খাবার
রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলের খাবার মানসম্মত না হলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের চুক্তি অনুযায়ী মানসম্মত খাবার প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী দাম বাড়ানো হয়েছে খাবারের।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ক্যাটারিং সার্ভিসের সেবার মান এবং সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যাত্রীদের ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ- ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানগুলো বাসি রুটি ও গন্ধযুক্ত খাবার দিচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, যারা ক্যাটারিং পরিচালনা করেন তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। খাবারের মান ভালো করতে হবে। মান খারাপ হলে বদনাম ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের হয় না। দুর্নাম হয় রেল কর্তৃপক্ষের, রেলমন্ত্রীর।
খাবারের মান স্বাস্থ্যসম্মত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়মিত মনিটরিং করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, কর্মকর্তারা যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে খাবার মানসম্মত হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি পাবে এবং একই সঙ্গে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে। ট্রেনে হকারদের উৎপাত বন্ধ করতে হবে, হকারদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, ট্রেনে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাড়াতে হবে। যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেন অপরিষ্কার এবং অনেক সময় বাথরুম ব্যবহার অযোগ্য অবস্থায় থাকে, যা মেনে নেওয়া যায় না।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধিতে পরিদর্শন বাড়ানোসহ নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মনিটরিং করার নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, রেলে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের হাওয়া খেলে চলবে না, কাজ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
আর দায়িত্বে অবহেলার কারণে বদনাম হয় মন্ত্রীর এবং প্রধানমন্ত্রীকেও সে বদনামের ভাগীদার হতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর বদনাম হয় এমন কাজ সহ্য করা হবে না।
সকলকে দায়িত্বের প্রতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল-অবরোধে রেলে আক্রমণ বেড়েছে: রেলমন্ত্রী
ধান-গমের বিকল্প খাবার হতে পারে কাসাভা
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই সময়ে মানব জাতিসহ গৃহপালিত প্রাণির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে বৈরি আবহাওয়ায় ধান ও গমের উৎপাদন কমছে। অপরদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। এমন অবস্থায় ধান, গম, চালের উপর নির্ভরতা কমাতে পারে কাসাভা। বাংলাদেশে কাসাভা সাধারণত শিমুল আলু নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ২ বানর
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ ও বিজ্ঞান বিভাগের সম্মেলনকক্ষে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কৃষি অনুষদের ফসল উদ্ভিদ ও বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির কাসাভার বিভিন্ন গুনাগুণ, ব্যবহার ও কাসাভা চাষের সম্ভাবনা ও প্রতিকূলতা সম্পর্কে তার গবেষণালব্ধ তথ্য উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।
সম্মেলনে গবেষক ছোলায়মান আলী ফকির জানান, কাসাভা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শর্করা জাতীয় খাদ্য এবং প্রায় ৮০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য।
তিনি আরও জানান, এটি শর্করা, আমিষ, চর্বি, আঁশ, খনিজ দ্রব্য, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, লৌহ ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি উচ্চ তাপমাত্রা ও কম উর্বর মাটিতেও জন্মাতে সক্ষম। সিদ্ধ করে, পুড়িয়ে এমনকি গোল আলুর মতো অন্যান্য তরকারির সঙ্গেও রান্না করে কাসাভা আলু খাওয়া যায়।
তিনি জানান, কাসাভা আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি, পরোটা, কেক, পিঠা তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। আমেরিকার দেশ হাইতি, মেক্সিকান রিপাবলিক, পেরাগুয়ে, পেরু, আফ্রিকা তানজানিয়া, কেনিয়া, জাম্ববিয়া, ঘানা, নাইজেরিয়া ও এশিয়ার ভিয়েতনাম, ভারতের কেরালা ও তামিলনাড়ু রাজ্যে, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে এই আলু স্যুপ, চিপস, ট্যাপিওকা (সাগুসদৃশ খাবার), পুডিং ইত্যাদি হিসেবে খাওয়া হয়।
এছাড়া কাসাভার পাতায় ডিমের মতো পুষ্টিগুণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
ছোলায়মান আলী ফকির জানান, দেশের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে এই পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। তাছাড়া এ পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের পর উদ্ভাবিত পিলেট ও আটা গরু, ছাগল, মহিষ, মাছ ও পোল্ট্রিকে খাবার হিসেবে দেওয়া যায়। তবে কাসাভা গাছের সর্বত্র বিষাক্ত সায়ানোজেনিক গ্লুকোসাইড থাকে। তাই বিষাক্ত কিছু জাতের কাসাভার ডগা ও পাতা খেয়ে গরু-ছাগল মারা যেতে পারে। তবে সিদ্ধ বা প্রক্রিয়াজাত করলে এই বিষক্রিয়া আর থাকে না।
নওগাঁয় পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নওগাঁর ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে জেলার ৪টি উপজেলার ৭টি পয়েন্ট ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট।
এলাকাবাসীর থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার রানীনগর, আত্রাই, মান্দা ও মহাদেবপুর উপজেলার বেড়িবাঁধের ৭টি পয়েন্ট এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি অংশ ভেঙে বন্যার পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সতর্ক করতে মাইকিং
তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা জমির আউশ ও আমন ধান খেত। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। এছাড়া রানীনগর-আত্রাই সড়কের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে দুইদিন থেকে সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
পানিবন্দি এসব মানুষদের মাঝে সরকারি সহযোগিতায় চাল, ডালসহ শুকনা খাবার বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
বৃহষ্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার বন্য কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহৃত থাকায় ভেঙে যাওয়া বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে হু হু করে পানি ঢুকছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় এখনো ৭০০০ পরিবার পানিবন্দি
ডিবি অফিসে খাবার খাওয়ার ব্যাখা দিলেন গয়েশ্বর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শনিবার আটকের সময় পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
রবিবার (৩০ জুলাই) নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ডিবি কার্যালয়ে তার দুপুরের খাবারের ভিডিও ও ছবি জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়া একটি নিম্ন রুচির পরিচায়ক এবং একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য কাজ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও জানান, সোনারগাঁও হোটেল থেকে ডিবি অফিসের আনা খাবার খান নি তিনি; তার পরিবর্তে ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদের বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার খান তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যারা এটা করেছে (ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে) তারা তাদের নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছে। এটি এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক এবং আমি জানি না কে এর স্ক্রিপ্ট লিখেছেন।’
আরও পড়ুন: আটকের পর ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের ভোজ
শনিবার ডিবি অফিসের প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে গয়েশ্বর দুপুরের খাবার খাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধোলাইখাল থেকে ওই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, রক্তচাপ কমে যাওয়ায় ডিবি কর্মকর্তারা তাকে খেতে অনুরোধ করেন।
প্রবীণ এই নেতা বলেন, ‘তারা বলল, স্যার আপনি সারাদিন কিছু খাননি। আমরা শুনেছি আপনি পানিও পান করেননি। আপনাকে স্যালাইন দিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হবে। কিছু না খেয়ে স্যালাইন নেবেন? আমাদের যা আছে তা একটু খান। আমরা আপনাকে না খাইয়ে রাখতে পারি না। কারণ আমরা আপনাকে গ্রেপ্তার না করলেও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাইনিং রুমে ঢুকে দেখলাম খাবারের বিশাল আয়োজন…আমি বললাম সোনারগাঁও বা অন্য কোন হোটেলের খাবার আমি খাই না। আমি ৯০ভাগ নিরামিষাশী এবং আমি এক বা দুটি আইটেমের বেশি খাই না। আমি দেখেছি যে তারা ছবি তুলছে এবং আমি তাদের বলেছিলাম যে খাবারের সময় ছবি তোলা কোনও ভদ্রলোকের কাজ নয়।’
পরে তিনি বলেন, ডিবি প্রধান তার (হারুনের) বাড়ি থেকে আনা খাবার নিয়ে আসতে বলেছেন তার কর্মীদের।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ক্রমান্বয়ে দেশ ছাড়ছে: গয়েশ্বর
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (হারুন) টিফিন ক্যারিয়ার থেকে আমাকে দুই চামচ সাদা ভাত দিয়েছিলেন। আমি তাকে শুধু তার সবজি দিতে বললাম। তারপর তিনি বললেন, স্যার এক টুকরো রুই মাছ নিন, এটা কিশোরগঞ্জ থেকে আনা হয়েছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, এর আগেও অনেকবার ডিবি অফিসে গিয়েয়েন তিনি। সেসময় আশেপাশের হোটেল থেকে খাবার দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করা হত। কিন্তু সোনারগাঁ থেকে এবার খাবার কেনার তহবিল দিল কে? তাদের কি এটা করার নিয়ম আছে? যাদের তারা হেফাজতে নেয় তারা কি তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করে? তাই বোঝা যায়, তারা লোক দেখানো নাটক মঞ্চস্থ করেছে। এটি একটি নিম্ন রুচির পরিচয়। বাংলাদেশের মানুষ এতটা বোকা নয় যে সাজানো ছবি ও ভিডিও দেখে বিপথগামী হবে।
গয়েশ্বর বলেন, গয়েশ্বর রায়ের মাথা কেনার মতো এত টাকা রাষ্ট্রের নেই। ‘রাষ্ট্রের ক্ষমতা আছে আমাকে এক গুলিতে মেরে ফেলার এবং ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো আমাকে গুম করার ক্ষমতা আছে... কিন্তু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো একজনকে কেনার ক্ষমতা সরকারের নেই।’
রাজধানীর ধোলাইখালে দলটির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গয়েশ্বরকে পিটিয়ে আহত করে।
পরে মাথা কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আটক করে প্রথমে ওয়ারী থানায় ও পরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন। তারপরে তাকে তার কার্যালয়ের সামনে নামিয়ে দেওয়া হয়।
তার ওপর হামলার বর্ণনা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ধোলাইখালে রাজধানীর প্রবেশপথে তাদের দলের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে জড়ো হলে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে, যার ফলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘আপনারা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছেন যে কীভাবে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছিল... তারা আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই এবং তারপরও তারা আমাকে মারধর করে। দেখে মনে হচ্ছে তারা একটি সাপকে মারছে।’
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে তার কার্যালয়ে গয়েশ্বরকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
খাবার-ফল নিয়ে আমানকে দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান (লিকু) জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে দেখতে যান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপি নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো দুপুরের খাবার, বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি ফল ও জুস, একটি বুকেট তুলে দেন এপিএস-২।
গাজী হাফিজুর রহমান আমানউল্লাহ আমানকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্য এসব খাবার, ফল ও জুস পাঠিয়েছেন এবং আপনার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর জানতে চেয়েছেন। তিনি আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।’
লিকু আরও বলেন, চিকিৎসার জন্য দেশের ভেতরে অন্য যেকোনো হাসপাতালে আমানউল্লাহ আমান যেতে চাইলে তারও সুব্যবস্থা করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমানউল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর এসব উপহার গ্রহণ করেন এবং মানবতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করুন: প্রধানমন্ত্রী
বিচার বিভাগকে স্মার্ট করতে পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
চিপসের পরিবর্তে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার
ব্যস্ত লাইফস্টাইল, কাজের চাপ এবং মানসিকতার পরিবর্তনের কারণে প্রায়ই আমরা এমন কাজ করি, যা আমাদের শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অফিসে কাজের ফাঁকে বা টিভি দেখতে দেখতে আমরা হালকা কিছু খাবার খেয়ে থাকি। যেগুলো খেলে পেট খুব বেশি না ভরে উঠলেও, শরীরে অস্বাস্থ্যকর পদার্থের পুরু স্তর জমে। আমাদের স্বল্প সময়ের ক্ষুধা মেটানোর জন্য বেশিরভাগই আমরা ভাজা চিপস ও চর্বিযুক্ত বিভিন্ন খাবার বেছে নিই।
এগুলোর বিকল্প হিসেবে আমরা যদি এমন খাবার বেছে নেই যেগুলো সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর; এর চেয়ে ভাল আর কিছুই হতে পারে না।
আসুন বিকল্প কিছু স্ন্যাক্সের কথা জানা যাক, যেগুলো আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে কাজে লাগতে পারে।
পপকর্ন
সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যকর এমন খাবারের মধ্যে পপকর্ন সেরা বিকল্পগুলোর একটি। এটি আলুর চিপসের মতোই তৃপ্তিদায়ক ও মুড়মুড়ে। তবে এতে আলুর চিপসের তুলনায় অর্ধেক ক্যালোরি এবং অনেক কম চর্বি রয়েছে।
এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এমন পপকর্ন খেতে হবে যা বেশি তেল বা মাখনে ভাজা হয়নি এবং মুখরোচক বিভিন্ন মশলার বদলে যাতে শুধুমাত্র হালকা লবণ থাকবে।
আরও পড়ুন: গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ৬ খাবার
চট্টগ্রামে খাবারের খোঁজে ৩ তলা ভবনে গন্ধগোকুল!
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর একটি তিনতলা ভবনে খাবারের খোঁজে এসে আটকা পড়ে বিপন্ন প্রাণী গন্ধগোকুল।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর সদরের মীর পাড়ার নিগার সীমা তুলির বাসায় আটকা পড়ে গন্ধগোকুলটি।
নিগার সীমা বলেন, 'প্রাণীটি গত এক সপ্তাহ ধরে ভবনের কার্নিশ বেয়ে বাসায় ঢুকে খাবার চুরি করছিল। বিষয়টি টের পেলেও তাকে আমরা খাবার দিতাম। খাবার বলতে বিস্কুট, মুরগির মাংস- এইসব। তবে শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাসায় প্রবেশ করে সে আর বের হতে পারেনি। পরে এটিকে খাঁচায় বন্দি করে বন বিভাগের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা রবিবার এসে প্রাণীটি নিয়ে যাবে জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাণীটি থেকে এক ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে। প্রাণীটির নিরাপত্তার কথা ভেবে লোকালয়ে আপাতত ছাড়ছি না। বন বিভাগের লোকের হাতেই তুলে দেব।
বোয়ালখালী বন বিভাগের কর্মকর্তা আজম খান বলেন, শনিবার একটি বাসায় খাবারে সন্ধানে গন্ধগোকুলটি ধরা পড়েছে এমন খবর পেয়েছি। রবিবার এটি উদ্ধার করে বনে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার
বিশ্বনাথে বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
এক টাকার রেস্টুরেন্ট!
এক টাকায় পেটপুরে খাওয়ার কথা আমরা কি ভাবতে পারি? তবে এখন থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বদৌলতে দারিদ্র্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ চাইলেই এক টাকায় পেটপুরে খেতে পারবেন। এ ফাউন্ডেশন উদ্যোগে এবার এই জেলায় চালু হলো এক টাকার রেস্টুরেন্ট।
এক টাকায় শহরের রেস্টুরেন্টের খাবার পেয়ে খুশি হতদরিদ্র মানুষেরা।
দেশের প্রেক্ষাপটে বাজারে এক টাকা এখন নেহাত মূল্যহীন। প্রায় বিলুপ্তির পথে এক টাকার নোট। দোকানিরা এর চাহিদা সারেন চকলেট দিয়েই। কিন্তু এক টাকায় রেস্টুরেন্টের খাবার অবিশ্বাস্য।
সত্যি এমন ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
জেলার সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চরসুভারকুঠি গ্রামে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্থায়ীভাবে বিশেষ একটি রেস্টুরেন্ট চালু হয়েছে।
এক টাকার এই রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাচ্ছে বিরিয়ানি, পোলাও, ভাত, মাছ, মাংস, ডিমসহ বারো পদের খাবার।
যা ক্ষুধার্ত মানুষেরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ইচ্ছামতো তাদের পছন্দের খাবার খেতে পারছেন। মনোরম ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসে তৃপ্তি সহকারে পছন্দের খাবার খেতে পেরে খুশি সুবিধাভোগীরা। দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতির বাজারে সমাজে এমন অনেক অসহায়, দরিদ্র এবং গৃহহীন মানুষ তিনবেলা খাওয়া কষ্টকর।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় এক টাকায় ঈদ বাজার
রাজশাহীতে অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে ২০ মাদরাসা শিক্ষার্থী হাসপাতালে
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাদরাসার ২০ শিক্ষার্থী।
পৌরসভার কেল্লা বারুইপাড়া এলাকার মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসার অসুস্থ ওই শিশু শিক্ষার্থীদের বুধবার বিকালে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাদের বয়স ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রলির ধাক্কায় মাদরাসাছাত্র নিহত
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ ফারুক জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ জন গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুপুরে তারা মুরগীর গোসত, শাক, ডাল ও ভাত খেয়েছে। কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। আপাতত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কারও অবস্থা গুরুতর নয়।
এদিকে এদের কয়েকজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসাপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসার সুপার মুজিবুর রহমান বলেন, খাইরুল ইসলাম নামে একজনের বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আর কোন খাবার খাইনি।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ ছাত্রীদের চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, খাবারে বিষক্রিয়ার হওয়ায় ছাত্রীদের বমি ও পেটের পিড়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অপহৃত মাদরাসাছাত্র উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানরের ছুটাছুটি
কুড়িগ্রাম পৌরশহরে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে দু’টি বানর। এতে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
মঙ্গলবার সকালে শহরের থানা পাড়া এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা গেছে,কুড়িগ্রাম পৌরশহরের জলিল বিড়ি মোড়,পুরাতন থানা পাড়া, সাদ্দির মোড়,কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ও গাছের ডালে খাবারের জন্য বানর দু’টি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কুড়িগ্রাম শহর থেকে ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত এলাকার দুরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: মাছের আঁশ: রপ্তানি বৈচিত্র্যে আশা জাগানো নতুন পণ্য
কুড়িগ্রাম বনবিভাগ জানান,এসব বানর সীমান্ত এলাকা ভারত থেকে আসতে পারে। ক্ষুধার্ত বানরগুলো খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে। পরে বানরদের সুবিধামত জায়গায় নেমে খাবারের সন্ধান করে। প্রতিনিয়তই লোকালয়ে এমন অভুক্ত বানর দেখা যায়। বাড়ির ছাদে উঠলে লোকজন খাবারও দিচ্ছে। অনেকের মাঝে আবার ভীতিও বিরাজ করছে।
পুরাতন থানা পাড়ার বাসিন্দা বিপ্লব বলেন,সকাল ৮টার দিক আমার বাড়ির সামনে বানরগুলোকে দেখতে পাই, এসময় আমরা কলা,আপেল,বাদাম এসব খাবার দিয়েছি। চালের ওপর থেকে খাবারগুলো নিয়ে তারা খাচ্ছে।'
আরেক বাসিন্দা অর্পনা সরকার বলেন,'গত দু’দিন ধরে বানর দেখা যাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত কাউকে আঘাত করেনি। খাবার না পেয়ে হয়তো বন থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে।'
কুড়িগ্রাম বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম বলেন,হয়তো বানরগুলো দল ছুট হয়ে ভারত থেকে ভুরুঙ্গামারীর সীমান্ত দিয়ে চলে এসেছে। তারা এরকম খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসে। তাদের খাবার কিংবা ঢিল দিয়ে বিরক্ত করা যাবেনা। তারা এমনিতেই আবার বনে চলে যাবে। বানরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
ফেনীর অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর ধরে বাক্সবন্দী