ইউপিডিএফ
নানিয়ারচর-মহালছড়িতে ইউপিডিএফের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর ও খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় ইউপিডিএফের দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফ (প্রসিত) গ্রুপের দুইজন কর্মী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও এক সদস্য।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহালছড়ির সীমান্তবর্তী পক্ষিমুড়া এলাকার দুরছড়ী গ্রামের একটি বাড়িতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহতরা হলেন-, রবি কুমার চাকমা (৬৫) ও শান্ত চাকমা ওরফে বিমল (৫২)। এই সময় রহিন্তু চাকমা ওরফে টিপন (পোষ্ট পরিচালক) গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,তিন ইউপিডিএফ সদস্য রবি কুমার চাকমা,শান্ত চাকমা ওরফে বিমল ও রহিন্তু চাকমা ওরফে টিপন সেখানের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিল। এই সময় প্রতিপক্ষের অর্তকিত হামলায় রবি কুমার চাকমা ও শান্ত চাকমা (বিমল) মারা যায়।
তিনি আরও জানান, আহত রহিন্তু চাকমা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনার জন্য ঠ্যাঙাড়েরা ইউপিডিএফ সদস্যদের উপর গুলি চালালে এতে দু’জন নিহত হয় বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি এই হামলাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক বলে নিন্দা জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছেন। তবে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে।
মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে পুলিশ রওনা দিয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় পুলিশ এখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
সেখান থেকে তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়ির জেলার পানছড়ি থেকে অপহৃত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (প্রসীত গ্রুপ) ৩ সদস্যকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাদের উদ্ধার করে পানছড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়।
সোমবার রাতে পানছড়ি উপজেলার পুজগাংয়ের প্রত্যন্ত অনিলপাড়ায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমাসহ ৪ জনকে হত্যা করে এবং ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন- ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের নিতী দত্ত চাকমা, হরি কমল ত্রিপুরা ও মিলন ত্রিপুরা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল এ অভিযান চালায়।
এক পর্যায়ে অপহৃতদের হাত বাঁধা ও মুখ ঢেকে থাকা অবস্থায় দেখতে পান তারা। উদ্ধার অভিযান শেষে অপহৃত ৩ জনকে পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপহরণকারীরা উদ্ধারকারী দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের কালেক্টর নিহত
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রসীত বিকাশ খীসা পন্থী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ৪ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পানছড়ির ৯নং ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা আরো ২ জনকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
ইউপিডিএফ ঘটনার দাবি করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
খাগড়াছড়ি পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
নিহতরা হলেন- প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরা।
এছাড়াও ইউপিডিএফ নেতা হরি কমল ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমা নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপিডিএফ জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, মঙ্গলবার এলাকায় যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেজন্যই তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে জেলার পানছড়ি উপজেলার পুজগাং এলাকায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলির ঘটনায় ঐ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ
রাঙ্গামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের কালেক্টর নিহত
রাঙ্গামাটিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কালেক্টর নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার মানিকছড়ির সাপছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রূপান্ত চাকমা ওরফে লেজা (৪৭ ) খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের লক্ষ্মী চন্দ্র চাকমার ছেলে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইউপিডিএফ সদস্য রুপান্ত চাকমা ওরফে লেজা চাকমা সাংগঠনিক কাজে যাওয়ার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
ঘটনার পর পরই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মানিকছড়ি দক্ষিণ দিকে চলে যায়।
তবে তারা কোন দলের লোক, তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল আমিন জানান, মানিকছড়ির সাপছড়িতে গোলাগুলির ঘটনার খবর পেয়েছি।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম রওনা দিয়েছেন। তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে এই ঘটনার কথা স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউপিডিএফ।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, যুবক নিহত
চাঁদপুরে অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর মধ্যে হওয়া গোলাগুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি পল্লী খামতং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- লাল ঠাজার বম, সানপিথের থাং বম, ভানলাল দুহ বম ও লাললিয়ান ঙাক বম।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
তিনি বলেন, গত দুই দিন ধরে খামতং পাড়ায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা ওই পাড়াতে কয়েকটি লাশ পড়ে আছে এমন খবর দেয়ার পর, দুপুর একটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, তবে লাশগুলো কোন গ্রুপের তা প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কেএনএফ পরিচালিত ফেইসবুক পোস্টে গোলাগুলিতে তাদের সাতজন সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়েছে
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রতিপক্ষের গুলিতে এক ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত খীসা গ্রুপের সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে দীঘিনালার দুর্গম কার্বারী টিলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ত্রিদিপ চাকমা ওরফে শিমুল (৪০)।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার দুর্গম কার্বারী টিলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ প্রসিত খীসা গ্রুপের ত্রিদীব চাকমা ওরফে শিমুল নামে এক সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত খীসা গ্রুপের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অংগ্য চাকমা দাবি করেছেন, ইউপিডিএফ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট নামক একটি বিচ্ছিন্ন উপদলের সশস্ত্র লোকেরা গুলি চালিয়েছে।
এছাড়া, এই ঘটনার জন্য তারা নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমর চাকমা বলেন, ‘আমাদের কোনো সদস্য এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি
খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়েছে
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও জেএসএস (সন্তু লারমা) গ্রুপের সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সন্তু লারমার নেতৃত্বে জেএসএস হলো সেই গোষ্ঠী যাদের সঙ্গে সরকার ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে সই করেছিল। ইউপিডিএফ চুক্তির 'সন্দেহ' প্রকাশ করে এক বছর পরেই পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের জন্য একটি দাপ্তরিক অবস্থান নিয়ে গঠিত হয়েছিল।
স্থানীয়দের মতে, রবিবার সন্ধ্যায় বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় এবং প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে ব্যাপক উত্তেজনা অব্যাহত থাকে, এতে উভয় পক্ষ প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
গুলির শব্দে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত মাসে একই স্থানে তিনটি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সাজেক অঞ্চলের ইউপিডিএফ সমন্বয়কারী আর্জেন্ট চাকমা জানান, জেএসএসের ৩০ থেকে ৩৫ জন সশস্ত্র ক্যাডার ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর অতর্কিত গুলি ছুড়তে শুরু করলেও ইউপিডিএফ পাল্টা জবাব দিলে পালিয়ে যায়।
একাধিকবার চেষ্টা করেও এ ঘটনায় মন্তব্যের জন্য জেএসএস সন্তু লারমা দলের নেতা ত্রিদীপ চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সাংবাদিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার রাঙ্গিপাড়ায় বুধবার প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ছিনতাই, ২ পুলিশ গুলিবিদ্ধ
নিহত সুবাহু চাকমা ওরফে গিরি (৫৫) উপজেলার বিরাজ মোহন চাকমার ছেলে ও ইউপিডিএফের সহকারী পরিচালক।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন হালদার জানান, সকাল ৯টার দিকে ইউপিডিএফের কয়েকজন সদস্য গিরির ওপর গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
ঘটনা তদন্তে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
রাঙামাটিতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ সদস্য আটক
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার খারিকক্ষ্যং এলাকা থেকে শুক্রবার ভোরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আটক প্রশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা (৫২) ইউপিডিএফের সক্রিয় সদস্য।
নানিয়ারচর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবাইয়াত হুসাইন পিএসসি জানান, শুক্রবার ভোররাতে খারিকক্ষ্যং এলাকার গুইছড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রশান্তকে আটক করা হয়।
এসময় তার কাছে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ওয়াকি-টকি, চারটি নোটবুক ও চাঁদাবাজি রশিদের একটি কপি জব্দ করা হয়।
প্রশান্ত চাঁদাবাজি ও খুনের সঙ্গে জড়িত বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
পরে তাকে রাঙামাটি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, আটক প্রশান্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পড়ুন: কেরানীগঞ্জে অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে অনলাইন জুয়ারি আটক
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ
খাগড়াছড়িতে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চিফ কালেক্টর স্বপন চাকমাকে (৪০) আটক করা হয়েছে।
পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটকের সময় বিদেশি পিস্তল, বুলেট ও ম্যাগাজিন জব্দের দাবি করেছে সেনাবাহিনী।
আটক স্বপন চাকমা খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সাত ভাইয়াপাড়া এলাকার সন্তোষ বিকাশ চাকমার ছেলে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৩০ বীর খাগড়াছড়ি সেনাবাহিনীর টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন রাফিদ-ই-মাওলা সাকিবের নেতৃত্বে পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড বুলেট, একটি ম্যাগাজিন, নেশা জাতীয় ওষুধ ও আদায়কৃত চাঁদার ৩৭৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।ি
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ২০
স্বপন চাকমা ২০১৬ সাল থেকে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন) মূল দলের সঙ্গে জড়িত বলে জানান।
খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, খাগড়াছড়ি জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কোন ধরনের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজের স্থান নেই। এ অঞ্চলের মানুষ যাতে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে সে লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি সদর সেনা জোনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে তিনি পাহাড়কে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধ পরিকর করে মন্তব্য করেন।
অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ মূল দলের চিফ কালেক্টর স্বপন চাকমাকে আটক এর সত্যতা নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি সদর থানার এসআই আবু হানিফ ও মো. সালেহ উদ্দিন জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। আটক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে এএসআই স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী বাবরের ছত্রচ্ছায়ায় পরিচালিত হতো: পুলিশ