ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি, সংশ্লিষ্টদের নোটিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথর আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আনা হয়েছে দুই হাজার ৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)।
মিথ্যা ঘোষণায় আমদানির অভিযোগে এই ধুলা কাস্টমসের ছাড়পত্র পাচ্ছে না। এ কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে দুই হাজার ৭০০ টন ডাস্ট পড়ে আছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে জানান, এতে তাদের প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে।
১৩ নভেম্বর রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণ পাথর আমদানি করা হয়। এরপর ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড কয়েক দফায় মোট দুই হাজার ৭০০ টন আমদানি করে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নদীর পাড়ে জব্দকৃত বালু-পাথর চুরি: রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজের জন্য এই প্রতিষ্ঠান পাথর আমদানি করেছে।
আমদানি করা চূর্ণ পাথর প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ এই ডাস্ট বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায়। কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাধে যত বিপত্তি।
কাস্টমস প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেয়ার কথা জানায়। পরে পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। এর ফলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনই মাশুল বাবদ বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান। এজন্য চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয় কাস্টমসের পক্ষ থেকে।
তদন্ত শেষে ডাস্ট হিসেবে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দোয়ারাবাজারে শুল্কস্টেশন দিয়ে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও একই চিঠি দেয়া হয়েছে।
সিএন্ডএফ-এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন বলেন, প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেয়া হবে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে এ ধরনের পাথরের অনুমতি নেই। পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: ১১ বছর পর লাভের মুখ দেখল মধ্যপাড়া পাথর খনি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আশুগঞ্জের তালশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের নাম পরিচায় পাওয়া গেলেও অপর জনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
নিহত মো. সুমন (১৬) আশুগঞ্জ উপজেলার ফকিরবাড়ি এলাকার মৃত কাসেমা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন সিকদার জানান, সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে ছেড়ে যাওয়ার সময় ৩০/৩৫ বছরের এক নারী চলন্ত ট্রেনে উঠতে যান। এ সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে নিহত হন তিনি। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
পিবিআই এর একটি দল নিহত ওই নারীর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে বলেও জানান ওসি।
এছাড়াও ওসি জানান, আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ঢাকাগামী রেললাইন থেকে মো. সুমন (১৬) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে। সে আশুগঞ্জ উপজেলার ফকিরবাড়ি এলাকার মৃত কাসেমা মিয়ার ছেলে। তবে কোন ট্রেন এবং কোন সময় এ ঘটনা ঘটে তা এখনো জানাযায়নি। উদ্ধারকৃত লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
চাঁদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নিহত নয়নের বাবা মো. রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (বাঞ্ছারামপুর) সামিউল আলমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় জেলার পুলিশ সুপার ও আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও আট থেকে দশ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হচ্ছেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত তরুণ কান্তি দে, পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসেন খান, উপপরিদর্শক (এসআই) বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, কনস্টেবল শফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও আট থেকে দশজন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্যানেল মেয়রের ছেলে গ্রেপ্তার, গাঁজা জব্দ
মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লার বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য লিফলেট বিতরণকালে ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার স্টিলব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ওপর সিএনজি স্ট্যান্ড, মোল্লা বাড়িতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসবক দলের নেতারা লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শেষে ফেরার সময় মামলার প্রধান আসামি কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস এবং শফিকুল ইসলাম হত্যার উদ্দেশে শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। এ সময় আসামি বিশ্বজিৎ সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি নয়নের পেটে শার্টগান ঠেকিয়ে গুলি করে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এম.এ মান্নান জানান, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে নয়নের পেটে শর্টগান ঠেকিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি। আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড,১ জনের যাবজ্জীবন
৭ কর্মদিবসে সাবেক ভিপি নুরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজিরের নির্দেশ
ছেলের হাতে বাবা খুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ছেলের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন প্রবাসী বাবা। রবিবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া পশ্চিমপাড়ায় (৭ নম্বর ওয়ার্ড) এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত মগুল হোসেন (৫৫) ওই এলাকার মৃত নবী হোসেনের ছেলে।
ঘটনার পরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ঘাতক ছেলে মনির হোসেন (৩১) ও তার স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন।
আরও পড়ুন: ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলের দায়ের কোপে বাবা খুন!
তিনি জানান, মধ্যবিত্ত পরিবারের মগুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব ছিলেন। তিনি গত এক মাস আগে দেশে ফিরেছেন। মগুল মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে মনির সবার বড়। তিন সন্তানের জনক মনির ছিল অনেকটা ভবঘুরে প্রকৃতির। তার বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সেবন ও একাধিক বিয়ের অভিযোগ। সে বিভিন্ন দোকানে ও মানুষের কাছে দেনা করতো। নিজে কোন কাজ না করে বাবার কাছ থেকে নিয়মিত টাকা চেয়ে নিতো মনির। শনিবার সে ঢাকায় যায়, রাতে ফিরে আসে।
রবিবার ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়িতে ফেরেন মগুল হোসেন। কিছুক্ষণ পর বাবার কাছে টাকা চায় মনির। বাবা মগুল মিয়া টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মনির উচ্চস্বরে চেঁচামেচি শুরু করে। পরে এক পর্যায়ে বাবা মগুল হোসেনের বুকে ছুরিকাঘাত করে মনির। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা মগুল হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
তিনি আরও জানান, ঘাতক ছেলে মনির ও তার স্ত্রী ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। তাদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে বাবা খুন!
ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলের দায়ের কোপে বাবা খুন!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরতলীর দাড়িয়াপুর রেল ব্রিজের পাশ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
মৃত শীতল দেবনাথ (৭০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার খোকন দেবনাথের বাবা। তিনি শহরের পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পরিবার সদস্যরা জানায়, শীতল দেবনাথ বার্ধক্যজনিত কারণে আলঝেইমার্স রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এতে তিনি কোন কিছু মনে রাখতে পারতেন না এবং কাউকে চিনতেন না। বৃতস্পতিবার বিকালে তিনি সকলের অগোচরে ঘর থেকে বেড়িয়ে যান। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে রেলওয়ে পুলিশের মাধ্যমে ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যুর খবরটি জানতে পেরে লাশ বাসায় নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালাউদ্দিন খান নোমান জানান,স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রেল লাইনের পাশ থেকে শীতল দেবনাথের লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে কোন ট্রেনের ধাক্কায় তিনি নিহত হয়েছেন তা জানা যায়নি। পরে পরিবারের লোকজন ওই বৃদ্ধের পরিচয় শনাক্ত করে।
তিনি আরও বলেন, কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১
খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপরিবহনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপরিবহনে(বাস) ৪০ বছর বয়সী এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ঘাশিরদিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৬) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়য়নের বিয়াল্লিশ্বর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ তামিম(২১)।
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
জানা যায়, নজরুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড নামক পরিবহনের একটি বাসের চালক ও তামিম বিয়াল্লিশ্বর এলাকায় অবস্থিত তামিম টিম্বার মিলের মালিকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস প্রাইভেট লিমিটেডের একটি বাস পার্কিং করা অবস্থায় বাসের মধ্যে ওই নারীকে তিনজন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এরপর বিয়াল্লিশ্বর এলাকার তামিম টিম্বার মিলে নিয়ে ওই নারীকে আবারও ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভিকটিম শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ শনিবার রাতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, গতকাল রবিবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আটক
নাটোরে স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড,১ জনের যাবজ্জীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী শরীফ খাঁ (৫০) হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজের আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আখাউড়া উপজেলার চানপুর উত্তর পাড়া গ্রামের জাকির খাঁ (৪০), মাহবুব খাঁ (৩০) ও গাজী খাঁ (৬৫)।
অপর আসামি আমানত খাঁকে (৬৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
পাঁচজন আসামির মধ্যে আসামি আমির খাঁ মারা গেছে। মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট আসামিরা সীমানা বিরোধের জের ধরে শরীফ খাঁকে আখাউড়া চানপুর উত্তর পাড়া নিজ বাড়ির পাশের রাস্তার ওপরে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় শরীফ খাঁর স্ত্রী মাজেদা বেগম পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ যুক্তি তর্ক শেষে রবিবার এই রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন:পাবনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত,অভিযুক্ত আটক
মানববন্ধনে যোগ দিতে ঢাকায় আসার পথে সলিমপুরের ৬৩ বাসিন্দা আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ছিনতাই, ২ পুলিশ গুলিবিদ্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ‘মাদক কারবারি’দের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার সময় গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও উপপরিদর্শক (এসআই) রনি সোরে রানা।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার্জশিটভুক্ত আসামির মৃত্যু
পুলিশ জানায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের মৃত সুধন মিয়ার ছেলে মাদক কারাবারি মন্নাফ (৫০) ওরফে মনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, হত্যা, ধর্ষণসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় পুলিশ। কিছুদিন আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও মাদক বেচাকেনা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় সে।
তার ছেলে শিপন ডাকাতি ও মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তারা বাবা-ছেলে এলাকায় অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই নূরজাহানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মনেককে আটক করে পুলিশ।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, আটক মনেককে ছাড়িয়ে নিতে তার ছেলে শিপন ও তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষা করতে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি নেতা ও তার সহযোগী গুলিবিদ্ধ
তবে সন্ত্রাসী মহলটি দুই পুলিশ সদস্যকে গুলিবিদ্ধ করে মনেককে নিয়ে পালিয়ে যায়।
মাদককারবারিদের গুলিতে নবীনগর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও উপপরিদর্শক (এসআই) রনি সোরে রানা গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, মাদক কারাবারি ও ডাকাত মন্নাক ওরফে মনেক ও তার ছেলে শিপনসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে ব্যবসায়ী হত্যা: অভিযানে গ্রেপ্তার ৪, একজন গুলিবিদ্ধ, ৩ পুলিশ আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্যানেল মেয়রের ছেলে গ্রেপ্তার, গাঁজা জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পৌরসভার প্যানেল মেয়রের ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার উপজেলার আজমপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে চার কেজি গাঁজা জব্দের দাবি করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে আখাউড়া থানা পুলিশের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গ্রেপ্তার জারিফ আনসারি অভি (২২) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান আনসারির ছেলে।
আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় সরকার জানান, সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আজমপুর এলাকা থেকে চার কেজি গাঁজাসহ এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার২
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরও জানান, এ ঘটনায় অভির বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি নারী ও শিশু আইনের মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় বাবা গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের খেওড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দু’জন হলো- ওই গ্রামের রবিন মিয়ার মেয়ে আলেয়া আক্তার (৪) এবং রাজীব মিয়ার মেয়ে জান্নাত আক্তার (৪)। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, বাড়ির সদস্যরা নতুন ঘর নির্মাণ কাজে ব্যস্ত থাকায় তাদের অজান্তে আলেয়া ও জান্নাত গোসল করতে বাড়ির পাশের পুকুরে নামে। এক পর্যায়ে তারা দুজনই পানিতে ডুবে মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদের দিন পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
গোয়াইনঘাটে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু