ডব্লিউএইচও
১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে সরকার টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে বলে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।
জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা কাঠামো আধুনিক হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, সরকার ১২ বা তার বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবন্ধীদের সুবর্ণকার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবে। ইতোমধ্যে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতি মাসে এক কোটি বা তার বেশি ডোজ টিকা সংগ্রহের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সিনোফার্ম থেকে প্রতিমাসে ২ কোটি করে মোট ছয় কোটি টিকা আসবে।
সবার সহেযোগিতায় চলমান মহামারি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘টিকা গ্রহণের পাশাপশি স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চললে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’
আরও পড়ুন: মাসে এক কোটির বেশি টিকার ব্যবস্থা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বে আত্মহত্যা প্রবণতায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম: ডব্লিউএইচও
আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম। বাংলাদেশে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে।
শনিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস-২০২১ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল (ক্রিয়েটিং হোপ থ্রো অ্যাকশন) বা ‘কাজের মাঝে জাগাই আশা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মানসিক রোগ বিভাগের রেজিস্ট্রার, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাইসুল ইসলাম পরাগ। তিনি উল্লেখ করেন, পৃথিবীতে প্রতিবছর দশ লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম। বাংলাদেশে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। গত একযুগে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০১৯-২০ করোনার সময়ে বাংলাদেশে আত্মহত্যা করছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। যাদের মধ্যে ২০-৩৫ বয়সীরাই বেশি। বর্তমানে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের আত্মহত্যার পরিমাণ তিন গুণ।
এ সময় তিনি আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিরোধে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: করোনাকালে দেশে আত্মহত্যা করেছে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ: আঁচল ফাউন্ডেশন
হেলথ টিভি ও বীকন পয়েন্ট লিমিটেড এর যৌথ উদ্যোগে এবং অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড, বায়োফার্মা লিমিটেড, হাই-টেক মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল, সিরিয়াস বিডি ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষতায় আয়োজিত এই আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন হেলথ টিভির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শব্দ সৈনিক ডেন্টিস্ট অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম, বিশিষ্ট নাক, কান ও গলারোগ বিশেষজ্ঞ, সার্জন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলো অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংগঠন সিরিয়াস বিডি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. শর্মী আহমেদ ও মোহাম্মদ হানিফ প্রমুখ।
ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান আত্মহত্যা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘হতাশা, গ্লানি, ব্যর্থতা কিংবা তীব্র অপমানের কারণে মানুষের মনে জন্ম নেয় একরাশ অভিমান। এমন পরিস্থিতিতে একসময় নিজেকে মূল্যহীন ভাবতে থাকে কেউ কেউ। বেঁচে থাকার উৎসাহ হারিয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। চরম হতাশায় থাকা ব্যক্তির প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। অনেক সময় আমাদের একটু প্রচেষ্টাই একটি প্রাণকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে নতুন জীবন উপহার দিতে পারে। আত্মহত্যা প্রবণতাকারীরা যখন নতুন জীবনে ফিরে আসেন তখন তারা বুঝতে পারেন জীবন আসলেই কতটা সুন্দর- এমনটাই উঠে এসেছে নানা গবেষণার ফলাফলে। আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা মানে এই নয় যে অন্যকে আত্মহত্যায় উৎসাহিত করা। বরং এই সম্পর্কিত সচেতনতামূলক আলোচনার মাধ্যমেই কঠিন পরিস্থিতিতে মনোবল ধরে রাখার উপায় সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অন্ত:স্বত্তা নারীর ‘আত্মহত্যা’
পারিবারিক নির্যাতন, কলহ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষা ও প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, প্রাত্যহিক জীবনের অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয়, মাদক ইত্যাদি কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এমন কিছু কারণ উল্লেখ করে আলোচকরা আরও বলেন, ‘আত্মহত্যা রোধে আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
বিশ্বব্যাপী আত্মঘাতী আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা এবং জীবনের মূল স্রোতের ধারার সঙ্গে মানুষকে যুক্ত করার লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড (আইএএসপি) এর উদ্যোগে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা মহামারির অত্যন্ত বিপজ্জনক সময় পার করছে বিশ্ব : ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারির ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক সময়ের’ মধ্যে রয়েছে বিশ্ব। প্রায় ১০০টি দেশে করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও প্রধান এই সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন, ভারতে প্রথম ডেল্টা ভেরিয়েন্ট পাওয়া যায়। এরপর থেকে এটি রূপান্তরিত হচ্ছে এবং অনেক দেশে করোনা একটি অতি সংক্রামক ধরণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আরও ১৩২ প্রাণহানি, শনাক্ত ২৮.২৭ শতাংশ
টেড্রস বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আগামী বছরের মধ্যে তাদের দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকাদান নিশ্চিতের আহবান জানিয়েছি। লক্ষ্য করেছি, ইতিমধ্যে টিকার তিন বিলিয়ন ডোজ বিতরণ হয়েছে। কয়েকটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই টিকা বন্টন নিশ্চিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
বিশ্বব্যাপী যে টিকা দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে দুই শতাংশেরও কম পেয়েছে দরিদ্র দেশগুলো। যদিও ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডাসহ ধনী দেশগুলো এক বিলিয়ন টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে, সারা বিশ্বের জন্য ১১ বিলিয়ন ডোজ টিকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ব্যাপক ভ্যাকসিনেশনের হার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের ঝুঁকি কমাতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ব্যাপক ভ্যাকসিনেশনের হার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের ঝুঁকি কমাতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনার প্রকোপ রোধে শতকরা ৮০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন কভারেজ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(ডব্লিউএইচও)মুখপাত্র।
ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচি বিষয়ক প্রধান ডা. মিশেল রায়ান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ব্যাপক পর্যায়ে ভ্যাকসিনেশন কভারেজের মাধ্যমে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।’
রায়ান স্বীকার করেছেন যে, সংক্রমণের ক্ষেত্রে ঠিক কতে শতাংশ ভ্যাকসিনেশন কভারেজ প্রভাব ফেলবে সেই ডাটা এখনও পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট নয়। তবে এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ কভারেজ ব্যাপক হারে সংক্রমণের ঘটনাগুলো এড়াতে প্রভাব রাখতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মারিয়া ভ্যান বলেছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে ৬০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা ব্রিটেনের আল্ফা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ছাড়ালো
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস ইতোমধ্যে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যাতে করেনা ভ্যাকসিন এর প্রাপ্যতা বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে জাতিসংঘের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য জি৭ এর আওতাভুক্ত দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এই সপ্তাহের শেষে ইংল্যান্ডে জি৭ নেতাদের সাথে বৈঠকের কথা রয়েছে উল্লেখ করে টেড্রস বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ যাতে বিশ্বের প্রতিটি দেশের ১০ শতাংশ মানুষ এবং বছর শেষে প্রতিটি দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ যাতে ভ্যাকসিন পায় তার সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে উক্ত নেতারা সহযোগিতা করতে পারে।
তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের জুন-জুলাইয়ে ১০০ মিলিয়ন এবং সেপ্টেম্বর নাগাদ ২৫০ মিলিয়ন টিকা প্রয়োজন।
এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষমতা জি৭ দেশগুলোর রয়েছে বলে ডব্লিওএইচও প্রধান মন্তব্য করেন।
করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত ১৫ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৬৫২ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৩ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: করোনার দুর্দিনে জনগণের পাশেই আছেন প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭০৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭৬ হাজার ২৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৮১ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৯১ লাখ ৬৪ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৮৫৩ জন।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৯০৭ জন।
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ছাড়াল
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৩ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৪২২ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩২৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৫ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১ হাজার ১৮৭ জন।
আরও পড়ুন: রাশিয়া ও চীনের টিকা স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৯১৮ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
এদিকে, বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭৭ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৩০৫ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৫৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৮ জন মারা গেছেন এবং ৩ হাজার ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১০.৪৮ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯২ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩১৯ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫০ শতাংশ।
লকডাউন বাড়ল
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ও জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সরকার ছয়টি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দোকান ও শপিংমলগুলো স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য সংস্থা ও বাজার পরিচালনা কমিটি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এই নির্দেশনা অনুসারে, পণ্যবাহী যানবাহন ব্যতীত কাউকে ভারত থেকে বিমান, স্থল ও নদী পথের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
এছাড়াও যে সকল বাংলাদেশি এখন ভারতে রয়েছেন এবং তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কেবল তারাই ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছ থেকে রিলিজ/ সার্টিফিকেট গ্রহণের পর দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত ১৪ কোটি ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
রবিবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার ৫৩৬ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯৩ জনে।
আরও পড়ুন: সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭১ হাজার ৯২০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৩ লাখ ৮ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯২ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জন।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৩ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
এদিকে দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে বলে শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৩ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১০ হাজার ৯৫২ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৯৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দিল্লির হাসপাতালে ‘অক্সিজেন সংকটে’ ২৫ করোনা রোগীর মৃত্যু
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, একদিনে ৮৮ জন মারা গেছে এবং ৩ হাজার ৬২৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৫৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩.১১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৭ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৮ শতাংশ।
কোভিড-১৯: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ও মৃত্যু কমেছে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে বলে শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৮ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১০ হাজার ৮৬৯ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬২৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার অধিদপ্তর জানায়, একদিনে ৯৮ জন মারা গেছে এবং ৪ হাজার ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকান-শপিংমল
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৮৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২২৫ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৪ জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৭ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৪ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৫ জনে।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৫০৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭০ হাজার ৩২১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫০২ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২০ জন।
করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ৩০ লাখ ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
রবিবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৯ হাজার ২৫ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮ হাজার ৪৫৯ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৭০১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮৯৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ভারতের টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৩৯ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৭৮ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৭৯ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ১২ হাজার ২২৮ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০১ জন মারা গেছেন বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শতাধিক মৃত্যু দেখল বাংলাদেশ।
এর আগে শুক্রবারও ১০১ জন মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৮৩ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভাবে ৩ হাজার ৪৭৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯০৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৮৫ টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.৪৬ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৮৯ শতাংশ। মৃত্যুরহার ১.৪৪ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৫.১২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: ভারতে প্রতিদিন নতুন শনাক্তের সংখ্যা ২ লাখের বেশি
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার থেকে সারাদেশে আটদিন ব্যাপী কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
কোভিড-১৯: বিশ্বে আক্রান্ত ১৩ কোটি ৫২ লাখ ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৫২ লাখ ১৯ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৯ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভয়ংকর হচ্ছে করোনা: পরিপূর্ণ লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৩৪ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৯ হাজার ২১২ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ।
এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৬৬১ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে আরও ৫ হাজার ৩৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জনে।
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩টি পরীক্ষাগারে ২৫ হাজার ১৮৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩৬ হাজার ৭৭টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০.৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে মৃত্যুতে আগের সব রেকর্ড চুরমার, শনাক্ত কমেছে
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমকি ৩০ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।