করোনাভাইরাস
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ২২৬ রোগী হাসপাতালে
দেশে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২৬ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ২১১ ঢাকায় এবং বাকিরা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগের বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৯১৫ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৮৫২ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৯৭৯ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তারা মাঠে থাকবে: মেয়র আতিক
তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন: মেয়র আতিক
খুলনায় ফের যুবককে একসাথে ২ ডোজ টিকা প্রদান
খুলনায় এক যুবককে এক সঙ্গে দুই ডোজ করোনা টিকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এক সপ্তাহে দুজনের শরীরে এক সঙ্গে দুই ডোজ টিকা দেয়ার ঘটনা ঘটলো।
মো. রোকনুজ্জামান (৩৬) নামে ওই যুবক খুলনার কয়রা উপজেলা শ্রীফলতলা গ্রামের বোনাই মোড়লের ছেলে। বর্তমানে বসবাস করেছেন মহানগরীর দক্ষিণ টুটপাড়ায়।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল টিকা কেন্দ্রে রোকনুজ্জামানকে বাম হাতে দুই ডোজ করোনা টিকা দেন নার্স।
রোকনুজ্জামান বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমি টিকা দিতে ঢুকে চেয়ারে বসি। এক নার্স এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন আমার হাই পেসার আছে কিনা। আমি বলি না। তিনি আমাকে টিকা দিয়ে কাগজটা দেন। আমি বসেছিলাম। ১ মিনিটও হয়নি। এর মধ্যে অন্য একজন নার্স এসে আমাকে আবার টিকা দিয়ে দেন। এ সময় আমার পাশে থাকা একজন বলেন ওনাকে কেন টিকা দিলেন? ওনাকে তো টিকা দেয়া হয়ে গেছে। আমি তখন বলি আমাকে টিকা দিয়েছে আবার দিলেন কেন? আপনি আমার কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন? তখন সেই নার্স কোন উত্তর দিতে পারেন নি। আমি তো একজন সচেতন লোক আমি একটা টিকা দিতে এসেছি। কেন দুইটা টিকা দিবো? এতে আমার কি লাভ?
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ২৩ হাজার ছাড়াল
তিনি অভিযোগ করেন বলেন, ভুল করে দুই ডোজ টিকা দেয়ার পর আমি যখন জানতে চাই কেন দেয়া হলো তখন নার্সরা আমাকে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। বর্তমানে আমি টিকা কেন্দ্রের পাশের ৬ নং বেডে আছি। শরীর বেশ দুর্বল লাগছে।
খুলনা সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, আমরা তো টিকা দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত কোন ভুল হয়নি। হাজার হাজার মানুষকে টিকা দিচ্ছি। একটা ভুল হলে হতে পারে। হাসপাতাল থেকে কেউ এখনো বিষয়টি জানায়নি। আমি খোঁজ নিচ্ছি।
এর আগে শনিবার (৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনায় জহুরা বেগম (৭৩) নামে এক বৃদ্ধাকে দু’বার করোনা টিকা দেয়ার অভিযোগ উঠে। হাফিজুর রহমান ঈদগাহ ময়দান টিকাদান কেন্দ্রে তাকে দু’বার টিকা দেওয়া হয়।
জহুরা মহানগরের সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা কেসিসি স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা ও মরহুম মুনসুর খাঁর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনা রোগীর জন্য হেল্প ডেস্ক চালু করল মোমেন ফাউন্ডেশন
খুলনা বিভাগে করোনা আক্রান্ত লাখ ছাড়াল
গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ণে ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সাপ্তাহিক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং একনেকের অন্য সদস্যরা এনইসি ভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।
সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘আজকের সভায় মোট ১০টি প্রকল্প প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে নয়টি নতুন এবং বাকি একটি সংশোধিত প্রকল্প।
এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩৭ কোটি ৯ লাখ টাকা ও বৈদেশিক ঋণ ১ হাজার ৮৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
ব্যয়ের দিক দিয়ে তিনটি বড় প্রকল্প হলো গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। জামালপুরে মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ পানি সরবরাহসহ ৫ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো ‘পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প- ৩য় পর্যায়’ প্রকল্পর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কুড়িগ্রামের ‘দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ৬৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ‘বাগেরহাট-রামপাল-মংলা জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নয়ন’ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-ব্রিজিং (অতিরিক্ত অর্থায়ন, এলজিইডি অংশ)’ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ‘জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলী ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতু প্রতিস্থাপন প্রকল্প (রংপুর জোন)’ বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৮৬১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এছাড়া ‘উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনের মাধ্যমে ব্যয় বেড়ে হচ্ছে ১৫৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৯৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি মেয়াদ বেড়ে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একনেকে আরও ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়নে মন্ত্রিসভায় নীতিমালা অনুমোদন
রামেকের করোনা ইউনিটে ২১ মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনায় পাঁচ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন মারা গেছেন। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
আরও পড়ুন: আক্রান্ত ও উপসর্গে বরিশাল বিভাগে ১৭ মৃত্যু
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও নয়জন নারী।
তাদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে একজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে তিন জন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৩ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৪ জন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কোভিড ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৩৮০ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ২০ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৮ মৃত্যু, আক্রান্ত ১৭১
কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ১৯৭ জন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১১৫ জন ভর্তি রয়েছেন। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলাতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন।
আক্রান্ত ও উপসর্গে বরিশাল বিভাগে ১৭ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ১০ ও উপসর্গ নিয়ে ৭ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে আবার সাত জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৮ মৃত্যু, আক্রান্ত ১৭১
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করে ৬৬৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বরিশালে শনাক্তের সংখ্যা ৩০৫, পটুয়াখালীতে ৯১, ভোলায় ৯২, পিরোজপুরে ৯৯, বরগুনায় ৫৮ ও ঝালকাঠির ২৪ জন রয়েছেন।
বরিশাল বিভাগে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৩৫৩ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত ১৬ হাজার ছাড়াল, আরও ৯ মৃত্যু
এদিকে শেবাচিমের ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২১৫ জন ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে ৬৯ জনের করোনা পজিটিভ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ৪৩ লাখ ছাড়াল
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩ লাখ ২ হাজার ৪৯৩ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৪৪ কোটি ৭১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২০ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৪৭ হাজার ৯১৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৩১৮ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় প্রাণ গেলো আরও ২৪৫ জনের, শনাক্ত ১১,৪৬৩
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৪ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩০৯ জনে।
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬২ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৫৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত ১৬ হাজার ছাড়াল, আরও ৯ মৃত্যু
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ৪৬৩ জনের।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৮৯৭ জনে। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৮ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুঃ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১০ আক্রান্ত (unb.com.bd)
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার ২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৪.৭২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৪১২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৯ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮৯. ৩৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৮৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রামে ৭১ জন, রংপুরে ১৯ জন, বরিশালে ৬ জন, সিলেটে ১৮ জন, রাজশাহীতে ১০ জন এবং ময়মনসিংহে ১৩ জন মারা গেছেন।
করোনা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৮ মৃত্যু, আক্রান্ত ১৭১
সীমান্তবর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্ছ আট জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১৭১ জন।
আরও পড়ুন:করোনা মোকাবিলা: বাংলাদেশকে আরও ১১.৪ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
এ নিয়ে জেলায় করোনা ও উপসর্গে ১৩৭ জন মারা গেছে। নতুন শনাক্তদের নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ হাজার ৬৩৮ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সুস্থ হয়েছে ১৫২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ৩৩৭ জন।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনা শনাক্ত ৫৯১, মৃত্যু ৭
সিভিল সার্জন মো. একরাম উল্লাহ জানান, করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের পাশাপাশি সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে যারা কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশনে রয়েছেন তারা যাতে সে বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালন করেন সে বিষয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত ১৬ হাজার ছাড়াল, আরও ৯ মৃত্যু
কুষ্টিয়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০২ শতাংশ। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১৬ হাজার ১১৫ জন।
একই সময় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে আট জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরো এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১৫ জন।
আরও পড়ুন: সিলেটে একদিনে আরও ১৭ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০২
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৯৯ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৫৮ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৪১ জন।
কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৭২ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১৬ হাজার ১১৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৪ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬৪০ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে করোনা ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের ‘অক্সিজেন বন্ধু রুহুল’
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২৩৯ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৮১২ জন।
১১ আগস্ট থেকে হাইকোর্টের ৫৩ বেঞ্চে ভার্চুয়াল কার্যক্রম শুরু
আগামী ১১ আগস্ট বুধবার থেকে হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এসব বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়ালি বিচার কাজ পরিচালিত হবে। এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষরে সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে আগামী ১১ আগস্ট (বুধবার) হতে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০’ এবং এই সংক্রান্ত জারি করা প্র্যাকটিস নির্দেশনা অনুসরণ করে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকা নিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত চায় হাইকোর্ট
এরআগে গত ৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুসারে সোমবার পর্যন্ত ১২টি বেঞ্চে বিচার কাজ পরিচালিত হয়। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত এসব বেঞ্চে বিচার কাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ৮ আগস্ট রবিবার বিকেলে সরকার ১১ আগস্ট থেকে প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে আদেশ জারি করেছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চ(৫৩টি) খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গতবছর ২৫ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম চালু হয়। ভার্চুয়ালি আদালত কার্যক্রম চালুর শুরুর দিকে ৩৫ থেকে ৩৬টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। আর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে গেলে পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৫২ থেকে ৫৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। এসময় অর্ধেকের বেশি হাইকোর্ট বেঞ্চ ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ৪টি বেঞ্চ দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কাজ শুরু হয়। যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬টি করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করায় হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।
গত ৫ আগষ্ট পর্যন্ত মাত্র তিনটি বেঞ্চ চালু ছিল। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করায় এবং সুপ্রিম কোর্টের সকল বিচারপতি করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করায় এবং কর্মকর্তা-কমর্চারিরা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করার প্রেক্ষাপটে ফুলকোর্ট সভায় ১২টি বেঞ্চ চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
চাঁদপুরে করোনা ও উপসর্গে আরও ৭ মৃত্যু
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় একজন ও উপসর্গে ছয় জন মারা গেছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. মো. সুজাউদ্দৌলা রুবেল এ ত্যথ নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে ১৫ মৃত্যু
মৃতরা হলেন- আ. সাত্তার (৬৫), সেলিনা বেগম (৪৫), মমতাজ বেগম (৮০), হাজি ফজলুল হক (৫৮), আ. সালাম, (৫৭), নজরুল ইসলাম (৫২), চান মিয়া (৮০) মারা গেছেন।
এছাড়া ৬০২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে চাঁদপুর জেলার ৭৪ জন।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলা: বাংলাদেশকে আরও ১১.৪ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডা. এম সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, রবিবার পর্যন্ত করোনা ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর হার চাঁদপুরে সবচেয়ে বেশি।