নেতা
অপরাধ করায় বিএনপি নেতারা গ্রেপ্তার: আইনমন্ত্রী
অপরাধ করার কারণে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী।
এ নিয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। এ ছাড়া আমাদের সব বিষয়ে তিনি আলাপ করেছেন।
আরও পড়ুন: যা কিছু হবে সংবিধান ও আইনের মধ্যেই হতে হবে: আইনমন্ত্রী
পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে: আইনমন্ত্রী
সিলেটে ‘পুলিশের ধাওয়ায়’ যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় অবরোধ চলাকালে পুলিশের ধাওয়ায় এক যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিএনপির দাবি, পুলিশের গাড়িচাপায় আহত হয়ে পুলিশ হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কনস্টেবলের মিস ফায়ারে ওসি আহত
নিহত জিল্লুর রহমান দিলু গোলাপগঞ্জ উপজেলার ইলাইগঞ্জ গ্রামের মৃত ইলিয়াস মিয়ার ছেলে এবং গোলাপগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
এদিকে, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এক কর্মী নিহতের জেরে বুধবার সিলেটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
হরতালের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, পুলিশ হেফাজতে যুবদল কর্মী জিল্লুর রহমান নিহতের জেরে যুবদল বুধবার সিলেটে হরতাল ডেকেছে। আমরা এতে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছি। এছাড়া হরতালের পাশপাশি বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচিও চলমান থাকবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী জানান, অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার যান গোলাপগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ধাওয়া দেয়। এতে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন দুজন। পরে জিলুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আনা হয়। বেলা দুইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর খবর আসে।
সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ জানান, জিল্লুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর তার মৃত্যুর খবর এসেছে।
জিল্লুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে তাকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, সকালে জিল্লুরসহ কয়েকজন লালাবাজার এলাকায় পিকেটিং করছিলেন। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে দ্রুত পালানোর সময় জিল্লুরের মোটরসাইকেল একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে দুজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিল্লুর মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
সিলেটে ৩ শিবিরকর্মী গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক আবদুল্যা আল নোমানের (প্রকাশ সুমন কারী) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকালে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত টিনের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।
এসময় ঘরটি থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামও জব্দ করা হয়। পুলিশের ধারণা, অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণেই তার মৃত্যু হতে পারে।
আরও পড়ুন: সিলেটে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল্যা আল নোমান পৌর এলাকার বাঞ্চানগর গ্রামের ক্বারী বাড়ির মৃত আমির হোসেন ডিলারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর গ্রামের নিজ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতেন সুমন কারী। শনিবার বিকালে প্রতিবেশীরা ওই ঘরটি ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান। বেড়ার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে প্রতিবেশীরা সুমন কারীকে পড়ে থাকতে দেখেন। অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।
পরে শহর ফাঁড়ি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে এবং সুমন কারীর লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পুলিশ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সুমন কারী আর ঘরে ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
লক্ষ্মীপুর সদর সার্কেল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ওই নেতার লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত মাদক সেবনে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জে ঘরের মেঝে থেকে নারীর লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন
সাভারে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী পরিচয়ে হাসপাতালে মারামারি, আহত ৪
সাভারে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের চারজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে সাভার থানা স্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চতুর্থ তলায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মাদরাসা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন, তার স্ত্রী রূপালী বেগম ও ছেলে শিবলী আহম্মেদ। এ ছাড়াও আহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসেন ব্যাংক কলোনি এলাকার আঁখি নামে এক নারী। তিনি সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পরে এসে আগে সিরিয়াল চাওয়ায় বাধা দেন কয়েক রোগী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রোগীকে মারধর শুরু করেন আঁখি।
আঁখি রোগীকে মারধর করলে বাধা দেন মাদরাসা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আঁখি ছাত্রলীগ নেতা আতিককে ফোন করলে ঘটনাস্থলে আসেন আতিকের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জামানসহ ১০-১৫ জন।
আরও পড়ুন: সাভারে ১৬ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
পরে মোশাররফ হোসেন নিজেকে মাদরাসার শিক্ষক ও ব্যাংক কলোনি মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহর আপন ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে সবাইকে শান্ত হতে বলেন।
এ সময় মোশারফকে মারধর ও হুমকি দিয়ে একজন বলেন, ‘তুই জানিস না, আঁখি আপা আতিক ভাইয়ের কী হয়?’
এই কথা শুনে শিক্ষক মোশাররফ হোসেনের ছেলে শিবলী আহম্মেদ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। তাকে ধাক্কা দিয়ে কিল ঘুষি মারেন নজরুল। এসময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এলোপাথাড়ি শিবলীকে পেটানো শুরু করেন।
চোখের সামনে ছেলেকে মারতে দেখে শিবলীর মা রূপালী বেগম এগিয়ে আসার পর তাকেও সজরে ধাক্কা দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে হাসপাতালের ম্যানেজার আবদুল খালেক এসে শিবলী আহমেদকে উদ্ধার করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
এদিকে এর আগে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ হামলায় দোষীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আঁখি ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাভারের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীকে পেটানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সরকারি খাদ্যগুদামে দুই প্রহরীর মারামারি, নিহত ১
সিলেটে দুই অটোরিকশাচালকের মারামারিতে একজনের মৃত্যু
যশোরে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
যশোরের মনিরামপুরে উদয় শংকর বিশ্বাস (৪২) নামের এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত উদয় শংকর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের মৃত রঞ্জিত বিশ্বাসের ছেলে এবং উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পা পিছলে জাম গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, উদয় মোটরসাইকেলে করে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় পড়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়। সেখানকার চিকিৎসক জানান, উদয়কে গুলি করা হয়েছে, তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। হত্যার কোনো ক্লু উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তাই এ ঘটনায় কাউকে আটক করাও যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু
কালীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিআরআই’র দশম বার্ষিকী: বেইজিংয়ে উদীয়মান দেশগুলোর নেতাদের বৈঠক
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বার্ষিকী উপলক্ষে চীন সরকার আয়োজিত একটি বৈঠকে যোগ দিতে উদীয়মান বাজারের দেশগুলোর নেতারা বেইজিংয়ে আসছেন।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান চীনে পৌঁছানোর পর ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বেইজিংয়ে অবতরণ করেন।
হাঙ্গেরির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এমটিআই জানিয়েছে, রবিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন অরবান।
এই উদ্যোগের আওতায় চীনা কোম্পানিগুলো বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিশ্বজুড়ে বন্দর, সড়ক, রেলপথ, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ চীনের বিআরআই’র আওতায় একটি যুগান্তকারী প্রকল্প: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
কিন্তু চীনের যে বিপুল পরিমাণ উন্নয়ন ঋণ এই প্রকল্পগুলোকে অর্থায়ন করেছে, তা কিছু দরিদ্র দেমের ওপর ভারী ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।
বুধবারের (১৮ অক্টোবর) মূল অনুষ্ঠানে আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য নেতারা বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে যোগ দেবেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে বিআরআই: প্রতিবেদন
বিএনপি নেতা এ্যানির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম এ আদেশ দেন।
ধানমন্ডি থানার নাশকতার মামলায় বুধবার শহীদ উদ্দিন চৌধুরীকে ঢাকার আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: এ্যানিকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ: বিএনপি
এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়। শুনানি নিয়ে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৩ মে ধানমন্ডি সিটি কলেজের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১০-১৫ হাজার নেতা-কর্মী পদযাত্রা শেষে চলে যাচ্ছিলেন।
এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারকে উৎখাত এবং জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধন, গণপরিবহনে ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন।
এসময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা করেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। যাতে পুলিশ কর্মকর্তা ও ফোর্স গুরুতর আহত হন। পরে সরকারি সম্পত্তি, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য আসামিদের ধাওয়া করলে তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্নভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি করে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে বিএনপির সালাম-এ্যানির অন্তবর্তী জামিন
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভী, এ্যানিসহ কারাগারে ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মী
জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে বিএনপি নেতা চাঁদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় জামালপুরে দায়ের করা মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক তানভীর আহমেদ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদ কিশোরগঞ্জ কারাগারে
একই মামলায় জামিনে থাকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ও সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন আদালতে হাজিরা দিলে আদালত তাদের জামিন বহাল রাখেন।
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. ফজলুল হক জানান, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে আদালতে আনা হলে জামিনের জন্য আবেদন করেন তারা। এসময় বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপি নেতা চাঁদের ৩ বছরের কারাদণ্ড
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
৮ বছর আগে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকন রয়েছেন।
দণ্ড প্রাপ্তদের এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। আরেক ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন ও মোজাম্মেল হক।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন। আসামিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় শেষে আব্দুর রাজ্জাককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত অপর ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ দিন মো. শাজাহানের পক্ষে তার আইনজীবী মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করেন। তবে এ দিন আসামি আদালতে উপস্থিত হননি। এ জন্য আদালত তার আবেদনটি নাকচ করেন। হাবিবুর রহমান ও আহসান হাবিবের পক্ষেও সময় আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
জানা যায়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জোটের সমর্থক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরোক্ষ ইন্ধনে ৩০/৪০ জন ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি স্মরণীতে জনসাধারণের চলাচল গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ হত্যা করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ মো. সাজু মিয়া।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পিকে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা : ওসি মিজানের ১০ বছর কারাদণ্ড
কুড়িগ্রামে জামায়াতের ১৯ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম সদর থানা ও উলিপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে সদরের যতিনেরহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মধ্যে জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আইনজীবী ইয়াছিন আলী সরকারও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে রিভলবার ও চাপাতিসহ যুবক গ্রেপ্তার
জেলা জামায়েতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমিরসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার (৮ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম সদরের যতিনেরহাট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে মিছিল শুরুর আগেই দলটির শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আইনজীবী ইয়াছিন আলী সরকারসহ ১৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সদর থানা পুলিশ ৯ নেতা-কর্মী এবং উলিপুর থানা পুলিশ ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান ও উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার: র্যাব