ধর্ষণ
ঝিনাইদহে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবির অভিযোগ
ঝিনাইদহে ২২ বছরের এক নারীকে ইয়াবা সেবন করিয়ে ধর্ষণ ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুর মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ‘প্রেমিক’ গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক চক্রকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শহরের টিকটকার ও লাইকি মডেলদের ওপর নজরদারী শুরু করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, তার বান্ধবী সুমি নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী মঙ্গলবার বিকালে তাকে বিউটি পার্লারে নিয়ে যাওয়ার নাম করে শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পেছনে জনৈক বিডিআর মিলনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিল আদর্শপাড়ার তৌফিকুর রহমান টুটুলের ছেলে আশিকুর রহমান রোমেল নামে এক লাইকি মডেল। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, ওই বাসায় নিয়ে তাকে ইয়াবা ও গাজা সেবন করিয়ে বিডিআর মিলন ও রোমেল ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
হাসপাতাল চত্বরে ভুক্তভোগীর মা জানান, চক্রটি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তার মেয়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। বুধবার সকালে তা মেয়ে বাড়িতে আসলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী বেঁচে নেই। মেয়েকে পবহাটী গ্রামে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিচ্ছেদ হওয়ার পর এখন আমার কাছেই আছে। কি করবো ভেবে না পেয়ে দুপুরে অসুস্থ মেয়েকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই।’
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ আবুল বাসার জানান, গোটা চক্র অন্ধকার জগতে চলাফেরা করে অভ্যস্ত। এর আগে সুমি জনৈক প্রদ্যুৎ নামে এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয়। এছাড়া ধর্ষক আশিকুর রহমান রোমেলও গত ৩ জুন শহরের মহিলা কলেজ পাড়ার একটি বাসা থেকে নারী টিকটকার তুলির সাথে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
ঝিনাইদহ ডিএসবির একটি সুত্র জানায়, ঝিনাইদহ শহরে ৮/১০ জন যুবতী নিয়মিত যৌন কর্ম ও মাদকে আসক্ত। এমন বেশ কিছু যুবতীকে তারা শনাক্ত করেছে। এ সব মেয়েরা ঝিনাইদহ শহরের পাশাপাশি নিয়মিত ঢাকায় দেহ ব্যবসার জন্য যাতায়াত করে থাকে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। এই চক্রটি নারীদের ঢাকায় পাঠাচ্ছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। যারা কথা শুনছে না তাদের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি ও দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বুধবার বিকালে জানান, যদিও আমরা এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি, তবে পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ব্রজ নাথ কুমারকে হাসপাতালে ভুক্তভোগীর কাছে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন আমরা ভুক্তভোগীকে আইনী সহায়তা দিতে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি।
পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ‘প্রেমিক’ গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ‘প্রেমিক’ জুয়েল রানা (২৬) গ্রেপ্তার হয়েছে। গত ৩১ জুলাই বিকেলে উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের মৌমারী লোহাগাড়া গ্রামে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে এই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া জুয়েল রানা দেবীগঞ্জ পৌরসভার নতুন বন্দর এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিবাহিত জুয়েল প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে গত ৩১ জুলাই বিকেলে মৌমারি এলাকায় তার বন্ধু নিশাতের একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জুয়েল প্রথমে ধর্ষণ করে। জুয়েলের বন্ধু মুন্না কৌশলে মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে মুন্না, পরে মৌমারি এলাকার নুরু, রিমন, নিশাত পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুনঃ যশোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
সেইরাতে ওই কিশোরী তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরদিন কিশোরীর মা বাদী হয়ে জুয়েল রানা, মৌমারী লোহাগাড়া গ্রামের নুরু (২২) ও মুন্না (২২), কালীগঞ্জ কলেজপাড়া এলাকার রিমন (২৩) এবং কালীগঞ্জ বাজারের নিশাতের (২০) নামে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
মাগুরায় অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
মাগুরার মহম্মদপুরে বালীদিয়া গ্রামে গলায় চাপাতি ধরে ভয় দেখিয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক বাবর আলী মোল্লা ওরফে বাবু মোল্লা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্যার ছেলে। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নে ওই নারী রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় টিনের বেড়া কেটে বাবু তার এক সহযোগীকে নিয়ে ওই নারীর রুমে সুকৌশলে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ধারালো চাপাতি গলায় ধরে তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাবুকে আটক করে এবং অন্যজন পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির হোসেন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বাবু নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত আরেকজনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
যশোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
যশোরের শার্শা উপজেলায় ষষ্ট শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল শিক্ষার্থীকে (১৩) যৌন নিপীড়নের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ সোমবার রাতে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক সাগর হোসেন (১৮) উপজেলার সোনাতনকাটি গ্রামের আখতারুল ইসলামের ছেলে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, শনিবার রাতে উপজেলার বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ‘পাকা বাহিনী’র নেতাসহ আটক ৩
সোমবার রাতে থানায় মামলা হলে ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাগর নামে একজনকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনার সাথে তিন জন যুক্ত ছিলেন।
তারা হলেন- সোনাতনকাটি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেন (১৮) ও কলারোয়া উপজেলার ধানঘুরা গ্রামের রেজাউল সর্দারের ছেলে নাহিদ হাসান (২৫)।
ওসি জানান,বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামের ওই মেয়েটি (১৩)শনিবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।এসময় ওই তিন যুবক তার মুখ চেপে ধরে পাশের পুকুর ধারের জঙ্গলে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।পরে তারা পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটির স্বজনদের হাঁকডাকে তারা পালিয়ে যায়।
মেয়েটির বাবা জানান,আমি গরিব ও ভ্যানচালক হওয়ায় ওরা আমাকে ঘটনা জানাজানি করলে জীবননাশের হুমকি দেয়।সোমবার রাতে সামাজিক বিচারের নামে গ্রামের প্রভাবশালীরা একটি ঘরে আমাদেরকে আটকে রাখে।পরে পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বিয়ে করতে গিয়ে ভুয়া সাংবাদিকসহ আটক ৩
ওসি বদরুল আলম জানান, মঙ্গলবার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়| আটক সাগরকে আদালতের মাধ্যমে হাজতের পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী নারীকে ‘ধর্ষণ’, সন্তান প্রসব
কুমিল্লার দেবিদ্বারে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি নারীকে ধর্ষণ ও সন্তান প্রসবের ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
অভিযুক্ত মোঃ সোহাগ (২৫) দেবিদ্বার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বারেরা কাজী বাড়ির মোঃ মফিজের ছেলে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
রবিবার র্যাব সূত্রে জানা যায়, সোহাগ ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গত ১১ জুলাই ধর্ষণের শিকার ওই নারী ছেলে সন্তান প্রসব করে। বিষয়টি নিয়ে সমাধান না হওয়ায় র্যাবের নিকট অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
আরও পড়ুন: মাঠ থেকে ছাগল আনতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী
র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বারেরা এলাকা থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক মো. সোহাগকে আটক করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলেছে র্যাব দাবি করে।
সিলেটে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
সিলেটের কানাইঘাটে ১৮ বছরের শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের জন্তীপুর গ্রামের মৃত কবির উদ্দিনের ছেলে সুহেল আহমদ (২৫) ও রাধানগর গ্রামের ইয়ারীছ আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ(২০)।
আরও পড়ুনঃ মাঠ থেকে ছাগল আনতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী
শুক্রবার ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবন্ধী কিশোরীর স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফেরার পথে রিয়াজ উদ্দিন কিশোরীকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এসময় রিয়াজসহ সুহেল, ফয়ছল ও গিয়াস আহমদ (২৭) তাকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুনঃ কিশোরগঞ্জের নারীকে সিলেটে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে প্রতিবন্ধী কিশোরী তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে থানায় এসে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করলে কানাইঘাট থানার পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে সুহেল ও ফয়ছলকে গ্রেপ্তার করে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে বিয়ে করার কথাও বলেছিল রিয়াজ। ঘটনার পর থেকে রিয়াজ পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরীএ বিষয়ে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে সিওমেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী
গাইবান্ধা সদরে মায়ের সাথে অভিমান করে এক কিশোরী (১৬) বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ঘটনার শিকার কিশোরীর মা।
অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলার পারবর্তীপুর গ্রামের কসাই লাল মিয়া ও একই উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের বকুল প্রধান।এদের মধ্যে লাল মিয়া পেশায় মাংস বিক্রেতা (কসাই) ও বকুল বাসের কাউন্টার মাস্টার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চলন্তবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
মামলায় বলা হয়, গত ১২ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই কিশোরী মায়ের সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সদর উপজেলার বালুয়া বাজারে যায়। ঢাকা যাওয়ার জন্য মেয়েটি বাজারের শাওন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাস কাউন্টারের সামনে পায়চারি করছিল। এ সময় কাউন্টার মাস্টার বকুল প্রধান ও কসাই লাল মিয়া মেয়েটির কাছে যান। পরে জানতে চাইলে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে মেয়েটি। লকডাউনে বাস বন্ধ, তবে মাইক্রোবাসে ঢাকা যাওয়ার যাবে বলায় মেয়েটি রাজি হয়। রাত ৮টার দিকে তারা মেয়েটিকে বাথরুম সেরে নেয়ার কথা বলে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। পরে এলাকাবাসী মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মোবাইলে ডেকে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রাজশাহীতে পাটখেতে নারীর গলাকাটা লাশ, ধর্ষণের অভিযোগ
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় পাট খেত থেকে নারীর গলা কাটা ও হাতের রগকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার কারিগরপাড়া কমিউনিটে ক্লিনিকের পেছনের পাট খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আতিকা খাতুন (৪৮) উপজেলার কারিগরপাড়ার মৃত আতাহার আলীর স্ত্রী। আতিকা চার সন্তানের জননী। তাদের নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করতেন আতিকা।
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, বিকালে ছাগাল নিয়ে মাঠে গিয়ে আর ফিরে আসেনি আতিকা। তবে সন্ধ্যার আগে ছাগলগুলো বাড়ি চলে আসে। সন্ধ্যা পর্যন্ত না ফেরায় বাড়ির লোকজন মাঠে গিয়ে তাকে খোঁজাখোঁজি করে। এক পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের পেছনে পাট ও ভুট্টা খেতের মাঝে তার লাশ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: পান দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণী
ওসি জানান, লাশের গলাকাটা ছাড়াও তার বাম হাতের কব্জির রগ কাটা রয়েছে। এছাড়াও তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এলাকায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর ছবি সুপার কম্পোজের মাধ্যমে অশ্লিল ছবির সঙ্গে জোড়া দিয়ে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মো. জাহাঙ্গীর আলম (২২) কুমিল্লার চান্দিনা থানার মহনপুর গ্রামের মো. ওয়াহিদের ছেলে।
আরও পড়ুনঃ মরিশাসে কাজে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, ন্যায়বিচার চান নারী
সিএমপির ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান, ভুক্তভোগী ১৪ বছরের শিশু। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। জাহাঙ্গীর প্রায়ই তাকে বিরক্ত করত।একদিন বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জাহাঙ্গীর মেয়েটি বাসায় যায়। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকারের চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর তাকে কিছু নগ্ন ছবি দেখায়। মূলত ভুক্তভোগীর ছবি এডিট করে জাহাঙ্গীরই এই ছবি বানায়। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৪ বছরের সেই শিশুকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে এই ঘটনা কাউকেই বলেনি। তার কিছুদিন পর জাহাঙ্গীর আরও দুইবার ভুক্তভোগীর বাসায় গেলে সে তার চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করে। মরিচের গুড়ার ভয়ে কাছে ঘেষতে না পারায় জাহাঙ্গীর অন্যভাবে শিশুটিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। শেষে মঙ্গলবার ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ জানালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ পান দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণীভিকটিমের মা বাদি হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
পান দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণী
বাড়ির পুকুর সেচের কাজ চলছে। মামাতো ভাইয়ের জন্য পান নিয়ে যান ২২ বছরের প্রতিবন্ধী তরুণী। আর এ সুযোগে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এখন তার গর্ভে সাত মাসের সন্তান। এ ঘটনায় ৯৯৯ এ ফোন করে বোনের জন্য বিচার চেয়েছেন ভাই।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ওই তরুণীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সত্যতা পায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ডাকাতির সময় নারীকে ধর্ষণ, শিশু হত্যার অভিযোগ
অভিযুক্ত মামাতো ভাই উপজেলার ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ধড্ডা গ্রামের ড্রেজার শ্রমিক শামসুল আলম শামছু (৩৭)।
প্রতিবন্ধী ওই তরুণী বলেন, আমাকে পান আনতে বলে শামসুল ভাই। আমি পান নিয়ে গেলে তখন তিনি আমাকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর ভাই জানান, বোনের এমন ঘটনায় ব্যথিত। অপরাধী যেই হোক আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানাতে অভিযুক্ত শামসুল আলম শামসুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল : শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) ইব্রাহীম খলিল জানান, প্রতিবন্ধী তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু হয়েছে। দ্রুত সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।