চিকিৎসক
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ২
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে পুরাতন ঠাকুরগাঁও বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রুহিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার আশরাফুল (২২) পুরাতন ঠাকুরগাঁও এলাকার মোকলেসুরের ছেলে এবং মতিউর (২০) চিলারং বাসগাড়া এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্য রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সংঘবদ্ধধর্ষণের শিকার হয় ৯ম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পরদিন দুপুরে ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানায় মেয়ের বাবা বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় দুই স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ৩
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, ঘটনার দিন রাত ১২ টার দিকে পরিবারের সকলে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তিনি বাড়ির আঙিনায় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে মেয়েকে আহত অবস্থায় দেখেন পান। রাতেই ঢোলারহাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক লিজা বিশ্বাসের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি অবগত করেন। সকালে স্থানীয় মেম্বার ও মেয়েকে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে মেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পরে। পরে পুলিশের গাড়িতেই মেয়েটিকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, এই বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর অভিযুক্তদের ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
বাগেরহাটে ছুরিকাঘাতে ভ্যানচালক খুন
বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক ভ্যানচালককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার হোচলা গ্রাম থেকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ভ্যানচালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই ভ্যানচালককে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।নিহত মধু বাকচী (৩৫) ওই গ্রামের মুকুন্দ বাকচীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন।নিহতের স্ত্রী সুমি রানী বাকচী জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার স্বামী রাতের খাবার খেয়ে ঘর থেকে বাইরে বের হয়। এর কিছু সময় পর তারা বাড়ির পাশে বাগানে চিৎকার শুনতে পায়। সেখানে ছুটে গিয়ে কয়েকজনকে দৌঁড়ে যেতে দেখে। এসময় তার স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাগানে পড়ে থাকতে দেখেন। উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি উদ্দেশ্যে তার স্বামীকে হত্যা করা হতে পারে তা জানাতে পারেননি সুমি রানী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শিশির বসু জানান, মৃত অবস্থায় মধু বাকচীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। মধু বাকচীর বুকের পাজর, গালার কাছে এবং কানের সামনে ধারলো অস্ত্রের আঘাতের তিনটি চিহ্ন রয়েছে।ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ন ম খায়রুল আনাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পারিবারিক কলহের জের ধরে ভ্যানচালক মধু বাকচীকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কি উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
দিনাজপুরে পৃথক স্থান থেকে ২ নারীর লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার পৃথক স্থান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদের একজনের গলায় ফাঁস এবং অন্যজন বিষক্রিয়ায় মারা গেছে বলে জানা গেছে।
নিহত সুজাতা রানী (১৮) জেলার সাদুল্ল্যাহপুরের বাসিন্দা এবং অন্যজন খোদেজা বেগম (৬৫)।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, গেল ডিসেম্বরের ১২ তারিখে ঘোড়াঘাট উপজেলার কালুপাড়ার বাসিন্দা পেশায় (জেলে) অন্তর চন্দ্র সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুজাতার। ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে দিয়েছিল অভিভাবকেরা। স্বামীর কক্ষে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা করছেন স্বজনরা। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়ও ঋষিঘাট এলাকায় খোদেজা (৬৫) বেগম নামে আরেক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাস পাঁচেক আগে তার স্বামী আব্দুল আলিম (৭০) দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল তাদের। বৃহস্পতিবার ওই নারীকে বিষক্রিয়ার চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান স্বজনরা। চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করায় পুলিশকে অবহিত না করেই লাশ বাড়িতে নিয়ে দাফনের কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ওই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি এলাকায় ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
বিরামপুরে আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
চিকিৎসক ছাড়া নবজাতক প্রসব করাতে গিয়ে কপাল কেটে ফেললেন নার্স-আয়া
ফরিদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়া এক নবজাতক প্রসব করাতে গিয়ে নবজাতকের কপাল কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে নার্স ও আয়ার বিরুদ্ধে। এতে ওই নবজাতকের কপালে ৯টি সেলাই করতে হয়েছে।
শনিবার সকালে আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত নার্স চায়ানা বেগম, হাসপাতালের পরিচালক পলাশ ও এক দালালকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মইজুদ্দিন মাতব্বর পাড়ার শফিক খানের স্ত্রী প্রসূতি রুপা বেগমকে শনিবার ভোরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালে কোনো লোক না পেয়ে দালালদের প্ররোচনায় পার্শ্ববর্তী আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন স্বজনরা।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ
আহত নবজাতকের ফুপু হোসনেয়ারা অভিযোগ করে বলেন, সকাল ৮টার দিকে আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালের নার্স চায়না বেগম ও দু’জন আয়া চিকিৎসক ছাড়াই প্রসূতির বাচ্চা প্রসব করাতে গিয়ে শিশুটির কপালের এক অংশ কেটে ফেলেন। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নবজাতকের কপালে ৯টি সেলাই করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে প্রসূতির পরিবার থানায় ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও কোতয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে তিনজনকে আটক করে।
ফরিদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতেমা করিম বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ ধরনের উদাসিনতা মেনে নেয়া হবে না। আমরা প্রসূতি মায়ের অপারেশন ও এই জাতীয় কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ডাটাবেজ তৈরি করছি। এ ব্যাপারে নজরদারি জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় জমজ ৫ নবজাতকের তিনজনের মৃত্যু, দু’জনের অবস্থা সংকটাপন্ন
সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুল আলম জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে হাসপাতাল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফরিদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন কর জানান, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেকের ড্রেন থেকে দুই নবজাতকের লাশ উদ্ধার
বিএসএমএমইউ চিকিৎসকের মানহানিকর ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
কানাডা থেকে পরিচালিত আইপিটিভি ‘নাগরকি টিভি’সহ অন্য গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারেক রেজা আলীকে নিয়ে প্রচার করা মানহানিকর ভিডিও অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুমাইয়া আজিজ।
রুলে কানাডা থেকে পরিচালনা করা আইপিটিভি নাগরকি টিভিতে গত ১৮ ডিসেম্বর প্রচারিত এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত করা মানহানিকর ভিডিও অপসারণ ও বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডা. সাবরিনাকে জামিন কেন নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
এ বিষয়ে আইনজীবী সুমাইয়া আজিজ জানান,ডা. তারেক রেজা আলী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক। তিনি চক্ষু বিশেষজ্ঞ। গত ৩৫ বছর ধরে তিনি চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাকে গত কয়েক দিন ধরে পারিবারিকভাবে এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন হয়রানি এবং ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন। পরবর্তীতে যখন তিনি অনৈতিক কাজে সাড়া দেননি, তখন তার বিরুদ্ধে বেনামি চিঠি ছাড়া হয়।
এই আইনজীবী আরও জানান, কানাডা থেকে বেআইনিভাবে পরিচালিত নাগরিক টিভি নামের একটি আইপিটিভি ও এবিসি নিউজ পোর্টাল নামের আরেকটি চ্যানেল থেকে অপ্রচার চালাচ্ছে। বিদেশ থেকে এসব ইউটিউব চ্যানেল থেকে দেশের বিভিন্ন সম্মানিত নাগরিকের নামের ভিডিও তৈরি করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমরা গত ২৯ ডিসেম্বর বিটিআরসিকে নোটিশ দেই এ ধরনের সব ভিডিও রিমুভ করার জন্য। কিন্তু বিটিআরসি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পরে আমরা রিট করি।
সুমাইয়া আজিজ আরও বলেন, হাইকোর্ট রুল ও নির্দেশনা দিয়েছেন। সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যম থেকে ডা. তারিক রেজা আলী নিয়ে প্রচারিত সব ধরনের ভিডিও এবং সংবাদ সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: জমি না থাকলে চাকরি হবে না, এটা হতে পারে না : হাইকোর্ট
এস কে সিনহার সঙ্গে দণ্ডিত লুৎফুলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
৬ জনের লিফটে ১০ চিকিৎসক, আটকে ছিলেন ৪৫ মিনিট
চট্টগ্রাম মহানগরী জিইসি এলাকার মোড়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের ৪৫ মিনিট লিফটে আটক পড়ে ছিলেন ১০ ইন্টার্ন চিকিৎসক। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনার পর জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে লিফট ভেঙে তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্মবিরতিতে শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
নগরীর চন্দনপুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, রাতে বিএমএ ভবনের লিফটে আটকে যাওয়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরে লিফটের দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করা হয়। লিফটটিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত জনবল ওঠায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বিএমএ ভবনের ওই লিফটে ধারণক্ষমতা ছিল ছয় জনের। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নগরের খুলশীর ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের ১০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক বিএমএ অফিসে যাওয়ার জন্য লিফটে ওঠেন। এসময় লিফটটি নিচে নেমে যায়। অনেক চেষ্টার পরও লিফটের দরজা খুলেনি। পরে ৯৯৯-এ সাহায্য চেয়ে ফোন করেন। একপর্যায়ে চন্দনপুরা ফায়ার স্টেশনের একটি টিম এসে লিফটের দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করে।
রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব: দেবরের হাতে ভাবির মৃত্যু
রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে দেবরের মারধরের শিকার হয়ে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় শনিবার সকালে অভিযুক্ত দেবরকে পুলিশ আটক করেছে।
নিহত সাহারন বেগম (৩৩) উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের শাহাপাড়ার ভ্যান চালক মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত বাড়ির রাস্তা নিয়ে দুই ভাই মোশারফ হোসেন ও সাহেব আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরে মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী সাহারন বেগম ও তার দেবর সাহেব আলী বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় সাহেব আলী উত্তেজিত হয়ে তার ভাবিকে কিল-ঘুষি দিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাহারনকে। পরে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতেই পুলিশকে না জানিয়ে গোপনে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। এরপর খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এবিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আব্দুল খালেক বলেন,দেবরের কিল-ঘুষিতে এক নারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে চলে আসে। আমরা আবার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি,তারপরেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত দেবর আটক হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নির্মাণাধীন ভবন থেকে মাথায় শাবল পড়ে নারীর মৃত্যু
সরাইলে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই বাস থেকে পড়ে হেলপারের মৃত্যু
বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু রবিবার
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ট্রায়াল হিসেবে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে এবং পরবর্তীতে বয়স্কদের দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো.মঈনুল আহসান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে খুব বড় করে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হবে না। যেকোন টিকার ক্ষেত্রেই আমরা শুরুতে সতর্কতামূলকভাবে কিছু জনগোষ্ঠীকে দিয়ে শুরু করি। এরপর কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর বড় আকারে শুরু করি। বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে কোভিড বুস্টার ডোজ
মঈনুল আহসান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যারা সক্ষম, তাদের দিয়ে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করবো। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা অবশ্যই বয়স্কদের আনবো। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে কোমরবিড কন্ডিশন আমরা বিবেচনায় রাখব।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামীকাল থেকে দেশে করোনার বুস্টার ডোজ শুরু হবে। উনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এটি নিয়ে কাজ করছিলাম।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্ব ও সম্মুখ যোদ্ধাদের করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার সুপারিশ
প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে বুষ্টার ডোজ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি আছে। প্রাথমিক ভাবে খুব সীমিত আকারে এটা শুরু করা হবে। তবে, সীমিত পর্যায়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে ব্যাপক আকারে শুরু হয়ে যাবে। আমরা আশা করি টিকার যে সরবরাহ রয়েছে, এতে কোনো ঘাটতি হবে না।
ঢাকা সিভিল সার্জন বলেন, বুস্টার ডোজের ঘোষণা তিনটা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। একটি হলো সক্ষমতা এবং আমাদের টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ। আমরা প্রথমে একটি ডোজ দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম, এরপর আমরা সরবরাহ বাড়িয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে কাজ করেছি। এখন আমাদের সরবরাহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে বলে তাই সরকার বুস্টার ডোজ দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা বয়স্ক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারীর যোদ্ধা আছেন, তাদেরকে মন্ত্রীর নির্দেশনা মতো কাল থেকে দেয়া শুরু করব।
হাজীগঞ্জে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, কিশোরের মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আরও দুজন গুরুতর আহত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভার বদরপুর সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর ওসমান গণি (১৬) ফরিদগঞ্জ উপজেলার মূলপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। আহতরা হলো-হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ গ্রামের জহির হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন (১৭) ও একই গ্রামের শাহআলমের ছেলে রনি (১৭)।
আহতদের বরাত দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ ইউএনবি কে জানান, মোটরসাইকেলে তিন বন্ধু একসঙ্গে হাজীগঞ্জ বাজারে আসছিল। এসময় মোটরসাইকেলটি সড়কের মোড় ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তিন জনই গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওসমান গণিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত দুই কিশোরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক (উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার) ডা. শোয়েব আহমদ চিশতী এ সংবাদ নিশ্চিত করেন।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
কুয়েট শিক্ষক সেলিমের লাশ ময়নাতদন্তে কুষ্টিয়ার চিকিৎসকদের অপারগতা,পাঠানো হচ্ছে ঢামেকে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা অপারগতা প্রকাশ করায় সেলিম হোসেনের লাশ ঢাকা মেডিকেলের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে চিকিৎসকদের অপারগতার বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
দাফনের ১৪ দিন পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকাল ১০ টা ১০ মিনিটের সময় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগেই জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশরাফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দেন। মেডিকেল বোর্ডের অপর দুই সদস্য হচ্ছেন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রুমন রহমান ও ডা. মাহাফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্য স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে (সিভিল সার্জনকে) এই অপারগতার বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সর্ব সম্মতিক্রমে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, উক্ত লাশের সঠিক ময়নাতদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বরাবর পাঠানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জনকে অনুরোধ জানানো হয়।’
এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিভিল সার্জন জানান, ময়নাতদন্ত করতে অপারগতার বিষয়টি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তার জানা নেই।
এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই শিক্ষকের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি সম্পন্নের পর সন্ধ্যায় লাশ ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে অপারগতা প্রকাশের বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্যের কেউই গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিষয়টি স্পর্শকাতর বিবেচনা করেই হয়তো স্থানীয় চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত, খুলনা খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস এবং কুমারখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। লাশ উত্তোলনের সময় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে ভিড় জমান। লাশ উত্তোলনের পর পরই ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা করা হয়।
এদিকে লাশ উত্তোলনের সময় শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলীসহ স্বজনরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, সেলিমকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এই হত্যার সঠিক বিচার চান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ড. সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের খবর পেয়ে বাঁশগ্রাম কবরস্থানে শত শত উৎসুক নারী পুরুষ উপস্থিত হন। থানা পুলিশ ও একজন মেডিকেল অফিসার সেলিমের কবরস্থানের কাছে আসেন। এ সময় তার বাবা শুকুর আলী, তার দুই মেয়ে শিউলী ও শ্যামলীসহ নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও লাশ উত্তোলনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি।
পরবর্তীতে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহান লাবিব উপস্থিত সবাইকে জানান, সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে লাশ আজ (মঙ্গলবার) কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে না। বুধবার সকাল ৮টায় ড. সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় ফিরে মারা যান।
অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পরদিন ১ ডিসেম্বর বুধবার অধ্যাপক সেলিমকে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে তার লাশ তুলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তার লাশ তোলা হয়েছে।
এ ঘটনায় খুলনার খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক তদন্ত শাহরিয়ার হাসান অধ্যাপকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানান। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠান।
ওই চিঠিতে বলা হয়, কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমানের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে।