ধর্ষণ
চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাইয়ে নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা নুর উদ্দিন মিঠুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মজিবুল হক জানান, গতকাল সোমবার বিকেলে ওই এলাকার সর্দার বিষয়টি আমাকে অবহিত করে। এরপর আমি স্থানীয় গণ্যমান্য কয়েকজনকে নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়ের সাথে কথা বললে তিনি ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মেয়েটি বড়। রবিবার গভীর রাতে মা বাড়িতে না থাকায় মেয়েকে জুসের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে এ কাজ করে মিঠু।
আরও পড়ুন: ভোলায় ঋণের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুল হক ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক বিষয়টি সমাধান করতে চান। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা সমাধান করতে পারেনি। পরে খবর পেয়ে মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার লাবিব আবদুল্লাহ ও জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নূর হোসেন মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী বলেন, মিঠু বাবা নামের নরপশু। কোনো বাবা মেয়ের সাথে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রীর গলিত লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
জোরারগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী তার বাবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মেয়েকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া মিঠু। মঙ্গলবার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা
ঢাকা, ১৫ জুন (ইউএনবি)- পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত নাসির উদ্দিন মাহমুদ সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে।অন্য আসামিরা হলেন তুহিন সিদ্দিকি অমি (৩৩), নাজমা আমিন বৃষ্টি (২৪), লিপি আক্তার (১৮) ও সুমি আক্তার (১৯)।এয়ারপোর্ট থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর মশিউল আলম জানান মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: প্রধান আসামি নাসিরসহ গ্রেপ্তার ৫
তিনি বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।তাদেরকে আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের একটি সূত্র।এর আগে চিত্র নায়িকা পরিমনির দায়ের করা সাভার থানার মামলায় সাভার থানা পুলিশ সোমবার বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগের পর সাংবাদিকদের যা বললেন পরীমণি
যেহেতু গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত হয়েছে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয় সেজন্য বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
অভিযুক্ত নাসির উদ্দিনের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি কুঞ্জ ডেভেলপার্সের চেয়ারম্যান এবং উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি।জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে চিত্রনায়িকা পরীমনি সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে এক ব্যক্তির সাথে যান। সেসময় তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: নাসির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা করলেন পরীমণি
রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন যে ছয় জন তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিল।ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর রবিবার রাত ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন।সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা জানান, তিনি জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। নিজ বাসায় তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না।
আরও পড়ুন: আমাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে: পরীমণি
পরীমণি বলেন, ‘আমি সুইসাইড (আত্মহত্যা) করার মতো মেয়ে না। আজকে যদি আমি মরে যাই, সবাইকে জানাতে চাই, আমি সুইসাইড করবো না।’এই অভিনেত্রী জানান, ‘ঢাকা বোট ক্লাবে’ তাকে হেনস্থা করা এক ব্যবসায়ী নিজেকে পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেন। ওই ব্যবসায়ীর নাম ‘নাসির উদ্দিন মামুন’ বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।ঘটনার পর ভোর রাতে বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান এই অভিনেত্রী।
ভোলায় ঋণের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
জেলার বোরহাউদ্দিন উপজেলায় এনজিও থেকে ঋণের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ৪০ বছর বয়সী তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড স্মৃতি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই রাতেই ভুক্তভোগীর স্বামী তিন জনকে আসামি করে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলেও সোমবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: প্রধান আসামি নাসির গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী ও তার স্বামী জানান, রবিবার বিকালে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণের টাকা আনতে যান ওই নারী। এনজিও থেকে টাকা উত্তোলন করে সন্ধ্যায় স্মৃতিপাড়ার এক আত্মীয়ের বাসায় যান। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৮ টায় বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় বখাটে সাহেদ, সুমন ও ইউসুফ ওই নারীকে জোরপূর্বক বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তারা চলে যাওয়ার সময় এনজিও থেকে ঋণ করে আনা ১০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণে’ ব্যর্থ হয়ে শিশুর হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
স্থানীয়দের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এরপর তাকে রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. খালেদা ইসলাম মিতু জানান, ডাক্তারি পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগের পর সাংবাদিকদের যা বললেন পরীমণি
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, পুলিশ রাতেই ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনেছেন। ওই নারীর স্বামী যে লিখিত অভিযোগ করেছেন তার সাথে ক্তভোগীর বক্তব্যের কিছুটা অমিল আছে।
তিনি জানান, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তারা ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করছেন। সঠিকভাবে অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্তদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
‘ধর্ষণে’ ব্যর্থ হয়ে শিশুর হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আম দেয়ার কথা বলে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কোমরের হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে সোমবার সুন্দরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বর্তমানে শিশুটি গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা খয়বর হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুরে পাশের বাড়ির বখাটে সহিদুল ইসলাম তার সাত বছরের মেয়েকে পাকা আম দেয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে মেয়েটি চিৎকার দিলে বখাটে সহিদুল ইসলাম মেয়েটির কোমরে সজোরে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে সে বাড়িতে এসে ঘটনাটি বলে।
আরও পড়ুন: টিকটক-লাইকি ভিডিওর ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
এসময় মেয়েটির পরিবার বিষয়টি প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্ত সহিদুল ইসলামের স্বজনরা মেয়েটির পরিবারকে মামলা করতে নিষেধ করে এবং আটকে রেখে কবিরাজি চিকিৎসা করে।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. হারুনুর রশিদ জানান, মেয়েটিকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়েছে। তার কোমরের একটি হাড় ভেঙে গেছে। তার চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
এব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, একটি অভিযোগ পেয়ে বখাটে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।
‘ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগের পর সাংবাদিকদের যা বললেন পরীমণি
ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ঘটনার চার দিন পর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান এই অভিনেত্রী।
ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর রবিবার রাত ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন।
আরও পড়ুন: আমাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে: পরীমণি
সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা জানান, তিনি জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। নিজ বাসায় তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না।
পরীমনি বলেন, ‘আমি সুইসাইড (আত্মহত্যা) করার মতো মেয়ে না। আজকে যদি আমি মরে যাই, সবাইকে জানাতে চাই, আমি সুইসাইড করবো না।’
আরও পড়ুন: ফোর্বসে এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকার তালিকায় পরীমনি
এই অভিনেত্রী জানান, ‘ঢাকা বোট ক্লাবে’ তাকে হেনস্থা করা এক ব্যবসায়ী নিজেকে পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেন। ওই ব্যবসায়ীর নাম ‘নাসির ইউ মামুন’ বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
ঘটনার পর ভোর রাতে বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান এই অভিনেত্রী। তাকে জানানো হয়, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থানায় নেই। এই অভিনেত্রীর নাম্বার রেখে দিয়ে তাকে বলা হয়, ওসি আসলে তার সাথে যোগাযোগ করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘পরীমনি’ কঠিন কাজ সহজে করেন
কিন্তু পরীমনির দাবি, তার সাথে থানা থেকে কোনও প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি।
এদিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম মিয়া জানান, তারা এই অভিনেত্রীর কোনও অভিযোগ এখনও পাননি।
আমাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে: পরীমণি
ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ অভিযোগ করেন তিনি।
পরীমণি এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেছেন।
পরিমণির স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমি পরীমণি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ
ফরিদপুরের মধুখালীতে প্রতিবন্ধী এক অসহায় কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই তরুণী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এ ঘটনায় ৪ জুন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ওই যুবকের নামে মধুখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর (১৪) সঙ্গে একই গ্রামের হারান শেখের ছেলে হৃদয় শেখ (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে হৃদয়। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর হৃদয় ও তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানালে তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।
বাধ্য হয়ে ওই কিশোরী এক পর্যায়ে হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠলে কিশোরীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় হৃদয় ও তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: একজনের স্বীকারোক্তি, ৫ জন রিমান্ডে
স্থানীয়ভাবে হৃদয়ের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ওই কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওই কিশোরীর পরিবার।
ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী বলেন, 'হৃদয় আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নানান স্বপ্ন দেখাতো। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে হৃদয় আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি হৃদয়ের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।'
কিশোরীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটার জীবন শেষ করে দিয়েছে হৃদয়। আমরা গরিব বলে কোন বিচার পাব না। আমার মেয়ে এখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না আমরা। হৃদয়রা প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে আমাদের।’
এদিকে বিষয়টি জানার পর ওই কিশোরীর সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে যান মহিলা পরিষদ মধুখালী সাংগঠনিক জেলা শাখার সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য সুরাইয়া সালাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ আক্তার মিনাসহ মহিলা পরিষদের নেতারা। ওই কিশোরীর সাথে কথা বলে তাকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
মহিলা পরিষদের মধুখালী সাংগঠনিক জেলা শাখার সভাপতি সুরাইয়া সালাম বলেন, 'আমরা মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। ওই কিশোরীকে আইনিসহ সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’
তিনি বলেন, হৃদয়কে গ্রেপ্তারে থানার ওসির সাথে কথা হয়েছে, তিনি দ্রুতই হৃদয়কে গ্রেপ্তার করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে মামলার পর থেকেই হৃদয় শেখ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে হৃদয় শেখের বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই কিশোরীর বাবা হৃদয় শেখকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। হৃদয় শেখকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
স্কুল ছাত্র ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ১ম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সাজু (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে হরিপুর থানা পুলিশ।
সাজু উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া আবাসন এলাকার হবিবর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: টিকটক-লাইকি ভিডিওর ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়।
শিশুটির বাবা সোবহান জানান, সাজু তার সন্তানকে ফুঁসলিয়ে বিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থিত সীমানার প্রাচীরের পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
শিশুটির বাবা হরিপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করলে, পুলিশ ওইদিন দুপুরেই অভিযান চালিয়ে ডাঙ্গীপাড়া এলাকা থেকে সাজুকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আওরঙ্গজেব জানান, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে হরিপুর থানার মামলা হয়েছে।
এ আইনে সাজু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, জানান তিনি।
সিলেটে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় নিজ বসতঘরে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হোসাইন আহমদ সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানাধীন মশালঘাট থানাধীন সাইজুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক কিশোরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর থানা পুলিশ হোসাইন নামের ওই কিশোরকে শাহী ঈদগাহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল ইসলাম জাকির জানান, এ বছরের ১৫ জানুয়ারি রাতে শাহী ঈদগাহ এলাকায় নিজ বসতঘরে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। কিশোরীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলার এজহারে অভিযোগ করা হয়।
টিকটক-লাইকি ভিডিওর ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
টিকটক ও লাইকি ভিডিও তৈরির ফাঁদে ফেলে সিলেটে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে বাদী হয়ে শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কিশোরীর বাবা।
মামলার আসামিরা হলেন, গোলাপগঞ্জ থানার বাণীগাজী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে টিকটকম অভিনেতা মো. জুবের আহমদ ফান্নি ও টিলাগড়ের অভিনেত্রী লিজা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুরের সোনিয়া আক্তার (ছদ্ম নাম) বেশ কিছুদিন যাবৎ লাইকি টিকটকের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। গত প্রায় মাস খানেক আগে সিলেট নগরীর টিলাগড়ে বসবাসরত লাইকি অভিনেতা লিজা নামক এক মেয়ের সাথে সোনিয়ার পরিচয় হয়। লিজার মাধ্যমে সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়া মোহিনী ৮৩/এ এর বাসিন্দা আব্দুল লতীফের ছেলে জুবের আহমেদ ফান্নির সাথে সোনিয়ার পরিচয় ঘটে। গত ঈদের পরবর্তী সময়ে জাফলংয়ে লাইকিতে শুটিংয়ের জন্য লিজা সোনিয়াকে প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি সোনিয়া তার বাবার সাথে শেয়ার করলে সোনিয়ার বাবা লিজার সাথে ফোনে কথা বলে মেয়েকে অভিনয়ের জন্য যাওয়ার অনুমতি দেন।
গত ১৯ মে সোনিয়ার এক আত্মীয়ের বিশ্বনাথের বাসা হতে ফান্নি ও লিজা তাকে একটি সিএনজিতে করে নিয়ে আসে। সিলেটে আসার পরে শাহপরান থানাধীন লামাপাড়া এলাকায় মোহিনী ৮৩/এ বাসার যায় তারা।
লিজা সোনিয়াকে ওই বাসায় রেখে পোশাক পরিবর্তন করার কথা বলে চলে যায়। এরপর ফান্নি সোনিয়াকে নাস্তা ও কোল্ড ড্রিংকস খেতে দেয়। সোনিয়া তা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে বান্ধবী লিজা ও তার বাবাকে ফোন দেয়ার চেষ্টা করলে ধর্ষক তার ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে প্রচুর মারধর করে। এক পর্যায়ে ফান্নি সোনিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে সোনিয়া ওই ঘটনা কারো কাছে যাতে না বলে সেই বিষয়ে ফান্নি সতর্ক করে হুমকি দিয়ে অসুস্থ অবস্থায় সোনিয়াকে বিশ্বনাথে সেই আত্মীয়র বাসায় সামনে নামিয়ে দিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ
সেখান থেকে সোনিয়াকে বাড়িতে নেয়া হলে বিস্তারিত জেনে প্রথমে সিলেট র্যা ব-৯ ও পরবর্তীতে শাহপরান থানার সহায়তা নেন ভোক্তভোগীর বাবা।
পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আসক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সোনিয়াকে ওসমানী মেডিকেলের ওসিসি ডিপার্টমেন্টে ভর্তি করে চিকিৎসা শেষে শাহরান (রহঃ) থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে ফান্নির মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) অঞ্জন সিংহ বলেন, থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। পুলিশের পক্ষ হতে আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সকল ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।