রুহুল কবির রিজভী
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে গোপনে বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের সুর পরিবর্তন করে মন্ত্রীরা এখন গোপন সমঝোতার কথা বলছেন। আসলে, তারা পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্র করছে।’
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) এক মিছিলে দেওয়া বক্তৃতায় এই বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল নিজেদের গোপন চক্রান্তে ধ্বংস হয়ে যাবে। ‘তারা প্রকাশ্যে ফিরতে পারবে না, কারণ মানুষ তাদের প্রত্যাখান করেছে।’
তিনি আরও বলেন, তলে তলে কখনো আপস হয় না, ষড়যন্ত্র হয়। ‘মানুষ তাদের সঙ্গে না থাকায় তারা এখন বিভিন্ন দেশে গিয়ে গোপনে ষড়যন্ত্র করছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকারের সব চক্রান্ত ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের উপযুক্ত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: ঢাকাকে ঘিরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মজনু মুক্তি পরিষদ।
খালেদা জিয়া ও তার অসুস্থতা নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিন্দা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আপনার (প্রধানমন্ত্রী) এখন একমাত্র অবলম্বন হলো অশ্লীল, অশালীন, বেপরোয়া ও বাজে মন্তব্য করা।’
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতা হারানোর জন্য সরকার তাদের নার্ভাসনেস ও নিরাপত্তাহীনতায় অনেক বিএনপি নেতাকে কারাগারে রেখেছে।
রিজভী বলেন, সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পুলিশের ওপর নির্ভর করেই ক্ষমতায় টিকে আছে। ‘তাই তারা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করছে।’
তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তার সব বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তির দাবি জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, যে তরুণরা রাজপথে নামতে শুরু করেছে, তারা বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ছাড়া বাকি সবাই এ সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্র থেকে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
পুলিশ সদস্য হত্যা মামলা: রিজভীসহ বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পুলিশ কনস্টেবল শামীম হত্যা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির কর্মী আব্দুস সাত্তার, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন টিপু ও আলফাস ওরফে আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিলকিস আক্তার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন।
রিজভীর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের টানা ১২তম দিনের অবরোধ চলাকালীন রাত পৌনে ৯টার দিকে মৎস্য ভবন এলাকায় ৩০/৪০ জন পুলিশ সদস্যবাহী একটি বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রোলবোমায় নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে: রিজভী
এই ঘটনায় কনস্টেবল শামীম, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল শিপন, মোরশেদ, বক্তিয়ারসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হন। পরে কনস্টেবল শামীম ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আলী আক্কাছ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি আনোয়ার হোসেন টিপু ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
টিপু নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের অবরোধ বেগবান করতে দলের হাইকমান্ডের সুনজরে থাকতে নাশকতার পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পাশাপাশি আসামি মোহাম্মদ হোসেন নিউমার্কেট থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি এবং আসামি সাত্তার নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার জন্য এ নাশকতার সঙ্গে জড়িত হন।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা নিয়ে মতবিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ আগস্ট) বিকালে পৃথক কর্মসূচি পালনকালে জেলা বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাধে।
জানা যায়, গত ১০ আগস্ট বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
এরপরই জেলা বিএনপির একটি বিরাট অংশের নেতা-কর্মী ঘোষিত কমিটিকে ফরমায়েশি কমিটি আখ্যা দেন। তারা এই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকালে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
শনিবার বিকালে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পৌর এলাকার শেখ হাসিনা সড়ক সেতু এলাকায় একটি শোভাযাত্রা বের করে।
অন্যদিকে, একই সময়ে জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি এবং নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে পাওয়ার হাউজ রোডে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করে।
শোভাযাত্রা বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে পুলিশ।
জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ করে আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। পরে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি।’
জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, ‘এমন ব্যক্তিকে আহ্বায়ক করায় জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিব্রত। এই কমিটি বাতিল করে নতুন করে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হোক। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু নেতা-কর্মী সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বিকালে একপক্ষ আনন্দ র্যালি বের করে এবং অন্যপক্ষ কোকোর জন্মদিন উপদযাপনের কথা বললেও মূলত আনন্দ মিছিলকে প্রতিহত করার জন্য মাঠে নামে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
তিনি বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং একজনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
মানহানিকর মন্তব্যের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন ‘হিরো আলম’ খ্যাত আশরাফুল আলম। রবিবার (৬ আগস্ট) ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হিরো আলম এ তথ্য জানান।
হিরো আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে আমি ডিবি অফিসে গিয়েছিলাম। কিন্তু ডিবি প্রধান আমাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য আমি আদালতে যাব।’
গত ১৮ জুলাই রাজশাহীর ভুবনমোহন শহীদ মিনারে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে হিরো আলমকে ‘অশিক্ষিত’ বলে তিরস্কার করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
হিরো আলম বলেন, ‘তার (রিজভী) মতো একজন রাজনৈতিক নেতা বলতে পারেন না যে আমি 'অর্ধপাগল’ ও 'অশিক্ষিত'। আমি তিনবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং আমি অর্ধপাগল হলে নির্বাচন কমিশন যাচাই-বাছাই করে আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিত না।’
তিনি বলেন, ‘তিনি বলেছেন আমি অশিক্ষিত, কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। বিএনপি নেতা এমন মন্তব্য করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।’
আরও পড়ুন: আপনাদের নেত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন, আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত: হিরো আলম
তিনি আরও বলেন, ‘সবাই মনে করে আমি বিএনপির কর্মী, কিন্তু বিএনপি নিজেই আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে। তারা আমার সম্পর্কে তুচ্ছভাবে কথা বলেছে। এমনকি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলেছেন।’
হিরো আলম বলেন, কারোরই অন্য কাউকে অর্ধপাগল ও অশিক্ষিত বলার অধিকার নেই।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ঢাকা-১৭ নির্বাচনের সময় হিরো আলম তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা, হামলাসহ বিভিন্ন কারণে অতীতে আমাদের কাছে এসেছিলেন। কিন্তু আজ তিনি ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে (উত্তর) অভিযোগ জানাতে আমাদের কাছে এসেছেন।’
হারুন বলেন, ‘হিরো আলম যখন আমাদের কাছে আসেন, তখন আমরা দেখেছি যে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে। তাই আমরা তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কারণ ডিবির মানহানির মামলা করার কোনো অধিকার নেই।’
আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি পেয়ে হিরো আলমের জিডি
হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
২.০৩ কোটি উদ্বৃত্ত দেখিয়ে ইসিতে বিএনপির অডিট রিপোর্ট জমা
বিএনপি রবিবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২২ ক্যালেন্ডার বছরের জন্য তাদের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী জমা দিয়েছে। যেখানে ২ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮২৯ টাকার তহবিল দেখানো হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে আর্থিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সহ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন ও আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে বিএনপি আয় করেছে ৫ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ টাকা এবং ব্যয় করেছে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৩ টাকা।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে দোষারোপ করতে গাড়িতে আগুন দিয়েছে আওয়ামী লীগ: ফখরুল
গত বছর দলটির আয় ও ব্যয় উভয়ই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২১ ক্যালেন্ডার বছরে দলটি ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা ব্যয়ের বিপরীতে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৯৪৪ টাকা আয় দেখিয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, তারা রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী অডিট রিপোর্ট ইসিতে জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির আয়ের বড় উৎস ছিল দলের সদস্যদের চাঁদা, অনুদান এবং ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার মুনাফা।
এই বিএনপি নেতা বলেন, তাদের কার্যালয়ের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও উৎসব বোনাস, রাজনৈতিক কর্মসূচি, পোস্টার ছাপানো, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এবং দলের দমন-পীড়িত নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা ব্যয়ের প্রধান খাত।
আইন অনুসারে, প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের ক্যালেন্ডার বছরের আর্থিক বিবরণী জমা দিতে বাধ্য।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
নতুন সমাবেশস্থল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি: রিজভী
বিএনপি গোলাপবাগ মাঠে তাদের পরিকল্পিত জনসভা করবে কি করবে না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২৬ জুরাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘জনসভাস্থলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বিকাল ৪টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেন, কিন্তু এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আজ রাত সাড়ে ৮টায় দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান তিনি।
তাদের সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও নয়াপল্টনের পরিবর্তে নতুন ভেন্যু বেছে নিতে ডিএমপির পরামর্শে বৈঠকে বসে দলটি।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ এখনো বিএনপিকে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় গোলাপবাগ মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ ডিএমপির
নয়াপল্টন এলাকায় দাঙ্গা-গাড়ি ও জলকামানসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিকাল ৫টার দিকে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলেও পরে দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যান।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার আগ্রহ জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দেয় বিএনপি।
এর আগে ডিএমপি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে জনদুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি না করে তাদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কারণ ভবিষ্যতে তারা জনদুর্ভোগের কারণ হলে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হতে পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দল ২৭ জুলাই রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে। তবে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে।
তাজিয়া মিছিলে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির দায়িত্ব।
এর আহে শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে তাদের এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুপুর ২টায় রাজধানীতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে: ডিএমপি কমিশনার
আন্দোলনে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: কাদের
ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি শোকপ্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির কারণে ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকার মধ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তৎপর থাকায় পুরো জাতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশ সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হওয়ায় শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পুলিশ সদস্যদেরও হত্যা করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই ভেঙ্গে পড়েছে যে প্রতি পদে পদে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।’
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ক্রমবর্ধমান সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট বিকৃত যুবকরা জনমনে উপদ্রব সৃষ্টি করছে এবং বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
তিনি বলেন, ‘এই দানবরা তাদের আক্রমণ থেকে নারীসহ কাউকে রেহাই দিচ্ছে না…আমরা এমন একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে বোনদের উত্যক্ত করার বিচার চাইতে গেলে তরুণদের হত্যা করা হচ্ছে। বাবা-মা তাদের মেয়েদের সম্ভ্রম ও মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানবাধিকার এখন সর্বত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধুমাত্র বিরোধী দলের কর্মসূচি নস্যাৎ করার জন্য সহিংস হামলা চালাচ্ছে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করছে; তাই সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে।’
বাজার মনিটরিং করতে এবং ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও রান্নার জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির এই নেতা সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘গডফাদার, মাফিয়া ও সিন্ডিকেটররা চারিদিকে লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা জড়িত থাকায় এসব সিন্ডিকেট খুবই শক্তিশালী।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ২৫ টাকা, কিন্তু সিন্ডিকেটের অসাধুতার কারণে বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। ‘কিছু জায়গায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে। এই ধরনের সিন্ডিকেশন শুধুমাত্র একটি দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতিবাজ সরকারের অধীনেই সম্ভব। তারা মানুষের ক্ষুধা নিয়ে মজা করে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে: রিজভী
সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া আ.লীগ: রিজভী
ছয় জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপির ৪ সহযোগী সংগঠন
সরকারের দুর্নীতি, শোষণ ও দমন-পীড়নের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্দশার প্রতিবাদে ছয় জেলায় মেহনতি মানুষের পক্ষে সমাবেশ করবে বিএনপির চারটি সহযোগী সংগঠন।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দল শ্রমজীবী জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে উৎসাহিত করতে এসব কর্মসূচির আয়োজনে নেতৃত্ব দেবে।
রিজভী বলেন, তাদের দলের সহযোগী সংগঠনগুলো ১৫ জুলাই নোয়াখালীতে প্রথম, ১৯ জুলাই দিনাজপুরে দ্বিতীয় এবং ২৮ জুলাই রাজশাহীতে তৃতীয় সমাবেশ পালন করবে।
এই কর্মসূচির আওতায় আগস্টে আরও তিনটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে; যার মধ্যে ৫ আগস্ট যশোর, ১২ আগস্ট হবিগঞ্জ এবং সবশেষে ১৯ আগস্ট বরিশালে।
রিজভী বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ, সরকারের দুর্নীতি, শোষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে বিএনপিসহ চারটি সহযোগী সংগঠন যৌথভাবে ছয়টি জেলা সদরে সমাবেশ করবে।’
আরও পড়ুন: ‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘ধনী-গরিবের মধ্যে ব্যবধান এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। নিম্ন আয়ের লোকেরা গুরুতর অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং তারা অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।’
সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, লুটপাট ও শোষণের কারণে দরিদ্ররা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলেও জানান এই প্রবীণ নেতা।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ কারণেই আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে মেহনতি মানুষের পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছি।’
অনুষ্ঠান সফল করতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান রিজভী।
এর আগে বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবিতে তরুণ প্রজন্মের সমর্থন আদায়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন নগর ও জেলায় ছয়টি সমাবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আ.লীগ সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড সফর ছিল ‘অত্যন্ত রহস্যজনক’।
তিনি বলেন, ‘গুরুতর ডলার সংকটের মধ্যে, বিশাল দল নিয়ে শেখ হাসিনার ঘন ঘন বিদেশ সফর এবং তার সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড সফর অত্যন্ত রহস্যজনক। দেশে ফিরে আসার পর তার বক্তব্যও রহস্যজনক।’
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সপরিবারে সুইজারল্যান্ড সফরের পরপরই দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা রাখা ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। এক বছরে টাকা তুলেছে কারা? এটি জনগণের মনে একটি বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে, কারণ একতরফা অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িতরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের ঘনিষ্ঠ।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লুটেরারা যে সুইস ব্যাংক থেকে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তুলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন দেশ নিয়ে ‘বেপরোয়া’ মন্তব্য করে দেশের স্বার্থের ক্ষতি করছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, সরকারের পতনের ক্ষণগণনা শুরু হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন করে সরকারবিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, গত ১৯ মে থেকে সারাদেশে বিএনপির বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালিয়েছে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২১০টি মামলা করেছে।
এছাড়া বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের প্রায় ৮৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রায় ৯ হাজার ৩০০ জনকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নির্বাচনে যেতে চাপ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল
সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয়: ফখরুল
আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের প্ররোচনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, গত ছয় দিনে তাদের দলের ৬৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে দলের কর্মসূচিতে হামলায় শতাধিক আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঠাণ্ডা মাথায় বিএনপিকে চিরতরে নির্মূল করার হুমকি দেন...তার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ, র্যাব ও সোয়াট বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা শুরু করে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার করে।’
মঙ্গলবার বিনা উসকানিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ রোডমার্চে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ‘বিশেষ ক্যাডাররা’ হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের হুমকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই বাস্তবায়ন করছে, যারা আওয়ামী চেতনাকে লালন করে।’
এমন আপত্তিকর মন্তব্য করায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হলো না, এমন প্রশ্নও তোলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে ঠাণ্ডা মাথায় নির্মূল করা মানেই হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার উসকানি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব কেন?" তার বিরুদ্ধে মামলা নেই কেন?’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্তের মূল কারণ কমিশন: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, গত ছয়দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের দলের নির্ধারিত কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ হামলা চালালেও, উল্টো এসব ঘটনায় প্রায় ৫ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১৪৮টি মামলা হয়েছে।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার অতীতের মতো বাসে আগুন দিয়ে আবারও বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর পুরনো নাটক শুরু করেছে।
রিজভী পুলিশ বাহিনীকে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর রোডমার্চ কর্মসূচির পর সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে শেখ রবিউল ইসলাম রবি, শাহাদাত হোসেন সৈকত ও রাইসুল ইসলাম চন্দনসহ বিএনপির ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার আবারও সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় থাকার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জনগণের বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে দেশে নৈরাজ্য ও সহিংসতা সৃষ্টি করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার ও পুলিশের হামলা অব্যাহত রাখলে দেশের মানুষ বসে থাকবে না।
মোবাইলে ছবি দেখিয়ে রিজভী অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার সময় পুলিশ নিজেরাই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড পুড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, এই পুলিশ জনগণের পুলিশ নয়, এরা আওয়ামী লীগের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: আন্দোলন দমন করতে সরকার সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে: ফখরুল
আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল