মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের চর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর ও দোসর হয়ে কাজ করেছেন। এই সত্য উন্মোচন হওয়ায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে বা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনোভাবে সাহায্য করছে, এমন কি একবেলা খাইয়েছে বা এক গ্লাস পানি খাইয়েছে জানলেও সেসব পরিবারের ওপর নেমে আসত অকথ্য নির্যাতন। আর জিয়াউর রহমান যুদ্ধক্ষেত্রে থাকে আর তার পরিবার বেগম খালেদা জিয়া দুই সন্তান নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানিদের সঙ্গে আরাম-আয়েশে থাকে। এ থেকেই তো পরিষ্কার যে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর হিসেবে, গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। এর তো আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। আর জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চিঠি লিখেছিলেন, তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট, তোমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা কর না। সেই চিঠির কপি আমার কাছেও আছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি মিথ্যাচার করে বলে- আওয়ামী লীগ নেতারা তখন কোথায় ছিল, অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আওয়ামী লীগ সরকার যার রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। এই সরকারের অধীনেই জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ৪০০ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেছেন। যদিও কোনো সম্মুখ সমরে কখনো যাননি।'
বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করার অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বিফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে ২১ বছর ধরে তারা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসকে মানুষের কাছে আড়াল করেছে, বিকৃত করেছে। কিন্তু গত ১৫ বছরে মানুষ আবার সঠিক ইতিহাস জেনেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণাটি পরদিন ২৬ তারিখ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান কয়েকবার পাঠ করেন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন।'
আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী সে সময়ের বর্ণনা দিয়ে বলেন, 'চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধরত মেজর রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে এমবুশ নিয়ে আছেন, নড়লে যুদ্ধের ক্ষতি হবে। তখন এ দেশের মানুষের ওপর হামলার জন্য আসা পাকিস্তানি অস্ত্র সোয়াত জাহাজ থেকে খালাস করতে পাকিস্তানিদের সঙ্গে যাওয়ার পথে জনগণের বাধার মুখে পড়া মেজর জিয়াউর রহমানকে ডেকে এনে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করানো হয়। প্রথম কয়েকবার তিনি ভুল পড়েন, আওয়ামী লীগ নেতারা ঠিক করে দিলে আবার পাঠ করেন।'
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজায় যে দপ্তরী, সে ছুটির সিদ্ধান্ত নেয় না, টিভি-রেডিওতে যে উপস্থাপক সংবাদ পাঠ করে, সে ওই সংবাদ সৃজনকর্তা নয়।’
ড. হাছান আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণার একজন পাঠকমাত্র। জিয়া নিজেও কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি, যেটি নিয়ে বিএনপি এখন মিথ্যাচার করে।'
এ সময় সমাজ উন্নয়ন ও পরিবর্তনে, তরুণ সমাজকে বিপথে যাওয়া, জঙ্গিবাদে প্রলুব্ধ হওয়া থেকে বিরত রাখতে পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায়, সারাদেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটাতে আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. হাছান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে এ দেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছিল, স্বাধীনতার পরেও তা চলেছিল। ১৯৭৫ সালের পর তা ব্যাহত হয়। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সংস্কৃতিমনা মানুষকে সারাদেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটানোর আহ্বান জানাই।
সভার আয়োজক ঢাকার সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, কবি রবীন্দ্র গোপ, জোটের সহসভাপতি চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, সহসভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাঁচ হাজার বছরের জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প পৌঁছে দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
নতুন প্রজন্মের কাছে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প পৌঁছে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
রবিবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত ‘স্বাধীনতা উৎসব ২০২৪’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন গুরুত্বপূর্ণ: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বিজয়ের পর তারা জাতির পিতার নেতৃত্বে শুরু করেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার কাজ।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মকেই এর নেতৃত্ব দিতে হবে।
এসময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া ও ভারতের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক ও ভারতের ট্যাকটিক্যাল সহায়তা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত করেছিল।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্ট চেয়াররম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: তামাকজাত পণ্যে অতিরিক্ত কর আরোপ করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাবনায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মুক্তিযোদ্ধার, আহত ৪
পাবনার সাঁথিয়ায় ট্রাকচাপায় আকসেদ মন্ডল নামে এক মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এসময় আরও চারজন আহত হয়।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বড় পাথাইলহাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিহত মুক্তিযোদ্ধা আকসেদ মন্ডল সাঁথিয়া উপজেলার বড় পাথাইলহাট গ্রামের মৃত নশের আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন- একই গ্রামের জহুরুল ইসলাম, শাহিদা খাতুন, নুর ইসলাম মন্ডল ও রতন মোল্লা।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, বাঘাবাড়ি-চাটমোহর আঞ্চলিক সড়কের সাঁথিয়া বড় পাথাইল হাট নামক স্থানে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দোকানে ঢুকে পড়ে।
এসময় দোকানে বসে থাকা মুক্তিযোদ্ধা আকসেদ মণ্ডল ঘটনাস্থলেই নিহত ও চারজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ওসি আরও জানান, জানাযা ও দাফন শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করবে। চালক পালিয়ে গেছে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ময়লাবাহী ট্রাকচাপায় গার্মেন্ট শ্রমিক নিহত, মহাসড়ক অবরোধ
পলাশবাড়ীতে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত, আহত ৪
সব মুক্তিযোদ্ধার কবর একইরকম হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
সব মুক্তিযোদ্ধার কবর একইরকম নকশায় নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, শত বছর পরও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে কবর দেখেই চিনতে পারে এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট ও প্রতিষ্ঠানের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণের উদ্যোগ গ্ৰহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
শনিবার (২ মার্চ) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা জেলা ও মহানগর উইনিট কমান্ড আয়োজিত সংবর্ধনা ও মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভয়ে কথা বলতে পারতেন না।
‘অনেকে তাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে যে সমস্ত প্রমাণাদি ছিল তা পুড়িয়ে ফেলেছেন, মাটিতে পুঁতে রেখেছেন, অনেকে লুকিয়ে রেখেছেন।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে লড়াই সংগ্রাম শুরু করেন বাঙালি জাতি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা এখনো ভুলে যায়নি তারা এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তাই মুক্তিযোদ্ধাকে এক হয়ে তাদের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের আশা মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ৩০ সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবর্ধনা
ভাষা সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা বি এম কলিমুল্লাহ আর নেই
ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বি এম কলিমুল্লাহ ভুঁইয়া আর নেই।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার কল্যাণপুরে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ১০৯ বছর।
আরও পড়ুন: সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান আর নেই
তার ছেলে বি এম আহসান ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার পৈত্রিক বাড়ি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গোপালখোর ভু্ইয়াবাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
ভাষা সৈনিক বি এম কলিমুল্লাহর এক ছেলে, সাত মেয়ে আছেন।
আরও পড়ুন: কবি আবু বকর সিদ্দিক আর নেই
ভাষা সৈনিক বি এম কলিমুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৫২’র ভাষা সৈনিক আ. মতিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র থাকাকালে তিনি ‘৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিলে যোগ দেন। তখন পুলিশের গুলিবিদ্ধ সালামকে কোলে করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি মেয়র রিফাত আর নেই
এরপর তিনি চাঁদপুরে লঞ্চে বাড়ি আসার সময় ডিবি পুলিশ তাকে সদরঘাটে গ্রেপ্তার করে। কয়েকদিন কারাবন্দি থাকেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েই ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে চাঁদপুরের মোহাম্মদি মুসলিম হোস্টেলে (এখন সরকারি মহিলা কলেজ হোস্টেল) এক গোপন মিটিংএ সালামের রক্তমাখা জামা সবাইকে দেখালে সবাই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এর পর তার নেতৃত্বেই গঠিত হয় চাঁদপুর মহকুমা ভাষা সংগ্রাম কমিটি। এ সভায় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন আ. করিম পাটোয়ারিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। যার ফলে ভাষা আন্দোলন চাঁদপুরের সবর্ত্র ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক এম ওয়াহিদুল্লাহ আর নেই
১১৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা
১১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা ও সম্মানির টাকা তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস: বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি তাদের অনেকেই আর বেঁচে নেই। আমিসহ আমার সহযোদ্ধারা জীবনের শেষপ্রান্তে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ হওয়া উচিত আমৃত্যু তরুণদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, চেতনা, আদর্শকে তুলে ধরতে কাজ করা।
মেয়র বলেন, মানুষের মুক্তির যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছি তা বাস্তবায়নে তরুণদের প্রস্তুত করতে হবে। সোনার বাংলা গড়ার অভিযাত্রায় পাড়ি দিতে হবে আরও বহুদূরের পথ।
তিনি বলেন, এ দায়িত্বটা তরুণদেরই নিতে হবে। কারণ তরুণরা যা পারে অন্যরা তা পারেনা। মুক্তিযুদ্ধেও সম্মুখ সারির লড়াইয়ে ছিলেন মূলত তরুণরাই।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা ইউএলএফ’র
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করা ভারতের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। চিকিৎসাসহ যেকোনো প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভিসা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বে মডেলে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ়তর হবে বলে আমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার কামাল।
আরও বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, কাউন্সিলর নুরুল আমিন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা সভার আয়োজন
৫২তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫২তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বিগত বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী ঢাকার মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার আজ সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ২ ঈদ ও পহেলা বৈশাখসহ প্রতিটি জাতীয় দিবস ও উৎসবে তাদের স্মরণ করায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মোহাম্মদপুরে ১৩ তলা আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ নির্মাণসহ তাদের পুনর্বাসনে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
তারা আশা প্রকাশ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।
তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ক্ষমতায় থাকলে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সুরক্ষিত থাকবে।
দীর্ঘ ৯ মাস ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে দেশ স্বাধীন হওয়ার দিনটিকে স্মরণ করে জাতি আজ ৫২তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতির পিতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
দেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কসমস ফাউন্ডেশনের স্বনামধন্য শৈল্পিক শাখা গ্যালারি কসমস রাজধানীর কসমস সেন্টারের গ্যালারি কসমসে প্রখ্যাত শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম এবং ভবিষ্যৎ চিত্রশিল্পীদের নিয়ে দিনব্যাপী এক মনোজ্ঞ আর্ট ইভেন্টের আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিসেম্বরকে শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে স্মরণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে।
লাখ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি অনেক শিল্পঈ সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। শুধু যে যুদ্ধ তা কিন্তু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহিত করতে অব্যাহত ছিল তাদের শৈল্পিক প্রচেষ্টা। তাদের মধ্যে একজন ষটের দশকের অন্যতম উল্লেখযোগ্য চিত্রশিল্পী হিসেবে পরিচিত বীরেন সোম।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে ৮৪ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা
ঢাকার রাশিয়ান হাউস, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আয়োজকেরা ৫২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নেপথ্য শিল্পী সৈনিকসহ মোট ৮৪ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানান।
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব তাজ মোহাম্মদ, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক এবং ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সবার জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন।
সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস আমাদের উভয় দেশের জন্যই একটি গৌরবের দিন। এই দিনটি আমাদেরকে আমাদের ঐতিহাসিক বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ১৯৭১ সালের বিপ্লবের দিনে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এরপর থেকে রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। রাশিয়া বৃহৎ শিল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করেছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারি সফরের মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাতীয় গণ ঐক্য দিবস পালন করল রাশিয়ানরা
বঙ্গবন্ধুর সফরে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য প্রতিনিধিত্ব, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার বিষয়ে আন্তঃসরকারি চুক্তি সই হয়।
বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সোভিয়েত নৌবাহিনী চট্টগ্রাম বন্দর নিষ্ক্রিয় করে এবং বন্দরটিকে সম্পূর্ণরূপে চালু করে।
সফরকালে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পূর্ণ সরকারি বৃত্তি নিয়ে রাশিয়ায় পড়তে যায়। পরে তারা দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে সক্রিয় হন। তাদের মধ্যে, ৬০০০ জনেরও বেশি সোভিয়েত ও রাশিয়ান গ্র্যাজুয়েট বর্তমানে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চ পদে কর্মরত ও অধিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে রুশ সরকার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়িয়ে ১২৪ করেছে।
তিনি এই বৃত্তির সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে ও আশ্বাস দেন।
ঢাকার রাশিয়ান হাউস রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ান ভাষা কোর্সের প্রচারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায়। এই যুদ্ধে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের অবদানের জন্য আমরা তাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ।
মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মান করা আমাদের সবার কর্তব্য। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের গান ও কবিতা পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
আ. লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. এখলাস মারা গেছেন
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, বর্তমান উপদেষ্টা ও সীতাকুণ্ডের মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. এখলাস উদ্দীন (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় নগরীর মেহেদীবাগ ন্যাশানাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে ৫ মেয়ে, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ইমাম উদ্দীন আহমদ চৌধুরীর ইন্তেকাল
তার বড় ভাই ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল দুলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মরহুমকে সোমবার বেলা ২টায় সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা এবং বাদ আছর চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ২ নং বারৈয়ার ঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম বহর পুর গ্রামে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার বহরপুর গ্রামে ১৯৩৮ সালের ২০ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধা এখলাস উদ্দিন জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করেন। পরে তিনি নিজেকে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত করেন। প্রায় ২৮ বছর চট্টগ্রাম কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের প্রধান চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডাক্তার এখলাস উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকার মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের নটারখোলায় মুক্তিযুদ্ধে হরিনা ক্যাম্পের ইনচার্জ এবং চিকিৎসক হিসেবে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. এখলাস উদ্দীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রামের নেতারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর ইন্তেকাল