চট্টগ্রামে
চট্টগ্রামে ‘পাহাড়ের ঢালু থেকে পড়ে’ হাতি শাবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি মৃত হাতিশাবক উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) ভোরে উপজেলার চাম্বল দুইল্লাঝিরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাম্বল বন বিট কার্যালয় থেকে আনুমানিক এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বনের পাশে জমিতে এক বছর বয়সী মৃত হাতি পড়েছিল। সকাল থেকে স্থানীয় লোকজন মৃত হাতিকে দেখতে ভিড় জমায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতি শাবকের মরদেহটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
তাদের ধারণা, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় পাহাড়ের ঢালু থেকে নীচে পড়ে হাতির বাচ্চাটি মারা যায়।
তারা জানায়, খাবারের সন্ধানে মাঝে মধ্যে চাম্বল ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকালয়ে বন্য হাতি ঢুকে পড়ে। এসব হাতি মানুষের বসতঘর ও ধানখেতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। খাদ্যাভাব দেখা দিলে শুষ্ক মৌসুমে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসে। হয়তো সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধভাবে লোকালয় গড়ে ওঠা বাসিন্দাদের ধাওয়া খেয়ে পাহাড় থেকে পড়ে এই হাতিটির মৃত্যু হতে পারে।
জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, ‘হাতিটির বয়স ১ থেকে দেড় বছর হতে পারে। পাহাড়ের ঢালু থেকে পড়ে এই বাচ্চা হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। হাতিটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে চিকিৎসক টিম গেছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কে মারামারিতে আঘাত পেয়ে হাতির মৃত্যু
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
চট্টগ্রামে নারী এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের রাউজানে সমবায় সমিতির (এনজিও) এক নারীকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩ টায় রাউজান পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মোবারকখীল গ্রামের মনো সারাং বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুবলি আকতার (২৮) ওই এলাকার আবদুস সালামের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের দাবি, সমিতির আর্থিক লেনদেন ও চাকুরি নিয়ে বিরোধের জেরে জুবলি আক্তার আত্মহত্যা করেছে।
জানা যায়, তার লাশের সঙ্গে তিন পৃষ্ঠার একটি চিরকুট পেয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ বছর আগে জুবলি আকতারের সঙ্গে কদলপুর ইউনিয়নের সোমবাইজ্জা হাট এলাকার জনৈক আজিজের বিয়ে হয়। পরে দাম্পত্য কলহে সে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। পরে তার একটি ছেলে সন্তান হয়।
বেঁচে থাকার জন্য স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা বৈশাখী শ্রমজীবী সমবায় সমিতিতে হিসাব রক্ষকের চাকরিতে যোগদান করেন। তার ছেলে জিদানের বর্তমান বয়স ৮বছর।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তার লাশের সঙ্গে থাকা পুলিশ যে চিরকুট উদ্ধার করেছে সেখানে লেখ আছে- ‘স্যার ওবাইদুল হক (উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা), আসসালামু আলাইকুম। স্যার ওরা আমাকে এই পৃথিবীতে আর থাকতে দিল না। বৈশাখীর (সমবায় সমিতি) জন্য আমি এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে বাধ্য হলাম। আপনার থেকে পাওনা ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) টাকাগুলো মাকে দিয়ে দিবেন, প্লিজ স্যার। আমার মা যেন যারা টাকা পাবে তা পরিশোধ করতে পারে। আপনি দশ দিনের মধ্যে দিয়ে দিবেন স্যার প্লিজ।’
আরেক পৃষ্ঠায় লিখা আছে- আমি যদি মারা যাই তার একমাত্র দায় হল বৈশাখী অফিসের মালিক পপি, সাগর, অপুল ও পপির বাবা আবদুল কাইয়ুমের। ওরা সবাই মিলে আমার মাথায় মিথ্যা অপবাদ দেয়। পপির বরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে অপবাদ দিয়ে অফিস থেকে বের কর দেয়। আমি নিজে অফিস নিতে চাইলে সেখানে বাধা দেয়, অন্য অফিসে কাজ নেওয়ার পথও বন্ধ করে দেয়। ওরা আমার বেঁচে থাকার সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আর কোনো উপায় না পেয়ে আমি নিজের জীবন দিয়ে গেলাম। আর এ রকম অমানুষের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির দাবি জানিয়ে গেলাম দেশের প্রচলিত আইন ও সরকারের কাছে। ইতি জুবলী।’
জুবলির টাকা পাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ওবাইদুল হক বলেন, ‘আমি তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। জিলান নামে সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশনের জন্য দিয়েছিল। তিনি সেই ৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেও ৪০ হাজার টাকা লেনদেন অস্বীকার করেন।’
এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। চিরকুটে কি লিখা আছে তা তদন্ত সাপেক্ষ, আগেই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পাবনায় আমবাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গুলিতে নারী নিহত
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে মাদক মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে গুলিতে এক নারী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত নাজমা আক্তার (৩০) হানিফ বাহিনীর অভিযুক্ত মো. হানিফের বোন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মাদক ব্যবসায়ী হানিফকে পাঁচ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয় এবং কালুরঘাট এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে তার কয়েকজন সহযোগী তাকে ছিনিয়ে নেয়।
তিনি বলেন যে ‘হানিফ বাহিনীর’ সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালাতে বাধ্য হয় এবং নাজমা ও পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত নারীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে লাশ পাওয়া যায়নি।’
এদিকে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, গুলিবিদ্ধ এক নারীকে কালুরঘাট এলাকা থেকে চমেকে নিয়ে আসা হয় এবং তারপর তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, লাশটি চমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এছাড়া পুলিশের ওপর হামলার পর আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি মইনুল।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার পতাকা টাঙাতে গিয়ে স্কুলছাত্র নিহত
লিমার রানওয়েতে বিমানে আগুন, নিহত ২
চট্টগ্রামে হোটেল থেকে জামায়াত-শিবির সন্দেহে আটক ৪৯
চট্টগ্রাম মহানগরীর টেরিবাজার একটি হোটেল থেকে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী সন্দেহে ৪৯ জনকে আটক করেছে করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে টেরিবাজারের ‘আল বায়ান’ নামক একটি ভাতের হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম বলেন, কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। এখনও বিস্তারিত বলতে পারছি না।
কোতোয়ালি জোনের এসি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, রাতে একটি অভিযানে টেরীবাজার থেকে কয়েকজনকে ধরে আনা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সকালে বিস্তারিত বলতে পারব।
পড়ুন: নোয়াখালীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে গোপন বৈঠক থেকে শিবিরের ২৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অপহৃত ৪ জেলে উদ্ধার, ৫ জলদস্যু গ্রেপ্তার
বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেলের জেলেদের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় জলদস্যূ কামাল বাহিনীর প্রধান কামালসহ ৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত ৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। টানা তিনদিন অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে র্যাব-৭। এসময় কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধারসহ একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) র্যাব-৭, চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও ক্যাম্প (বহদ্দারহাট) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে আছে-একটি একনালা বন্দুক, দুটি ওয়ান শুটারগান, তিনটি রামদা, তিনটি চাপাতি, একটি ধারালো চাকু এবং একটি ক্ষুর উদ্ধার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল-জলদস্যু নেতা মো. কামাল (৩৫), বাহিনী সদস্য মো. নূর নবী (২৬), মো. শামীম (২৪), মো. এ্যানি (৩১), মো. ফেরদৌস মাঝি (৩৫)। তাদের সকলের বাড়ি রামগতি ও সুবর্ণচর এলাকায়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কোস্টগার্ড পূর্বজোনের মাধ্যমে জানা যায় কুখ্যাত জলদস্যু বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা জেলেদের ব্যবহৃত কাঠের ট্রলারসহ জেলেদের অপহরণ করে। এরপর মারধর করে জেলেদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের আত্নীয় স্বজন এবং বোট মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।
বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দাদের মাধ্যমে অবগত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের একটি ভবনের ২য় তলায় অভিযান পরিচালনা করে। টানা ৭২ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড সংলগ্ন সাগর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ থেকে ছিনতাই করা বোটের কেভিন থেকে অপহৃত চার জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিহত জেলে পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান
বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ আরেক জেলের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
জেলার সীতাকুণ্ডে ট্রাকচালক হত্যা মামলার আসামি র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। উপজেলার সলিমপুর এলাকায় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কাজল (৪৮) নগরীর পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা।
র্যা বের দাবি, নিহত কাজল ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামী সংযোগ সড়কে গত ১৬ জুলাই গরুবাহী ট্রাক চালক আবদুর রহমান (৫০) হত্যা মামলার আসামি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা `ডাকাত’ নিহত
র্যা ব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছারের ভাষ্য, সলিমপুর এলাকায় শুক্রবার রাতে র্যা বকে লক্ষ্য করে ডাকাত দল গুলি ছুড়লে র্যা বও পাল্টা গুলি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত কাজলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সেখানে থেকে বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি এলজি, ১৫ রাউন্ড কার্তুজ,কার্তুজের খোসা, দুটি রাম দা, ছোরা উদ্ধার করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, বন্দুকযুদ্ধের পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কাজলের লাশ উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে র্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই ভোর ৪টার দিকে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামী সংযোগ সড়কটির ৪ নম্বর সেতু এলাকায় চট্টগ্রাম নগরীর বিবিরহাটগামী গরুবাহী ট্রাক থেকে কোরবানির গরু লুট করতে না পেরে ট্রাকের চালক আবদুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে ডাকাতেরা। ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির এক আত্মীয় সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় র্যা বের হাতে দুজনসহ মোট আটজন গ্রেপ্তার হন। তাদের মধ্যে চারজন খুনের সাতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য চার আসামি রিমান্ডে আছেন।
পুলিশ জানায়, আদালতে দেয়া চার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে, ট্রাকচালক আবদুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করেন কাজল।
চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাট
করোনার বিধি নিষেধের মধ্যে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রামে ১৭টি শর্তসাপেক্ষে বসবে পশুর হাট।
এর আগে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ১১টি স্থানে পশুর হাট ইজারা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এসব পশুর হাট বসানোর জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমোদনও চেয়েছিল চসিক। তবে শেষ পর্যন্ত তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি আরও তিনটি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি মিলেছে।
আগামী ১২ জুলাই থেকে ১৭টি শর্তে ১০ দিনের জন্য (কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত) এসব অস্থায়ী হাট বসবে। সেগুলো হলো-কর্ণফুলী পশুর হাট (নূরনগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং পশুর হাট এবং পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ। গত কোরবানির ঈদে তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি চারটি অস্থায়ী হাট বসেছিল নগরীতে।
আরও পড়ুন: গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। এগুলো হচ্ছে সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় বাজার।
জেলা প্রশাসনের দেয়া ১৭ শর্তের মধ্যে রয়েছে-অস্থায়ী পশুরহাট প্রধান সড়ক থেকে কমপক্ষে ১০০ গজ দূরে বসাতে হবে যাতে কোনো অবস্থাতেই প্রধান সড়কের যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়। ইজারালব্ধ অর্থের ২০ শতাংশ ভূমি রাজস্ব দিতে হবে, হাটের বাইরে সড়কে কোনো পশু রাখা বা খুঁটি স্থাপন করা যাবে না। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, ঢোকা ও বের হওয়ার পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান-পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় লাইনে দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। চাঁদা আদায় বা ক্রেতা-বিক্রেতাকে হয়রানি করা যাবে না। জাল নোট শনাক্তের যন্ত্র বসাতে হবে। জেলা প্রশাসন হাট পরিদর্শনের সময় চসিক ও ইজারাদার সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: যত্রতত্র পশুর হাট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রবেশ ও বের হওয়ার আলাদা পথ থাকতে হবে। জটলা সৃষ্টি যাতে না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। বৃদ্ধ ও শিশুদের হাটে আসাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে, অনলাইনে পশু কেনাবেচাকে উৎসাহ দিতে হবে। ইজারাদারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। ভেটেরিনারি চিকিৎসক বা সার্জনের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সমস্যা দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সমাধান করতে হবে। সড়কে পশু পরিবহনের সময় ইজারাদার বা প্রতিনিধি গাড়ির পথ পরিবর্তন বা নিজের হাটে পশু নিতে বাধ্য করতে পারবে না। শর্ত লঙ্ঘন হলে যেকোনো সময় অনুমতি বাতিল হবে।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাতটি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়েছিলাম। এর মধ্য তিনটি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসক। করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ হাটগুলো বসানো হবে।’
চট্টগ্রামে পুত্রবধূর ‘ছুরিকাঘাতে’ আহত শাশুড়ির মৃত্যু
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পুত্রবধূর ‘ছুরিকাঘাতে ’ আহত শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে।
আহত হওয়ার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত রোকেয়া বেগম (৫৫) সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের মৈশামুড়া এলাকার ইলিয়াছ চৌধুরীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভাবির ছুরিকাঘাতে দেবর খুন
আটক নাজমিন বেগম (২৩) নিহতের ছেলে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২১ জুন পারিবারিক কলহের জের ধরে নাজমিন বেগম শ্বাশুড়ি রোকেয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করেন। আহত অবস্থায় রোকেয়া বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে আগ্রাবাদ এলাকায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান। ঘটনার দিন সাতকানিয়া থানা পুলিশ নাজমিনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে সীমানা বিরোধের জেরে কৃষক খুন, আটক ৯
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, গৃহবধূর মারধরে শ্বাশুড়ি আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। হামলাকারী পুত্রবধূ নাজমিন বেগম আটকের পর তিনি বর্তমানে কারাগারে আছে। এখন ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
ওসি জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চট্টগ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে এক বৃদ্ধা নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলার জঙ্গল জলদী এলাকায় মনরোমা জিরি নামক স্থানে বাগান থেকে লেবু আনতে গিয়ে হাতির আক্রমণের শিকার হন নিহত ওই নারী।
নিহত নূর আয়শা (৭০) উপজেলার উত্তর জলদী দীঘির পাড় ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মুহাম্মদ ফেরদৌস আলীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: লকডাউনেও হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি
বাঁশখালী থানার সহকারি উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মোবারক হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনবি প্রতিনিধিকে বলেন, ‘বাজারে বিক্রির জন্য বাগান থেকে লেবু আনতে যান নূর আয়শা। যাওয়ার পথে মনোরমা জিরি এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণের শিকার হন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ জানান, মনরোমা জিরি এলাকাটি বন বিভাগের নির্ধারিত হাতি চলাচলের জায়গা। ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় নূর আয়শা হাতির কবলে পড়েন।
চট্টগ্রামে ডা. শাহাদাতসহ ১৫ নেতা-কর্মী কারাগারে
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত তাকে এসব মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া গতকাল পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক হওয়া ১৫ নেতা-কর্মীকেও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে কারাগারে পাঠিয়েছে।
ডা. শাহাদাত হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম বদরুল আনোয়ার জানান, তিন মামলায় ডা. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এসব মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আগামীকাল বুধবার মামলার শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
এদিকে সোমবার গ্রেপ্তার বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর বিষয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাহিদুল আলম জানান, কোতোয়ালি পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলায় ১৫ নেতা-কর্মীকে আজ বিকালে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয় এবং আগামীকাল রিমান্ড শুনানি হবে বলে জানিয়েছে।
এর আগে গতকাল পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় বিএনপি ৫৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।