কাউন্সিলর প্রার্থী
কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী তাজুল ইসলামকে শোকজ ও আরও দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুন) কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. আলাউদ্দিন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পৃথকভাবে শোকজ ও জরিমানা করেন।
জরিমানার দণ্ডপ্রাপ্ত দুই কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন- ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বিকু ও নিয়ামুল ইসলাম খালেদ।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
রিটার্নিং অফিসার মো. আলাউদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কেসিসি নির্বাচনের ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের মো. তাজুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লাটিম প্রতীকের আবুল কালাম আজাদ বিকু কাজীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও তার কর্মী সমর্থকদের মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে শুক্রবার ঘটনার সরেজমিন তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। এ কারণে কাউন্সিলর প্রার্থী মো. তাজুল ইসলামকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
অন্যদিকে, নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতীম চক্রবর্র্তী ও রেফায় ই আবিদ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার বিকালে নগরীর খালিশপুরের পিপলস নিউ কলোনি মাঠ এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এবং নিয়ামুল ইসলাম খালেদকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া দুই কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না নিয়ে মিছিল ও শোডাউন এবং মাইক ব্যবহারের কারণে এই জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
কেসিসি ভোট: মেয়র পদে ৭ জনসহ ২২২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করায় কাউন্সিলর প্রার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
ফেনীতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করায় ফেসবুকে লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সোনাগাজী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শাহজাহান। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক।
সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলী এলাকায় নিজ বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
আত্মহত্যা চেষ্টার আগে শাহজাহান salman sayed নামে ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে জানান, তার মাকে জিম্মি করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে। নিজেকে রক্ষা করার জন্য কারো সহযোগিতা না পেয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তার মৃত্যুর জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজিজুল হক হিরন, মেয়র খোকনের ভাই মিজান দায়ী থাকবে। ফেসবুক লাইভ শেষে শাহজাহান ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ১
প্রার্থী শাহ জাহানের অভিযোগ, নিজ দলের আরও কয়েকজন নেতা জোর করে তাকে কাউন্সিলর পদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছেন।
ফেসবুক লাইভে এসে শাহ জাহান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে গুরুত্ব দিতে। আপনার কথায় আশ্বস্ত হয়ে আমি সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করি। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা আমাকে সকাল থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চাপ দিতে থাকেন। আমি তাদের চাপে পড়ে আত্মগোপনে চলে যাই। বিকালে তারা আমার বাড়ি গিয়ে আমার বৃদ্ধ মাকে চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। খবর পেয়ে বাড়িতে গেলে তারা আমাকে জোর করে ধরে নির্বাচন কার্যালয়ে নিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। আর যারা জোর করে আমাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছেন, আমার মৃত্যুর জন্য তারাই দায়ী থাকবেন।’
শাহ জাহানের স্বজনেরা জানান, পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বুধবার শাহ জাহানসহ সোনাগাজীতে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে দুজন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
তারা জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করায় সন্ধ্যায় তিনি ঘরের ভেতরে দরজা বন্ধ করে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে দরজা খুলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন মানেই আওয়ামী লীগ: নানক
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সাদেকুল করিম বলেন, ঘুমের ওষুধ জাতীয় বিষপানে অসুস্থ অবস্থায় শাহ জাহান নামে একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। দ্রুত তার পাকস্থলী পরিষ্কার করা হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, একাধিক প্রার্থীর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার আগ পর্যন্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও চাপ প্রয়োগ করেন।
চসিক নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আটক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে মারামারি ও সহিংসতার ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানার ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিল বিএনপি নেতা এবং বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল বালীকে আটক করেছে পুলিশ।
কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই খুনের ৫ ঘণ্টার মধ্যে অপর প্রার্থীর লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই খুনের সাড়ে চার ঘণ্টা পর এবার প্রতিদ্বন্দ্বী এক কাউন্সিলর প্রার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পৌর নির্বাচন: মাগুরায় কাউন্সিলর প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ
মাগুরা পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণার সময় এক কাউন্সিলর প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
মানিকগঞ্জে জীবিত কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটার তালিকায় মৃত!
জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে মানিকগঞ্জ পৌরসভার এক কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম।
ঢাকা সিটি নির্বাচন: হামলার শিকার বিএনপির ২ কাউন্সিলর প্রার্থী
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে শনিবার সকালে ভোট দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির দুই কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।