নিয়োগ
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম পর্বের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: পরীক্ষার ১ম ধাপে উত্তীর্ণ ৪০ হাজার ৮৬২
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd ফলাফল পাওয়া যাবে।
উত্তীর্ণরা মোবাইল ফোনেও মেসেজ পাবেন। চলতি মাসের ৮ তারিখে তিন বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ১২ পরীক্ষার্থী আটক, বহিষ্কার ৩
গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক ৩৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ১২ পরীক্ষার্থী আটক, বহিষ্কার ৩
কুড়িগ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি ও ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতি করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ১২ জন পরীক্ষার্থীকে আটক এবং তিনজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ২০ হাজার ৭১ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৭৩৪ জন।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের দায়ে ১২ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তিনজন পরিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
চাকরির পেছনে না ছুটে কমলা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে কুড়িগ্রামের যুবক
‘স্মার্ট গ্রিড’র দিকে যেতে শীর্ষ মার্কিন পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে পাওয়ার সেল
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সরকার প্রচলিত গ্রিড সিস্টেমকে ধীরে ধীরে স্মার্ট গ্রিডে উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে- প্রাথমিকভাবে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেমটি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) অধীনে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, প্রাথমিকভাবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) অধীনে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম স্থাপন করা হবে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপকে (বিসিজি) নিয়োগ দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কারিগরি শাখা পাওয়ার সেল জাতীয় গ্রিড ও সংযুক্ত ইউটিলিটির বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন এবং নতুন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে জরিপ পরিচালনার জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।
আরও পড়ুন: আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
‘বাংলাদেশের পাওয়ার ইউটিলিটিগুলোর জন্য ও স্মার্ট গ্রিড রোডম্যাপের প্রযুক্তিগত সহায়তা’ শিরোনামে এরই মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিসিজি।
ইউএস ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির আর্থিক সহায়তায় এবং ফলোআপ হিসেবে বিজিসি এই জরিপ পরিচালনা করে। ইউএসটিডিএ পরবর্তী জরিপ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ১ জুন অনুদান হিসেবে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে পাওয়ার সেলের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে।
পাওয়ার সেলের কর্মকর্তারা জানান, চুক্তির আওতায় বিসিজি সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি সব বিদ্যুৎ ইউটিলিটির প্রযুক্তিগত ও আর্থিক চাহিদা মূল্যায়ন করে আরও বিস্তৃত ও বিশদ অধ্যয়ন করবে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, "প্রকৃতপক্ষে, একটি মার্কিন পরামর্শক সংস্থা সামগ্রিক সিস্টেমকে একটি স্মার্ট গ্রিড সিস্টেমে রূপান্তর করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে। সেখানে সবকিছু ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হবে এবং বিদ্যমান ম্যানুয়াল সিস্টেমের পরিবর্তে একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম স্থাপন করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফ-গ্রিড নবায়নযোগ্য ও ক্যাপটিভ পাওয়ারসহ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২৭ হাজার ৮৩৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট উৎপন্ন হয়েছিল।
ট্রান্সমিশন লাইনের দৈর্ঘ্য ১৪ হাজার ৯৩৪ সার্কিট কিলোমিটার যেখানে ৬৩ হাজার ৮৯৫টি গ্রিড সাবস্টেশন রয়েছে এবং বিতরণ লাইনের দৈর্ঘ্য ৬ লাখ ৪৩ হাজার কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১
মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন এবং সিস্টেম লস ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ হাজার মেগাওয়াটে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
কর্মকর্তারা বলেন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পেছনে দ্রুত বর্ধনশীল সিস্টেমকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সরকার স্মার্ট গ্রিড প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তারা বলেন, পরামর্শক সংস্থা বিসিজি ডিসেম্বরে পরবর্তী প্রতিবেদন জমা দেবে। যার ভিত্তিতে পিজিসিবি ও ডিপিডিসি স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম বাস্তবায়নের জন্য পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করবে।
এদিকে প্রাথমিক জরিপসহ জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বিজিসি সাইবার নিরাপত্তাকে একটি মূল ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখানে পিজিসিবিসহ বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রিড নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে পিছিয়ে রয়েছে।
স্মার্ট গ্রিড প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ৮টি মূল চ্যালেঞ্জ ও ২৮টি প্রযুক্তি সমাধান ও উদ্যোগ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুতের বিতরণ খাতে ১৫টি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন, অসঙ্গতিপূর্ণ বিদ্যুতের গুণমান, ম্যানুয়াল অপারেশন ও সম্পদের সীমিত দৃশ্যমানতা, সরবরাহের পরিবর্তনশীলতা বৃদ্ধি, বিলিং দক্ষতা উন্নত এবং অ-প্রযুক্তিগত ক্ষতি হ্রাস, উন্নত গ্রাহক সন্তুষ্টি, বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং পয়েন্টের অভাব এবং অসম্পূর্ণ রাজস্ব আদায়ের মতো মূল চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিসিজি বিদ্যুৎ খাতের ট্রান্সমিশন বিভাগের জন্য ৫টি চ্যালেঞ্জও চিহ্নিত করেছে।
সেগুলো হলো- উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি লস, ক্রমবর্ধমান ট্রান্সমিশন লস, গ্রিড সম্পদের ম্যানুয়াল অপারেশন ও প্রতিক্রিয়াশীল ভিএআর (ভোল্ট-অ্যাম্পস প্রতিক্রিয়াশীল) ব্যবস্থাপনা।
সবশেষে এই সেক্টরের জেনারেশন সেগমেন্টের জন্য ২টি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি প্রকরণ ও পাওয়ার বাধা।
আরও পড়ুন: তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের পুরানো কূপ থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু
কারাগারে ‘চিকিৎসক নিয়োগ বিধিমালা’ চূড়ান্তে ১ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
দেশের কারাগারগুলোয় আগামী ১ মাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৬ জুন) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কারা কর্তৃপক্ষকে শূন্য পদে কারা চিকিৎসক নিয়োগের অগ্রগতি এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের গ্রামীণ কল্যাণের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জে আর খান রবিন। কারা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান।
মঙ্গলবার (৬ জুন) শুনানিকালে এখন কারা হাসপাতালগুলোতে কতজন চিকিৎসক আছেন-আদালতের এমন প্রশ্নে কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ১২৫ জন।
তখন আদালত জানতে চান, বাকিগুলো পূরণ করছেন কিভাবে?
জবাবে কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী জানান, শূন্যপদ পূরণের কাজ চলছে।
আদালত তখন বলেন, কত বছর লাগবে? ডাক্তারের তো অভাব নেই। নিয়োগ দেন না কেন? কেন্দ্রীয় কারাগারেই দিচ্ছেন না, তাহলে জেলা কারাগারগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ।
আদালত আরও বলেন, শুধু চিঠি চালাচালি করছেন। ক্ষমতা অপব্যবহার করার জন্য না, মানুষের সেবা করার জন্য। কারাগারে গরিব মানুষ থাকে, ধনীরা থাকে না।
ধনীরা কারাগারে গেলেও তাদের জন্য ডিভিশনের ব্যবস্থা থাকে। গরিবদের বাঁচান।
এরপর কারা চিকিৎসক নিয়োগের বিধিমালা চূড়ান্ত করা কথা বলে আদালত কারা কর্তৃপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা এক মাস পর তারিখ রাখছি। এর মধ্যেই চূড়ান্ত করবেন। এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর আদালতে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬৮ কারাগার এবং কারা হাসপাতালে ১৪১টি চিকিৎসকের পদের বিপরীতে প্রেষণে ও সংযুক্ত মিলিয়ে মোট ৯৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
এরপর আদালত শূন্য পদগুলোতে অবিলম্বে কারা চিকিৎসক নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়ে অগ্রগতি জানাতে বলেন।
এর ধারাবাহিকতায় মামলাটি কার্য তালিকায় আসে। ২০১৯ সালে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।
তখন আদালত কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা নিয়ে রুল জারি করেন। সেই সঙ্গে কারাগারের চিকিৎসা ব্যবস্থা, চিকিৎসক নিয়োগসহ কারাগারের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দিয়ে কারাগারে ২৪ জন চিকিৎসক থাকার কথা জানায়। পরে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্ট শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় পুকুর দখলে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
৪২ ঘন্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত; পুলিশ সুপার যোগাযোগ করায় অসন্তোষ হাইকোর্টের
প্রফেসর সাজ্জাদ ও আলমগীরকে পুনরায় ইউজিসির সদস্য নিয়োগ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আলমগীর।
সোমবার (৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত দুইটি পৃথক আদেশ জারি করেছে।
আগামী চার বছরের জন্য তারা সদস্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এ সময় তারা প্রথম মেয়াদের অনুরূপ বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নিতে ইউজিসিকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ
ইউজিসি জানায়, প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন ও প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীরের প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হবে যথাক্রমে চলতি মাসের ১১ ও ১৫ তারিখে।
২০১৯ সালের ১২ জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে সদস্য হিসেবে যোগদানের আগে প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। এছাড়া রাশিয়ার মস্কো টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেম নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স ও একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয় কোয়ান্টাম কম্পিউটিং।
অপরদিকে ২০১৯ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে প্রফেসর আলমগীর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দুই মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সিন্ডিকেট সদস্য, প্রভোস্ট এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জার্নাল অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স-এর প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি এবং জাপানের সাগা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
আরও পড়ুন: ইউজিসিকে কর্মমুখী পাঠ্যক্রম চালু করার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
উচ্চশিক্ষা খাতে ১২ হাজার ২৬২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন ইউজিসি’র
চট্টগ্রাম বন্দরে শিপ হ্যান্ডেলিং এ নতুন অপারেটরদের নিয়োগ ৬ মাসের জন্য স্থগিত
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ পরিচালনার (শিপ হ্যান্ডেলিং) জন্য নতুন অপারেটরদের নিয়োগ (লাইসেন্স) প্রদানে বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিনের যৌথ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এস.টি. এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তারেক কামালের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন। এ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন।
আবেদনকারীর পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবির আব্বাস চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনে প্রতি টনে ২২০ টাকা দেবে ভারত
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কুতুবদিয়া, বহির্নোঙ্গর ও অন্যান্য বিশেষায়িত জেটিতে আগত দেশি/বিদেশি জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিং এর জন্য রেগুলেশন্স ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগং পোর্ট (কার্গো এন্ড কন্টেইনার) -এর প্রবিধানমালা ও এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেট অনুসরণ না করে দরপত্র ব্যতীত নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এমতাবস্থায়, এস. টি. এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং-৫০৭১ অব ২০২৩ দাখিল করলে বিজ্ঞ বিচারক শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রুলনীশি জারি করে বাংলাদেশ গেজেট অনুসরণ না করে দরপত্র ব্যতীত নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বরাবরে নির্দেশ দেন এবং গেজেট অনুসরণ না করে দরপত্র ব্যতীত নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে দেশজুড়ে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে পণ্য খালাস বন্ধ
লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর: অ্যাটর্নি জেনারেল
২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্বাচিত হওয়ার পর পদটি লাভজনক বলে প্রশ্ন তোলাকে অবান্তর মন্তব্য করে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, একদম সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতি বৈধ। এটাতে কোনও প্রশ্ন করা উচিত না।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় গ্রেপ্তারদের বিচার দ্রুত শেষ করা হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
রাষ্ট্রপতির নিয়োগ যথাযথভাবে হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, একদম সম্পূর্ণভাবে তিনি বৈধ। এটাতে কোনও প্রশ্ন করা উচিত না।
এছাড়া আমার মতে যে প্রশ্ন করা হচ্ছে সেটা অবান্তর।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৪৮, ৬৬ ও ১৪৭ অনুচ্ছেদ মিলিয়ে পড়লে দেখা যাবে, এটা কোনোভাবেই লাভজনক পদের মধ্যে পড়ে না।
রাষ্ট্রপতি কেনোক্রমেই সরকারের কর্মে নিয়োজিত কোনও ব্যক্তি নন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক দুর্নীতি দমন কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন সিইসি।
আরও পড়ুন: পদত্যাগপত্র দিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ
দুই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ
বিইআরসিতে ৩ সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) তিনজন সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জারি করা পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাবেক অতিরিক্ত সচিব হেলাল উদ্দিন, হাইড্রোজেন ইউনিটের সাবেক মহাপরিচালক আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান এবং ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরীকে বিইআরস’র সদস্য করা হয়েছে।
৩১ জানুয়ারি চেয়ারম্যান ও তিন সদস্যের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পদগুলো শূন্য ছিল।
বর্তমানে বিইআরসির ৫ সদস্যের মধ্যে মাত্র একজন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে বিইআরসি আইনের সংশোধনী পাস
বিইআরসি খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে সিদ্ধান্তে বিলম্ব করলে, সরকার সিদ্ধান্ত নেবে: নসরুল হামিদ
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৬৯ পদে বেসামরিক লোকবল নিয়োগ দেবে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১৪-২০তম গ্রেডে অসামরিক স্থায়ী/অস্থায়ী পদে লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহীদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে সরাসরি অথবা ডাকযোগে আবেদন করতে হবে।
বয়সসীমা: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৯ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।
আবেদন ফি: ২০০ টাকা।
আবেদনের শেষ সময়: ৯ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: পিএসসির নন-ক্যাডারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: ২৯৫৩ শূন্য পদে চাকরি
পদ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণি, আবেদনের যোগ্যতা ও আবেদন ফরমের জন্য ক্লিক করুন
https://www.army.mil.bd/Job-Circulation-Details/span-stylecolor-333333-fontfamily-trebuchet-ms-arial-helvetica-sansserif-fontsize-14px-textalign-justify-backgroundcolor-f7f7f7permanent-civilian-post-in-bd-armyspan-40
পদের নাম:
১। ফিটার ২। বারবার ৩। বুক বাইন্ডার ৪। অপারেটর হিট ট্রিটমেন্ট ৫। ইউডিসি
৬। টেইলার ৭। প্যাকার ৮। এমটি ড্রাইভার/ ড্রাইভার/ সিএমডি ৯। কম্পাউন্ডার
১০। ফায়ার-ক্রু ১১। পরিচ্ছন্নতা কর্মী ১২। নিরাপত্তা প্রহরী ১৩। সহিষ ১৪। মালী ১৫। হেড মেকানিক ১৬। অফিস সহায়ক/বার্তাবাহক ১৭। বাবুর্চি (ইউ) ১৮। পাম্প অপারেটর ১৯। বেঞ্চ ফিটার (এসএস-২) ২০। ফায়ারম্যান ২১। আয়া ২২। ভিউয়ার ২৩। বাবুর্চি (মেস) ২৪। বাবুর্চি ২৫। অফিস করণিক ২৬। সহকারী বাবুর্চি/মশালচী ২৭। স্টোরম্যান ২৮। ইলেক্ট্রিশিয়ান ২৯। বাবুর্চি (হাসপাতাল) ৩০। ওয়েল্ডার (এসএস-২) ৩১। মেসওয়েটার ৩২। ইনসেক্ট কালেক্টর ৩৩। পেইন্টার ৩৪। ধুপি ৩৫। ওয়ার্ডবয় ৩৬। টিসিএম-৩ ৩৭। মিল্ক ডেলিভারিম্যান ৩৮। ইএন্ডবিআর ৩৯। শ্রমিক/ইউএসএম ৪০ । ফার্ম লেবার (বুলক কার্ট ড্রাইভার)।
আরও পড়ুন: তথ্য অধিদপ্তরের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন করবেন যেভাবে
বিজিবিতে চাকরির সুযোগ: আবেদন করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের মেয়াদ বাড়ল দেড় বছর
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নিয়োগের মেয়াদ দেড় বছরের জন্য বাড়িয়েছে সরকার।
সোমবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবদুল্লাহ’র নতুন মেয়াদ ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি শুরু হবে এবং ২০২৪ সালের ১১ জুলাই মেয়াদ শেষ হবে অথবা যোগদানের তারিখ থেকে দেড় বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে।
বেনজীর আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেন আল-মামুন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে: আইজিপি
আইজিপি র্যাঙ্ক ব্যাজ পরানো হলো চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে