংসার না করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে ক্ষিপ্ত হন শামীম। শনিবার সকালে শ্বশুর বাড়িতে এসে শ্বশুরকে সামনে পেয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে হত্যা করে পালিয়ে যান।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের বুকে, পেটে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শামীমকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ভাইয়ের কাছে শ্যালিকাকে বিয়ে না দেয়ায় শ্বশুরকে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্পিডবোটের ধাক্কায় জেলের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ এলাকায় স্পিডবোটের ধাক্কায় পিয়াল আহমেদ নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরব নৌপুলিশ জেলের লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: মহানন্দা নদীতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
দুইদিন আগে বৃহস্পতিবার রাতে দুই জেলে ডিঙিনৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে এই দুর্ঘটনায় পড়েন। একজনকে উদ্ধার করা হলেও অপরজন নিখোঁজ ছিলেন।
নিহত পিয়াল আহমেদ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়নের বেগমাবাদ গ্রামের করইপুর এলাকার ছাদেক মিয়ার ছেলে।
ভৈরব নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, পিয়াল ও আতাবর বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ প্রান্তে একটি ডিঙিনৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যান। এসময় ভৈরব থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি স্পিডবোট নৌকাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
তিনি আরও জানান, এতে নৌকাটি উল্টে যায় এবং দুই জেলে ভাটার টানে হারিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আতাবরকে নৌপুলিশ উদ্ধার করলেও পিয়ালের খোঁজে পায়নি। নিখোঁজের দুইদিন পর শনিবার সকালে আশুগঞ্জ মেঘনা নদীর সার কারখানা প্রান্ত থেকে পিয়ালের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সেপটিক ট্যাংকে আটকে ২ জনের মৃত্যু
হুমায়রা হিমুর মৃত্যু: ঢাকার বংশাল থেকে একজনকে আটক করেছে র্যাব
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও ২ ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী এবং তাদের দুই ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের ৯ মাসের কন্যাশিশু অক্ষত রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকার সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার (৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন (১৪) এবং ছোট ছেলে মহিন (৭)।
আরও পড়ুন: রানীরবন্দরে কিশোরীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার
এ সময় তিনজনকে গলাকাটা মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলেও খাটে অক্ষত অবস্থায় শুয়েছিল শিশু অজিহা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেকি আক্তার তার দুই ছেলে ও ৯মাস বয়সী কন্যাশিশুকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। জেকির স্বামী শাহ আলম সৌদি আরব প্রবাসী। মঙ্গলবার সকালে গৃহকর্মী এসে বিল্ডিংয়ের গেট বন্ধ দেখে অনেক ডাকাডাকি করেন। পরে স্বজনেরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঘরের মেঝেতে জেকি ও তার বড় ছেলের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে এবং পাশের একটি বাথরুমে ছোট ছেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। তবে, শাহ আলমের কন্যাশিশু অজিহাকে বিছানার উপরে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে। এখনও সন্দেহজনক কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, প্রাথামিকভাবে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। কোনো চুরি-ডাকাতি করার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে বলে হচ্ছেনা। তারপরেও কোনো বিষয় আমরা বাদ দিচ্ছি না। সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের তদন্ত চলছে।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার