জন্মাষ্টমী
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমীর ছুটির কারণে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
এদিকে, উভয় দেশের এই বন্দর এলাকায় পচনশীল পণ্যসহ কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল অতিক্রমের অপেক্ষায় আছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আগস্টে রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে ৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার
সারা দেশে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী
ভগবান কৃষ্ণের জন্ম উপলক্ষে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে জন্মাষ্টমী পালন করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে, এদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি। পৃথিবী থেকে অশুভ শক্তি দমন; কল্যাণ, ন্যায় ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই দিনে রাজা কংসের বন্দীশালায় ভগবান বিষ্ণু মহাবিশ্বে কৃষ্ণরূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আজ শুভ জন্মাষ্টমী
দিনটি সরকারি ছুটির দিন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো ভগবান কৃষ্ণের ঘটনাবহুল জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
আরও পড়ুন: যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে
জন্মাষ্টমীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে বিএনপির শুভেচ্ছা
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্দরের অভ্যন্তরে সকল কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজ (বুধবার) জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় এদিন বন্দর দিয়ে ২ দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বন্দরের অভ্যন্তরে সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কাল থেকে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে সেই মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, জন্মাষ্টমী পালনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য ডিএমপি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে এবং সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দপ্তরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জন্মাষ্টমী হচ্ছে বার্ষিক হিন্দু উৎসব, যেদিন কৃষ্ণের জন্ম উদযাপন করা হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা বের করা হবে।
সভায় ডিএমপির শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনের বছর হওয়ায় বিরোধী দলগুলো এখন আন্দোলনের দিকে মনোনিবেশ করছে। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ও বিএনপির কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি ডিএমপি
তিনি এই উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি থাকলে পুলিশকে জানানোর জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, উৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যেন সাইবার দুনিয়ায় অপপ্রচার চালাতে না পারে সেজন্য তাদের সাইবার পুলিশ টিম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
কমিশনার দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় তাদের নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলাদাভাবে প্রেজেন্টেশন দেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার।
সভায় প্রতিটি মন্দিরে উচ্চমানের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, নির্দিষ্ট সময়ে শোভাযাত্রা শুরু ও শেষ করা, নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ডধারী পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখা, শোভাযাত্রার মধ্যে কোনো ব্যবধান না রাখা, শোভাযাত্রায় ব্যাগ না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। আজান ও নামাজের সময় গান বাজানো বন্ধ করার পরামর্শও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘এরূপ বক্তব্য আমাদের বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্য বিব্রতকর। এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের গুণীজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সরকারকে সহযোগিতা করতে তিনি অনুরোধ করেছেন।
হিন্দু ধর্মের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, দেবতা কৃষ্ণ দুষ্টকে ধ্বংস করতে ও সত্য প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীতে এসেছিলেন। ‘কিন্তু আমাদের দেশে দুষ্টরা নিরাপত্তা পাচ্ছে আর ভালোরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেবল সংখ্যালঘুরা নয় মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক কারণে দেশ ছাড়ছে।’
আরও পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সৎ মানুষরা চাকুরি পাচ্ছে না এবং আদর্শিক মানুষ ব্যবসাও করতে পারছে না।’
অনেক মানুষ বাঁচার জন্য দেশত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ ও বিচার।’
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করা হয়। জবাবদিহিতার অভাবে প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। যদি কেউ এর সমালোচনা করে তাহলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা নিশ্চিত করতে অবশ্যই সমালোচনা সহ্য ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
জিএম কাদের আরও বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিষয় তুললেই সরকার হাস্যকরভাবে উড়িয়ে দেয়। ‘ফলশ্রুতিতে বিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যাবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছি।’
নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
মিডিয়াকে সহনশীল হওয়ার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের দেয়া গতকালকের বক্তব্যকে মিডিয়া ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে বলেন, দেশে সবার বাক স্বাধীনতা রয়েছে। তাই সবাই সব কথা বলতে পারেন। তবে বক্তব্য অন্যভাবে উপস্থাপন হলে দুঃখ লাগে। তিনি মিডিয়াকে একটু সহনশীল হওয়ার অনুরোধ জানান।
শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলে দেশে স্থিতিশীলতা আছে, সাম্প্রদায়িক কোন সহিংসতা নাই, সবার সঙ্গে সম্প্রীতি আছে, দেশে উন্নয়ন আছে।’
এর আগে বেলা ১টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তিনি।পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন মন্ত্রী।
এসময় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এটি খুবই অন্যায়: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু জাতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটা দেশ হবে। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকেই আমাকে ভারতের দালাল বলেন। কারণ অনেক কিছু হয়, আমি স্ট্রং স্ট্যাটমেন্ট দেই না৷ কিন্তু আমারও তো একটি কনস্টিটিউশনি আছে। সেটাকে তো আমি ইগনোর করতে পারি না।
তিনি বলেন, আমি ভারত সরকারকে বলেছি, আমার দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, কিছু উগ্রবাদী আছে। আমার দেশ সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন না, আপনার দেশেও যেমন দুষ্ট লোক আছে, আমাদের দেশেও আছে। কিছুদিন আগে আপনাদের দেশেও এক ভদ্রমহিলা কিছু কথা বলেছিলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা বলিনি। সেটা আপনাদের মঙ্গলের জন্য, আমাদের মঙ্গলের জন্য।
মোমেন বলেন, ‘আমরা যদি একটু বলি, তখন আমাদের উগ্রবাদীরা আরও সোচ্চার হয়ে আরও বেশি বেশি কথা বলবে। তাতে আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হবে। আমাদের স্থিতিশীলতা বিঘ্ন হবে। সেইজন্য আমি ভারতবর্ষকে বলেছি যে, আমরা এমন ভাবে কাজ করব যাতে আমাদের কোন কারণে কোন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডকে কখনও প্রশ্রয় দেব না। এটা যদি আমরা করতে পারি, ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের মঙ্গল।’
মন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি, শেখ হাসিনা আছেন বলে ভারতের যথেষ্ট মঙ্গল হচ্ছে। এ বর্ডারে অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না। আর আমাদের উন্নতি হচ্ছে বলে ভারতে লোক যায়। ২৮ লাখ লোক আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর ভারতে বেড়াতে যায়। ভারতের কয়েক লাখ লোক আমাদের দেশে কাজ করে। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের সোনালী অধ্যায়ের ফলে। সুতরাং আমরা কোনো ধরনের উস্কানিমূলক কাজ করব না।
তিনি বলেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বললেন, শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের অনেক কৃতজ্ঞতা। আমি বললাম কেনো। তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তাঘাট হচ্ছে, শিল্প কারখানা আসতেছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের কোন জায়গা নেই। এর ফলে আসামে ও মেঘালয়ে কোন সন্ত্রাসী নেই। তিনি বলছেন এই কারণে বিভিন্ন কোম্পানি এসে এখানে শিল্প কারখানা খুলছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনারা মনে করবেন না আপনারা সংখ্যালঘু। আপনারা এ দেশের নাগরিক, সমান অধিকার। সুতরাং আপনারা আপনাদের অধিকার অবশ্যই অর্জন করবেন। এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য আমি আছি। আমরা এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ থাকবে না।
এর আগে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এস কে সিকদার, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি দুলাল চন্দ্র দে ও সাধারণ সম্পাদক শংকর সেনগুপ্ত বক্তব্য দেন।
পড়ুন: নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না: দেশের হিন্দুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে নির্বাচনকালে সুশীল সমাজের আরও স্পেস প্রয়োজন: ব্যাচেলেট
নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না: দেশের হিন্দুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দুদের একটি অংশের তীব্র নিন্দা করেছেন, যারা এটা বোঝাতে চান যে তারা বাংলাদেশে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে একটা কথা বলতে চাই যে, যখনই এখানে কোনো ঘটনা ঘটে, তা দেশে-বিদেশে এমনভাবে প্রচার করা হয় যেন এদেশে হিন্দুদের কোনো অধিকার নেই।’বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে পবিত্র জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির ও চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে কার্যত হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, যে কোনো ঘটনা ঘটলেই তার সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু হিন্দুদের কোনো অধিকার নেই বলে ওই ঘটনাকে রং চড়ানো হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর সরকারের পদক্ষেপ যথাযথভাবে নজরে আসে না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মন্দির রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে বহু মুসলমান নিহত হয়েছেন। ‘এ ধরনের ঘটনাও ঘটেছে।’
তিনি তার মন্তব্যের সমর্থনে কুমিল্লার ঘটনা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এগুলো ঠিকভাবে প্রচার হয়নি। পরিবর্তে, এটি ছড়িয়ে দেয়া হয় যে দেশে হিন্দুরা খুব কষ্টে বাস করছে।’
তিনি বলেন, ঢাকায় পূজা মণ্ডপের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতার চেয়ে বেশি। এবং সারা বাংলাদেশে দুর্গাপূজা ব্যাপক সমারোহে পালিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার শুধু মসজিদ মেরামত বা সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না, মন্দির, মঠ ও গীর্জাও সংস্কার বা মেরামত করছে।
তিনি বলেন, ‘কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কিছু বলা ঠিক নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের একটি ব্যতিক্রমী দেশ, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে।
তিনি বলেন, ‘দেশের এই সহানুভূতিশীল ধর্মীয় পরিবেশকে ধ্বংস করার ব্যাপক চেষ্টা চলছে। প্রতিটি ধর্মের লোকদের একটি অংশ আছে, যারা প্রায়ই সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করে।’
তিনি আরও বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ কোনো ধর্মকে অবমূল্যায়ন করায় বিশ্বাস করে না।
শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা এটা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি। আমাদের সরকার এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক। আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি।’
তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।
আরও পড়ুন: সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর উপায় বের করছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই দেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। আপনি এই দেশের মানুষ, এখানে আপনার সমান অধিকার আছে, আমার মতো আপনারও একই অধিকার রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী হিন্দুদের নিজেদেরকে সংখ্যালঘু না ভাবতে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবসময় মনে করবেন যে আপনি এই দেশের নাগরিক, আপনারাও সমান অধিকার ভোগ করবেন এবং আমরাও আপনাদেরকে সেভাবেই দেখতে চাই। অনুগ্রহ করে নিজেদের অবমূল্যায়ন করবেন না। আপনারা এই দেশে জন্মেছেন এবং আপনারা এই দেশেরই নাগরিক।’
তিনি বলেন, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে সবাই চলতে পারলে সব ধর্মের অশুভ মহল কখনোই দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সেই বিশ্বাস ও ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আমি আপনাদের সবার কাছ থেকে এটাই চাই।’
করোনাভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এগুলো সবার জন্য বড় সমস্যা তৈরি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছি, ফলে সবকিছুর দাম বেড়েছে। কিছু লোক এর চেয়েও বেশি অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য অযথা দাম বাড়াচ্ছে,।’।
তিনি বলেন, সরকার দাম মনিটরিং ও পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থা করছে।
তিনি ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সরকার এক কোটি মানুষকে বিশেষ পরিবার কার্ড দেবে, যার মাধ্যমে তারা ন্যায্যমূল্যে চাল, মসুর, তেল ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের ক্রয় ক্ষমতার নিচে দাম রাখার চেষ্টা করছি, যাতে তারা ভোগান্তিতে না পড়ে।’
সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট এবং সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি উৎপাদনে ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আ.লীগের প্রতি জনগণের আস্থা সরকারের সাফল্যের চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
জন্মাষ্টমী: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তনি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগামী শনিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে এ বন্দর দিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
পড়ুন: যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে সারাদেশে জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে
যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে সারাদেশে জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার সারাদেশে শুভ জন্মাষ্টমী পালন করছেন সনাতন সম্প্রদায়ের অনুসারীরা।
সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, পৃথিবী থেকে অশুভ শক্তি দমন, কল্যাণ, ন্যায় ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথিকে ভক্তরা শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।
পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে সনাতন সম্প্রদায়ের অনুসারীদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছো জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ` শ্রী কৃষ্ণের মূল দর্শন ছিল সমাজ থেকে অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়ন দূর করা এবং মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলা।‘
তিনি বলেন, আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগণকে শ্রী কৃষ্ণের দর্শন অনুসরণ করে সমাজের অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।‘
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি শ্রী কৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বকে শক্তিশালী করবে।’
প্রধানমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়দের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জন্মাষ্টমী উদযাপন করার আহ্বান জানান।
তিনি দেশের সকল নাগরিকদের সুখ, কল্যাণ ও শান্তি কামনা করেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে শ্রীকৃষ্ণের ঘটনাবহুল জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে।
পড়ুন: ভারতে নবীজিকে নিয়ে মন্তব্য: বাগেরহাটে বিরোধের জেরে হিন্দু বাড়িতে হামলা
নড়াইলে হিন্দু বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর