শ্রীমঙ্গল
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে।
এছাড়া, আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।
তাছাড়া, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাসে বলেছে।
চলমান ঘন কুয়াশা ও শীতে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহের সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশ বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও বয়স্করা কষ্ট পাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
সত্যিকার অর্থেই যদি বনভোজনের স্বাদ পেতে হয়, তাহলে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বন-জঙ্গলের কোনো বিকল্প নেই। অরণ্যের আনাচে-কানাচে কিছু পাহাড়ি টিলা উঁকি দিলে মন্দ হয় না। এমন প্রাকৃতিক নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া যায় সিলেটের পথে বাংলাদেশের চা বাগানগুলোতে। আর তা যদি হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বৃষ্টিবন এলাকা তাহলে তো কথাই নেই! বলছি দেশের ১০টি জাতীয় উদ্যান এবং ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মধ্যে অন্যতম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের কথা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক- এই বুনো বাস্তুতন্ত্রে পদচিহ্ন এঁকে দেওয়ার উপায়।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের নামকরণ
ভানুগাছ অঞ্চলে জুম চাষকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল ত্রিপুরা গ্রাম। ত্রিপুরা ভাষায় লাউয়াছড়া বনকে মৈলপতুইসা বলা হয়। মৈলপ মানে লাউ, আর তুইসা শব্দের অর্থ পাহাড়ি ছড়া। যে বনের ছড়ার ধারের জুমে লাউয়ের ফলন ভালো হয়, সেই এলাকাকে বলা হতো মৈলপতুইসা।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পুরো অঞ্চলটি অধিকার করে এখানে বৃক্ষায়ন শুরু করে। ইতোমধ্যে অরণ্যে রূপ নেওয়া মৈলপতুইসা ঘোষিত হয় সংরক্ষিত বন হিসেবে। ভানুগাছের পশ্চিমে থাকার কারণে এর নাম ছিল পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বন। ১৯২৭ সালে উপনিবেশিক বন আইন জারির পর এখানকার বিভিন্ন স্থানের নামে পরিবর্তন আনা হয়। আর এ সময়েই মৈলপতুইসা বদলে হয়ে যায় লাউয়াছড়া।
১৯৯৬ সালে ১৯৭৪-এর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংশোধন আইন অনুসারে বনের নামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয় জাতীয় উদ্যান শব্দ দুটি।
শ্রীমঙ্গল ও তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সামান্য উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলে।
এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান প্রথম
রংপুর বিভাগ এবং নওগাঁ ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, নদী অববাহিকার কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা: ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কাঁপছে শ্রীমঙ্গল
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শুক্রবার সকাল থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা হালকা শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।
হিম-শীতল বাতাস ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শ্রীমঙ্গলে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ যারা প্রতিদিন কাজ করে উপার্জন করেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অনেককে রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে নিজেদের গরম রাখতে দেখা গেছে। জরুরি অবস্থা না থাকলে বেশিরভাগ মানুষ ঘরেই অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, মৌলভীবাজারের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা, যাদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর বিভাগ; ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়াও, মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা নদী অববাহিকায় ঢেকে যেতে পারে এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
অধিদপ্তর আরও জানায়, ‘অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে কয়েকদিন থেকে বইছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
এ বছর শ্রীমঙ্গলে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কয়েক দিনের কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
তবে তাপমাত্রা কম হলেও সকাল থেকে কুয়াশার দাপট তেমন ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলেছে দ্রুত।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, শ্রীমঙ্গলে মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সূর্য তাড়াতাড়ি ওঠার কারণে ঠান্ডা একটু কম অনুভূত হচ্ছে। এর আগে সোমবার এখানে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দিনে ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শীতার্ত মানুষ।
তিনি আরও বলেন, বিকাল হলে শীতের তীব্রতা বেড়ে তা সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ছিন্নমূল ও দিনমজুররা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর,এম,ও) ডা. ফয়সল জামান জানান, শিশু ওয়ার্ডে সিট রয়েছে ৫১টি। শীত আসার পর থেকে প্রতিদিন ভর্তি থাকছে ৮০ থেকে ৯০ জন শিশু। তবে মঙ্গলবার শিশু ভর্তি কমেছে।
শীতজনিত রোগে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি করা হচ্ছে।
গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভীড় প্রতিদিন বাড়ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে টানা ৩দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ব্যাহত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারী ও পঞ্চগড় এবং শ্রীমঙ্গলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা কমতে পারে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে উপমহাদেশীয় উচ্চতার শৈলশিরা বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী নিম্নচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: দেশের ৪ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
চলতি সপ্তাহে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
শ্রীমঙ্গলে শিশু ও নারীসহ ১৬ রোহিঙ্গা আটক
কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে যাওয়ার পথে শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে শিশু ও নারীসহ ১৬ জন রোহিঙ্গা আটক হয়েছে।
রবিবার শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা এনা পরিবহন থেকে তাদের আটক করে।
শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বিকালে সাংবাদিকদের জানান, জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক ছুটি ভোগ শেষে চট্টগ্রাম থেকে এনা পরিবহনের গাড়ীতে মৌলভীবাজার আসছিলেন। এনা পরিবহনের ওই গাড়ীতে থাকা কিছু যাত্রীদের রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে অবহিত করলে সকালে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মো. জাকির হোসেন সঙ্গে ফোর্সসহ এনা পরিবহন থেকে ১৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেন।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কক্সবাজার কুতুপালং এর টেনেস রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছে বলে জানায়।
আটককৃতদের পুনরায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআরের সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক অবরোধ চা-শ্রমিকদের
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের লছনা এলাকায় বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন চা-শ্রমিকরা। এ ছাড়া জুড়ী উপজেলার কুলাউড়া-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কও ঘেরাও করেন তারা।
শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও টি এস্টেটের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে হাজারো চা-শ্রমিক। ফলে শতাধিক গাড়ি আটকে থাকে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ তালুকদার জানান, স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে চা শ্রমিকেরা।
চা শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে মৌলভীবাজার জেলার অধিকাংশ বাগানে চলছে ধর্মঘট। গতকাল কয়েকটি বাগানে শ্রমিকরা পাতা উত্তোলন করলেও বুধবার সকাল থেকেই জেলার বালিশিরা, মনু, ধলাই, জুড়ী, লংলার অধিকাংশ বাগানে শ্রমিকরা কাজে আসেননি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানসহ কর্মকর্তারা শ্রমিকদের কাজে নামার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:চা শ্রমিকদের অবরোধে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ
অন্যদিকে মালিক পক্ষ জানিয়েছে, শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।
কালিঘাট চা বাগানের চা-শ্রমিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে তাদের ধোঁকা দেয়া হচ্ছে। তারা এ সিদ্ধান্ত মানেন না।
তারা বলেন, নেতাদের কথা আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনতে চাই যে, আমাদের মজুরি বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব না।
প্রসঙ্গত, দেশের ১৬৭ চা বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। বর্তমানে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। গত ৯ আগস্ট এ আন্দোলন শুরু হয়। শুরুতে প্রথম কয়েকদিন কেবল ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। সে সময় মজুরি বৃদ্ধি ও মজুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সাত দিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়।
কিন্তু মালিক পক্ষ এই সময়ের মধ্যে বৈঠক বা সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। এরপর দফায় দফায় বৈঠক করেও এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক সমাধানে যায়নি এই সংকট।
কুলাউড়া লোহানী চা বাগানের শ্রমিক নেতা অজিদ কৈরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনতে চাই যে আমাদের মজুরি বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব না।’
আরও পড়ুন:সিলেটে চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেটে ২৩ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন
আলোচনা ছাড়াই রাত ৩টায় চুক্তি সাক্ষর: আন্দোলন অব্যাহত চা শ্রমিকদের
দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে করা আন্দোলন নিয়ে সাধারণ চা শ্রমিক ও ইউনিয়ন নেতারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সোমবার সকাল থেকে কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে ইউনিয়নের নেতাদের করা চুক্তি সাক্ষরকে কেন্দ্র করে এই বিভক্তির সৃষ্টি হয়।
এর আগে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের মধ্যে রবিবার রাতে হওয়া বৈঠকে আগের মজুরিতেই চলমান আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকের পর ইউনিয়ন নেতারা ঘোষণা করেন, শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করবে এবং তাদের আগের মজুরিতেই কাজে ফিরে যাবে।
তারা আরও জানান, দুর্গাপূজার আগে কোনো এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন।
এদিকে সোমবার সকালে চা শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতা শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট চা বাগানের শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত করে কাজে ফেরার আহ্বান জানাতে গেলে সাধারণ শ্রমিকরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এসময় বিভিন্ন স্থানে নেতাদের সঙ্গে শ্রমিকদের বাক-বিতণ্ডা সহ হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
অল্প কয়েকজন সাধারণ শ্রমিক চুক্তি অনুযায়ী কাজে ফিরে গেলেও, অধিকাংশ শ্রমিক এ সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকার করে ধর্মঘট অব্যাহত রাখে।
আরও পড়ুন:দৈনিক ১৪৫ টাকা মজুরি নির্ধারণে ধর্মঘট প্রত্যাহার, মানতে নারাজ সাধারণ চা শ্রমিকেরা
চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি রিদেশ মোদী বলেন, ‘আমাদের আগের মজুরি নিয়ে কাজে ফিরতে হলে এতদিন ধর্মঘট কেন করলাম?’
বর্তমান পরিস্থিতি নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রবিবার রাতে চা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের জরুরি বৈঠক হয়।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের নেতৃত্বে সভাশেষে পাঁচটি শর্তে উভয় পক্ষের স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়।
লিখিত বিবৃতি অনুসারে, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং-বি ৭৭’ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সোমবার থেকে তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করবে’।
মজুরির বিষয়ে বলা হয়েছে, শ্রমিকরা আপাতত বর্তমান মজুরি অর্থাৎ দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে আবার কাজে যোগ দেবেন।
ইউনিয়ন নেতারা দাবি করেছেন, তারা এই বছর দুর্গাপূজা উদযাপনের আগে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের দাবি উপস্থাপনের আবেদন করেছেন।
নেতারা জানান, মৌলভীবাজারের ডিসি লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি জমা দেয়ার শর্তে এবং সকল চা শ্রমিককে ধর্মঘট চলাকালীন সময়ের মজুরি পরিশোধের শর্তে বিবৃতিতে সাক্ষর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ইতোপূর্বে গত ২০ আগস্ট শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে আমরা প্রথমতো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে সাময়িক সময়ের জন্য ১৪৫ টাকা মজুরিতে কাজে যোগ দেয়ার শর্তে আমাদের পূর্বঘোষিত নির্দিষ্টকালের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির প্রত্যাহার করি এবং শ্রকিদেরকে কাজে যোগ দেয়ার পরামর্শ দেই। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুনরায় চা শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শ্রকিদের ন্যায্য মজুরি বিষয়ে পুনঃবিবেচনার বিষয়টিও আলোচনায় রাখা হয়।
বৈঠক শেষে আন্দোলনরত সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা আমাদের এই প্রস্তাব না মেনে বরং প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ না পর্যন্ত শ্রমিকদের চুড়ান্ত মজুরি নির্ধারণ করে দিচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ১২০ টাকা মজুরিতে কাজে যাবে না উল্লেখ করে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন তারা। সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে একমত পোষণ করেই আমরা বিবৃতি দিয়েছি।
চা শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনরত এক কর্মী মোহন রবিদাস বলেন, শ্রমিক নেতারা কোথায় কি করেছেন, আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে তারা কখনো কোনো পরামর্শ করেন নি।
আরও পড়ুন:চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, আগের মজুরিতেই ফিরছেন কাজে
মধ্যরাতে সিদ্ধান্ত বদল, চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত
দৈনিক ১৪৫ টাকা মজুরি নির্ধারণে ধর্মঘট প্রত্যাহার, মানতে নারাজ সাধারণ চা শ্রমিকেরা
শ্রম অধিপ্তর ও সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর ১৪৫ টাকা মজুরির আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন চা শ্রমিক নেতারা। তবে সাধারণ শ্রমিকরা এর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন।
শনিবার বিকালে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে বৈঠকের পর চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি। আমাদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে এসে আমাদের সঙ্গে বসবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে আমাদের দাবি তাকে জানানো হবে। তাই তার আশ্বাসে আমরা আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি। রবিবার থেকে সব শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে।
এদিকে, নেতাদের এই সিদ্ধান্তের পর শ্রম দপ্তরের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শ্রমিকরা। তারা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ারও কথা জানান তারা। এসময় সমিতির নেতাদের প্রতিও ক্ষোভ জানান সাধারণ শ্রমিকরা।
অঞ্জন গোয়ালা নামের এক শ্রমিক বলেন, আমরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবি জানিয়েছি। এখন মাত্র ২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধি করলে কিভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহার করবো। এই বাজারে ১৪৫ টাকায় কিভাবে চলবো।
আরও পড়ুন: ২০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব মালিকপক্ষের, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি চা শ্রমিকদের
তিনি বলেন, নেতারা আপোস করতে পারেন। কিন্তু আমরা আপোস করবো না। ধর্মঘট চালিয়ে যাবো।
চা শ্রমিকদের সঙ্গে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো.আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের প্রতি খুবই আন্তরিক। তারই নির্দেশে আমি আজকে এখানে এসেছি। মালিকপক্ষ ২০ টাকা মজুরি বাড়াতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে আরও ৫ টাকা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে এসে চা শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের দাবি নিয়ে বসবেন।
বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, চা শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কালকে থেকে তারা কাজে যোগ দেবেন।
এদিকে, আজ বিকালে সিলেট ও হবিগঞ্জের চা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বসবেন নিজ নিজ জেলা প্রশাসক।
চা বাগান মালিকপক্ষ ও চা শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম আর রশীদ তালুকদারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন দেশের সব চা বাগানের শ্রমিকরা। জানা যায়, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলতি মাসের ৯ আগস্ট হতে চার দিনব্যাপী বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকরা দৈনিক ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করলেও চা বাগান মালিক পক্ষ থেকে কোন ধরনের সুরাহা পওয়া যায় নি। ফলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অহ্বানে গত ১৩ আগস্ট থেকে শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করতে থাকে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত: সংকট নিরসনে ২৩ আগস্ট ঢাকায় বৈঠক
৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চা শ্রমিকরা