গোলাগুলি
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ক্যাম্প-৮ ডাব্লিউ এর এইচ-৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন (২৪), এ-২১ ব্লকের মোহাম্মদ হামীম (১৬), ক্যাম্প-১০ এর এইচ ৪২ ব্লকের নজিবুল্লাহ, ক্যাম্প-৩ এর বি-১৭ ব্লকের নুরআমিন ও অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এআরএসএ ও আরএসও গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত: পুলিশ
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর।
৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত আরও দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও সেখানে মারা যান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে বিবাদমান কোন সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য তা নিশ্চিত করা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠি আরসা এবং আরএসওর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, পরে খবর পেয়ে এপিবিএন ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে ৫ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম পরিচালিত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ক্যাম্প এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত ১
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার পালংখালীর জামতলি ক্যাম্প-১৫ এর ব্লক জি/৪ এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শুক্কুর রহমান (২২) ওই এলাকার ফয়জুল করিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার ১৫ নম্বর ক্যাম্প জামতলি ব্লক ই/৩-তে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) ও আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন) সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে শুক্কুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ বলেন, জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। এছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সসবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে আরসার গোলাগুলি, নিহত ২
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে আরসার গোলাগুলি, নিহত ২
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় আরসার গুলিতে এক পথচারী নিহত হন। অন্যদিকে, পুলিশের গুলিতে আরসার এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উখিয়া ১৮নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।
আটক আরসা সদস্য ১৮নং ক্যাম্পের নুরুল হাকিমের পুত্র মোহাম্মদ সাদেক (৩১)।
নিহতরা হলেন, ১৮নং ক্যাম্পের বশির আহমেদের পুত্র
আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ হাশিম (৩২) ও পথচারী নুরুল ইসলামের স্ত্রী নূর হাবা (৫০) ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আসরার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ হাশিম চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারসহ একাধিক মামলার আসামি।
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, দুপুরে দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ক্যাম্প ১৮ এর এল/১৭ ব্লকে মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে আরসার অস্ত্রধারী ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে। এ সময় আরসার গুলিতে এক পথচারী নিহত হয়।
ফারুক আরও জানান, ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের একটু দূর থেকে আরসার শীর্ষ নেতা হাশিমের লাশ উদ্ধার করে।
এরপর আশপাশের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে এক আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর ও নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
বান্দরবানের রোয়াংছড়ির পরিস্থিতি থমথমে: খিয়াং সম্প্রদায়ের সবাই পালিয়েছে
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার খামাতং খেয়াং পাড়ায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে দুইটি সন্ত্রাসী দলের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় নিহত হয়েছেন আটজন।
এতে ঐ পাড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৪ পরিবার এবং রুমা উপজেলার বম কমিউনিটি সেন্টারে ২০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
রুমা উপজেলাতে আশ্রয় গ্রহীতাদের আজ সকালে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো ও তৈরি খাবার এবং চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
এদিকে এঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি বলে পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। দুপুরে দুর্ধর্ষ মাদক কারবারি এবং ৮ মামলার পালিয়ে থাকা এক আসামিকে মিডিয়ার সামনে হাজিরকালে পুলিশ সুপার এ তথ্য জানান।
গুলাগুলিতে নিহত ৮ জনের ময়না তদন্ত আজ বিকালে বান্দরবান সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। পরে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের মাধ্যমে লাশগুলো গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৩ সদস্য আটক
রুমা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মাহমুদ মঞ্জু বলেন, রুমা সদরের বম কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নেয়া মোট ২০টি পরিবার। পরিবারগুলোর মোট সদস্য ৬৪জন। তার মধ্যে পুরুষ ৩১জন, নারী ৩০জন ও শিশু ৩ জন।
আশ্রিত ২০ পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ৫কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও এক লিটার করে তেল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান পিআইও।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের ভয়ে খামতাং পাড়ার ৬৪ পরিবারের এই পর্যন্ত প্রায় ১৮৬ জন লোক রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাবারের থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, আশ্রয় নেয়া লোকদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে কেএনএফ এঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে রুমা ও থানছি উপজেলার কয়েকটি আভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছে বলে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, আহত ২
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর মধ্যে হওয়া গোলাগুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি পল্লী খামতং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- লাল ঠাজার বম, সানপিথের থাং বম, ভানলাল দুহ বম ও লাললিয়ান ঙাক বম।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
তিনি বলেন, গত দুই দিন ধরে খামতং পাড়ায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা ওই পাড়াতে কয়েকটি লাশ পড়ে আছে এমন খবর দেয়ার পর, দুপুর একটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, তবে লাশগুলো কোন গ্রুপের তা প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কেএনএফ পরিচালিত ফেইসবুক পোস্টে গোলাগুলিতে তাদের সাতজন সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়েছে
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
বান্দরবানে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, ৫ জঙ্গি আটক
বান্দরবানের থানচির রেমাক্রির নতুন ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র্যাবের গুলি বিনিময় হয়েছে। এই অভিযানে পাঁচ জঙ্গিকে আটক করেছেন র্যাব সদস্যরা। এ সময় গোলাগুলির ঘটনায় র্যাবের আট সদস্য আহত হন।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে থানচিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেন, নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার জঙ্গি সদস্যরা একটি ক্যাম্পে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানের রুমা উপজেলার রেমাক্রি প্রাংসা এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে ১২ জঙ্গি ও ১৪ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়ে জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যরা। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার পাঁচ জঙ্গিকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব।
এ সময় জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন র্যাবের ৮ সদস্য। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৩ অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও তাদের প্রশ্রয়দাতা বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে র্যাব। অভিযানে এখন পর্যন্ত জঙ্গি সংগঠনের ৪২ সদস্য এবং কেএনএফের ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে কারাগারে দেখা হওয়ার পর জঙ্গি নেতা হয়ে ওঠেন ডাকাত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর এবং তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র এবং গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গি আস্তানা শনাক্তের পর সোমবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করলে গুলি ছুড়ে জঙ্গিরা। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। দীর্ঘক্ষণ গোলাগুলির পর জঙ্গিরা গ্রেপ্তার হন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অভিযান চালায়।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভোরে অভিযানে নামেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতিতে টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টাগুলি শুরু করে।
তিনি জানান, এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আস্তানা থেকে নব্য জঙ্গি সংগঠন 'জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়া'র শীর্ষ নেতা, শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র ও গোলা-বারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এঘটনায় বিস্তারিত জানাতে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রেসব্রিফিং করার কথা জানিয়েছেন র্যাব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উদ্ধার গ্রেনেড নিষ্ক্রিয়, মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ
১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি
কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মিয়ানমারের অস্ত্রধারী নবী হোসেন গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রেজুআমতলী সীমান্তে মিয়ানমারের ফের গোলাগুলিতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামংখালীর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে নারী-পুরুষ দু’জন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। এ সময় সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসী গ্রুপ নবী হোসেনের ২০-৩০ অস্ত্রধারী বিজিবির টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। তখন বিজিবি আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট উভয় পক্ষের গোলাগুলি চলে। পরে অস্ত্রধারীরা মিয়ানমারের পাহাড়ে পালিয়ে যায়।’
এদিকে বিজিবি তাদের লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবি এর অধিনস্থ বালুখালী বিওপি হতে আনুমানিক ১.৫ কি. মি. দক্ষিণ দিকে এবং সীমান্ত পিলার-২০ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পূর্ব কোণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রহমতের বিল হাজীর বাড়ী নামক এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এসময় বালুখালী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল নিকটাবস্থানে টহলরত থাকা অবস্থায় দ্রুত উক্ত সংঘর্ষ এলাকায় গমন করে রণকৌশলগত অবস্থান নেয়। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে ফায়ার শুরু করে।
উক্ত সময়ে বিজিবি টহল দল তাদের জানমাল ও সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থানে থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে পাল্টা ফায়ার করলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় বালুখালী বিওপি হতে অতি দ্রুত আর একটি টহল দল প্রতিহতরত বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেয়। একই সময় পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম বিওপি হতেও আরও একটি টহল দল পিকআপ যোগে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করে।
বিজিবি তড়িৎ এবং সুসংহত তৎপরতায় উক্ত ইয়াবা সন্ত্রাসীরা মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এছাড়া ফায়ারের ঘটনায় বিজিবি টহলদলের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কোন সদস্য আহত/নিহত হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
বর্তমানে সকল বিওপি সমূহ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি টহল এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
মাটিরাঙ্গায় গোলাগুলিতে আহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি, তবে তারা রোহিঙ্গা বলে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান।
রাত ১০টার দিকে বালুখালী শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) ও রোহিঙ্গা সশস্ত্র নবী হোসেন গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোলাগুলির এক পর্যায়ে ক্যাম্পে পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে এবং পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
ক্যাম্পবাসীরা জানায় যে নিহতদের মধ্যে একজন ক্যাম্প-৮ এর বাসিন্দা।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জন্য দুই গ্রুপের মধ্যে লড়াই চলছিল।
নিহত রোহিঙ্গা ও যারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে তাদের শনাক্ত ও ধরার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টেকনাফে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ২ রোহিঙ্গা নিহত
মাটিরাঙ্গায় গোলাগুলিতে আহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তৈলাফাং নামক এলাকায় পাহাড়ি সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অনুপম চাকমা (৩৫) নামে একজন আহত হয়েছেন। আহত অস্ত্রধারী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (প্রসীত-গ্রুপ) সদস্য বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর রাতে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের তৈলাফাং নামক এলাকায় গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে।
আহত অনুপম চাকমা খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গোলাবাড়ি ইউনিয়নের হরিনাথ পাড়ার মনু জয় চাকমার ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ বাসা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ছুটে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, চাঁদা আদায়ের রশিদ বইসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্ত নথিপত্র জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জানান, এ ঘটনায় আহত অনুপম চাকমার নামে একটি অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোপন বৈঠকে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আটক, ককটেল উদ্ধারের দাবি
ফসলের খেত থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার