আটক
বাগেরহাটে ট্টলিচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
বাগেরহাট জেলার শরণখোলায় মালবাহী ট্টলিচাপায় এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
নিহত সিফাত চৌকিদার (১২) জেলার শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী সোহাগ চৌকিদারের ছেলে। সিফাত রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চাচা ভাতিজা নিহত
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ট্টলিসহ চালককে আটক করেছে। চালক হাসান (২২) শরণখোলার বাসিন্দা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাঈদুর রহমান জানান, সকাল ৯টার দিকে সিফাত প্রাইভেট পড়ে রায়েন্দা বাজারে বাসায় ফিরছিল। এসময় পিছন দিক থেকে আসা মালবাহী একটি ট্টলি তাকে চাপা দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিফাতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্টলিসহ চালককে আটক করে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ভারতে প্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ৩১
অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় সোমবার ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ৩১ জনকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার মহেশপুর ব্যাটালিয়ন ৫৮ বিজিবির অধিনস্ত শ্যামকুড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মহেশপুর উপজেলার একাশিপাড়া গ্রামের একটি ইট ভাটার সামনে থেকে মোছা. লিপি খাতুন ও মোছা. সাথি খাতুনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দৌলতপুর সীমান্তে আটকের ৪ ঘণ্টা পর কৃষককে ফেরত দিল বিএসএফ
মহেশপুরের মাটিলা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মাটিলা গ্রামের একটি মেহগনি বাগানের মধ্যে থেকে ভারতে প্রবেশের সময় মো. আজিম, তার স্ত্রী মোছা. আজমিরা খাতুন ও মেয়ে মোছা. হালিমাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: রৌমারী সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
সোমবার ভোরে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন ৫৮ বিজিবির বাঘাডাংগা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার কাঞ্চনপুর গ্রাম থেকে আসলাদ শেখ, তার স্ত্রী মোছা. সুমি শেখ, মেয়ে মোছা. সুমনা আক্তার হাবিবা, মো.মোস্তাফিজুর রহমান, তার ছেলে মো. আলী মর্তুজা, শান্ত মোল্লা, হেনা খান, ছোয়া মজুমদার, মুসকান আহমেদ, সুমাইয়াকে আটক করা হয়।
ওই দিন জীবননগরের করিমপুর বাজার থেকে মো. আজিজুর খান, মো. সলেমান শেখ, মো. গাউছ শেখ, তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা, ছেলে মো. সাব্বির হোসেন শেখ, মো. শাহিন শেখ, মো.মুন্না, অজিফা খাতুনকে আটক করে বিজিবি।
আরও পড়ুন: বিএসএফ’র গুলিতে আহত ভারতীয় কিশোরকে হস্তান্তর
জীবনগর উপজেলার ইসলামী ব্যাংক এলাকা থেকে মো. মহিদ শেখ, মো. জিনায়েদ, তার স্ত্রী মোছা. মিম, মিনহাজুল ইসলাম, অভি মোল্লা, মো. কামরুল ফরাজি, মোসা.শিউলি শেখ ও মোসা.মনিরা বেগমকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আটকতদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় ১০২ বাংলাদেশি আটক
মালয়েশিয়ায় ১০২ বাংলাদেশিসহ ৩০৯ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার ভোরে দেশটির অভিবাসন বিভাগের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ডেঙ্কিল এলাকার একটি কনস্ট্রাকশন সাইটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা দেবে জার্মানি
আটকদের মধ্যে ১৯৩ জন ইন্দোনেশিয়ান, আটজন মিয়ানমার নাগরিক, চারজন ভিয়াতনামের নাগরিক এবং দুইজন ভারতীয়ও রয়েছে। অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযাইমি দাউদ জানান, মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারের(পিকেপি)স্ট্যা্র্ন্ডাড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপিএস) বা লকডাউনে আরোপ করা বিধি নিষেধ অমান্য করে কিছু মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকছে-স্থানীয়দের এমন তথ্যের ভিত্তিতেই তার বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রণোদনা চায় বাংলাদেশ
দাতুক বলেন, আটকের পর তারা স্বীকার করেছে, তারা চার থেকে সাতজন এক রুমে গাদাগাদি থাকছেন। তাদের সবাইকে করোনা পরীক্ষা করার পর সেমেনিয়াহ ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে। অভিযান পরিচালনার সময় ১০ জন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের কাছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার পরিচয়পত্র পা্ওয়া গেছে। এদের মধ্যে পরিচয়পত্র জাল হওয়ার কারণে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আটজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে ৭ জেলায় ‘লকডাউন’
গত ৬ জুন সাইবার জায়া শহরে একটি অবৈধ বসতিতে সমন্বিত অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ ১৫৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে। আটকদের মধ্যে ৬২ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও ভারতের নাগরিক ছিল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইয়াবাসহ যুবক আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ এক যুবককে আটকের কথা জানিয়েছে র্যাব।
সদর উপজেলার রানীহাটি ইউপির পাঠানপাড়া এলাকা থেকে রবিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।
আটক মাসুদ রানা (২৯) শিবগঞ্জ উপজেলার বহালাবাড়ি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিপুল স্বর্ণেসহ মুদ্রা উদ্ধার, দম্পতি আটক
র্যাব-৫ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সদর উপজেলার রানীহাটি ইউপির পাঠানপাড়া এলাকায় একজন মাদকসহ অবস্থান করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল রবিবার রাত ৯টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ৪০০ পিস ইয়াবাসহ কথিত মাদক ব্যবসায়ী মুসুদ রানাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে জেএমবি ‘সদস্য’ আটক: র্যাব
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে নারীসহ ২ মাদক ‘ব্যবসায়ী’ আটক
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াগোবিন্দ ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লায় অভিযান চালিয়ে নারীসহ দুই অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের কথা জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার র্যাব-১২ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় খুমেকে ২৪ ঘণ্টায় ১১ মৃত্যু
আটকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বনবাড়ীয়া ঠাকুরট্যাক গ্রামের মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো. জেলাল শেখ (৩৭) ও সয়াগোবিন্দ ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার মো. খোকন শেখের স্ত্রী মোছা. কোহিনূর বেগম (৫০)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৮ জুন) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার ও দু’টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
আরও পড়ুন: মাগুরায় করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন শুরু
চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে গোলাগুলি, সন্ত্রাসী আটক
পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির পর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. সাইফুল ইসলাম প্রকাশ ওরফে বার্মা সাইফুলকে গ্রেপ্তার করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে রাত ২টার দিকে বায়োজিদ লিংক রোডের এলাকা থেকে তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
আহত সাইফুলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বিজিবির সাথে ‘গোলাগুলিতে’ ২ রোহিঙ্গা নিহত
এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়েছেন। তারা হলেন- বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিমুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম ও রবিউল হোসেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ১সিএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ জানান, বুধবার রাতে সাইফুলকে লিংক রোড এলাকার এশিয়ান ওম্যান ইউনিভার্সিটির গেইটের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়ে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি এলজি ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ১
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় পুলিশের চেক পোস্ট দেখে পালানোর চেষ্টা করেন সন্ত্রাসী সাইফুল। এ সময় পুলিশ তাকে ধরতে গেলে তিনি গুলি করেন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি করে। এ গোলাগুলির ঘটনায় সন্ত্রাসী সাইফুল ও পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। আহত অবস্থায় সন্ত্রাসী সাইফুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে রাতে দুই পক্ষের গোলাগুলি
রাজধানীর পল্লবীতে অস্ত্রসহ ‘রোমান্টিক গ্রুপের’ ৮ সদস্য আটক
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের দাবিকৃত আট সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) পক্ষে অধিনায়ক (সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)) মো. ফজলুল হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলো- মিরপুর পল্লবী থানার মো. মনজুরের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন পল্টু (৩৫), একই এলাকার মো. আ. কাদেরের ছেলে মো. কাউসার হোসেন (১৮), নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. নিয়াজ মাহমুদ জুবায়ের (১৮), মো. ওলি উদ্দিন ছেলে মো. আসিফ নহোসেন (১৮), মোঃ শামছুল হকের ছেলে মো. আরিফ (১৮), শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসান (১৮), মো. জামান শেখের ছেলে মো. সুজন শেখ (১৯), মো. শাহআলম ইসলাম বাবুর ছেলে মো. শাহরিয়ার সজীব (১৮)।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ‘আনসার আল ইসলামের’ ৩ সদস্য আটক
র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, র্যাব-২ এর আভিযানিক দল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের আট সদস্যকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে সাতটি ছুরি, খুর, ছয়টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ইয়াবাসহ কারারক্ষী আটক
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটককৃত এই কিশোর অপরাধীরা স্থানীয়ভাবে পরিচিত কিশোর গ্যাং- ‘রোমান্টিক গ্রুপ’ এর সদস্য। তারা সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের হরতাল: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-র্যাবের ৬ মামলা
প্রায়শই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি এবং আধিপত্য বজায় রাখার জন্য অন্যান্য কিশোর গ্যাংয়ের সাথে মারামারিসহ নানা সশস্ত্র সংঘর্ষেও তারা জড়াতো বলে স্বীকার করে সদস্যরা।
র্যাব এমন অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চাঁদপুরে ২ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর আটক
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় দুই বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভুক্তভোগীর বাবা এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
রবিবার উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলদানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণে’ ব্যর্থ হয়ে শিশুর হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
শিশুটি বর্তমানে মা বাবার হেফাজতে আছে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলদানা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ীর শিশু কন্যাকে (২ বছর) একই বাড়ির অভিযুক্ত কিশোর নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে তার মা তাকে খোঁজার এক পর্যায়ে ওই কিশোরের ঘরে গেলে, শিশুটির মাকে দেখে ওই কিশোর ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
পরে শিশুটিকে কান্নারত দেখে দ্রুত স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। অবস্থা গুরুতর দেখে তারা পরদিন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে শিশুটিকে। শিশুটি কিছুটা সুস্থ হলে, হাসপাতাল থেকে ডিউটি ডাক্তার সোমবার রাতে পুলিশকে ব্যাপারটি জানায়।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদ হোসেন ইউএনবিকে জানান, ভুক্তভোগী নিতান্তই শিশু। তাই সর্তকতার সাথে মামলা দায়ের পূর্বক মঙ্গলবার অভিযুক্তকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আদালত অভিযুক্ত কিশোর কোথায় রাখবে তা এখনও নিশ্চিত হয়নি বলেও জানান ওসি।
সিলেটে চোরাই মোবাইল বিক্রি চক্রের ৭ সদস্য আটক
সিলেট, ১৩ জুন (ইউএনবি)- সিলেটে ছিনতাইকৃত মোবাইল-টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে অনলাইন চোরাই চক্রের সন্ধান পেয়েছে চক্রের সাত সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মৌলভীবাজারের সদর থানার আমতৈল এলাকার চলকাপন গ্রামের মৃত নীল মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী (২২), হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার শাকপা টুকেরবাজার এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে আইনুল হক (২০) ও সিলেটের দক্ষিণ সুমরা উপজেলার শিববাড়ি এলাকার জৈনপুর গ্রামের মৃত সিকান্দর আলীর ছেলে বেলাল আহমদ (২২), জালালাবাদ থানার চরুগাও এলাকার ইমাম হোসেনের ছেলে মো. শামীম মিয়া (২২), চুনারুঘাটের সাটিয়াজুরি গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে সোলেমান (২২), মোগলাবাজার থানাধীন কুচাই গ্রামের মো. খলকু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৪), নবীগঞ্জ সাকুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে ছাইদ উল্লাহ (২১)। এদের মধ্যে আইয়ুব আলী এই চোর চক্রের মূল হোতা। তবে তার আপন বড় ভাই আব্দুস শহীদকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তে নারী, শিশুসহ আটক ৬
রবিবার বিকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের এই তথ্যটি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাইয়ে একজন আইনজীবীর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনার পর চাঞ্চল্যকর এই তথ্যটি পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। দীর্ঘ ৫ মাস অনুসন্ধান শেষে ১২ জুন শনিবার সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূল হোতাসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করে মোগলাবাজার থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ চক্রটি ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে কম দামে মোবাইল ফোন বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। তবে এক আইডি বেশিদিন ব্যবহার করে না। কিছু মোবাইল বিক্রির পর সেই আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করে নতুন আরেকটি আইডি খুলে। সিলেটে চোরাই ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলো কম দামে বিক্রি করে। এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অনলাইনে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে সংঘর্ষে যুবক খুন: আটক ২৪
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, সিলেটের ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রতিদিন মোবাইল ফোন ক্রয় করে তারা। পরে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করে।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা জানান, এই চক্রের মূল হোতা শিববাড়ীর আব্দুস শহিদ ও মৌলভীবাজারের আমতৈল এলাকার আইয়ুব আলী। আটকদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরেক মূল হোতা আব্দুস শহিদসহ এ চক্রের অপর সদস্যদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
চট্টগ্রামে বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ২১ দালাল আটক
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দালাল ও প্রতারক চক্রের ২১ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
রবিবার দুপুরে নগরীর বায়েজিদ থানার নতুনপাড়া এলাকার বিআরটিএ কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে জেএসএসের সামরিক কমান্ডারকে গুলি করে হত্যা
তিনি বলেন, ‘গোপন সূত্রে চট্টগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয়ে দালালদের উৎপাতের সংবাদ পেয়ে রবিবার সেখানে অভিযান পরিচালনা করে র্যাপব। পরে সেখান থেকে দালাল চক্রের ২১ সদস্যকে আটক করা হয়।’
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তে নারী, শিশুসহ আটক ৬
নুরুল আবছার বলেন, বিআরটিএকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে একটি দালাল চক্র গড়ে উঠে। তাদের উৎপাতে বিআরটিএতে সেবা গ্রহণে আসা গ্রাহকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছিলেন। এছাড়া মোটরযান ও ড্রাইভিং রেজিস্ট্রেশন করতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা দাবি করে এই সংঘবদ্ধ দালালচক্রটি। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ২১ জন দালালকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অফিসে ঢুকে ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা
অভিযোগ রয়েছে, জনবল সংকটকে পুঁজি করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে মাথাচড়া দিয়ে উঠে দালালচক্র। নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের পর থেকে বিআরটিএ’তে ফিটনেস হালনাগাদ এবং লাইসেন্স নবায়নের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দালালচক্র।