আত্মহত্যা
ছয়তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী’র আত্মহত্যা
রংপুরে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ওয়াসিফ রায়হান (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। রবিবার সকালে নগরীর কেরানিপাড়ায় কারামতিয়া মসজিদ সংলগ্ন ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওয়াসিফ রায়হান রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানার ছেলে এবং রংপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
তাদের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার রওশনপুর।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: আত্মহত্যা চেষ্টাকারী নারীকে উদ্ধার করল পুলিশ
পরিবারের বরাত দিয়ে রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) হোসেন আলী জানান, মৃত ওয়াসিফ রায়হান রবিবার অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। সকাল ৭টার দিকে ছয়তলা ভবননের ছাদে উঠে সেখান থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
পরিবারের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা
সিরাজগঞ্জে সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা
সিরাজগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু সন্তান লিমনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লিপি খাতুন নামে এক মা শরীরে ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। সদর উপজেলার চন্ডিদাসগাঁতী গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু লিমন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ে নাইট গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিল। সে ওই গ্রামের বাসিন্দা ইমরুল কায়েসের ছেলে। আর লিপি খাতুন মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তার পরিবার ও পুলিশ দাবি করেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম নিহত শিশুর পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, গৃহবধূ লিপি খাতুন মাঝে মধ্যেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে পরিবারের সবার অজান্তে নিজের শিশু সন্তান লিমনকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর নিজের শরীরেও ব্লেড দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে গভীর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত শিশুর মা লিপি খাতুনও একই হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যুবককে গলাকেটে হত্যা
গাইবান্ধায় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা !
কক্সবাজারে শ্রমিক লীগ নেতা হত্যা: সাবেক শিবির নেতা গ্রেপ্তার
প্রেমিকার সামনে বুকে ছুরি চালিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা!
রাজশাহী নগরীতে ‘প্রেমিকা’র সামনে কীটনাশক পানের পর বুকে ছুরি চালিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় ‘মাস্টার শেফ’ নামের একটি রেস্তোরাঁর সামনে এ ঘটনায় বুলবুলের ‘প্রেমিকা’ ও তাঁর এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
নিহত যুবকের নাম বুলবুল আহমেদ (২৬)। জেলার পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ নয়াপাড়া গ্রামের আমরুল ইসলামের ছেলে তিনি। বুলবুল একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বুলবুল অবিবাহিত ছিলেন। তবে তাঁর ‘প্রেমিকা’ বিবাহিত। তাঁর সন্তানও আছে।
পুলিশের ধারণা, ওই নারীর সাথে বুলবুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পুলিশের হেফাজতে নেয়ার আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে চাননি।
তবে তাঁর বান্ধবী জেমি জানিয়েছেন, রেস্তোরাঁয় প্রথমে বুলবুল কীটনাশক পান করেন। এরপর নিজের বুকে নিজেই ছুরি বসান। এরপর তারা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক বুলবুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর পুলিশ ওই রেস্তোরাঁয় গিয়ে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছে। ওই তিনজন রেস্তোরাঁয় বসে আছেন এমন ফুটেজ দেখা গেছে। তবে সিসি ক্যামেরার কিছু অংশের ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তাই ঘটনার সময়ের ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ সিসিটিভি'র ডিভিআর জব্দ করেছে।
রেস্তোরাঁটির মালিক এসএম শিহাব উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় তিনি রেস্তোরাঁয় ছিলেন না। তবে কর্মীরা জানিয়েছেন, রেস্তেরাঁর মধ্যে ওই ধরনের কোন ঘটনা তাঁরা দেখেননি। বরং ওই তিনজন খাবার পার্সেল নিয়েছেন এবং বুলবুল বিল পরিশোধ করেছেন। রেস্তোরাঁয় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বিল পরিশোধ হতো না।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুই তরুণীর বর্ণানামতে ঘটনাস্থল মাস্টার শেফ রেস্তোরাঁ। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন:আশুলিয়ায় স্ত্রী, সন্তানকে হত্যার পর রিকশাওয়ালার ‘আত্মহত্যা’
ওসি জানান, রেস্তোরাঁয় বুলবুল শাড়ি, থ্রি-পিস, লকেটসহ আরও কিছু উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন। একটা ডায়েরি পাওয়া গেছে। ব্যাগে একটা চিরকুটও পাওয়া গেছে। চিরকুটে ওই নারীর নাম উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেমন অক্সিজেন দরকার, তেমনি বুলবুলেরও বাঁচার জন্য ……কে দরকার।
ওসি বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিমানে এটা হতে পারে। কেন ঘটেছে সেটিও বুলবুলের প্রেমিকা ও তাঁর বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বলা যাবে। সে কারণে হাসপাতাল থেকে তাঁদের দুজনকেই পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন:গেম খেলতে না পেরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
আপত্তিকর ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল, প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা
টিকটকে তরুণীর ছবি, চিরকুটে নির্যাতনকারীদের নাম লিখে তরুণের আত্মহত্যা !
ফেনীর সোনাগাজীতে টিকটকের ভিডিওতে তরুণীর ছবি নিয়ে নির্যাতনের অপমান সইতে না পেরে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাতে উপজেলার পশ্চিম চর দরবেশ এলাকায় নিজ বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই তরুণের লাশ উদ্ধারের দাবি করেছে তার পরিবার।
পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আগে লিখে রেখে যাওয়া ওই চিরকুটে মৃত্যুর কারণ ও নির্যাতনকারী আটজনের নাম লিখে গেছেন ইমরান।
নিহত ইমরান হোসেন (১৮) উপজেলার পশ্চিম চর দরবেশ এলাকার মো. মাঈন উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
ইমরানের বাবা মাঈন উদ্দিন জানান, কয়েক দিন আগে উপজেলার পশ্চিম চর দরবেশ ও আদর্শগ্রাম এলাকায় মুছাপুর সড়কে গিয়ে ইমরান একটি টিকটক ভিডিও বানায়। ভিডিও করার সময় ভুলবশত স্থানীয় এক মেয়ের ছবি উঠে যায়। সেই ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আটজন যুবক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় ইমরান ভুল স্বীকার করে তাদের কাছে ক্ষমা চায়। এরপরও ওই যুবকেরা তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও মারধোর করে।
আরও পড়ুন:আশুলিয়ায় স্ত্রী, সন্তানকে হত্যার পর রিকশাওয়ালার ‘আত্মহত্যা’
তিনি আরও বলেন,‘আমার ছেলে শ্রমিক। রাজমিস্ত্রির কাজ করে খায়। অপমান সইতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করেছে। মৃত্যুর পর ইমরানের বিছানার নিচ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। কাগজে যেসব ছেলেদের নাম লিখে গেছে তাদের আমরা চিনি। কাগজে সব লেখা আছে। কাগজটি পুলিশকে দিয়েছি।’
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত্যুর পর তার বিছানার নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া ‘সুইসাইড নোট’ এর কথা উল্লেখ করে,ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখার কথা জানান তিনি।
তবে,এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!
আপত্তিকর ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল, প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা
করোনার ছুটি শেষে শাবিপ্রবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে থাকছে নজরদারি
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিনের ছুটি কাটিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ভার্চুয়াল থেকে সশরীরে ক্লাসে ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা। আর এই ক্লাসে ফেরা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিতে নজরদারীতে এনেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।শিক্ষার্থীদের জন্য ইতোমধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে ‘সাস্ট মনের কথা’ ফেসবুক পেইজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালকের অধীনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবাটি পরিচালনা হচ্ছে। এতে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন্নেছা শাপলা।বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী কারও মানসিক সমস্যা দেখা দিলে সরাসরি সম্ভব না হলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘সাস্ট মনের কথা’ ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সার্বক্ষণিক মানসিক বিষয়ক স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যাবে। এই মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় সর্বদা গোপনীয়তা রক্ষা করে সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিভাগে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পুরুষ ও নারী আলাদাভাবে দুইজন করে শিক্ষক ছাত্র উপদেষ্টা বিদ্যমান।
আরও পড়ুন: করোনার দীর্ঘ ছুটিতে নতুন আঙ্গিকে শাবিপ্রবির চিকিৎসা কেন্দ্রকরোনাকালীন প্রথম থেকেই অনলাইন কার্যক্রমে সচল ব্যবস্থাপনা চালু রেখেছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শিক্ষার্থীদের স্বশরীরে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্লাসের আক্ষেপটি দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মাঝে। এছাড়াও দীর্ঘ এই ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী তোরাবি বিনতে হক, একই বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের আছিয়া আকতার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের তৌহিদুল আলম প্রত্যয়ের আত্মহত্যা ও রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কাঁদিয়েছে শাবিপ্রবিয়ানদের হৃদয়কে। চলতি বছরের ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ বর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর কবির ও ১৬ অক্টোবর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে গিয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাগুলো শাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে হৃদয় বিদারক পরিবেশ তৈরি করেছে।দীর্ঘ ছুটির পর ক্যাম্পাসে ফেরা নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সাথে। বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ফারজানা আকতার বলেন, কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর থেকে গত দেড় বছরে শাবিপ্রবি থেকে অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে কিছু মানুষকে আমরা হারিয়েছি। এর মধ্যে পাঁচজন আত্মহত্যা করেছেন, যাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও ছিলেন। একজন মানুষ কতোটা অসহায় হলে আত্মহত্যার মতো কঠিনতম সিদ্ধান্তে চলে যায় তা হয়তো আমরা জানি না। কিন্তু কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক ও শারিরীকভাবে সুস্থ্ থাকার জন্য একজন মনোবিজ্ঞানীসহ ছাত্র উপদেষ্টা-ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মহোদয়গণ অনলাইনে নানা সময়ে বিভিন্ন সেশন, আলোচনা অনুষ্ঠান ইত্যদির আয়োজন করে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ক্যান্সারে মারা গেলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
তিনি বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী যারা মাত্র দেড় মাস ক্যাম্পাসে কাটানোর পর দীর্ঘ দেড় বছর বাড়িতে কাটিয়ে এখন একজন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাসে ফিরছেন তাদেরসহ সকল শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যায় কিংবা কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে তাঁরা পরামর্শ দিয়ে যাবেন এবং শিক্ষার্থীরাও পরিবেশ-পরিস্থিতির এই নানা উত্থান-পতনে হতাশাগ্রস্থ না হয়ে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার চেষ্টা করবেন বলে আশা রাখছি।অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী প্রবাল বড়ুয়া বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর পর আমরা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছি। এই মহামারিতে যদি মানসিক অবস্থা চিন্তা করি তাহলে একপ্রকার বলা যায় শোচনীয় অবস্থায় ছিল। অনলাইন ক্লাসে যেহেতু আমাদের পাঠদান সম্পন্ন হচ্ছিল, ডিভাইস সমস্যা, নেটওয়ার্ক সমস্যা, ফ্যামিলির সমস্যা আরও অনেক ধরনের সমস্যার কারণে ক্লাসে ভালোভাবে উপস্থিত হতে পারি নি। যেহেতু ক্লাসগুলো এখন সশরীরে হচ্ছে সেহেতু ক্লাসগুলোতে আমরা নিয়মিত উপস্থিত হতে পারছি এবং আমরা মানসিকভাবে সতেজ থাকতে পারছি।
হলগুলোতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম বলেন, একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ বিশেষ করে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ইনডোর- আউটডোর খেলাধুলা এবং এক্সট্রা কারিকুলার কর্মকান্ড শিক্ষার্থীদের নির্মল মানসিক স্বাস্থ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জায়েদা শারমীন বলেন, করোনার মতো মহামারি মোকাবেলার অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের জন্যই আসলে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ হিসেবেই এসেছে। আর এই চ্যালেঞ্জের বড় একটা বিষয় হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিষয়টি আরও বড় ধরনের গুরুত্ব বহন করে বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: ওরা আর কখনো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ফিরবে না
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে অনেক দিন বাসায় থাকায় একদিকে যেমন তাদের মধ্যে একঘেয়েমিতা দেখা দিয়েছে তেমনি কিছুটা সেশন জ্যাম তৈরির ফলে চাকরির বাজারে প্রবেশের প্রতিবন্ধকতাও একটি বড় অংশের মধ্যে হতাশার জন্ম দিয়েছে। এ ধরনের মানসিক চাপ মোকাবেলায় আমাদের সকলকে ধৈর্যের সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। শিক্ষক –শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা -কর্মচারী সকলের মানসিক বিষয়টি প্রয়োজন অনুযায়ী গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য কাউন্সেলিং সেলের নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও তাতে সকলের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন্নেছা শাপলা বলেন, দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরেছে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটা আগের মতোন নাও মনে হতে পারে এডজাস্টমেন্টের ক্ষেত্রে। সকল শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের দরজা খোলা। অনলাইন, সশরীরে, মুঠোফোনে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত আছে। ডিপার্টমেন্ট ও হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় কাউন্সেলিং, ফলোআপ, মেডিসিনের বিষয়গুলোতে সেবা থাকছে।শাবিপ্রবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড.আলমগীর কবীর বলেন, আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তায় বিবেচনায় তৎপর। বর্তমানে করোনার এই দীর্ঘ ছুটি শেষে ক্যাম্পাসে ফেরা অনেক শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে এসেছে। আমরা প্রতিটা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সমাধানে চেষ্টা করছি। এই বিষয়গুলো আমাদের নজরে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির সুযোগ পেলেন শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থীবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জানান, লম্বা একটি ছুটি কাটিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ একটা সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যস্ততা ভুলে অন্য একটি পরিবেশে মিশে ছিল। আর এই সময়টিতে হল, মেস, বাসা, বিভাগ যেকোনো পরিস্থিতিতে কোনো মানসিক সমস্যা তৈরি হলে শিক্ষার্থীদের বলবো আমাদের কাছে চলে আসতে । আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ও অফলাইন দুই জায়গাতেই এই মানসিক স্বাস্থ্য সেবা চালু রেখেছি। শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যার সংকট নিরসনে আমাদের সাইকোলজিস্টসহ শিক্ষক উপদেষ্টাদের আন্তরিকভাবে স্বাস্থ্য সেবা তাদের মানসিক ভীতি দূর করতে সহায়তা করবে। আমরা চাই প্রতিটা শিক্ষার্থী মানসিক সুস্থতার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন পার করে তাদের ভবিষ্যত জীবনেও সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক।শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সবধরনের সমস্যা নিরসনে আমাদের শিক্ষকরা কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি বিভাগ, হলসহ সকল দপ্তরে শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতার কমতি নেই। এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের প্রতিটি দপ্তরে নির্দেশনা দেয়া আছে। স্ব স্ব জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় সকলে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
আশুলিয়ায় স্ত্রী, সন্তানকে হত্যার পর রিকশাওয়ালার ‘আত্মহত্যা’
সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পরে এক রিকশাওয়ারা আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া রুপায়ন মাঠ সংলগ্ন এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
নিহতরা হলেন দিনাজপুর জেলার ছবুর মিয়া (৩০), তার স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৫) ও তাদের ছয় বছরের মেয়ে সুমাইয়া।
আরও পড়ুন: গেম খেলতে না পেরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, আশুলিয়ার জামগড়ার রুপায়ন মাঠ এলাকার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন ছবুর মিয়া। পরে গত কয়েকদিন আগে তার রিকসাটি চুরি হয়ে গেলে স্ত্রী রোজিনা বেগমের সাথে স্বামী ছবুর মিয়ার ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে স্ত্রী রোজিনা বেগম ও সন্তান সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেন। পরে রাতেই খবর পেয়ে তিন জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!
এ দিকে রাতে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোয়াইলবাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ১২ বছরের এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন জানান, এঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিয়ে করতে না পেরে বরগুনায় মামাকে কুপিয়ে ভাগ্নের আত্মহত্যা
বরগুনায় মামাকে কুপিয়ে চাচার বাড়ি তালতলীতে লুকাতে এসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মাহফুজ (১৮) নামে এক কিশোর।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১০টায় তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মাহফুজ বরগুনা জেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা এলাকার নিজাম হাওলাদারের ছেলে।
বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, মামার শালীকে বিয়ে করতে না পেরে ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মাহফুজ তার আপন মামা ফজলু প্যাদাকে কুপিয়ে আহত করেছে। এরপর আত্মগোপনে থাকার জন্য ৪-৫ দিন পূর্বে তার বাবার মামাতো ভাই ছোটবগী ইউনিয়নের পশ্চিম গাবতলী এলাকার বাদশা হাওলাদারের বাড়িতে যায়।বিয়ে করতে না পারার লজ্জা ও মামাকে কোপানোর মামলায় ফেঁসে যাওয়ার চিন্তায় তার বাবার আরেক মামাতো ভাই মো. কাওসার হাওলাদারের বসতঘরের দক্ষিণ পাশে একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মাহফুজ।
আরও পড়ুন: গেম খেলতে না পেরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
বাদশা হাওলাদার তাকে গাছের সঙ্গে ঝুলান্ত অবস্থায় দেখে তালতলী থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরজ্জামান মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!
গেম খেলতে না পেরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মোবাইলে গেম খেলতে না পেরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার সড়াতৈল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোস্তাকিন (১৬) ওই গ্রামের আশরাফ মন্ডলের ছেলে এবং সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ন কবির জানান, আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল মোস্তাকিনের। কিন্ত সে পড়াশুনা না করে প্রায় সময়ই মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। শনিবার দুপুরের দিকে তার মা তাকে পড়াশুনার জন্য বকাঝকা করে। একপর্যায়ে মোস্তাকিন সবার অগোচরে নিজ ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
তিনি জানান, রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!
আপত্তিকর ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল, প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা
সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী নিজেও আত্নহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা পৌর এলাকার কামাড়পাড়া ঘোষপাড়া মহল্লা থেকে স্বামী ও স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন একই মহল্লার দ্বিজগোপাল ঘোষের ছেলে গৌরাঙ্গ ষোঘ (২৫) ও তার স্ত্রী তমা রানী ঘোষ (২০)।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এ সব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গৌরাঙ্গ ঘোষ প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বৃহস্পতিবার রাতেও নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন তাদের অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে থানায় খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত গৌরাঙ্গ ঘোষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়ের দাগ ও হাতের শিরা কাটা থাকলেও স্ত্রী তমা ঘোষের শরীরে কোনো দাগ নেই। ধারণা করা হচ্ছে পরকিয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন গৌরাঙ্গ। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ওসি। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় ২ বন্ধু নিহত
সেগুনবাগিচা থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে আদনান সাকিব (২৫) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় শাহবাগ থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
নিহত আদনান সাকিব নীলফামারী ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। তিনি ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের নতুন গাছ রোপণ
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা জানান, গতকাল রাতে সাকিবের নিখোঁজের বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্ত্রী। এরপর তার ফোন নাম্বার ট্র্যাকিং করে লোকেশন পাওয়া যায় সেগুনবাগিচা কর্ণফুলী আবাসিক হোটেল। রাত দেড়টার দিকে হোটেলে গিয়ে রেজিস্ট্রেশনে তার নাম দেখা যায়। তখন হোটেলটির দ্বিতীয় তলায় ১০৭ নম্বর রুমে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করা হলেও কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে রুমের দরজা ভাঙা হয়। ভিতরে ঢুকে দেখা যায় ফ্যানের সাথে তার লাশ ঝুলছে।
স্বজন ও বন্ধুদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, সাকিব দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে সমস্যায় ভুগছিল। সবকিছুই ভুলে যেতেন তিনি। এসব কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। গত পরশু সন্ধ্যার পর থেকে তার পরিবার তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিল না। এজন্য গতকাল বুধবার রাতে থানায় জিডি করেন তারা।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
পুলিশ জানায়, হোটেলে রেজিস্ট্রেশনে দেখা গেছে পরশু সন্ধ্যায় আদনান ওই আবাসিক হোটেলের ১০৭ নম্বর রুম ভাড়া নেয় এবং হোটেল কর্তৃপক্ষকে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা দিতে হোটেলে উঠেছে বলে জানিয়েছে। তার রুমে পুলিশ একটি সুইসাইডাল নোট উদ্ধার করেছে। যাতে তার মৃত্যুর জন্য কারও দোষ নেই বলে উল্লেখ আছে।
প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা মনে হলেও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।