কেরানীগঞ্জ
কেরানীগঞ্জে টিসিবির পণ্য দোকানে বিক্রি, আটক ২
ঢাকার কেরানীগঞ্জে টিসিবির পণ্য কার্ডধারীদের কাছে না দিয়ে দোকানে বিক্রি করার অপরাধে বুধবার রাতে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৭০ লিটার সয়াবিন তেল, ৩০০ কেজি মসুর ডাল, ৩০০ কেজি ছোলা বুট ও ৩০০ কেজি চিনি জব্দ করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাস্তা ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার নেওয়াজ আলী পালিয়ে যান।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুল কাইয়ুম ও আশ্রাফ আলী
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবি ডিলারের ৬ মাসের কারাদণ্ড
বাস্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশকর আলী জানান, মঙ্গলবার বাস্তা ইউনিয়নের দুটি ডিলারের মাধ্যমে তিনশত কার্ডদারীদের জন্য দুই লিটার তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, চিনি ও ছোলা বুট দেয়ার কথা থাকলেও টিসিবির ডিলার নেওয়াজ আলী মালামাল রোহিতপুর বাজার এলাকায় নিয়ে গভীর রাতে বিক্রি করে দেয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালাম মিয়া জানান, রমজান মাসে মানুষ যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পায় এজন্য প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকি দিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন৷ আর এ ধরনের কিছু অসাধু লোক কারসাজি করে বাজারে বিক্রি করছে।
আরও পড়ুন: টিসিবির পণ্য: সাতক্ষীরায় পঁচা পেঁয়াজ না নিলে দেয়া হচ্ছে না তেল, চিনি
তিনি জানান, আটক দুই ব্যক্তিকে থানা হাজতে নেয়া হয়েছে। পলাতক ডিলার নেওয়াজ আলীকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপার বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
কেরানীগঞ্জ গ্যাস পাইপ বিস্ফোরণে যুবক দগ্ধ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি বাণিজ্যিক ভবনের গ্যাস পাইপ বিস্ফোরণে এক যুবক দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার রাতে কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দগ্ধ শুকুর ব্যাপারী (২৭) শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানা এলাকার মোস্তফা ব্যাপারীর ছেলে। তিনি কালিগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
আরও পড়ুন: ভগ্নিপতির দেয়া আগুনে ভাই-বোন দগ্ধ: বোনের মৃত্যু
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার রাতে কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনের গ্যাস পাইপে থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় এক যুবক দগ্ধ হয়। আহতকে ঢাকার শেখ হাসিনা বর্ন ইউনিট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্যাস পাইপির গ্যাস সংযোজক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গোডাউনে আগুন, দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধ শুকুরের শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা গুরুতর।
কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জের আলিপুর ব্রীজ সংলগ্ন কদমতলীর এলাকা থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালাম মিয়া জানান, সকাল ১০ টায় স্থানীয় লোকজন বস্তাবন্দি লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, মৃতের পরনে বেগুনি রঙের কামিজ ও সাদা রঙের সেলোয়ার ছিল। শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নাক ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পুলিশের ধারণা রবিবার রাতে কেউ তাকে হত্যা করে বস্তাবন্দি অবস্থা রাস্তার পাশে ফেলে যায়।
তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে জমে উঠেছে এফডিসি প্রাঙ্গণ
দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত আসাদুজ্জামান নূর
কেরানীগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
দক্ষিণ কেরানীঞ্জে ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নিজ বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার উপজেলার পশ্চিম বারিশুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে, কীভাবে বাড়িতে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নিহত বিশাখা রানী সরকার পশ্চিম বরিশুর গ্রামের বাবুল সরকারের স্ত্রী।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন জানান, দুপুরে স্থানীয় লোকজন চার সন্তানের জননী বিশাখার পোড়া লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী শুক্রবার নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু, ভবন মালিক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: অগ্নিদগ্ধ একজনের মৃত্যু
লঞ্চে আগুন: কেরানীগঞ্জ থেকে এক মালিক গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. হামজালাল শেখ নামে লঞ্চটির এক মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) এ এন এম ইমরান খান জানান, সোমবার ভোরে কেরানীগঞ্জ থেকে হামজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলায় ঢাকার নৌআদালত লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চটির চারজন মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম ও দ্বিতীয় মাস্টার মো.খলিলুর রহমান।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: নিহতদের ৫০ লাখ ও দগ্ধদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে রিট
এছাড়া লঞ্চ ও এর চালকদের লাইসেন্স স্থগিত করেছে নৌপরিবহন বিভাগ।
এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য রবিবার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং আহতদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে লঞ্চটিতে ঠিক কত জন যাত্রী ছিলেন এবং নিখোঁজ যাত্রীর সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: বাবা-মেয়ে দগ্ধ, বাঁচতে পারেনি মা
কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ (৭০) মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে ১০ মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস’
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, রবিবার এলাকায় ইন্টারনেট লাইলের ভাড়া নিয়ে শামসুল হকের সঙ্গে রিপনের কথা কাটাকাটি হয়। এই দ্বন্দ্বে এলাকায় শালিস বসে। নিহত মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ শালিসে বিচারক ছিলেন। এ ঘটনায় রিপন বিচারকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে ওই দিন বিকালে শহিদুল্লাহকে পথে একা পেয়ে রিপন, শামীম ও মমিনসহ কয়েকজন তাকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় চিৎকার শুনে আবিদ, আসাদুলসহ চার ব্যক্তি বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে এলাকার স্বদেশ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে শহিদুল্লাহর অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষ মুক্তিযোদ্ধা নিহত
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহত মুক্তিযোদ্ধার হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কেরানীগঞ্জে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় একই পরিবারের ২ জন নিহত
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় পুত্রবধূ ও শাশুড়ি নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টায় ঢাকার পোস্তগোলা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনায় এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- শাশুড়ী রুপবানু (৬৫) ও পুত্রবধূ মৌসুমী (২৭)। এছাড়া গুরুতর আহত হন মৌসুমীর মেয়ে মোহনা (৮)।
নিহত মৌসুমীর স্বজন সোহেল জানান, মৌসুমী তার শাশুড়ি ও কন্যাকে নিয়ে সকালে মিটফোর্ড হাসপাতালে করোনা টিকা দিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা এলাকার নোয়ার্দা গ্রামের বাসায় ফেরার পথে হাসনাবাদ এলাকার রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শাশুড়ি মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পুত্রবধূ মৌসুমী ও শিশু কন্যা মোহনাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক মৌসুমীকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালে শিশু মোহনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসলে তার অবস্থার অবনতি হয়। এরপর তাকে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় আদ দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্ঘটনায় দুই নারী নিহত ও এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। তবে ঘাতক পিকআপটি জব্দ করা যায়নি। এ ঘটনায় রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৮
কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি ওয়ান টাইম প্লাস্টিক কারখানা আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর সহ ফায়ার সার্ভিসের ৫ টি ইউনিট কাজ করছে। শুক্রবার রাত আটটায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়ার দেল্লা গ্রাম চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের ওই প্লাস্টিক গ্লাস কারখানায় আগুন লেগেছ।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচারক হাফিজুর রহমান জানান, কারখানার মালিকের নাম শামীম আহমেদ।
তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম জানান, আগুন লাগার সার্বিক নিরাপত্তা দিতে তিনি সহ ২১ জন পুলিশ সদস্যকে ঘটনার স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা কেউ বলতে পারেনি।
অন্যদিকে কারখানার মালিকের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে তার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে মার্কেটে আগুন, আহত ১০
হাটহাজারীতে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু, বৃদ্ধাসহ দগ্ধ ৫
নাইজারে স্কুলে আগুন: ২০ শিশুর মৃত্যু
কেরানীগঞ্জে আনসার আল ইসলামের পাঁচ ‘সদস্য’ গ্রেপ্তার
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি বিশেষ দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. মিঠুন রহমান ওরফে মিঠু (২৯), সাকিব আল হাসান (১৯), মোহাম্মদ আব্দুস শুকুর সোহাগ (২১), মোহাম্মদ জাবের (২৫) ও মো. ওমর ফারুক (১৯)।
এটিইউ এর পুলিশ সুপার (এসপি-মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটিইউ সদস্যরা রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকা থেকে মিঠুকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট ও পাঁচটি ধর্মীয় উগ্রবাদী বই উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য আটক
মিঠুর বক্তব্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর এলাকা থেকে সাকিব আল হাসানকে একটি মোবাইল ফোন সেট ও দুটি ধর্মীয় উগ্রবাদী বইসহ আটক করে পুলিশ বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা।
পরে মিঠু ও সাকিবের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটিইউ সদস্যরা সোহাগ, জাবের ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে বলে জানান আসলাম খান।
এদের মধ্যে সোহাগ ও জাবের হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর থেকে ২৯ অক্টোবর ঢাকায় আসেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা অনলাইনে চরমপন্থা নিয়ে অপপ্রচারে জড়িত ছিল। তারা নাশকতামূলক কার্যকলাপের পরিকল্পনা এবং চরমপন্থী মতাদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য একটি সুরক্ষিত টেলিগ্রাম গ্রুপ খুলে চ্যাট করত।
তাদের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আনসার আল ইসলামের নারী সদস্য ঢাকায় গ্রেপ্তার
মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় ১৫ নভেম্বর
২০০২ সালের ঢাকার কেরানীগঞ্জে মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় পেছাল। পরবর্তী রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক কেশব রায় চৌধুরী এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলানাথ দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক রায় প্রস্তুত করতে না পারায় পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। পরের দিন অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ বর্তমান মডেল থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন।
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন শুনানির তারিখ এগিয়েছে
এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর নিহত তিন্নির লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় লাশটি মডেলকন্যা তিন্নির বলে শনাক্ত করেন। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। আর তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
এরপর মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক।
সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তিন্নি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এছাড়াও এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।
পুলিশি তদন্তে প্রাথমিকভাবে জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি অভিযুক্ত হলেও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। আর অভির অনুপস্থিতিতেই ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা ও মরদেহ গুম সংক্রান্ত মামলায় অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে