ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেনের ৭ বগি লাইনচ্যুত, আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী আসা মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকাগামী সিলেট ও চট্টগ্রামের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরতলীর দাড়িয়াপুর রেলগেইট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা যাওয়ার পথে শহরতলীর দাড়িয়াপুর নামক স্থানে ট্রেনটির ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
তিনি বলেন, অত্যধিক গরমে লাইন বেঁকে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার কারণে রেললাইন ও স্লিপারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানেএতে করে চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাথে ঢাকা অভিমুখী (আপ লাইনে) ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট অভিমুখী (ডাউন লাইনে) ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এখনো উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেলের বগি লাইনচ্যুত: ২৩ ঘন্টায়ও উদ্ধার হয়নি, তেল ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের কৃষিজমিতে
ভৈরবে এগারোসিন্ধুর ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় বগি লাইনচ্যুত, আহত ১৫
খুলনায় বগী লাইনচ্যুত, ২ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
নাসিরনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলেন- দুবাই প্রবাসী আক্তার শাহ এর মেয়ে রৌজা (৭) ও আরেক দুবাই প্রবাসী শাহানুর শাহ এর ছেলে শামী (৫)।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়, বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে গিয়ে তারা পানিতে ডুবে যায়। পরে তাদেরকে পুকুর থেকে তুলে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশু দু’টিকে মৃত ঘোষণা করে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জান্নাতুল ফেরদৌসী (৩৫) জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর দিঘীর পাড় এলাকার মৃত আরু মিয়ার মেয়ে ও কাউসার মোল্লার (৫০) স্ত্রী। কাউসার সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামের মৃত মো. আউয়াল মিয়ার ছেলে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বলে জানা গেছে। তাদের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, কাউসার মোল্লা ও জান্নাতুল শহরের কলেজ পাড়ায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকত। তবে কাউসার দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা ও পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। এসব নিয়ে প্রায়ই জান্নাতুলের সঙ্গে কলহ চলত। এরই জের ধরে সকালে কাউসার মোল্লা ধাঁড়ালো ছুরি দিয়ে জান্নাতুলকে হত্যা করে। বিষয়টির টের পেয়ে তাদের সন্তানরা কক্ষে যাওয়া মাত্রই তিনি তাদের ঘরে আটকিয়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাবার বিরুদ্ধে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল (২২) কুট্টাপাড়া এলাকার মো. রাকিব মিয়ার ছেলে। পরিবারের দাবি, পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে মোটরসাইকেলের সঙ্গে রিকশার ধাক্কা লাগা নিয়ে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী গ্রামের ইকবাল চৌকিদারের ছেলে আকাশের সঙ্গে একই ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের সুমনের বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে আকাশের লোকজন শুক্রবার দুপুরে সুমনের ওপর হামলা করে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, ২ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৩
এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার দিকে কালিকচ্ছ বাজারে ইকবাল চৌকিদারের গোষ্ঠী ও সূর্যকান্দি গ্রামের দুলালের গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
নিহতের পরিবারের দাবি, ফয়সাল পড়াশোনার ফাঁকে তার মামা ওসমান হারুনির রড-সিমেন্টের দোকানে কাজ করতেন। সংঘর্ষের সময় আতঙ্কিত হয়ে দোকান বন্ধ করার সময় পুলিশ অতর্কিতভাবে নিরপরাধ ফয়সালকে গুলি করে। এতে সে নিহত হয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সংঘর্ষের সময় ককটেলের স্প্লিন্টাররের আঘাতে ফয়সালের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় চার থেকে পাঁচজনকে আটকসহ ১০টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আশকোনায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
একদশকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো শাহরিয়ার আলম বলেছেন, গত একদশকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ত্রিপুরা সরকারের সহযোগিতা আমাদেরকে আমৃত্যু বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
মঙ্গলবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলা যাওয়ার পথে বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করতে কাজ করছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর জনসংখ্যার একটি বাজার তৈরি হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে ভারতের অন্য অঞ্চল থেকে এ রাজ্যগুলো কিছুটা চ্যালেঞ্জিং অবস্থানে থাকলেও তাদের ক্রমবর্ধমান উন্নতি হচ্ছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটাকে আমরা আমাদের বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই। এটা করতে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।
এছাড়া ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের বাইরে এ ধরনের সহযোগীতা পৃথিবীর আর কোথাও ছিলনা। যখন আমরা সেটি করি। সেটি বাড়তে বাড়তে এখন অনেকটাই বেড়েছে। বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বিদ্যুৎ আসছে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম এবং আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে 'মৌলিক ত্রুটি ও ভুল’ পেয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
আখাউড়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নোনাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহমান (৫০) এবং অভিযুক্ত খলিলুর রহমান ওই গ্রামের আব্দুল কাদির মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো হাফ ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রহমানের বসতবাড়ি ও পুকুরের জায়গা নিয়ে ছোট ভাই খলিলুর রহমান সঙ্গে একাধিক মামলাসহ ২০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এরই জের ধরে সন্ধ্যায় আব্দুর রহমান মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়িতে আসার পথে খলিলুর রহমান ও তার ছেলে তানভীর ও বাবুসহ পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি দল লোহার রড দিয়ে তাকে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত খলিলুর রহমান পলাতক।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে থানায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশের অভিযান শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক্টর খাদে পড়ে নিহত ২
মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশের অভিযান শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ভুয়া চালকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে অভিযান শুরু করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেশের পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। জেলার প্রায় ৭৬ কিলোমিটার সড়ক ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের আওতায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এসব সড়কে প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে।
যানবাহনের তীব্র গতি, আইন অমান্য করে নিষিদ্ধ তিন চাকার যান চলাচল, রাস্তার বাঁকসহ বিভিন্ন কারণে প্রায়ই এসব সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে জেলার খাতিহাটা হাইওয়ে পুলিশ নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে গত তিন মাসে ৪৯৮টি মামলা করেছে।
মামলার মধ্যে ২৫৩টি থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে এবং ১৩৭টি দ্রুতগতির যানবাহনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া আরও ১০৮টি মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
এছাড়া পুলিশের অভিযানে মহাসড়ক দখল করে স্থাপন করা কিছু অস্থায়ী দোকানও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিশা রোড মোড়, কুত্তাপাড়া, শাহবাজপুর, কাউতলী মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এই অভিযানের সময়, পুলিশ চলন্ত যানবাহনের গতি পরিমাপ করতে স্পিডগান ব্যবহার করে। এছাড়া নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের সুপারভাইজারসহ নিহত ২
চালকরা মদ বা মাদক সেবন করে গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হাইওয়ে পুলিশ তাদের স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে এসব দুর্ঘটনারোধে কাজ করলেও চালকদের সচেতনতার অভাবে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে।
খন্তিহাটা হাইওয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চাঁদ বিশাস বলেন, হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমেছে।
তিনি বলেন, আমরা আশুগঞ্জের ধরখার পর্যন্ত চার লেনের সড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি।
এছাড়া গত ৩ মাসে হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ৪৯৮টি মামলা করেছে।
এদিকে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখনও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে যাত্রী কল্যাণ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে সারাদেশে সাত হজার ৬১৭টি সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে দুর্ঘটনায় মোট ১০ হাজার ৮৫৮ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৮৭৫ জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে ছয় হাজার ৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১জন নিহত এবং ১২ হাজার ৩৫৬জন আহত হয়েছে যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিসংখ্যান।
এছাড়া ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক্টর খাদে পড়ে নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চান্দিসার এলাকার কসবা-সৈয়দবাদ আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ট্রাক্টর হেলপার পাভেল মিয়া (১৮)ও পথচারী দেলোয়ার মিয়া (৩০)। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
কসবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, কসবা থেকে একটি ট্রাক্টর তিনলাখপীর যাওয়ার পথে চান্দিসার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় সড়কের পাশে থাকা একজন পথচারী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ট্রাক্টরের হেলপার গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমক্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতিপদক পেলেন ৯ গুণীজন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশবরেণ্য ৯ জন গুণী ব্যক্তিকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতিপদকে ভূষিত করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদের উদ্যোগে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ডাক্তার আশীষ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: শিল্পকলা পদক ২০১৯ ও ২০২০ পাচ্ছেন ২০ গুণীজন
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. একরাম উল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি ডাক্তার মো. আবু সাইদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন।
সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যাক্তিরা হলেন- চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডাক্তার এ বি এম আব্দুল্লাহ, শিক্ষায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, সাহিত্যে কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, প্রশাসনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, আইন-শৃঙ্খলায় বাংলাদেশ পুলিশএর অ্যান্টি টেরিজম ইউনিটের ডিআইজি (অপারেশন) মো. মনিরুজ্জামান, সাংবাদিকতায় এখন টিভির সম্পাদকীয় প্রধান তুষার আব্দুল্লাহ, সংগীতে গীতিকার ও সুরকার শুভ্রদেব, সংস্কৃতিতে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও অভিনেত্রী তারিন জাহান।
আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমির ‘গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার’ ঘোষণা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতি কালো দাগ সৃষ্টি করেছে: হাইকোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী সমিতি বাংলাদেশের আইনী ইতিহাসে কালো দাগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত কক্ষে ‘অশালীন আচরণের’ অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তিন আইনজীবী হাইকোর্টের তলবে হাজির হলে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ক্ষোভ প্রকাশ করে এই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির হাইকোর্টকে বলেন,‘মাই লর্ড, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিষয়টির পিসফুল ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। আজ থেকে সব কোর্ট চলছে। আমাদের আরও কিছু কাজ আছে। সবকিছুর সমাধান হবে আমাদের এক মাস সময় দিন।’
হাইকোর্ট বলেন,‘কিছুই (ডেভেলপমেন্ট) হয়নি। হাইকোর্টে এটার তারিখের আগে ওখানে একটু নাড়াচাড়া করেন। আমরা বুঝি। দিন যাচ্ছে আর টাইম নষ্ট করছেন। এটার পরিণতি ভোগ করতে হবে। আপনারা (রুলের) জবাব দিলে দেন, না দিলে না দেন। আমরা আমাদের মতো আগাবো। একটা কোর্টকে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অচল করে রেখেছেন। সমস্ত কিছু আমরা দেখছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বার (আইনজীবী সমিতি) বাংলাদেশের লিগ্যাল ইতিহাসে কালো দাগ সৃষ্টি করেছে, সমস্ত আইনজীবীদের কলঙ্কিত করেছে।’
এসময় হাইকোর্ট বলেন, ‘আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট হোক আর সদস্য হোক, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। বার কাউন্সিল আছে। তবে বার কাউন্সিল কিছু না করলে আমরা এখান থেকেই করবো। প্রতিদিন আমরা খবরের কাগজে চোখ রাখি যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারে কী হচ্ছে। আপনারা কোর্ট বর্জন করছেন করেন, কিন্তু বিচার প্রার্থীরা কোর্টে গেলে তাদের ডিস্টার্ব করা হচ্ছে, থ্রেট দেয়া হচ্ছে। আপনারা একতরফা (এক্সপার্টি) গেলে আমরা (এক্সট্রিম) এ যাবো। কে বারের সভাপতি, কে বিজ্ঞ আইনজীবী তা আমরা দেখবো না। এরা বাংলাদেশে প্র্যাকটিস (আইন পেশা পরিচালনা) করার যোগ্য কি না সেটাও আমরা দেখবো।’
একপর্যায়ে হাইকোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন আইনজীবীকে তাদের ব্যাখ্যা দিতে সময় দিয়ে এবিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। আজ আদালতে আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল ও অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
গত ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের গালিগালাজ এবং অশালীন আচরণের অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর একটি চিঠি পাঠান বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক। এরপর বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান। এরপর হাইকোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের প্রতি ‘অশালীন আচরণের’ অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ তিন আইনজীবীকে তলব করেন। সেই সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের এই রুল জারির পরবর্তীতে ‘এজলাস চলাকালীন জেলা জজের নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান প্রদান করে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও মানহানির’ আরেকটি অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আইনজীবী সমিতির ২১ আইনজীবীকে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি তলব করেন। সেই সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মামলায় সেই বিচারকের হাইকোর্টে জামিন
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে বদলি এবং নাজির মো. মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীর শাস্তির দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে আদালত বর্জন কর্মসূচীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচার প্রার্থীরা।
শুরুতে সেখানকার আইনজীবীরা দুটি আদালত বর্জন করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে তারা সব আদালত বর্জন শুরু করেন। তবে গত বুধবার থেকে আইনজীবীরা জেলার সব আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁঞা।
অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত কেন্দ্রিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে গত ৮ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘প্রশাসনিক কারণ’ দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেই আলোচিত নাজির মো. মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপিসি’র ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ৩ মাসের মধ্যে দুদককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের