চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে মারধর: অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত
চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে মারধর করার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরিন এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে অভিযুক্ত ছাত্র।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
এদিকে, এ ঘটনায় ওই ছাত্রের শাস্তির দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
জানা গেছে, এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে থাপ্পড় মারার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ঘটনার দিন, পরীক্ষার হলে বিশৃঙ্খলা ও অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণির এক ছাত্রের খাতা কেড়ে নেন শিক্ষক হাফিজুর। এতে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষককে থাপ্পড় মারে অভিযুক্ত ছাত্র।
এ ঘটনায় শিক্ষকদের পক্ষে রবিবার রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান।
অভিযোগটি পুলিশ মামলা হিসেবে রুজু করে আমলে নেয়।
এদিকে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
এসময় কিছুক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর রোডে অবস্থান নিলে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে যানযট নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি’ প্রতিষ্ঠা করল পুলিশ
মানববন্ধনে ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
সঠিক বিচারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের ঘটনা আর যেন চুয়াডাঙ্গায় না ঘটে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। সামাজিকভাবে আমরা এত নিচে নেমে গেছি, এটা থেকে উত্তরণ দরকার।
তারা আরও বলেন, আমরা এই ঘটনার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি চাই।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানছিল না। যে কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষক তার খাতাটি নিয়ে নেন এবং বসতে বলেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকের ওপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে চড়-থাপ্পড় মারে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক লিখিতভাবে বিচারের আবেদন করেছেন। তার আবেদন ও সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সহকারে বিদ্যালয়ের সভাপতির পরামর্শে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, সরকারি কর্মচারিকে কর্তব্য পালনে বাধাপ্রদান, আক্রমণ, অপরাধমূলক বল প্রয়োগ এবং আঘাতসহ ভয়-ভীতি প্রদানের অপরাধে ৩৩২, ৩৫৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী আবু তালেব বলেন, আদালতে হাজির হয়ে ওই শিশু জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে শিশুটি সংশোধনাগারে (যশোর শিশু ইন্নয়ন কেন্দ্র) পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
আলমডাঙ্গায় ব্যাংক থেকে টাকা চুরির অভিযোগ, যুবককে মারধর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইসলামি ব্যাংকের শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে এক যুবককে মারধর দিয়ে পুলিশে সপোর্দ করে ব্যাংকের লোকজন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ইসলামি ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম উজ্জল হোসেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনার দুধপাতিলা গ্রামের নুরু বাঙ্গালের ছেলে।
এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. মোমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১
এবিষয়ে ব্যাংকের সহকারী কর্মকর্তা কায়সার আলম বলেন, ক্যাশ সেকশনে হঠাৎ লাল গেঞ্জি পরা অপরিচতি যুবককে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখি তার কাছে টাকার বান্ডিলের ছোট ব্যাগ রয়েছে। এ সময় সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা তাকে ধরে ফেলি। পরে ব্যাংকে উপস্থিত গ্রাহকরা তাকে মারধর করে। তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশে খবর দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিই।
ইসলামি ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপক ওয়াদুদ আলী জানান, কর্মকর্তারা সবাই কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে যুবকটি ক্যাশ সেকশনে ঢুকে টাকা নিয়ে দ্রুত বের হতে চেষ্টা করে। তখন কর্মকর্তারা তাকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধ আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গাছের গুঁড়ির নিচে চাপা পড়ে রোকনুজ্জামান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে গ্রামবাসীর সঙ্গে গাছের গুঁড়ি গাড়িতে উঠানোর সময় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত রোকনুজ্জামান উপজেলার মাধবপুর গ্রামের হাবিল উদ্দিনের ছেলে ও মাধবপুর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্র নিহত
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে মাধবপুর গ্রামের আজমাদ আলী নামে এক লোক একটি গাছ বিক্রি করেন। গাছের ব্যাপারি গাছটি কেটে রবিবার সকালে আলমসাধু গাড়িতে উঠানোর জন্য কয়েকজন গ্রামবাসীকে ডেকে নেন।
গ্রামবাসীর সঙ্গে রোকনুজ্জামানও গাছের গুঁড়ি উঠানোর জন্য যায়। গাড়িতে উঠানোর সময় গাছের গুঁড়িটি গাড়ি থেকে পিছলে পড়ে যায়। গাছের গুঁড়ির নিচে চাপা পড়ে রোকনুজ্জামান। গ্রামবাসী দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, গাছের গুঁড়িটি গাড়িতে তোলার সময় অসাবধানতায় কিশোরের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশের ময়নাতদন্ত না করে দাফনের জন্য আবেদন করেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
বগুড়ায় বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িতে চাপা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িতে চাপা পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মাধবপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রোকনুজ্জামান (১৪) ওই গ্রামের হাবিল উদ্দিনের ছেলে এবং মাধবপুর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ওই গ্রামের আজমাদ আলী গাছের ব্যাপারি রোজদার আলীর কাছে একটি গাছ বিক্রি করেন। রবিবার সকালে গাছটি কেটে আলমসাধু গাড়িতে উঠানোর জন্য রোজদার আলী কয়েকজন গ্রামবাসীকে ডেকে নেয়। গ্রামবাসীর সঙ্গে রোকনুজ্জামানও গাছের গুঁড়ি উঠাতে যায়। গাড়িতে উঠানোর সময় গাছের গুঁড়িটি স্লিপ করে পড়ে যায়। গাছের গুঁড়ির নিচে চাপা পড়ে রোকনুজ্জামান। গ্রামবাসী গুঁড়ির নিচ থেকে রোকনুজ্জামানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গুলশানের নর্দায় বাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, গাছের গুঁড়িটি গাড়িতে তোলার সময় অসাবধানতায় কিশোরের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
রোকনুজ্জামানের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশের ময়নাতদন্ত না করে দাফনের জন্য আবেদন করেছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৫
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
চুয়াডাঙ্গায় বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামে বাবা আজিজুলের ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে মর্জিনা খাতুন (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মর্জিনা খাতুন উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের স্কুলপাড়ার আজিবার মণ্ডল ওরফে আজিজুল হকের মেয়ে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
নিহতের বোনের ছেলে হোসেইন বলেন, সন্ধ্যায় সমিতির লোনের কিস্তির টাকা দেওয়া নিয়ে নানার সঙ্গে খালার বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে রাত দেড়টার দিকে ঘরের দরজার শিকল খুলে ঘুমন্ত অবস্থায় মর্জিনা খালাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে বাড়ির মধ্যে একটি গর্তের মধ্যে ফেলে রাখে নানা।
তিনি আরও বলেন, এ সময় খালার চিৎকারে তার মেয়ে রেকসোনা ছুটে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে আমার নানা। পরে আমরা দু’জনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক খালাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের অভিযোগ
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৃত অবস্থায় মর্জিনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়া রেকসোনার দুই হাতে অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। ক্ষতস্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে এসআই ইমরান বলেন, সন্ধ্যায় বাপ-মেয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। পরে রাতে মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে তার বাবা- এটা আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত এ ঘটনার পর পালিয়েছেন। আমরা তাকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছি, পরে বিস্তারিত জানাবো।’
আরও পড়ুন: নাটোরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই বোনের মৃত্যুর অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তৌহিদুল ইসলাম (৪০) নামে এক পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই এলাকার সেতুতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
তৌহিদুল উপজেলার ডম্বরপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের বড় ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম চিকিৎসার কারণে রাত করেই বাড়িতে যেতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওসমানী হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর লাশ উদ্ধার
এরপর তিনি চায়ের দোকান থেকে উঠে চলে যায়। রাতে আর বাসায় ফেরেননি। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।
কালিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ খুব সকালে আমাদের গ্রামের একজন আমাকে মোবাইল করে বলে তৌহিদুল মারা গেছে। লাশ ব্রিজে ঝুলছে।
তিনি আরও বলেন, আমি এটা শুনে তাৎক্ষণিক ওসিকে জানাই। পরে ঘটনাস্থলে এসে দেখি বিজ্রে তার লাশ দড়িতে ঝুলানো। বিজ্রের পাশের তৌহিদুলের মোটরসাইকেল আর মাথার টুপি পড়ে আছে।
নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা তো তৌহিদুল ভালো ছেলে হিসেবেই জানি। যাই হোক এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হোক।
আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হোসাইন জানান, শুক্রবার সকালে ডম্বলপুর-মাধবপুর সড়কে সেতুতে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। কিছুটা দূরে মোটরসাইকেল, মাথার টুপি ও পায়ের জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, সেখানে ধস্তাধস্তির চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে সুরতাহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের কানাইঘাটে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মাগুরায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকায় নয়নতারা নামে এক গৃহবধূকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ সময় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস টুনি মাকে রক্ষা করতে এলে তাকেও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সুমিরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নয়নতারা মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আনছার আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক নিহত, আহত ২
স্থানীয়রা জানান, ১৮ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের মৃত আনছার মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী নয়নতারাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছিলেন স্বামী আনোয়ার হোসেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ নয়নতারার লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়। স্বামী আনোয়ার হোসেন ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, বিছানা ও ঘরের মেঝে রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহরাব হোসেন বলেন, জান্নাতুলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মাথায় ১২-১৫টা সেলাই লেগেছে। সে শঙ্কামুক্ত নয়। তাকে সদর হাসপাতালে নারী সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রেখেছি। তার চিকিৎসা চলমান।
আহত জান্নাতুল বলেন, বাবা ৯ মাস ধরে আমাদের কোনো খরচ দেন না। আমরা নানিবাড়িতে ছিলাম। আমার নানার আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো না। মা আমাদের খুব কষ্ট করে চালান।
জান্নাতুল আরও বলেন, আমার আর ছোট ভাইয়ের পড়াশোনাও চালান মা। মায়ের শখ তার ছেলে হুজুর হবে এবং আমাকেও এসএসসি পর্যন্ত পড়াবেন। আমার পড়াশোনা গ্যাপ যাচ্ছে তাই আজ বাড়িতে এসেছি।
তিনি বলেন, মা বলছিলেন আজকে যেতে হবে না কালকে যাই।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমরা যদি কালকে আসতাম তাহলে আমার মা বেঁচে থাকতো।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, পরকীয়া সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনাবনি ছিল না। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আনোয়ার হোসেন গা ঢাকা দিয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তাহিরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ের পর ঝাড়ফুঁক, প্রাণ গেল যুবকের
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চাকুলিয়া গ্রামে সাপের কামড়ে সোহাগ আলী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে আহত অবস্থায় সোহাগকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কেশবপুরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
সোহাগ আলী দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের শমসের আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে সোহাগসহ কয়েকজন নিজ গ্রাম থেকে চাকুলিয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। এ সময় সোহাগের বাম পায়ে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। পরে নিজ গ্রাম ফুলবাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এক ওঝার কাছে নিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, রাতে কয়েকজন ব্যক্তি মৃত অবস্থায় সোহাগকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান, সাপের কামড়ের পর ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করেছিল। তার বা পায়ে সাপের কামড়ের আলামত দেখতে পেয়েছি। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, সাপের কামড়ে একজন মারা গেছে বলে জেনেছি। বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: নবীনগরে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ভ্যানে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১
চুয়াডাঙ্গায় পাখিভ্যানে (ব্যাটারিচালিত) ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। নিহত কালা চাঁদ ওই পাখিভ্যানের চালক ছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের জগন্নাথপুর জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত
নিহত কালা চাঁদ কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমবাড়িয়া গ্রামের আওলাদ বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, চাষের জন্য সার কিনে আলমডাঙ্গা থেকে পাখিভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন কালা চাঁদ। এসময় জগন্নাথপুর জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি ড্রাম ট্রাক ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ভ্যানচালক কালা চাঁদ।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহতের লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত
ঢাকার পূর্বাচলে ট্রাকের ধাক্কায় আহত জাবি ছাত্রীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ৭০ টাকার ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়
দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রকোপ ও গরমের কারণে বেড়ে গেছে ডাবের চাহিদা। এরই সঙ্গে বেড়ে গেছে ডাবের দামও। চুয়াডাঙ্গায় ৭০ টাকার ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এনিয়ে চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা ঝুলানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে দোকানিরা মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখলেও ডাবের দাম কমেনি বলে দাবি ক্রেতাদের।
চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বর (চৌরাস্তা) মোড়, নিচের বাজার, রেল বাজার, পুরাতন জেলখানা মোড়, সদর হাসপাতাল রোডের উপশম মোড়, কবরী রোডের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোড়, কেদারগঞ্জ নতুন বাজার মোড় ও একাডেমি মোড়সহ শহরের যে কয়টি স্পটে ডাব বিক্রি হয় প্রত্যেকটি স্পটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি ডাবের খুচরা মূল্য আকার ভেদে ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ প্রকারভেদে এই ডাবের দাম বর্তমান বাজারে ৭০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে হওয়ার কথা।
ডাব কিনতে আসা আলমগীর কবির শিপলু বলেন, গত সপ্তাহেও মাঝারি সাইজের ডাব কিনেছি ৭৫ টাকায়। এটা এখন দেখি ১০০ টাকা হয়ে গেছে। বড়টা তো ১৩০ টাকা। দাম এত বেড়েছে যে কিনতেই ইচ্ছে করছে না। আবার যে গরম ডাব না খাইলেও সমস্যা।
ডাব কিনতে আসা দেবাশীষ বিশ্বাস নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, সিন্ডিকেটের কারণেই ডাব দাম বাড়ছে। বাজারের প্রতিটি জিনিসের দাম যেমন বেশি, সেই সঙ্গে ডাবের দামও বেশি। ডাব কিনে খাওয়ার উপায় নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদরের সরিষডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট বলেন, ‘বর্ষাকালেও গরম বেড়েছে বলে অনেক ব্যবসায়ী ডাবের দাম বাড়িয়েছে। এ গরমে ডাব খাওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। এটা বুঝেই ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের সুযোগ নিচ্ছে।’
বিভিন্ন উপজেলার খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ছোট-বড় ডাব খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ৪০-৫৫ টাকায় বিক্রি করতেন। এখন সেটা বেড়ে দাম ৮০-১০০ টাকায় ঠেকেছে। যেমন বড় ডাব ১০০-১১০ টাকা, মাঝারি ৯০-১০০টাকা ও ছোট ডাব ৮০-৮৫ টাকায় খুচরা ব্যাবসায়ীদের কিনতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ৪৩২৩ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ