স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানিকগঞ্জ-৩: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নির্বাচিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মালেক নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ৬৭ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মফিজুল ইসলাম খান পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৩ ভোট।
আরও পড়ুন: মা-শিশুর মৃত্যুহার কমাতে ৫০০ সরকারি স্বাস্থ্য ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা সেবা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মা-শিশুর মৃত্যুহার কমাতে ৫০০ সরকারি স্বাস্থ্য ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা সেবা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে আমরা ৫০০টি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে ৪০০টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই ২৪ ঘণ্টা সেবা চালু করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব কনভেনশন হলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ৯-১৪ ডিসেম্বর ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’- পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর দেশে এখনও ৬৫ হাজার শিশু এবং সাড়ে ৪ হাজার মা মাতৃত্বকালীন মারা যায়। এই সংখ্যা অনেক। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার আমরা অন্তত পাঁচ ভাগ মা ও শিশু মৃত্যুহার কমাতে সক্ষম হয়েছি। তবুও এখনও বছরে এত মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন আমাদের আগামীর লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ৭০ শতাংশ কমাতে হবে এবং শিশু মৃত্যুহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অবশ্যই বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে, মায়েদের বাসায় প্রসবের পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রসমূহকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে।’
বর্তমানে প্রাইভেট স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে সিজারিয়ান ব্যবস্থা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সিজার (অস্ত্রোপচার) করে বাচ্চা নেওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। বিনা কারণে অনেক মায়েরাও সিজার করে বাচ্চা নিতে আগ্রহী থাকেন। এটি কাম্য নয়।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ওই মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা প্রসবে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও সারা জীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে। এটি এভাবে চলতে পারে না। দেশে বাড়িতে প্রসব এবং সিজার করে বাচ্চা নেওয়া অর্ধেকের বেশি কমাতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামী ৯-১৪ ডিসেম্বর ছয় দিনব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ এবং ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি মিস ক্রিস্টিাইন ব্লোকসসহ আরও অনেকে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি।
সভায় জুম অনলাইনে দেশের ৮০টি উপজেলা হাসপাতাল স্বাস্থ্য প্রতিনিধি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী’
দেশের স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে: স্পিকার
স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে আমরা নানা রকম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, এসব যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত। তা না হলে চিকিৎসা সেবায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) এটিএসিএইচ’র আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ: সাপ্লাই চেইন’- বিষয়ক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিগত দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন ও জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি কেনা, সাপ্লাই এবং ব্যবহারের কথা বলে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে বিজ্ঞানসম্মত এবং যেসব যন্ত্রপাতি জলবায়ুর ক্ষতি করে না সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও ও এটিএসিএইচকে জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি সাপ্লাই এবং হাসপাতাল বিনির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
পরে বিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘স্যালিনিটি কিউসড বাই ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইটস ইম্পেক্ট অন এনসিডিএস অ্যান্ড এসআরএইচআর ’-শীর্ষক সাইড ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি তার উপস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা এবং এর প্রভাবে এসব এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন।
এছাড়া, এর প্রভাবে গর্ভবতী মায়েদের নানা রকম সমস্যা হয়, যার কারণে কোস্টাল এলাকায় মাতৃমৃত্যু বেড়ে যায় বলে জানান।
এ অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবর্তন, বিশেষ করে লবণাক্ত বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এর ফলে নানা ধরনের রোগ বৃদ্ধি হওয়ার কথাও বর্ণনা করেন তিনি।
বিশেষ করে অসংক্রামক রোগ এবং মহিলা ও নারীদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে তার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ এবং পরবর্তী পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জসমূহ স্মরণ করিয়ে দিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপকূলীয় এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে এবং এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশের সুইডেন অ্যাম্বাসির ফার্স্ট সেক্রেটারি ডেনিয়েল নোভাক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন মিস খুশবু পাওডেল, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, আইপাস, নেপাল, এবং ডা. হুসাইন রশিদ, আঞ্চলিক উপদেষ্টা, ওয়াশ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সচিব স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
প্রতি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোর প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে আরও সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের আশ্বাস প্রদান করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ-২৮) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে এলে বিএনপির অনেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে: জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়, তারা নির্বাচনে এলে অনেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর উপরজেলা জাগির উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে আছে। যতো আন্দোলন করুক না কেন বিএনপি-জামায়াতের এতো শক্তি নেই যে ধাক্কা দিয়ে সরকারকে ফেলে দিবে। তাদের এতো শক্তি নেই যে নির্বাচন বানচাল করতে পারবে। আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী গোলাম মহীউদ্দীন, সহ-সভাপতি পৌর মেয়র রমজান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক তুষার প্রমূখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামায়াতের সময় বলা হয়েছিল মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজন নেই। তারা ঘরে থাকবে। তাদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর নারীরা সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের নির্বাচনে আসার সেই সাহস নেই। কারণ জ্বালাও-পোড়াও করে ভোট পাওয়া যায় না; মানুষকে হত্যা করে ভোট পাওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মানুষ হত্যা করে, পুড়িয়ে কখনও ক্ষমতায় আসা যাবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে ভোটের মাধ্যমে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা ( বিএনপি ) অগ্নিসন্ত্রাস করছেন। মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছেন। মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন, অবরোধ করছেন, জ্বালাও-পোড়াও করছেন। বাস-গাড়ি পুড়াচ্ছেন, পুলিশ হত্যা করছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চান। আপনারা স্বাধীনতার সময় বিরোধীতা করেছেন, রাজাকার-আলবদর সৃষ্টি করেছেন। দেশকে মুক্তি লাভ করতে দেন নাই। দুই লাখ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আপনারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। সিরিজ বোমা, গ্রেনেড হামলা আপনারাই (বিএনপি) করেছেন। বিদ্যুতে, সারে চুরি করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, মানিকগঞ্জবাসী আওয়ামী লীগ, নৌকা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন। আপনাদের ভোটে তিনবার এমপি হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অর্জন করে দুইবার মন্ত্রী হয়েছি। বিগত পাঁচটি বছর আমরা আপনাদের নিয়ে কাটিয়েছি। আপনারা জানেন, করোনার সেই মৃত্যুর কষ্ট, যন্ত্রণা নিয়ে আমরা কাজ করেছি, অনেক সুখের দিকও ছিলও তবে দিনগুলো সবসময় সুখকর ছিল না।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ৪০ হাজার বেড ছিল, যা ৭০ হাজার বেডে উন্নতি করা হয়েছে। দেশে দশটি নতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। এ ছাড়া ক্যান্সার, কিডনি ও হার্টের জন্যে দেশের আটটি বিভাগে আটটি হাসপাতাল হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানু আজম খান সহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যে পর্যন্ত এডিস মশা থাকবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও থাকবে। তাই আমাদের মশা কমাতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীন সরকারের ডেঙ্গু কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১০ লাখ ডেঙ্গু টেস্ট কিট পাব। পাশাপাশি তারা বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও দিবে। এর মধ্যে রয়েছে- ব্লাড সেপারেটর, ফ্রিজার, অটো হেমাটোলাইজার ও ব্লাড ব্যাগ। এসব জিনিস আমাদের ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়।
এসব জিনিস আমাদের রয়েছে এবং যেগুলো পেলাম তাতে আমাদের হাসপাতালগুলো আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মশার ওষুধ স্প্রে করতে হবে, নিজের আঙ্গিনা ও ঘরের ভেতর নিজেদেরই পরিষ্কার রাখতে হবে। এর বাইরে ডোবা-নালা যেগুলো রয়েছে সেগুলো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা করবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের আমরা সব সময় বলে আসছি, বছরব্যাপী একটি কর্মসূচি তাদের করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তা না হলে প্রতিবছরই ডেঙ্গুর সমস্যা দেখা দেবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য আলাদা বেড রয়েছে, আইভি ফ্লুয়িড বা স্যালাইনের কোনো অভাব নেই।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসাও সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গু এখনও আছে, প্রতিদিন প্রায় ১০ জন ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে এবং দুই হাজারের বেশি লোক প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি যেটা দেখেছি, ঢাকার বাইরে সারাদেশে এখন ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেশি। ঢাকায় সংক্রমণের হার কমে আসছে, কিন্তু মৃত্যু হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে ক্রিটিকাল কেসগুলো ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। লম্বা সময় জার্নি করে আসার কারণে অনেক সময় রোগী শক সিনড্রোমে চলে যায়। ফ্লুইডের অভাবেও তারা মারা যান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের সংক্রমণ কম হলেও মৃত্যুর হার বেশি। নারীরা অনেক সময় চিকিৎসা নিতে দেরি করেন। নারীদের ব্যাপারে আরও বেশি সজাগ হওয়া প্রয়োজন। তাদের তাড়াতাড়ি পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। তাহলেই নারীদের মৃত্যুহার কমে যাবে।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় জনবলের ঘাটতিকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এটা মেটাতে অনেক সময় লাগে। আমাদের হাসপাতালগুলোতে ৩০ হাজার শয্যা থেকে এখন ৭০ হাজার শয্যা করা হয়েছে। ৭০ হাজার শয্যা পরিচালনা করা এবং নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও ইউনিভার্সিটি চালাতে প্রশিক্ষিত জনবল দরকার হবে। এটার একটু ঘাটতি আছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সায়মা ওয়াজেদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক পদে বিজয়ী, কালাজ্বর ও ফাইলেরিয়ার নির্মূলের সুখবর দিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে, মানুষ সেবা পাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন হয়েছে, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ভালো হয়েছে বিধায় গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ভালো আছে বিধায় পোলিও, টিটেনাস, ফাইলেরিয়া, কালাজ্বর নির্মূল হয়েছে। এই অর্জন বিশ্ববাসীও গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, জেলা-উপজেলায় হাসপাতালগুলো কত উন্নত হয়েছে। মেডিকেল কলেজ ৫টি থেকে ৩৭টি হয়েছে। আইসিইউয়ের সংখ্যা ৫০০ থেকে ১৫০০ হয়েছে। বাংলাদেশে ওষুধের কোনো অভাব নেই। বাংলাদেশের ওষুধ এখন রপ্তানি হয়।
তিনি আরও বলেন, ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন বসানো আছে। অক্সিজেন প্লান্ট বসানো আছে। যার ফলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছি।
এসব কিছু কোনো জাদু না, কাজের মাধ্যমেই অর্জন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা করোনার ৩৭ কোটি টিকা বিনামূল্যে দিয়েছি। অর্জন যারা দেখতে পায় না, তারা কখনো দেখতে পাবে না। চোখ বন্ধ করে থাকলে তো অর্জন দেখা যাবে না।
দেশের বাইরে অনেকেই চিকিৎসার জন্য যায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ধরেন ৫ লাখ লোক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেল। আর ১৭ কোটি লোক তো এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। বছরে ৩৬ কোটি লোক বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এখানে বাইপাস সার্জারি হচ্ছে, কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে, লিভার প্রতিস্থাপনে প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের জনবলের একটু ঘাটতি আছে। জনবল ওভারনাইট বাড়ানো যায় না। শুধু বাংলাদেশে না আমেরিকাতেও ঘাটতি আছে, ইউরোপেও ঘাটতি আছে। আমরা চেষ্টা করছি ঘাটতিগুলো কমিয়ে আনতে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে স্বাস্থ্যসেবা মানুষ আরও ভালো পায়।
৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি নতুন হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে বলেও জানান জাহিদ মালেক।
চিকিৎসা নিতে বেশি খরচ হচ্ছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটি আমি আংশিক গ্রহণ করতে পারি। সরকারি হাসপাতালে ৭০ শতাংশ মানুষ বিনামূল্যে সেবা নিয়ে থাকেন। ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ এটা আমরা এখনও পুরোপুরি শুরু করতে পারিনি, এটা একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। অসংক্রামক রোগ বেড়ে যাচ্ছে তার চিকিৎসা ব্যবস্থাও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ, এগুলো মোবাবিলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্ত্রী হিসেবে কতটুকু ভালো করেছেন তা মানুষ বিবেচনা করবে বলে জানান জাহেদ মালেক।
সায়মা ওয়াজেদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ভোটদানে অংশ নেয়। এতে সায়মা ওয়াজদে পান আট ভোট ও নেপালের প্রার্থী শম্ভু আচার্য পেয়েছেন দুই ভোট। ২০২৪ সাল থেকে পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্বগ্রহণ করবেন সায়মা।
কালাজ্বর নিমূলে সফলতার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে কালাজ্বর সংক্রমণ কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। উপজেলা পর্যায়ে প্রতি দশ হাজারে একজনের কম রোগী হলে রোগটি নির্মূল হয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ সেই যোগ্যতা অর্জন করেছে। কালাজ্বর সম্পর্কে গেল তিন বছরের তথ্য উপাত্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে কালাজ্বরমুক্ত ঘোষণা করে।
একইসঙ্গে ফাইলেরিয়া নির্মূলে বাংলাদেশের অর্জনের কথাও জানান জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, গেল ৫ মে বাংলাদেশকে ফাইলেরিয়ামুক্ত ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এই সাফল্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৮তম ও এশিয়ার চতুর্থ দেশ।
আরও পড়ুন: কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ভারতের দিল্লিতে ৩ দিন ব্যাপী চলা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে এ স্বীকৃতির সনদপত্র দেওয়া হয়।
স্বীকৃতির সনদপত্রটি তুলে দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম খেত্রপাল এবং এটি গ্রহণ করেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
জাহিদ মালেক বলেন, এর আগে বাংলাদেশ ফাইলেরিয়া ও পোলিও নির্মূল করে সনদ পেয়েছিল।
তিনি বলেন, এবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বে প্রথম হওয়ায় এটি একটি জাতিগত প্রশংসিত অর্জন হয়েছে। এ অর্জনে দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ আমরা সকলেই গর্বিত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই অর্জনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ পরামর্শ ও নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক এর প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক এখন ভরসার জায়গা হতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষের জন্য শেখ হাসিনার বিশেষ অবদান দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটি থেকে ওই এলাকার প্রায় ছয় হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশের দুর্গম এলাকাতেও প্রস্তুত করা হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। ক্লিনিকগুলো থেকে ৩০ রকমের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।
মন্ত্রী বলেন, এর পাশাপাশি গ্রামের মায়েদের নিরাপদ সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রেও কমিউনিটি ক্লিনিক কাজে লাগছে। এর সুফল হিসেবে গত কয়েক বছরের জড়িপে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩২০ জন থেকে হ্রাস পেয়ে এখন ১৬৩ জন হয়েছে। একইভাবে প্রতি হাজার জীবিত শিশুর মৃত্যুহার ৬৫ জন থেকে হ্রাস পেয়ে ২৮ জনে নেমে এসেছে।
সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রী বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যুহার হ্রাস, শিশুমৃত্যুহার হ্রাস করা, গড় আয়ু বৃদ্ধি, টিকাদানে বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ সফলতা, করোনাকালীণ দুর্যোগে ১৫ হাজার চিকিৎসক, ২৫ হাজার নার্সসহ প্রায় দেড় লাখ মানুষের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও পৌরসভাকে দীর্ঘ পরিকল্পনা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, 'ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন মেয়রদের একটা দীর্ঘ অর্থাৎ সারা বছরের পরিকল্পনা থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আর বলেন, ‘চিকিৎসার বিষয়ে কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি; হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট শয্যা আছে। কেবল ঢাকায় না,জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেও ডেঙ্গুর জন্য আলাদা শয্যা তৈরি করেছি। সব জায়গায় যাতে যথেষ্ট পরিমাণ ফ্লুইড মানে স্যালাইন থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা নিজেরা স্যালাইন আমদানি করেছি, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রায় ৫০ লাখ প্যাকেট স্যালাইন তৈরি করে। স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আমার অনুরোধ যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা সময়মতো পরীক্ষা করে নেবেন। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসবেন। চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবেন। দেরি করে এলে আর কিছু করার থাকে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন মানিকগঞ্জে গেলাম সেখানে দেখলাম ৫০০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতলে। আগে পাঁচটা রোগী ছিল না। আশপাশের জেলা থেকে এসেছে, সেখানে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। সেখানে ড্রেনে ময়লা পড়ে আছে। এগুলো যদি পরিস্কার করা বা ওষুধ ব্যবহার করা না হয়, তাহলে তো আর ডেঙ্গু কমবে না।'
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে তা পর্যাপ্ত না। যদি পর্যাপ্তই হতো তাহলে আড়াই লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হবেন না। এখন পর্যন্ত এক হাজার ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। কাজেই এটা বড়ো সংখ্যা, আমরা খুবই দুঃখিত। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে পরামর্শ দেওয়ার কিংবা চিকিৎসা দেওয়ার, সেটা দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। তবেই ডেঙ্গু কমবে। তাছাড়া ডেঙ্গু কমবে না।'
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুরোগীর জন্য সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারত থেকে বেনাপোলে এল ৫০ হাজার ২৮০ ব্যাগ স্যালাইন
ভারত থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার ২৮০ ব্যাগ স্যালাইন মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
এ নিয়ে ছয়টি চালানে ঢাকার জাস করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১ লাখ ৭৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্যালাইন আমদানির কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জানা গেছে, স্যালাইন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের জেনটেক্স ফার্মাসিটিক্যাল। আমদানি করা প্রতি ব্যাগ স্যালাইনের কেনা দাম পড়েছে ৬১ টাকা ৩৫ পয়সা। এভাবে প্রথম দফায় পর্যায়ক্রমে ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন ভারত থেকে আমদানি করা হবে।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি জানান, বর্তমান সংকটের মুহূর্তে আমদানি করা স্যালাইন বড় ভূমিকা রাখবে ও কম মূল্যে মানুষ কিনতে পারবে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারত থেকে আমদানি করা স্যালাইন বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন সংগ্রহ করবে সরকার
খুলনায় আইভি স্যালাইন স্বল্পতায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত