চুয়াডাঙ্গা
গাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেল শ্রমিকের
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গাছ কাটতে গিয়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে সাইদুর রহমান নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দিকে উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুর রহমান উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গাজীপাড়ার মৃত মুনতাজের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল অটোচালকের, আহত ৩
উপজেলার কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্বাস উদ্দিন জানান, রবিবার সকালে গাছকাটার একপর্যায়ে সাইদুর অর্ধেক কাটা হেলানো শিশু গাছের নিচে বসেছিলেন। এসময় হঠাৎ গাছটি ভেঙে তার শরীরের উপরে পড়ে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা ও শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ইয়াসির আরাফাত জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম জাবীদ হাসান বলেন, গাছকাটার সময় গাছের নিচে চাপা পড়ে সাইদুর রহমান নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে প্রাণবন্ত বইমেলার শিশুচত্বর
দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথেই প্রাণ গেল মা ও ছেলের
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেড়েছে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাতে
চুয়াডাঙ্গায় এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে একদিকে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা এবং অন্যদিকে কমছে শীতের তীব্রতা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দেখা গিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (২৮ জানুয়ারি) এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে উপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে আজ বুধবার তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া রাতে শূন্য দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে তিনি আরও জানান, আজসহ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলাসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মেঘলা কেটে গেলে আবারও শীত অনুভূত হবে। তবে আগামী সপ্তাহের শেষে আবারও একটি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রোগে। জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতন থাকতে বলছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি যত্ন নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির নিচে নামায় চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। আর বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ আজ ৯২ শতাংশ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, এছাড়া দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মেলেনি আর উত্তরের হিমেল বাতাসে ঠান্ডার মাত্রাও বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষজন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।
সরেজমিনে ইউএনবির এই প্রতিবেদক দেখতে পান, এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।
তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে সরকারি বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা চেয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।
বেসরকারি চাকরিজীবী শিউলি শারমিন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা থেকে অন্যদিন ভোরে মেহেরপুরে অফিসের জন্য বের হই। কিন্তু আজ একটু বেলা করে বের হয়েও প্রচুর শীত লাগছে। আর সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসতো আছে।’
ঈমান আলী নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আজ ভোরে কাজে যেতে পারিনি, শুধু অতিরিক্ত শীতের কারণে। ঘরেও জমানো অর্থ নেই। খুব বিপদে আছি। আল্লাহ ভরসা।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে আর এক-দু’দিন।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
চুয়াডাঙ্গায় ইউএনও'র নিরাপত্তা কর্মীর লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদে আনসার ব্যারাকের শৌচাগার থেকে জামাল উদ্দিন (৫৫) নামে অচেতন এক আনসার সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জামাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামাল উদ্দিন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়িয়া গ্রামের গঞ্জের আলীর ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরার নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন।
উদ্ধারকারী আনসার সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, জামাল উদ্দিনসহ আমরা কয়েকজন সদস্য ডিউটিতে ছিলাম। এর মধ্যে যে কোনো এক সময় জামাল উদ্দিন আনসার ব্যাকারের শৌচাগারে যান। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। পরে আনসার ব্যারাকের শৌচাগার মধ্যে জামাল উদ্দিনকে পড়ে থাকতে দেখি। দ্রুত জামাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিল থেকে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জামাল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্ট্রোক করেছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি বলেন, সদর উপজেলার আনসার ব্যাকারের শৌচাগার থেকে এক আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্ট্রোক করেছেন। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, আনসার সদস্যের মৃত্যুতে আমার খুব খারাপ লাগছে। লাশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়া তিনি আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন বলে তার পরিবারের নিকট থেকে জেনেছি।
আরও পড়ুন: নবীনগরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় রাইসমিলের ফিতায় গায়ের চাদর জড়িয়ে নারীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় রাইসমিলের মেশিনের ফিতায় জড়িয়ে সখিরন নেছা নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের নিকেরীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রংপুরে বিল পরিশোধ করতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, আটক ৩
নিহত সখিরন নেছা (৬২) কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর উত্তর পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে বৃদ্ধ সখিরণ নেছা দেহাটি গ্রামের একটি রাইস মিলে ডাল কুটতে যান।
এসময় অসাবধানতাবশত তার গায়ের চাদর চলন্ত মেশিনের ফিতায় জড়িয়ে যায়। বিদ্যুৎচালিত মেশিনের ফিতায় জড়িয়ে পড়েন তিনিও।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম জাবীদ হাসান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নানির কোল থেকে নবজাতক চুরি
সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
চুয়াডাঙ্গায় এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে জেলার ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ।
হাড় কাঁপানো শীত ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এদিকে, তীব্র শীতে আজ জেলার সকল মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ জানুয়ারি) এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন রাত ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে।
আরও পড়ুন: যশোরের প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আজ সকাল ৬টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি এ জেলার তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আর ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ যাবতকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি।
এদিকে, তীব্র শীত ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। তবে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে খোলা রয়েছে কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেট স্কুল।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, ‘গত সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে কথা বলে তাপমাত্রা আরও কমার পূর্বাভাস পাওয়ায় খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালকের নির্দেশে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ (মঙ্গলবার) বন্ধ রয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, ‘তীব্র শীতের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত হয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাবেন।’
আরও পড়ুন: খুলনায় তীব্র শীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা
শীতের সকালে আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে চরম বিপাকে চুয়াডাঙ্গাবাসী
জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এর মধ্যে ভোর থেকে টানা প্রায় আড়াই ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। যা দিনব্যাপী গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতে রূপ নেবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এদিকে, জেলায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর ৫টা থেকে থেকেই মেঘের গর্জন শোনা যায়। উষ্ণতার চাদর মুড়িয়ে মানুষ যখন ঘুমে মগ্ন, ঠিক ভোর পৌনে ছয়টায় শুরু হয় বৃষ্টি। যা পরে ভারী বৃষ্টিতে রূপ নেয়। বৃষ্টি চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন এ্যানি বলেন, আজ সকাল ৬ ও ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে সকাল ৮টা ১০মিনিটে থেমেছে। এই ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
চুয়াডাঙ্গায় হাড় কাঁপানো শীত, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে হাড় কাপানো শীত। ভোর থেকে বেলা ১২টার আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা।
এমন কনকনে ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে কর্মহীন মানুষের খাদ্য সহায়তায় কেউ নেই। তারা কীভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটাচ্ছে সে খোঁজও প্রশাসনসহ নিচ্ছে না কেউ।
আরও পড়ুন: স্বাধীন দেশের প্রথম শীতের স্মৃতি
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হরেও তা এ জেলার জন্য অপ্রতুল। এছাড়া প্রশাসনের তালিকায় দিনমজুর এবং ছিন্নমূল মানুষ ঠাঁই পাচ্ছেন না।
গতানুগতিকভাবে আগের মতোই এ জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত মানুষের মধ্যে বিতরণ কাজ সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কিছু নিম্নমানের কম্বল বিতরণ করে সেটা ছবি তোলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে।
শীতার্ত খেটে খাওয়া মানুষ এ জেলায় উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছেন। আয়-রোজগার না থাকায় খেটে খাওয়া দিনমজুররা রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া শীত নিবারণের পোশাক কিনতে গিয়েও ফিরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
শীতে কাবু হলেও শীতের পোশাক কেনার সামর্থ হারিয়েছেন তারা।
শীতের কাপড় কিনতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দিনমজুর বলেন, যে কম্বল পেয়েছি তা দিয়ে চাদরের কাজও হয় না। একেবারে পাতলা। তাই পুরনো শীতের কাপড় কিনতে এসেছি।
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট মোড় এলাকার পুরনো কাপড় বিক্রেতা হাবু বলেন, এবার শীতের শুরুতে বেচাকেনা তেমন ছিল না। তবে এখন বিক্রি বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তার মোড়ের চা বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, জব্বর শীত পড়ছে। সবকিছু টাটিয়ে যাচ্ছে। সকালে কুয়াশা আর শীত। আর সন্ধ্যাবেলা কুয়াশা পড়ছে। বেচা কিনা নেই, খুব কষ্টে আছি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের ফুটপাতগুলোয় শীতের কাপড় বিকিকিনিতে ধুম
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রর্তা ছিল ৯৭ শতাংশ।
এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আদ্রর্তা ছিল ৯৬ শতাংশ। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান,আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গার আকাশে মেঘ জমবে এবং বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে করে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় আরও শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে।
চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠোনে সহিংসতা ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম আল আজাদ, পরিদর্শক আবু জিহাদ খান, উপপরিদর্শক মেফাউল হাসানসহ আরও অনেক ছিলেন।
আরও পড়ুন: জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
জেলা পুলিশ জানায়, শহরের পুলিশ অফিস মেইনগেট, সিভিল সার্জন বাংলো, জেলা জজ সাহেবের বাংলো, শহীদ হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনে, পৌরসভার মোড়, টাউন ফুটবল মাঠ এলাকা, রেলস্টেশন, টিঅ্যান্ডটি মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, প্রেস ক্লাব মোড়, ডিসি অফিসের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোট ৫০টি হাই রেজুলেশন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরাগুলো পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, শহরের চুরি, ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। জেলা শহরের সরকারি স্থাপনাসমূহ ও কেপিআইগুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে ১২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিসি ক্যামেরা দ্বারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হাতে খড়ি শুরু হয়। কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে ২০১৮ সালে এগুলো অকেজো হয়ে যায়। এবার চুয়াডাঙ্গায় ৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল নজরদারি শুরু হলো।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় সিলেটের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি: সিইসি
চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই প্রার্থী।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী রবিউল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। যদিও এর দুদিন আগে মৌখিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সাংবাদিকদের জানান দুই প্রার্থী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করে প্রার্থীরা জানান, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেন। সেই সঙ্গে তারা প্রার্থীদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন ও যোগাযোগ রাখছেন না।
দলের শীর্ষ এই দুই নেতা এই বার বার প্রার্থীদের বিপদে ফেলে সরকারে কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অবিযোগ করেন তারা।
এসব কারণে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
তারা বলেন, দলের হাই কমান্ড ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ভোটারদের কাছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের হেয় ও নিন্দিত করছেন।
একই সঙ্গে অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বলে জানান দুই প্রার্থী।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এবারের ভোট কেমন হচ্ছে, তা তো জানছেন। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আর মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না। কেবল মনোনয়ন দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন। দল থেকে কোনো নির্বাচনের একটি টাকাও দেয়নি। আমি ২০০১ সাল থেকে নির্বাচন করছি। আমি বলতে পারি, আমি দলকে টাকা দিয়েছি, দল আমাকে টাকা দেয়নি।’
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
তিনি বলেন, ‘২৬ জনকে নিয়েই ব্যস্ত নেতারা। আর আমরা ২৫৭ জন পড়েছি মহাবিপদে। এবারের ভোট অন্য রকম। টাকা ছাড়া কেউ কথা বলছে না। দৈনিক কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেখানে আমার যতটুকু ছিল খরচ করেছি। এখন আর পারছি না। তাই সরে দাঁড়ালাম।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা প্রার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টির ভোটারদের কোনো বিধি নিষেধ নেই। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। জাপার প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস খোকন, জীবননগর উপজেলার সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রশীদ হানেয়ারসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।