মেঘনা নদী
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন লাগে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে একটি চরে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মন্দিরে আগুন: ফরিদপুরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় ২ জন নিহতের ঘটনায় বিজিবি মোতায়েন
লঞ্চে থাকা যাত্রীরা জানান, ভোলার ইলিশাঘাট থেকে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ যাত্রী নিয়ে এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দুই ঘণ্টা চলার পর হঠাৎ মধ্য মেঘনায় ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে ধোঁয়া বের হতে থাকে। এসময় লঞ্চ স্টাফরা নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এসময় যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে চালক লঞ্চটি কোনো মতে চাঁদপুর এলাকায় একটি চরের কাছে নিয়ে তাদের নামিয়ে দেন। শত শত যাত্রীকে পানিতে ভিজে রোদে পুড়ে তীব্র তাপদাহে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীরা পড়ে চরম বিপাকে।
কণফুলী লঞ্চের ভোলা অফিসের কর্মকর্তা লিটন বলেন, তাদের লঞ্চের আগুন এখন নিভানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চে যাত্রীদের কর্ণফুলী ৪ ও ১১ তে উদ্ধার করে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত লঞ্চের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটিকে অন্য একটি লঞ্চ টেনে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাংনীতে পান বরজে আগুন, ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিট
সরাইলে মেঘনা নদীতে ডুবে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ১১ বছর বয়সী মো. শওকত মিয়া নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) সরাইলে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার পানিশ্বহর ইউনিয়নের দেওবাড়ীয়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মো. শওকত মিয়া হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরাসুন্দা গ্রামের মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে এবং সরাইল থানার পানিশ্বর ইউনিয়নের দেওবাড়ীয়া গাউছিয়া সুন্নিয়া হাফিজীয়া মাদরাসার ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শওকতসহ কয়েকজন মিলে মেঘনা নদীতে গোসল করতে গেলে শওকত পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। তখন তার সহপাঠীরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মাদরাসায় শিক্ষকদের জানালে ওইদিন ডুবুরি না পেয়ে পরেরদিন বুধবার সকালে ডুবুরির মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজ শওকতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে বৃদ্ধ নিখোঁজ
নিখোঁজের ৩ দিন পর মেঘনা নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ছয়জনের লাশ উদ্ধার হলো।
রবিবার (২৪ মার্চ) আড়াইটার দিকে ভৈরব মেঘনা নদী ও পুলতাকান্দা এলাকা থেকে ভাসমান তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার নদী থেকে ডুবুরি দল দুইজনের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মহাসড়কের পাশে মুখে স্কচটেপ পেঁচানো লাশ উদ্ধার
তারা হলেন, নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার, ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দের স্ত্রী রুপা দে, পুলিশ সদস্য সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা এবং পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের স্ত্রী মৌসুমি ও আরাধ্যা নামে এক মেয়ে।
এছাড়া ট্রলার দুর্ঘটনায় আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন, মানিকখালির বেলন দে, পুলিশ সদস্য সোহেল রানা, তার ছেলে রায়সুল।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার নদী থেকে ডুবুরি দল দুইজনের লাশ এবং রবিবার আড়াইটার দিকে ভাসমান অবস্থায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য মো. সাদেক বলেন, আমাদের সহকর্মী সোহেল রানার মেয়ের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানায় এসে তার মেয়ের লাশ শনাক্ত করেছি।
নিহতে রুপা রানী দের জা রুমা রানী দে বলেন, দুর্ঘটনার তিন দিন পর রবিবার দুপুরে মেঘনা নদী থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্য শনিবার দুইজনের লাশ ও রবিবার তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবি: সাগর থেকে ৩ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার
নওগাঁয় নারী এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মেঘনায় ট্রলার ডুবে নিহত ১, পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন নিখোঁজ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের এক কনস্টেবল ও তার স্ত্রী সন্তানসহ ৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ঘটনার পর ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৪ জন ডুবুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত নিখোঁজ ৮ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন: ঝড়ে পদ্মায় ট্রলার ডুবে ২ কৃষক নিখোঁজ
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, মেয়ে মাহমুদা ও ছেলে রায়সুল, ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে, তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য ও ভগ্নিপতি বেলন দে এবং নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার।
এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে একজনের লাশ উদ্ধার করে ভৈরব কমলপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রলারের ধাক্কা লেগে ২০ জন ডুবে গেলে ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। পরে রাত হওয়ায় উদ্ধার কাজ বন্ধ করা হয়।
৬ ঘণ্টা পর চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি চলাচল শুরু
মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬ঘন্টা এই ফেরিঘাটে নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এতে নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা শত শত যানবাহন নদীর উভয় প্রান্তে আটকা পড়ায় যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আলম চৌধুরী জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সকাল ৬টার দিকে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ৯ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশা: চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ৩৪ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দ করা হয়।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত থেকে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৩৮ জেলেকে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৫৪ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৮টি নৌকা ও ১৯২ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
এ নিয়ে ৪ দিনে মোট ৩৬ জেলেকে আটক করা হলো।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করলে উৎপাদন আরও বাড়বে: মৎস্যমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ৩৬ জেলের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৮ জেলেকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা, দুই জেলেকে ১৫ দিন কারাদণ্ড ও ৬ জেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে জব্দ করা জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং জব্দ করা মাছ অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
ভোলায় মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
ভোলায় মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত (৪৫) ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের (গরিবের দুবাই খ্যাত) বালুর মাঠ সংলগ্ন নদীর তীর থেকে লাশটি পুলিশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় পণ্যবাহী ট্রলারডুবি, মাঝি নিখোঁজ
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, শিবপুর বালুর মাঠ এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
তিনি আরও বলেন, পরে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মরদেহটির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, লাশের শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর মেঘনা নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
মেঘনা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে আহনাফ (১৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২০ আগস্ট) উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহনাফ রাজধানী মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকার আজগর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: ভোলায় একদিনে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, শনিবার মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ এলাকার সিয়ামের সঙ্গে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যান আহনাফ। পরদিন রবিবার মেঘনা নদীতে গোসল করতে যান ৪ বন্ধু। আহনাফ পানিতে নেমে আর উঠেননি। পরে স্থানীয়রা তাকে উঠিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসিবুল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বন্ধুরা জানান, তিনি সাঁতার জানতেন না। আহনাফ ৩ ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তিনি এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
পরে মতলব উত্তর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল লাশ থানায় নিয়ে আসে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
ভোলায় ধরা পড়ল সাড়ে ৬ মণ ওজনের হাউস মাছ
ভোলার মেঘনা নদীতে প্রায় সাড়ে ছয় মণ ওজনের একটি বিশাল আকৃতির মাছ ধরা হয়েছে। এর পর মাছটি বরিশাল মোকামে নিয়ে আট হাজার ৮০০ টাকা মনে বিক্রি করা হয়। মাছটি ‘হাউস মাছ’ বলেও পরিচিত।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালে ভোলা সদরের ইলিশা ও রাজাপুরের মাঝামাঝি এলাকায় জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
পরে ইলিশা মাছ ঘাটে মাছটি বিক্রির উদ্দ্যেশে নিয়ে আসলে একনজর দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমান।
স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাইদুল মাঝির মাছ ধরা নৌকার জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। এর ওজন ছয় মণ ২৩ কেজি।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুই ভোল মাছ সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি!
বরিশালে পুলিশের ওপর জেলেদের হামলা, ফাঁড়ির ইনচার্জসহ আহত ১৬
বরিশালের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে অভিযান পরিচালনার সময় পুলিশের ওপর জেলেদের হামলায় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীর মাঝে সবুজ বয়া নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
হিজলা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ডিউটি অফিসার সাঈদ হোসেন জানান, হঠাৎ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযানিক দলের ওপর হামলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ১৬ জনের মতো আহত হয়েছে। সবাই বর্তমানে চিকিৎসাধীন। এছাড়া কয়েকটি নৌকা পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার, ৪ জেলে আটক
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার বলেন, সন্ধ্যার দিকে নৌপুলিশ ও উপজেলা মৎস কর্মকর্তাসহ কয়েকটি টিম হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নদীতে থাকা একটি জাল তুলতে গেলে আশপাশের কয়েকশ’ জেলে অভিযান পরিচালনাকারী দলের ওপর হামলা করে।
তিনি আরও বলেন যে হামলায় নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ বিকাশ চন্দ্র দেসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। সবার বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া জানান, সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ পুলিশের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে পারশে পোনা আহরণ, ১৬ জেলে গ্রেপ্তার