দাফন
যথাযোগ্য মর্যাদায় ক্যাপ্টেন নওশাদের দাফন সম্পন্ন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের নাগপুরে মৃত্যুবরণ করা বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিমানের ফ্লাইট বিজি-০২৬ তার মরদেহ ভারতের নাগপুর থেকে সকাল ৯ টা ১২ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসে।
এসময় বিমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী, এমপি, সচিব জনাব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্স লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ও বিমানের পাইলটসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীগণ এ সময় উপস্থিত থেকে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: পাইলট নওশাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এরপর ক্যাপ্টেন নওশাদ এর মরদেহ তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ২ টায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবন প্রাঙ্গণে তার মৃত দেহ আনা হলে সেখানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লি. এর পক্ষ থেকে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব (অবঃ) সাজ্জাদুল হাসান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম এর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। অতঃপর মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমানের পরিচালকবৃন্দ ও সর্বস্তরের কর্মীগণ উক্ত জানাজায় অংশগ্রহণ করেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত পাইলট, নাগপুরে বিমানের জরুরি অবতরণ
জানাজা শেষে ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম এর মরদেহ বিকাল ৪ টায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) নওশাদ মাস্কট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার সময় মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুরে নিরাপদে বিমান অবতরণের জন্য প্রশংসিত হন। ৪৪ বছর বয়সী এই পাইলট তখন থেকেই নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
চট্টগ্রামে আহমদ শফির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত বাবুনগরী
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতের নিজের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী মাদরাসা কবরস্থানে হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির কবরের পাশেই শায়িত হলেন হেফাজতের সদ্য প্রয়াত আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে হাজারও মানুষের অংশগ্রহণে হাটহাজারী মাদরাসা মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার ইমামতি করেন বাবুনগরীর মামা এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। এসময় দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ
এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বক্তব্য দেন।
পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী মাদরাসা কবরস্থানে হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
বাবুনগরী হেফাজত আমিরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক পদেও ছিলেন। তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানি তালিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা গেছেন
এদিকে, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজাকে ঘিরে মানুষের ভিড়ের কারণে রাত ১০টার পর থেকেই হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
শোক দিবসে কোয়ান্টামের দাফন করসেবা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে হাজারো স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ‘দাফন করসেবা’র আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
রবিবার রাজধানীর কাকরাইলে ওয়াইএমসিএ ভবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কার্যক্রমে এক হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন।
কার্যলয় সূত্র জানায়, এই দিন সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবী কেউ কাফনের কাপড় কাটছেন, কেউ আতর-সুরমা প্যাকেট করছেন। কেউ বডিব্যাগ প্রস্তুত করছেন, কেউ আবার পিপিই গোচ্ছাচ্ছেন। এভাবেই কর্পূর, তুলা, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস প্যাকেটে ভরে প্রস্তুত হচ্ছে একেকটি প্যাকেট। সঙ্ঘবদ্ধভাবে হাত ঘুরে ঘুরে সেগুলো চলে যাচ্ছে গোসলখানা বা হাম্মামখানার স্টোরে।
আরও পড়ুন: করোনায় দাফন: কঠোর লকডাউনেও সক্রিয় কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবীরা
দাফনকর্মীরা সেখান থেকে একেকটি প্যাকেট ব্যবহার করেন একেকজন লাশের জন্যে। এভাবেই হাম্মামের ভেতরে সহজেই সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করতে লাশ ও দাফনকর্মীদের পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ করসেবার আয়োজন। পাশাপাশি কাপড় কাটাসহ বডিব্যাগ প্রস্তুতির প্রশিক্ষণে অংশ নেন তারা।
জানা গেছে, ২০২০ সালে করোনার শুরু থেকে শনিবার ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ৫ হাজার ৭২০ জনেরও বেশি লাশের শেষযাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কর্মীরা। এর মধ্যে মুসলিম ৫ হাজার ৪০ জন, সনাতন ৬০৮ জন, বৌদ্ধ ধর্মের ৩১ জন ও খ্রিষ্টান ধর্মের রয়েছে ৪১ জন। ২০২১ সালের শুরু থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতে এ সংখ্যা ২৭৫০ জন। এর মধ্যে মুসলিম ২৫৮২, সনাতন ১৪৭, বৌদ্ধ ৩ জন এবং খ্রিষ্টান ধর্মের রয়েছে ১৮ জন।
রাজধানীর কাকরাইলে কোয়ান্টাম দাফন কার্যক্রমের ইনচার্জ খন্দকার সজিবুল ইসলাম জানান, জাতীয় এই শোক দিবসে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে বাঙালি হিসেবে জাতির যে কোনো দুর্যোগে কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাকর্মীরা প্রস্তুত। শোক দিবস উপলক্ষে আজ এক হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাকর্মীরা এসেছেন। কোয়ান্টাম পরিবারের বিভিন্ন পেশার এই সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সফল করবেন সারাদিনের এ করসেবা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আর্তমানবতামূলক কার্যক্রমে অ্যাম্বুলেন্স দিল বারভিডা
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা দাফন কাজে সুরক্ষার জন্যে ব্যবহৃত হয় কয়েক ধরনের জীবাণুনাশক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী চলছে করোনাকালীন দাফন কার্যক্রম। পাশাপাশি সাধারণ লামের গোসলেরও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। দিনে বা রাতে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়ার জন্যে প্রস্তুত রয়েছেন কর্মীরা। মৃতের শেষ বিদায়ে আপনজনের মতই মমতার পরশে যথাযথ সম্মান জানিয়ে যাচ্ছেন নিবেদিতপ্রাণ এই স্বেচ্ছাসেবীরা। মানবিক মূল্যবোধ থেকেই দেশের যেকোনো দুর্যোগে সাধ্যমতো সেবা দিতে প্রস্তুত কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাকর্মীরা।
করোনা: ২২৫ জনের দাফন করেছে চাঁদপুর ইসলামী আন্দোলন
সারাদেশে করোনায় মৃত নারী-পুরুষ, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষদের দাফন ও শেষ কৃত্য, অক্সিজেন, মাস্ক ও খাদ্য বিতরণ করে আসছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। পাশাপাশি রক্ত দান সেবার কাজও করছে সংগঠনটি।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে চাঁদপুর জেলায় সর্বস্তরের মানুষের দাফন ও শেষ কৃত্যের কাজ করে আসছে সংগঠনটির ১১টি দল। এ পর্যন্ত তারা জেলায় ২২৫ জনের দাফনের কাজে সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে কৃর্তপক্ষ।
আরও পড়ুন: করোনায় দাফন: কঠোর লকডাউনেও সক্রিয় কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবীরা
এই বিষয়ে সংগঠনের জেলা প্রধান শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবদিন বলেন, ‘এই জেলায় আমরা এখন পর্যন্ত ২২৫ জনের দাফন-কাফনের কাজ সম্পন্ন করেছি। প্রতিদিনই এই কাজের সংখ্যা বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সবচাইতে সংকটময় বিষয় হচ্ছে অক্সিজেন সেবা। আমরা ইতোমেধ্য চাঁদপুর সদর উপজেলায় অক্সিজেন সেবা শুরু করেছি। আজকে পর্যন্ত ২০ জনকে অক্সিজেন সেবা দেয়া হয়েছে। রবিবার থেকে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় নতুন করে অক্সিজেন সেবা শুরু হবে।
জয়নাল আবদিন জানান, মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে যখন আপন আত্মীয় স্বজন কাছে আসছে না, এমন সময়ে আমরা শুধুমাত্র মানবিক দিক বিবেচনা করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দাফনের কাজ করে যাচ্ছি। তাদের কোনও চাওয়া পাওয়া নেই।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট ডুবি: বরিশালের ৪ ব্যবসায়ীর দাফন সম্পন্ন
তবে চলমান অক্সিজেন সংকটের মুহূর্তে কেউ যদি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে সহযোগিতা করতে চায়, করতে পারেন বলে জানান তিনি।
রাজশাহীতে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চক কাপাশিয়া গ্রামে আম কুড়ানোর সময় বজ্রপাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
সোমবার বিকালে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও ফেনীতে বজ্রপাতে নিহত ৫
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে বজ্রপাতে মারা যান চককাপাসিয়া গ্রামের আজম আলীর স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫) ও কাবিল উদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫৫)। এসময় আহত হন মাহাবুল হোসেনের শিশুপুত্র সোহান আলী (১০), উকিল হোসেনের ছেলে ভুট্টু আলী ( ২০) এবং জনি প্রমানিকের ছেলে পরশ আলী (১০)। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় মারা যায় শিশুপুত্র সোহান ও পরশ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ নিহত ৩
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা জানান, ঝড়-বৃষ্টির সময় তারা সবাই একটি বাগানে আম কুড়াচ্ছিলো। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে আলেয়া ও মুক্তা মারা যান। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ৪ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোহান ও পরশ।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ নিহত ২
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিহতদের দাফনের জন্য তাদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানান ইউএনও।
চিরনিদ্রায় শায়িত কবরী
করোনায় মারা যাওয়া জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরীর দাফন শনিবার জোহর নামাজের পর সম্পন্ন হয়েছে।
তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। একই স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন কবরী
জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
তার ছেলে শেখর চিশতী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৫ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন কবরী। সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন কবরী। পরে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় ৭১ টিভির সাংবাদিকের মৃত্যু
জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী সারেং বউ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১৯৭৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ২০০৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আবদুল মতিন খসরুর দাফন সম্পন্ন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী কুমিল্লা-৫ আসনের (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাদ আছর তার গ্রামের বাড়ি মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে কুমিল্লায় ৩টি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরের আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ যোহর তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান, সাধারণ সম্পাদক বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আখলাক হায়দার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, মতিন খসরুর ছোট ভাই অ্যাডভোকেট আবদুল মুমিন ফেরদৌস, ছেলে আবদুল মুমিন ওয়াছিফ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুছ ছালাম বেগসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু মারা গেছেন
৪র্থ জানাজার নামাজ বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণপাড়া ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আবদুল মতিন খসরু বুধবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
মতিন খসরুর বর্ণাঢ্য জীবন
আবদুল মতিন খসরু ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ সালে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী মো. আবদুল মালেক ও মাতা জাহানারা বেগম। তিনি চার ভাই তিন বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তার এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে কর্মরত আছেন, ছেলে আর্কিটেক্ট পেশায় নিয়োজিত।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি খসরু, সম্পাদক কাজল নির্বাচিত
আবদুল মতিন খসরু মাধবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও স্নাতক করেন। কুমিল্লা ল‘ কলেজ থেকে এল এল বি সম্পন্ন করেন। ১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজকোর্টে যোগ দান করেন। ১৯৮২ সালের ১৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১০ সালের ২৪ আগস্ট তিনি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কুমিল্লা-৫ আসন (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) থেকে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। পরে ১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে কুমিল্লা-৫ আসন (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মোট পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আইনমন্ত্রী থাকাকালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেন, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলে। শুধু রাজনীতিতে নয়, আইন এবং সামাজিক অঙ্গনেও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।
চিরনিদ্রায় শায়িত বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ
মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় কমলাপুরের ময়েজ মঞ্জিলে পিতা চৌধুরী ইউসুফ আলী মোহন মিয়ার কবরের পাশে শুক্রবার চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মাহবুবে আলমের জানাজা
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেশে আসল সাহারা খাতুনের লাশ, জানাজা অনুষ্ঠিত
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের জানাজা শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।