বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
সামরিক-অসামরিক প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: সেনাপ্রধান
সামরিক ও অসামরিক প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের প্রচলিত যে দায়িত্বগুলো পালন করে সেগুলো পালনের ক্ষেত্রে অসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি নিজেই এখানে এসেছি এটা ইনডিকেট করে যে আমি এটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা সোনার বাংলা গড়ার যে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগুচ্ছি, সেখানে সামরিক প্রশাসনের সাথে অসামরিক প্রশাসন যদি একসঙ্গে কাজ না করে আমরা কিন্তু অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।
ডিসিদের কাছ থেকে কোন প্রস্তাব এসেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্পেসেফিক প্রস্তাব বলতে সেরকম কোন প্রস্তাব নেই। কিন্তু আমাদের যে সমস্ত সিভিল মিলিটারি রিলেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রগুলো আছে সেগুলো আমরা আলোচনা করেছি। কিছু কিছু প্রস্তাব আছে যেগুলো এখনই বললে প্রিম্যাচুরড হয়ে যাবে। আমরা আরও একটু আলোচনা করে দেখব, তারপর ওটাকে বাস্তবায়ন করা যাবে।'
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পক্ষ থেকে যেকোন কাজ একসঙ্গে করার জন্য একটা পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভালো পরিবেশের জন্য ভালো সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আমি ফোকাস করেছি যেন আমাদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি হয়। যতো কমিউনিকেশন হবে তবে কমিউনিকেশন গ্যাপ কম হবে। কমিউনিকেশন গ্যাপ যতো কম হবে ততো আমাদের কাজ করার সুবিধা হবে। এই কথাটা অন্যান্য বক্তব্যের সাথে এটাও বলেছি।'
নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, 'আমরা যে ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করি তার মধ্যে প্রথম আমাদের দায়িত্ব হলো দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার পাশাপাশি ইন এইড সিভিল পাওয়ার আমরা নেশন বিল্ডিং একটিভিটিজ করি। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট করি। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা ল' ইনফোরমেন্টের সহায়তা করি। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামেও একটা বিশেষ ধরনের দায়িত্ব পালন করছি। আমরা এফডিএমএন ক্যাম্পে কক্সবাজারে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের কনস্টিটিউশনের মধ্যে থেকেই আমরা বিদেশেও দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বড় সংখ্যক সেনাবাহিনী কাজ করে। দেশের জন্য অনেক বিদেশি মুদ্রা নিয়ে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বে এক নাম্বর শান্তিরক্ষা প্রেরণকারী দেশ হিসাবে জাতিসংঘে স্বীকৃত হয়েছি। এ সমস্ত কর্মকাণাড করার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি অসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেনাপ্রধান বলেন, অসামরিক প্রশাসন যখনই মনে করবে যে সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবে আমরা তখনই তাদের ডাকে সাড়া দেবো এবং অবশ্যই তাদের পাশে বসে আমাদের দায়িত্ব পালন করব।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো দূরত্ব থাকবে না: সেনাপ্রধান
ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ২৪ দফা নির্দেশনা
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (০৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা কীভাবে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশ সঠিকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয়ে কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের দক্ষতা বিকাশের জন্য তরুণদের প্রশিক্ষণে সহায়তা দিতে পারে এমন সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
ফারুক হাসান পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি এবং করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অভূতপূর্ব বাধা মোকাবিলা করে কীভাবে শিল্পটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে সে সম্পর্কে সেনাপ্রধানকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: ন্যায্য মূল্য ছাড়া ক্রয়াদেশ না নেয়ার আহ্বান বিজিএমইএ’র
বিজিএমইএ নেতারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে, বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, মেগাপ্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হতে পারে।
সেনাপ্রধান এসময় পোশাক খাত যেভাবে করোনার মধ্যে অভূতপূর্ব প্রভাব মোকাবিলা করেছে এবং পুনরুদ্ধার করেছে তার প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও এমন পরিস্থিতির মধ্যে শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে শ্রমিক ও উদ্যোক্তা উভয়ের সহনশীলতা ও অদম্য মনোভাবের কথা উল্লেখ করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মো.নাসির উদ্দিন ও পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব।
আরও পড়ুন: কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
আল-জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’শিরোনামে প্রচারিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে অসংখ্য ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে এবং এর ফলে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সোমবার একটি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বাংলাদেশে আল জাজিরা নিষিদ্ধের দাবি বিএফইউজে’র
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার ধারাবাহিক ‘হলুদ সাংবাদিকতার’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশে চ্যানেলটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।
আল জাজিরার প্রতিবেদন: তীব্র প্রতিবাদ জানাল সেনাবাহিনী
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বলেছে, এটা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে ফাটল ধরানোর পদক্ষেপ।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের নেতৃত্বে বাংলাদেশি কন্টিনজেন্ট
ভারতের জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লির মূলকেন্দ্র রাজপথে মঙ্গলবার দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশি তিন বাহিনীর কন্টিনজেন্ট।
দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যারাথন শুরু রবিবার
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে।
সিনহার হত্যা দুই বাহিনীতে কোনো প্রভাব ফেলবে না
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা অফিসার খুনের ঘটনায় একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করে এতে পুলিশ ও সেনা বাহিনীতে কোনো ধরণের বিরূপ প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন দুই বাহিনীর প্রধান।
কোভিড-১৯: হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হলো পবিপ্রবি উপাচার্য ও তার স্ত্রীকে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী কনিকা মাহফুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শান্তিরক্ষীদের বহন করল বাংলাদেশ বিমান
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বহন করতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট চার্টার্ড করেছে জাতিসংঘ।