নেতা
ঝিনাইদহে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শুড়া গ্রামের খালের ধারে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত কামরুজ্জামান শামীম (৪৫) একই গ্রামের গোলাম রসুল নান্টুর ছেলে এবং তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার এশার নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরের উদ্দেশে বের হন শামীম। এরপর রাতে বাড়ির পাশের খালের ধারে শামীমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জামিনুর রশিদ বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই শামীমের মৃত্যু হয়। শামীমের বুকের বাম পাশে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে রাতে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কেন বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
এর সঙ্গে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
বগুড়ায় ট্রাকে আগুন: স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কারাগারে
বগুড়ায় বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় সম্প্রতি দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক ৫৫ বছর বয়সী এক বিএনপি নেতর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মান্দাইল গ্রামের সরিষাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুল মতিন (৫৫) মান্দাইল গ্রামের মৃত কফিলের ছেলে। তিনি বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাহী সদস্য ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ নভেম্বর বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই দিন থেকে তিনি বাড়ি থেকে পলাতক ছিলেন।
মতিনের শ্যালিকা শাহনাজ খাতুন জানান, স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে গত চার মাস ধরে মতিন শেরপুরে মেয়ের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। বুধবার সকালে তিনি কিছু গরম কাপড় নিতে বাড়িতে আসেন এবং কিছুক্ষণ পরে আবার চলে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ফ্ল্যাট থেকে দুই বোনের লাশ উদ্ধার
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে সরিষাখেতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পুলিশের উপপরিদর্শকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকায় বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত: রাশিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, অক্টোবরের শেষদিকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে দেশের বিরোধী দলের এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলেছিলেন,‘এই ধরনের কর্মকাণ্ড অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
আরও পড়ুন: মানব সম্পদ ও জলবায়ু সহনশীলতার উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা আমরা বারবার তুলে ধরেছি।’
সাংবাদিকরা রুশ কর্মকর্তার মন্তব্যের বিষয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও দূতাবাসের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্রুত ও নির্বিঘ্নে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য যৌথভাবে আহ্বান জানানোর জন্য জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসে ভারতের সভাপতিত্ব শেষ করার আগে দিল্লি ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য ভার্চুয়ালি জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।
আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৯টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ফোরাম।
ফোরামে স্পেনকে স্থায়ী অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ করে ভারত।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফিলিস্তিনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ এবং ১০ হাজারেরও বেশি নিরীহ শিশুকে নির্মমভাবে গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছে।
তিনি বলেন, 'এই সব দানবীয় কর্মকাণ্ড বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে, বৈশ্বিক দুর্দশাকে তীব্রতর করেছে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ধীর করে দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ইউরোপের বর্তমান যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছে এবং এটি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আজকের বিশ্বায়নের যুগে মানুষের জীবন ও মানবতা রক্ষার জন্য সব যুদ্ধ ও সংঘাতকে দৃঢ়ভাবে 'না' বলা সহজ হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন , একটি ভাল শুরু হতে পারে সুপ্রতিবেশী সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বিশ্বজুড়ে এটির প্রসার ঘটানো।
তিনি বলেন, 'প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের চমৎকার সম্পর্কের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মানুষ ও পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, প্রতিবেশীদেশগুলো অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সমুদ্র ও স্থল সীমান্ত দিয়ে সেটি প্রমাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, 'আমাদের বৈশ্বিক পরিবারের সবার কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই চেতনায় বাংলাদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি নাগরিককে (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আমি আপনাদের আন্তরিক সমর্থন কামনা করছি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলো যে সব অঙ্গীকার করেছে তা ফলপ্রসূ হবে এবং তা বাস্তবায়িত হবে এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য 'এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত' আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত স্থান,পৃথিবী গ্রহের যত্ন নিতে, সুরক্ষিত করতে এবং গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা, বিশেষ করে জলবায়ু পদক্ষেপ, প্রযুক্তিগত রূপান্তর, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন সম্পর্কিত দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদা পূরণে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে নয়া দিল্লীতে নেতারা একমত হওয়ায় তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বাইডেনের সেলফি
গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৮তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সব সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত দিল্লি ঘোষণা বাস্তবায়নে উৎসাহিত করাই এই বৈঠকের লক্ষ্য।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে ভারত একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ জি-২০ দেশগুলোর নেতারা, ৯টি অতিথি দেশ এবং ১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
১ ডিসেম্বর ভারত জি-২০-এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে।
ভারত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালে ব্রাজিলের জি-২০ সম্মেলনে ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে জি-২০ ত্রয়ীকা গঠিত হবে।
আগামী মাসে ব্রাজিল যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবে, তখন নতুন ত্রয়িকা গঠন করা হবে, যেখানে ভারতের সভাপতির মেয়াদ শেষ হবে দায়িত্ব নেবে ব্রাজিল এবং এর পরের মেয়াদে সভাপতি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জি-২০ সদস্যরা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীতে চার সহযোগীসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে রবিবার (১৯ নভেম্বর) আদাবর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাকিব শেখসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন- মো. মাসুম (৩২), মো. আলমগীর (৩৮), মো. রাসেল (৩৮) ও মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৫)।
এদের মধ্যে রাকিব ও জাহাঙ্গীরকে কেরাণীগঞ্জ এবং বাকিদের মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া উইং) শিহাব করিমের সই করা র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সব ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন রাকিব। ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট এলাকাসহ ঢাকার কয়েকটি থানায় আটটি মামলার আসামি তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
এ ছাড়া, গত কয়েকদিন ধরে অবরোধ ও হরতাল চলাকালে যুবদল নেতা রাকিবের নেতৃত্বে মাসুম, আলমগীর, রাসেল, জাহাঙ্গীর রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এলিট ফোর্সের সদস্যরা রবিবার মোহাম্মদপুর ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, ৫ যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মী আটক
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
নারায়ণগঞ্জে নাশকতার মামলায় জেলা ছাত্রদলের এক নেতা ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবু তালেব মাসুম (৩৭) এবং তার সহকারী নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়া (৩৯)।
খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। মহাসড়ক অবরোধ করে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা চালায় তারা। এসব নাশকতা ও সহিংসতার ভিডিও ফুটেজ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র্যাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির ৭০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা: ১২ জন গ্রেপ্তার
এরই ধারাবাহিকতায়, শুক্রবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১ ও র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতা ও ১৫টি মামলার পলাতক আসামি আবু তালেব মাসুম ও তার সহযোগী জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার দুইজন তাদের দলীয় নেতাদের নির্দেশনায় ও মাসুমের পরিকল্পনা রূপগঞ্জ এলাকায় সহিংসতা ও নাশকতা চালায়। মাসুম ২৮ অক্টোবর পল্টনে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় আসে। পরে তারা পল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা চালায়।
তিনি বলেন, মাসুম ও তার অনুসারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় এবং সর্বশেষ কক্সবাজারে আত্মগোপন করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার জজ মিয়া ছাত্রদল নেতা মাসুমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটির বেশি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে বিএনপির বিরুদ্ধে ৪৮ মামলা: ৭০০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের ৬ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এ ছাড়া, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ব্যক্তিদের কেন তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আল ইমরান হোসেন, সরকারি আজিজুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সাদেকুল ইসলাম শুভ, জোবায়ের সরদার সিহাব ও মোহন সরদার।
গত বৃহস্পতিবার অবরোধবিরোধী মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে ওই ছয় নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে চতুর্মুখী সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ
বহিষ্কার প্রসঙ্গে তৌহিদুর রহমান তৌহিদ বলেন, ‘কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে সঠিক তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ইতিবাচক বার্তা আসত।’
অপর নেতা মাহফুজার রহমান বলেন, ‘আমি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেব।’
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রশ্রয় দেয় না। সংগঠন করতে হলে সংগঠনের চেইন অব কমান্ড মেনেই করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সজীব সাহাকে সভাপতি ও আল মাহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কমিটির সহসভাপতি করা হয় তৌহিদুর রহমান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাহফুজার রহমানকে।
তখন থেকেই তৌহিদ ও মাহফুজার কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূল ছাত্রলীগ ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরপর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জেরে তাদের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘সরকারি আজিজুল হক কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
নেতারা আত্মগোপনে থেকে কর্মীদের দিয়ে গাড়ি পোড়ানোই বিএনপির অবরোধ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা নিজেরা আত্মগোপনে থেকে কর্মী ও সন্ত্রাসীদের টাকা দিয়ে গাড়ি পোড়ানো, মানুষের উপর হামলা চালানোই বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ না, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাজ।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের ধরতে সরকার বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি জনগণকেও আহবান জানাব এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।’
আরও পড়ুন: শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে অনলাইন নিউজপোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওনাব) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রবিবার থেকে বিএনপির ডাকা চতুর্থ দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ নিয়ে প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দুনিয়ার অন্য কোথাও কেউ হরতাল-অবরোধের নামে গাড়ি পোড়ায় না। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, কখনো গাড়ি পোড়াইনি, বড়জোর রিকশার চাকার হাওয়া ছেড়ে দিতাম। তবে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। গতকালও (বৃহস্পতিবার) রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হয়েছে। মানুষ অবরোধ পালন করছে না, বরং ভয়ের ভাবটাও কেটে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: পাড়া-মহল্লায় আগুনসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন: তথ্যমন্ত্রী
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধির পরও বহিরাগতদের চক্রান্ত
এ সময় পোশাকশ্রমিকদের বেতন ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে মাসিক ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার পরও বহিরাগতদের দিয়ে এই খাতে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চলছে উল্লেখ মন্ত্রী বলেন, “২৮ অক্টোবর দেশে চূড়ান্ত অস্থিরতা তৈরি করতে না পেরে সেই একই মহল এখন গার্মেন্টসে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যারা শ্রমিক নয়, কোনো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে না, যাদের গাড়ি-ঘোড়া আছে, বড় ব্যাংক ব্যালান্স আছে, ঢাকায় সুন্দর ফ্ল্যাট আছে, তারাই ‘শ্রমিক নেতা’ এবং অস্থিরতার পাঁয়তারার হোতা।”
তিনি বলেন, ‘এদের কেউ কেউ শ্রমিকদের বেতন ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে সরকারি বা ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরিতে ঢুকে তারাও ২০ হাজার টাকার মতো বেতন পায়। অর্থাৎ বাস্তবতার নিরিখে এই দাবি আসলে গ্রহণযোগ্য নয়।’
গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিকেও তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে, নাহলে বেতন কোথা থেকে দেবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সে কারণে মালিক, শ্রমিক সবপক্ষের বসার পর প্রধানমন্ত্রী ১২,৫০০ টাকা এবং প্রতি বছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এরপর বেশিরভাগ শ্রমিকই সন্তুষ্ট হয়ে কাজে ফিরে গেছেন। কিন্তু কিছুকিছু জায়গায় বাইরের লোক গিয়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করছে। সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাই, শ্রমিকের বাইরে যারা আছে তাদের নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার জন্য, কারণ এই বহিরাগতদের নাশকতারও পরিকল্পনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
মূলধারার গণমাধ্যমকে গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান
এর আগে ‘ওনাব’ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় নিবন্ধিত অনলাইনসহ মূলধারার গণমাধ্যমকে গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করে। এ কারণেই আমাদের সরকারের সময় গণমাধ্যমের অভূতপূর্ব বিকাশ বা ‘এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথ’ হয়েছে।
দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে কিন্তু গণমাধ্যমের কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে-বিদেশ থেকে পরিচালিত কিছু ভুঁইফোড় অনলাইনই এখন গুজব ছড়ানোর মাধ্যম।
তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতু তৈরির সময়, রামু ও নাসিরনগরের ঘটনাতেও তাই দেখা গেছে। মূলধারার গণমাধ্যমের অংশ হিসেবে নিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর দায়িত্ব গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা।
‘ওনাব’ সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চৌধুরী, সহসভাপতি সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক অপু উকিল, নজরুল ইসলাম মিঠু, অয়ন আহমেদ মতবিনিময়ে অংশ নেন। তারা ‘অনলাইন বিজ্ঞাপন নীতিমালা’ প্রণয়নের দাবি উত্থাপন করলে মন্ত্রী হাছান সেটি সুবিবেচনার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী
জনাকীর্ণ কারাগারে মানবিক সংকটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
বিএনপি অভিযোগ করেছে, কারাগারে তাদের নেতা-কর্মীরা মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন। কারাগারের ওয়ার্ডগুলোতে ইতোমধ্যে ভিড় রয়েছে, যা তাদের স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার চারগুণ বেশি।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির 'শান্তিপূর্ণ' আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে 'অগ্নিসংযোগের গল্প' তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
তিনি বলেন, কারাগারগুলো মানবিক বিপর্যয়ের সাক্ষী। কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো নেতা-কর্মীদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানতে পারছেন না আইনজীবী ও স্বজনরা। কারাগারের অভ্যন্তরে প্রতিটি ভবনের ঘনবসতিপূর্ণ ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের রাখা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪০-৫০ জন বন্দি রাখা হচ্ছে, যেখানে ১০-১৫ জনের বেশি বন্দি রাখা যাবে না। ‘এমনকি কারাবন্দি বিএনপির নেতা-কর্মীদের দিন বা রাত কোনো সময়ই ওয়ার্ডের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ২৭৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিরোধী দলের ৯৯৫ জন অনুসারীকে আসামি করে আরও নয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিদিন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য তাদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য চলমান আন্দোলন দমন করতে সরকার বিএনপিকে দোষারোপ করতে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের খেলা শুরু করেছে। যার অসংখ্য প্রমাণ এখন মানুষের হাতে রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রওনা হওয়া বাসে যারা আগুন দিয়েছে তাদের একটি ভিডিও রয়েছে। তিনি বলেন, 'প্রতিদিনই বিভিন্ন ঘটনায় এ ধরনের দৃশ্য দেখা যায়। শুধু গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই বিএনপির বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের গল্প তৈরি ও প্রচার করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকারপন্থী কিছু টিভি স্টেশনের ক্যামেরাপার্সনরা গাড়ি পোড়ানোর সময় উপস্থিত রয়েছেন। ‘এতে সহজেই বোঝা যায় অগ্নিসংযোগ তাদেরই মাস্টার প্ল্যানের অংশ।’
রিজভী অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে কোনো প্ররোচনায় সাড়া না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নামতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতারা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাক-র্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ এ দেশের অবস্থান বিষয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি বলেছে, তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য আওয়ামী লীগ যে স্বপ্ন দেখছে, সেটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন, আমরা কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছি না। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে করা হচ্ছে। যেসব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তারা আগুন সন্ত্রাসের হুকুমদাতা, হোতা ও অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে টেলিফোন করে বিএনপি নেতারা, বিশেষ করে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বলছেন আগুন সন্ত্রাস চালাতে। সেগুলোর তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে।
তিনি বলেন, তারা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে। এটি কোনো রাজনীতি না, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না। যারা এ কাজ করছেন, এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে কেবল সরকার না, জনগণও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে তাতে কোনো বাধা কিংবা আপত্তি নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা এতদিন সবকিছু করেছেন। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, জাজেস কমপ্লেক্সে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ও পুলিশ হত্যা করেছে।
মন্ত্রী বলেন, এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের কয়েক লাখ নেতা-কর্মী দেড় কিলোমিটার দূরে ছিলেন। একজনও তাদের সমাবেশের দিকে যাননি।
বিএনপি নিশ্চিহ্ন হওয়ার জন্য আর কাউকে লাগবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে মুসলিম লীগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারেক রহমানই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
পরিবেশ ইস্যুতে তথ্যমন্ত্রী জানান, পৃথিবীতে তাপমাত্রা বেড়েছে, এ বছর আরও বাড়বে। একই সঙ্গে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমরা যেটি দেখতে পাচ্ছি, যেখানে বন্যা হতো না সেখানেও বন্যা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ পরিস্থিতি আমাদের সচেতনতা যে পর্যায়ে থাকার কথা ছিল সেটি হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে না। সেটি যদি হতো তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধতো না, যুদ্ধের জন্য বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ হতো না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে বিভিন্ন দেশের রাজনীতি অস্ত্রবাজদের খপ্পরে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের রাজনীতি যারা অস্ত্রের ব্যবসায়ী তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। সেই অস্ত্র ব্যবসায়ীদের অস্ত্র বিক্রি করার স্বার্থে কিছু-কিছু দেশের, বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ লাগাতে হয়, যাতে অস্ত্র বিক্রি হয়।
এ সময় পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন প্রকাশ এবং জনসচেতনতা তৈরির জন্য আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে জানানোর ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সে কারণে এ ফোরামের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং ফোরাম সে লক্ষ্য সেই নিয়ে কাজ করছে, সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী