সংবাদ সম্মেলন
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের ফলাফল নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার ভোরে দেশে ফিরেছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা চার্লস তৃতীয়-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের লন্ডন যান।
এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
পড়ুন: এই নারী মানেই শক্তি
শুধু অপরাধ নয়, শাস্তির কথাও বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
ঠাকুরগাঁওয়ে আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং আহত হওয়ার ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুটি দলের নেতারা।
আরও পড়ুন: একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
রবিবার দুপুরে জেলা আ.লীগ ও জেলা বিএনপি তাদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রুহিয়া থানা মাহিলা আ.লীগের একটি বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্থানীয় এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের বাসায় হামলা চালায়।
বিএনপির সুপরিকল্পিত ন্যাকারজনক এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের অন্তরালে পরিকল্পিতভাবে আ.লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা রমেশ চন্দ্র সেন ও সংগঠনের নেতা কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
এসময় আ.লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। পরে চৌরাস্তায় আ.লীগ একটি মিছিল নিয়ে গেলে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ গুলি বর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
এসময় তাদের তিনজন কর্মী গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান তাদের দলীয় কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে রুহিয়া থানা বিএনপি। সমাবেশ শেষ করে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় মিছিলের পিছন দিক থেকে আ.লীগের নেতাকর্মীরা কোন কারণ ছাড়াই তাদের ওপর হামলা শুরু করে।
তারা আরও জানায়, ধারালো রামদা দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হয়। এসময় বিএনপির নেতা আনসারুল হকসহ তাদের অন্তত ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
নাটোরে ‘বাইকার গ্রুপের’ ৫ সদস্য আটক
নাটোরে অভ্যন্তরীণ সড়কে অস্ত্রের মুখে টাকা ছিনিয়ে নেয়া বাইকার গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এই সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেল, দুটি চাপাতি ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুল করিম, সোহেল রানা, রইচ উদ্দিন, ইয়াকুব ও রাজিব ওরফে রাজু (২৮)। আটক রইচের বাড়ি পাবনার সুজানগরে এবং বাকি চারজনের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়।
আরও পড়ুন: অভিযান চালানোর সময় হামলা: খুলনায় ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩
শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাইকার গ্রুপের সদস্যরা নাটোর জেলার বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে তাদের সোর্স রেখে দেয়। সোর্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাইকে অর্থ বহনকারীদের টার্গেট করে ফাঁকা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে অস্ত্রের মুখে টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত জেলার সিংড়া, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে ঘটে যাওয়া ছিনতাইয়ের তদন্ত করতে গিয়ে বাইকার গ্রুপের সন্ধান পায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নারী আটক
তিনি বলেন, পরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রাজু ছাড়া বাকি চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: পিএমও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
পিএমও প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ১১টায় তার কার্যালয়ে (পিএমও) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে দেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি এবং ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের বন্যার ভয়াবহতা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বাজেটে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই: সিপিডি
সদ্য ঘোষিত বাজেটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৬.২৯ শতাংশ (বিবিএস অনুসারে এপ্রিলে) থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করলে সিপিডি নেতারা এ ব্যাপারে সরকারের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।
১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আসন্ন অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের ৬ দশমিক ৭৮ ট্রিলিয়ন টাকার জাতীয় বাজেট পেশের একদিন পর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বাজেট অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে: অর্থমন্ত্রী
সিপিডির মতে, নিম্ন, মধ্যবিত্ত এবং স্থির আয়ের গোষ্ঠীগুলো একটি পরিবার চালানোর জন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে কেননা মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা বেশি থাকলে পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ডা. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করার পর থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে।
তিনি বলেন, বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। চাল-ডালসহ ২৯টি পণ্যের দাম কমানোর প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা হয়নি। সিপিডি এক্ষেত্রে কর কমানোর সুপারিশ করেছিল কিন্তু তাও রাখা হয়নি।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলোর কথা উল্লেখ করলেও তিনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পথ উল্লেখ করেননি।
সিপিডি বলছে, বেসরকারী খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে যা বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিলে প্রভাবিত হবে।
এক্সচেঞ্জ রেট ২৩ অর্থবছরে গড়ে প্রতি মার্কিন ডলারের জন্য ৮৬.২ টাকায় পৌঁছাবে বলে বলা হলেও কীভাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে তা বাজেটে বলা হয়নি।
কৃষি খাতে এবং খাদ্য উৎপাদনে ভর্তুকি বাড়ানোর জন্য বাজেটের প্রশংসা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: কৃষিযন্ত্রে বিশাল ভর্তুকি
এবারও হচ্ছে না চট্টগ্রামের শত বছরের জব্বারের বলি খেলা
এবছরও হচ্ছে না চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা ও তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর অনুষ্ঠিত হয়নি শত বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এ বলিখেলা। তবে এবার করোনা নয়, ঐতিহাসিক লালদীঘির মাঠটি সংস্কারের পর উদ্বোধন ও উন্মুক্ত না করায় এবার বলিখেলা হবে না বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হল আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে বাংলা নববর্ষ কিভাবে উদযাপন করবেন? কোথায় ঘুরতে যাবেন?
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিগত ১১০ বছর ধরে এই বলীখেলা লালদীঘি মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। তবে এবার সংস্কার কাজ শেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা মাঠটি এখনও উন্মুক্ত করা হয়নি। তাই এ বছরও জব্বারের বলি খেলা অনুষ্ঠিত হবে না।
আয়োজকরা এসময় বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পরিচিত আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও মেলাসহ চট্টগ্রামের সকল ধরনের অনুষ্ঠান পুনরায় ফিরে পেতে লালদীঘির মাঠ দ্রুত উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
চীনে বিধ্বস্ত বিমানের ৪৯ হাজারের বেশি টুকরো উদ্ধার
চীনে গেলে সপ্তাহে চায়না ইস্টার্ন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ নামে একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষের ৪৯ হাজারের বেশি টুকরো পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার দেশটির সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এভিয়েশন সেফটি ডিরেক্টর ঝু তাও এর বরাত দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেফটি ডিরেক্টর ঝু তাও এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুর্ঘটনার প্রায় ১০ দিন পর বিধ্বস্ত বিমানটির অনুভূমিক স্টেবিলাইজার, ইঞ্জিনসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে বিমান বিধ্বস্ত: বেঁচে যাওয়া কাউকে পাওয়া যায়নি
ঝু বলেন, দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
গুয়াংজি সরকারের একজন কর্মকর্তা ঝাং ঝিওয়েন বলেছেন, ২২ হাজার কিউবিক মিটার (আট লাখ ঘনফুট) এরও বেশি মাটি খনন করা হয়েছে এবং প্লেনের ৪৯ হাজার ১১৭ টুকরো পাওয়া গেছে। দুর্গম অঞ্চল সঙ্গে বৃষ্টি ও কর্দমাক্ত অবস্থার কারণে অনুসন্ধান কাজ বিঘ্নিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুটি ‘ব্ল্যাক বক্স’- ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার পাওয়া গেছে। পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য এগুলো বেইজিং পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৭ জনের মৃত্যু
এদিকে দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে তদন্তে অংশ নিতে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের মার্কিন তদন্তকারীদের একটি দল এবং বোয়িং এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপদেষ্টাদের চীনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ (সোমবার) চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংসি প্রদেশে ১২৩ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু সদস্য নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং এতে সবাই নিহত হন।
ব্রাজিলে ভূমিধসে কমপক্ষে ৯৪ জনের মৃত্যু
ব্রাজিলের পেট্রোপলিস শহরে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির রিও ডি জেনিরো রাজ্য সরকার।
শহরের মেয়র রুবেনস বোমটেম্পো বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কত জন নিখোঁজ রয়েছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ চলছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন ‘আমরা এখনও এর সম্পূর্ণ সংখ্যা জানি না। এটি আসলেই একটি ভয়ানক দিন ছিল।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সীমান্তে আরও ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
রিও ডি জেনিরোর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ৩৫ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে যাদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রাজ্যের দমকল বিভাগ বলছে, মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার মধ্যে ২৫ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যা গত ৩০ দিনের সমন্বিত বৃষ্টিপাতের সমান।
রিও ডি জেনিরোর গভর্নর ক্লাউদিও কাস্ত্রো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পেট্রোপলিসে ১৯৩২ সালের পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ বৃষ্টিপাত এটি।
এ ঘটনায় ৪০০ মানুষ গৃহ হারা হয়েছেন এবং ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে সপ্তাহের বাকি সময়ে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি
২০২১ সালে দেশে ৫৩৭১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬২৮৪
২০২১ সালে সারা দেশে মোট পাঁচ হাজার ৩৭১ টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এসময় নিহত হয়েছেন ছয় হাজার ২৮৪ জন এবং আহত হয়েছেন সাত হাজার ৪৬৮ জন। দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে ৯২৭ নারী,৭৩৪ শিশু।
এর মধ্যে দুই হাজার ৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুই হাজার ২১৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় এক হাজার ৫২৩ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৯৮ জন, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এই সময়ে ৭৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৫৯ জন নিহত, ১৯২ জন আহত এবং ৪৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। ঝালকাঠির সুগন্ধ্যা নদীতে একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫১ জন নিহত, ২৩ জন চিকিৎসাধীন এবং অজ্ঞাত সংখ্যক নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়ার ঈদে ঘরমুখো যাত্রায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে তাড়াহুড়া করে নামার সময় ছয়জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছে। ১২৩ টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিকনিক থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
যানবাহনভিত্তিক দুর্ঘটনায় নিহতের চিত্র:
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দুই হাজার ২১৪ জন (৩৫ দশমিক ২৩শতাংশ), বাস যাত্রী ৩৮৯ জন (৬ দশমিক ১৯শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি যাত্রী ৪৫৭ জন (৭ দশমিক ২৭শতাংশ), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ যাত্রী ২৭৬ জন (৪ দশমিক ৩৯শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-টেম্পু-লেগুনা) ৯৩৪ জন (১৪.৮৬শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-চান্দের গাড়ি-বোরাক-মাহিন্দ্র-টমটম)৩৫৯ জন (৫ দশমিক ৭১শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-ঠেলাগাড়ি আরোহী ১৩২ জন (২ দশমিক ১০শতাংশ) নিহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে দুই হাজার ১৪ টি (৩৮ দশমিক ৪৯শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, এক হাজার ৬৭০ টি (৩১ দশমিক ০৯শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৯৫৪ টি (১৭ দশমিক ৭৬শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৬৬৫ টি (১২ দশমিক ৩৮শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬৮ টি (১ দশমিক ২৬শতাংশ)দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার ধরন:
দুর্ঘটনাগুলোর এক হাজার ৫৭ টি (১৯ দশমিক ৬৭শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, এক হাজার ৮১৩ টি (৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, এক হাজার ৫৬৬ টি (২৯ দশমিক ১৫শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৮২২ টি (১৫ দশমিক ৩০শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১৩ টি (২ দশমিক ১০শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-কন্টেইনার ২৪ দশমিক ৮২ শতাংশ, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রাম ট্রাক-তেলবাহী ট্যাংকার-লং ভেহিকেল ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-পুলিশ পিকআপ-জীপ ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-লেগুনা-টেম্পু) ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-চান্দের গাড়ি-মেসিগাড়ি-আলগানন) ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান ২ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং অন্যান্য মোটরযান ০ দশমিক ৫৮ শতাংশ (কোস্ট গার্ডের ট্রাক, রেকার, ডিসিসি’র ময়লাবাহী ট্রাক, হ্যান্ড ট্রলি, ডাম্পার, পাওয়ারটিলার, মাটি কাটার ট্রাক্টর, ইটভাঙ্গার মেশিন গাড়ি, রোড রুলার, রোড কাটার মেশিন, নির্মাণ সামগ্রীর মিকচার মেশিন)।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা আট হাজার ৩১৫টি। (ট্রাক এক হাজার ৪২৬, বাস ৮১৩, কাভার্ডভ্যান ২৫৪, পিকআপ ৩৭৯, ট্রলি ১৬৭, লরি ৮৩, ট্রাক্টর ১৩২, মাইক্রোবাস ১৯৭, প্রাইভেটকার ১৫৫, এ্যাম্বুলেন্স ৬৬, জীপ ১৮, মোটরসাইকেল ২১২৯, পুলিশ ও র্যাবের পিকআপ ১৬, ড্রাম ট্রাক ২৪, তেলবাহী ট্যাংকার ১৩, লং ভেহিকেল ৪, কন্টেইনার ৫, থ্রি-হুইলার ১৫১৩ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-লেগুনা-টেম্পু), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৬৯১ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু- পাখিভ্যান- বোরাক-মাহিন্দ্র-টমটম-চান্দের গাড়ি- মেসিগাড়ি- আলগানন), বাইসাইকেল- প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-ঠেলাগাড়ি ১৮১ এবং অন্যান্য মোটরযান ৪৯টি (কোস্টগার্ডের ট্রাক ২, রেকার ৪, ডিসিসি’র ময়লাবাহী ট্রাক ৫, হ্যান্ডট্রলি ৩, ডাম্পার ৭, পাওয়ারটিলার ৯, মাটি কাটার ট্রাক্টর ৩, ইটভাঙ্গার মেশিন গাড়ি ৪, রোড রুলার গাড়ি ৩, রোড কাটার মেশিন গাড়ি ২, নির্মাণ সামগ্রীর মিকচার মেশিন গাড়ি ৩ টি)।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মৃত্যু
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৩১৫টি (৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ), সকালে এক হাজার ৬৪১টি (৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ), দুপুরে ৯৩৬টি (১৭ দশমিক ৪২ শতাংশ), বিকালে এক হাজার পাঁচটি (১৮ দশমিক ৭১ শতাংশ), সন্ধ্যায় ৪৮৯টি (৯ দশমিক ১০ শতাংশ) এবং রাতে ৯৮৫টি (১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ)।
বাবার জালিয়াতির উপযুক্ত বিচার চেয়ে ‘মৃত সন্তানের’ সংবাদ সম্মেলন!
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিজের বাবার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ‘মৃত সন্তান’! এমনকি মৃত সন্তানের দায়ের করা মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে আছেন ওই বাবা।
ফরিদগঞ্জের চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বাবার বিরুদ্ধে কেন মামলা করতে বাধ্য হলেন,সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতেই শনিবার ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছেলে এমরান হোসেন জহির প্রকাশ ঝুটন(৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঝুটন জানান, তিনি তার বাবা আহাম্মদ উল্যা বেপারীর(৬৭) প্রথম স্ত্রী খুরশিদা বেগমের ছেলে। এই ঘরে খাদিজা বেগম লাকি নামে তার আরেক বোন ছিলেন, বর্তমানে যিনি মৃত। আমার মায়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই ঘরে সৎ মা এবং তিন বোন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি: রূপায়নের চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিচার শুরু
তিনি বলেন, জন্মের পর থেকে আমি বাবার আদর -ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হলেও,প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে বাবার সার্বক্ষণিক দেখভাল করেছি। তাকে খোরপোষ বাবদ টাকা এবং সৎ বোনের বিয়ে এবং বাবার চোখের অপারেশনের জন্য টাকা দিয়েছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমার বাবা আমাকে মৃত দেখিয়ে গত ২০১০ সালে ৮ আগস্ট আমাদের স্থানীয় ১১নং চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে তৎকালীন চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ পাটওয়ারী ও সচিবের স্বাক্ষরে নিজের নামে ওয়ারিশ সনদ গ্রহণ করেন। একই তারিখে তিনি আমার বোন খাদিজা বেগম লাকির মৃত্যুর সনদ দেখান।এরপর নিজেকে একক ওয়ারিশ দেখিয়ে সনদ গ্রহণ করেন।
ঝুটন আরও বলেন, আমি আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেও, আমার বাবার কাছে আমি মৃত। জন্মদাতা বাবা হয়ে তিনি কিভাবে শুধুমাত্র সম্পত্তির লোভে নিজের ঔরসজাত সন্তানকে মৃত দেখালেন!
তিনি অভিযোগ করে বলেন,এর আগে আমার বাবা নিজেকে তার বাবার একমাত্র সন্তান দাবি করে আমার পাঁচ ফুফুর অস্তিত্ব অস্বীকার করে, ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর একই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একই চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ওয়ারিশ সনদ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: তথ্য জালিয়াতি: ইউপি চেয়ারম্যানের মনোনয়নের প্রতিবাদে নাটোরে বিক্ষোভ
তিনি বলেন, আমি প্রবাস থেকে গত দেড় মাস আগে বাড়ি ফিরে আসার পর এক ফুফু কর্তৃক আমাকে দান করা ও আরেক ফুফুর থেকে কেনা জমিতে বাড়ি করতে গেলে বাধার সম্মুখিন হই। এক পর্যায়ে এর কারণ জানতে গিয়ে বাবার এসব কুকর্মের কথা জানতে পারি। এলাকায় এ বিষয়ে কয়েকবার আমাদের স্থানীয়ভাবে সালিশি হলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায়,আমি বাধ্য হয়ে গত ১৮ নভেম্বর চাঁদপুর আদালতে অভিযোগ করি।
পরে আদালতের নির্দেশে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। ওইদিন রাতেই আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন শুক্রবার পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
প্রেসক্লাব সভাপতি মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে এসময় এমরান হোসেন জহির প্রকাশ ঝুটনের মা খুরশিদা বেগম, স্ত্রী মুক্তা আক্তার, ফুফাতো বোন সরলা বেগম, ফুফাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম, সেলিম পাটওয়ারী, দেলোয়ার হোসেন এবং এলাকাবাসীর পক্ষে সোহেল ঢালী ও সামছুল আরেফিন মুকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা