রোহিঙ্গা ক্যাম্প
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে এবং তাদের কল্যাণে পরিচালিত বিভিন্ন সহায়তা পরিষেবা সম্পর্কে ধারণা নিতে ভাসানচর ও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
বুধবার (২০ মার্চ) এ সফরে ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি, আইওএম, ইউনিসেফ, ইউএনউইম্যান এবং ইউএনএফপিএসহ একাধিক জাতিসংঘ সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
এছাড়াও, ভূমিধস এড়াতে নরওয়ের অর্থায়নে ইউএনডিপির উদ্যোগে পরিচালিত দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান নির্ভর উদ্যোগসমূহ পরিদর্শন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত। তার এই সফর ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনের জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে আরও জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাজকুমারী
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য টেকসই আবাসন নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে সরকারের খুরুশকুল আশ্রয়ণ হাউজিং প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দ্বীপ হাতিয়া পরিদর্শনে যান ক্রাউন প্রিন্সেস। আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কীভাবে এটি হাতিয়ার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভূমিকা রাখছে সে সম্পর্কে ধারণা নেন তিনি।
এ সময় সুইডিশ ক্রাউন প্রিন্সেসের সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশনস ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মদির, সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ইয়োহান ফরশেল।
আরও পড়ুন: খুলনা-চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত
গত সোমবার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নিয়ে প্রচারণার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ও ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ভিক্টোরিয়া। ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হওয়ার পর এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাজকুমারী
কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নোয়াখালী ভাসানচর থেকে সরাসরি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে উখিয়ায় পৌঁছান তিনি।
এ সময় রাজকুমারীকে অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহিন ইমরান, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানসহ ঢাকাস্থ সুইডেনের দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকালে কক্সবাজারের খুরুস্কুলের জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। এরপর আকাশ পথে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার।
গত ১৮ মার্চ ৫ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন তিনি। ঢাকায় সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার এটি প্রথম বাংলাদেশ সফর।
এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে জাপানের রাষ্ট্রদূত
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ক্যাম্প পরিদর্শনে যান তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রদূত একটি ই-ভাউচার আউটলেট, একটি জীবিকা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও উৎপাদন কেন্দ্র এবং কুতুপালংয়ের একটি শিক্ষা কেন্দ্র এবং ক্যাম্প ৪ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জাপানি অভিনেত্রী সাহেল রোজ।
শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
২০১৭ সালের আগস্টে ব্যাপক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে, কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসান চরে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিওগুলোর মাধ্যমে ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে জাপান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৫২ লাখ পাউন্ড সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয়, সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়েছে দেশটি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, ‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটি আমার পঞ্চম সফর, এবং আমি আইএসসিজি, ডব্লিউএফপি, ইউএনএইচসিআর ও ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানাই যারা এই সফরের আয়োজন করেছে। সাহেল রোজও এই সফরে এসেছেন। আমি আশা করি তিনি ক্যাম্পে যা দেখেছেন তা জাপানের লোকদের কাছে জানাবেন।’
তিনি আরও বলেন, এই সংকটের ছয় বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এই সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা অপরিহার্য।
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় জাপান
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড: চমেকে আরও ১ শিশুর মৃত্যু
একে একে মারা যাচ্ছে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ শিশুরা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সোহেল (৫) নামে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এনিয়ে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিসাধীন চার শিশুর মৃত্যু হলো।
বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক শিশু ও দুই নারী। তারা হলেন- জোবায়দা (২২), রোসমিনা (৫), আমেনা খাতুন (২৪)।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দগ্ধ ৯
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, সোহেল নামে আরও এক শিশু পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ হওয়াসহ শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এর আগে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাসানচরে দগ্ধ ৫ শিশুসহ ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেল নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া গত সোমবার ভোরে মোবাশ্বেরা ও সন্ধ্যায় রবি আলম নামে আরও দুই শিশু মারা যায়।
উল্লেখ্য গত (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানে আগুনে পুড়ে কিশোর নিহত, দগ্ধ-২
টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নূর মোহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
নিহত যুবকের নাম নূর মোহাম্মদ নয়াপাড়া ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, নূর মোহাম্মদ নিজ বাসায় যাওয়ার সময় ডি ব্লক সংলগ্ন পানির ট্যাংকির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন আইপিডি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
লাশ ময়নাতদন্তের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় আরসা-আরএসও 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা নিহত
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ লাখ ইউরো সহায়তা দিচ্ছে ইইউ
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর একটিতে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ৩ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সাম্প্রতিক অগুনের ঘটনায় শরণার্থী শিবিরের পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
ঢাকাস্থ ইইউ দূতাবাস মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ করে আশ্রয়, তাবু, পানি ও সেখানকার উন্নয়নের জন্য তাৎক্ষণিক জরুরি সহায়তা দিতে কাজে লাগানো হবে এই তহবিল।
এটি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে এবং অন্যান্য মানবিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার সহায়ক হবে।
৭ জানুয়ারি ভোরে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোর মধ্যে ক্যাম্প-৫ -এ ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ৯৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র পুড়ে গেছে বা আংশিক ধ্বংস হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ১৫টি শিক্ষাকেন্দ্র, অসংখ্য শৌচাগার ও ওয়াশরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা ও ফায়ার ব্রিগেডের দ্রুত হস্তক্ষেপের কারণে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
যেহেতু ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোতে প্রায়ই আগুন লাগে। এমতাবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি মানবিক অংশীদারদের শিবির কাঠামো শক্তিশালী করতে এবং এই জাতীয় ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সহায়তা করেছে।
নতুন এই বরাদ্দ দেওয়ার আগে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে গত বছর বাংলাদেশকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৩৮ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে ইইউ ।
গত মার্চে আরেকটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে ইইউ ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীদের সহায়তার জন্য ১০ লাখ ইউরো সহায়তা করেছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়েছে ৮ টি শেড। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্প-৫ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে, হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি ক্যাম্প-৫ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই একই স্থানের পাশে আবারও আগুন লাগে। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই ৮টি শেড আগুনে পুড়ে যায়।’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
এ ঘটনায় কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন তারা।
এসময় তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা দানকারী বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রজেক্ট পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৪, ২/ওয়েস্ট পৌঁছে কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্প ও ৮/ওয়েস্ট পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে নেপালের উচ্চ পর্যায়ের সংসদীয় প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, সেখানে তারা দাতা সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় প্রতিনিধি দল এনজিও সংস্থায় কর্মরত কিছু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং ক্যাম্পে সার্বিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪, ২/ওয়েস্ট, কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্প ও ৮/ওয়েস্ট পরিদর্শন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা দানকারী বিভিন্ন এনজিও এর প্রজেক্ট পরিদর্শনের পর বেলা আড়াইটার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন- রাজনৈতিক ইউনিট প্রধান ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের শারিন ফিটজেরাল্ড, ডেপুটি আঞ্চলিক উদ্বাস্তু সমন্বয়কারী পিআরএম টমাস ব্রাউনস, আঞ্চলিক মানবিক উপদেষ্টা, ইউএসএআইডি অ্যান্ড্রু শেফার, ঢাকা মার্কিন দূতাবাসের ইশতিয়াক আহমেদ ও নিরাপত্তা তদন্তকারী কর্মকর্তা ইত্তে ইরতাজদ আক্তার।
ক্যাম্প পরিদর্শন কালে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
ঢাকায় ওয়াশ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন সুইডিশ স্টেট সেক্রেটারি
ঢাকা আসছেন মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার
পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, ১৫-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সফর করতে পারেন।
সফরকালীন সময় তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চর্চা করে যুক্তরাষ্ট্র একটি সমৃদ্ধ অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করেছে: হাস
আফরিন আখতার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান ও মালদ্বীপের জন্য দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) পাশাপাশি নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের একজন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি।
তিনি মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
চলতি বছরের মে মাসে তিনি ঢাকা সফর করেন।
কূটনৈতিক সূত্রটি জানিয়েছে, মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অগ্রাধিকারমূলক দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং নির্বাচনী বিষয়গুলোও আলোচনার জন্য আসতে পারে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আর কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই: শাহরিয়ার আলম
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১০ এইচ/২৫ ও ২৭ ব্লকের মধ্যবর্তী একটি পানি চলাচলের নালা থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
নিহত মুজিবুর রহমান (১৭) ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট ব্লক এ/৪৬ এর ওবায়দুল হকের ছেলে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুহাম্মদ আলী বলেন, শনিবার নালায় এক যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে তারা ক্যাম্প মাঝিদের জানালে মাঝিরা পানবাজার ৮ এপিবিএনকে জানায়।
এপিবিএনের দেওয়া খবরে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। আশপাশের রোহিঙ্গারা লাশটি ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট ব্লক এ/৪৬ এর মুজিব বলে শনাক্ত করে।
তিনি আরও বলেন, কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তা এখনো কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি। সুরতহাল তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মা-মেয়ে নিহত