চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা
চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্ত প্রতিবেদনে মিতু হত্যার জন্য তার স্বামী ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে দায়ী করা হয়েছে।মঙ্গলবার বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় প্রতিবেদন জমা দেন।প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে মিতুকে হত্যা করা হয়। ওই বছরের ৬ জুন এ ঘটনায় জঙ্গীরা জড়িত দাবি করে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে ৫ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞামামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মামলার তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়।এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে-আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে গ্রেপ্তার হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়, যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল।গ্রেপ্তার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মুছার।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রামে ৫ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চট্টগ্রামে ৪২ কোটি টাকা ঋণখেলাপির দায়ে পাঁচ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত পাঁচ শিল্পপতি হলেন- চট্টগ্রামভিত্তিক হাবিব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, পরিচালক সালমান হাবিব, ইয়াসিন আলী, মাশরুর হাবিব ও তানভীর হাবিব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের করা ৪২ কোটি টাকা ঋণখেলাপি মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, পরিচালক সালমান হাবিবসহ পাঁচ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট এক কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক প্রতারণা মামলায় চট্টগ্রামভিত্তিক হাবিব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ চার পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ষষ্ঠ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু
চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে নগরীর কোতোয়ালি থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সাইফুল ইসলাম বাবু (৩০), মো. রুবেল (২৮), মো. মনির (৩৮), মো. সোহাগ (২৬) ও মো. বাদশাহ (২৬)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ জলদস্যু গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবীর জানান, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার ওপর ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল আট থেকে ৯ জন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা পাঁচটি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এছাড়া তারা এ রোডে যাতায়াতকারী গাড়ী ও পথচারীদের টার্গেট করে ছিনতাই ও ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
গ্রেপ্তার পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ২৬০টি চোরাই মোবাইল জব্দ, গ্রেপ্তার ৯
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রাম বন্দরের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে নিলামযোগ্য কনটেইনার খুলে পাওয়া গেছে মনোকুলার (এক চোখে দেখার যন্ত্রাংশ) সহ তিনটি এয়ারগান। এ গুলো আমদানির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের গুপ্তখালের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে (অকশন ইয়ার্ড) ইনভেন্ট্রির সময় এয়ারগান গুলো পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া নির্গমনে আতঙ্ক
জানা যায়, দেশের নতুন অধ্যাদেশে এয়ারকুলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, নিলামযোগ্য পণ্যভর্তি কনটেইনারের ইনভেন্ট্রির সময় তিনটি এয়ারগান পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো পাখি শিকারের কাজে ব্যবহৃত এয়ারগান। তবে চালানটি কার নামে এসেছে, কে পাঠিয়েছেন, কবে এসেছে এগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজে ২ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু!
চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন খালাস না নেয়ার কারণে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুর থেকেস চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গায় গর্ত খুঁড়ে এসব পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে।
প্রথম দিন ধ্বংস করা হয়েছে ৩০টি কন্টেইনার পণ্য। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।
তিনি বলেন, রবিবার থেকে পণ্য ধ্বংস করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩৮২টি কনটেইনার আছে, যেগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও পচনশীল পণ্য রয়েছে। এগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়েছিলো। আমদানিকারকরা বিভিন্ন কারণে বন্দর থেকে এগুলো খালাস করেননি। আমাদের পরিকল্পনা আছে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করার। কাস্টমসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনার করে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পণ্য আনন্দ বাজার ডাম্পিং ডিপোতে ধ্বংস করা হবে। তবে কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য সিলেটে ধ্বংস হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
তিনি বলেন, এর আগেও কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর আগে গত ৮ তারিখেও ৬৩টি কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করা কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু জায়গা খালি হবে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে ধ্বংসযোগ্য কন্টেইনারের মধ্যে রয়েছে ১৩৬টি রেফার্ড কন্টেইনার, ৩২টি ড্রাই কন্টেইনার। বাকি ২১৪টি বিভিন্ন অফডকে থাকা ড্রাই কন্টেইনার।
মেয়াদোত্তীর্ণ এসব পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। এ কারণে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্পেসের পাশের পাঁচ একর জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাটিচাপা দেয়া হবে। এ কারণে কোনো দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
কাস্টম কর্মকর্তারা জানান, বিদেশ থেকে আনা এসব কন্টেইনারভর্তি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে খালাস নেয়নি আমদানিকারকরা। নিয়ম অনুযায়ী আমদানি পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিস দেয়া হয়। নোটিস দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে সেসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। যেসব পণ্যের মেয়াদ থাকে না এবং পচে যায় সেগুলোর ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক অফিসার ফারুক হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের মোট কনটেইনার ধারণক্ষমতার প্রায় ১৫ শতাংশ ধ্বংসযোগ্য ও নিলামযোগ্য। এগুলো যখন বন্দরে ছিল, তখন এগুলোর পিছনে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যয়ও হয়েছে। এখন এ পণ্যগুলো ধ্বংস করায় নতুন জায়গা খালি হবে। নতুন যে কনটেইনারগুলো সে জায়গা দখল করবে আমরা সেখান থেকে চার্জ পাব। এতে করে আমাদের বন্দরের রাজস্ব বাড়বে। অর্থাৎ সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক পল্ট্রি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে উপজেলার ভূজপুর থানার হাসনাবাদ এলাকা থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মো. ইউসুফ (৩৮) ওই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার রাত ১১ টার দিকে নিজের মাছের প্রজেক্ট ও মুরগির খামারে উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন ইউসুফ। কিন্তু রাতে ফিরে না আসায় রবিবার সকালে তার স্ত্রী তাকে খুঁজতে গিয়ে মাছের প্রজেক্টের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়।
তাদের দাবী দুর্বৃত্তরা ইউসুফকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়।
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, সকালে পরিবারের সদস্যরা থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন আছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ফুটবলারের আত্মহত্যার অভিযোগ
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
মানববন্ধনে যোগ দিতে ঢাকায় আসার পথে সলিমপুরের ৬৩ বাসিন্দা আটক
উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিতে ঢাকায় আসার পথে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের ৬৩ বাসিন্দাকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা সদরে বাস থামিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, শান্তি পরিবহন ও পাহাড়িকা পরিবহনের দুটি বাস থেকে জঙ্গল সলিমপুরের ৬৩ জনকে আটক করা হয়। আটকদের সীতাকুণ্ড থানায় রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে অপরাধীদের আদালতে পাঠানো হবে। নিরপরাধ কেউ থাকলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কুষ্টিয়ায় ৩ শিক্ষকসহ ৫ জনকে তুলে নেয়ার অভিযোগ
সীতাকুণ্ড থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা সাম্প্রতিক সময়ে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার উদ্দেশ্যে ঢাকা যাচ্ছিল বলে জানায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার
জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জঙ্গল সলিমপুরে আটকে রাখা বাসিন্দাদের নিরাপদে বের করে আনতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সন্ত্রাসীরা। এসময় প্রশাসনের উপর তারা ককটেল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
এ ঘটনায় ৬শ লোককে বিরুদ্ধে ৭/৮টি মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
এর আগে গত ৩০ আগস্ট জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়। একইসঙ্গে নিজ দায়িত্বে মালামাল সরিয়ে জায়গা খালি না করলে আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেয় জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামে ১১ জলদস্যু গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
বঙ্গোপসাগরে ১৬টি জেলে-নৌকায় ডাকাতির ঘটনায় ১১ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গভীর সমুদ্র ও চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও লুণ্ঠিত ৭০টি মোবাইল ফোন উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব চট্টগ্রাম।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারশনিবার বিকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গভীর সমুদ্র ও বাঁশখালীতে ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে সাম্প্রতিককালে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ১১ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র, তিন হাজার পিসের বেশি ডাকাতি করা ইলিশ মাছ, বিপুল পরিমাণ মাছ ধরার জাল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত নৌকা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে অক্সিজেনের অভাবে ২ নবজাতকের মৃত্যু
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা আমদানিকৃত, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিলাম অযোগ্য ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হবে।
এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জায়গাটি চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
ইতোমধ্যে ৬৩ কনটেইনার নষ্ট খাদ্যপণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্ধেকের মত কনটেইনারে থাকা পণ্য মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাকিটা শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ৭ হাজার নিলাম অযোগ্য পণ্য রয়েছে। এরমধ্যে ২৭৩ কনটেইনারে বিপজ্জনক পণ্য রয়েছে। তবে প্রথম ধাপে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ৬৩ কনটেইনার পণ্য মাটিচাপা দেয়া হবে। পাশাপাশি রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে ৩৮৫ কনটেইনার পণ্য মাটি চাপা দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ৩৮৫ কনটেইনার পণ্য খালি করতে সময় লাগতে পারে ১৫-২০ দিন। কাজটি শেষ হলে বন্দরে কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ কনটেইনার রাখার জায়গা খালি হবে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে পণ্য ধ্বংস কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন বলেন, পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। তাই প্রতিবার পণ্য ধ্বংসের আগে জায়গা নির্বাচন করতে হয়। এজন্য পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগে। প্রায় পাঁচ একর জায়গায় ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রেন, স্কেভেটর, ট্রেলার, ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নষ্ট হওয়া পণ্যগুলো মাটিচাপা দেয়া হবে। যার ফলে কোনপ্রকার দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগও থাকবে না। আমরা যথাসময়ে কাজ শেষ করব।
উল্লেখ্য, জাহাজ থেকে নামার ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করতে হয় আমদানিকারককে। এ সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস না হলে কাস্টমস থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের ১৫ দিনের মধ্যে ওইসব পণ্য খালাস না করলে নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস।
এর আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১৯৪ কনটেইনারের চার হাজার ৮০৭ টন ব্যবহার অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করেছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
চট্টগ্রামে অক্সিজেনের অভাবে ২ নবজাতকের মৃত্যু
বিল পরিশোধে দেরি হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে জমজ দুই নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ক্লিনিকের চার জনকে থানায় নিয়ে গেছে এবং ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকায় ‘মাতৃসেবা নরমাল ডিলিভারি সেন্টার’ নামের একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই নবজাতকের বাবা মো. মনির পেশায় একজন টেম্পু চালক। তার স্ত্রী লাভভী বেগম (২২) পেশায় গৃহিনী।
মো. মনির বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা টের পেলে তাকে ঝর্ণপাড়ার ‘মাতৃসেবা নরমাল ডিলিভারি সেন্টার’ নামের ক্লিনিকে ভর্তি করি। এর আধা ঘণ্টা পর তার দুটি বাচ্চা জন্ম নেয়। ক্লিনিক থেকে বাচ্চাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘তখন ওই ক্লিনিক থেকে ১০ হাজার টাকা বিল দেয়া হয়। আমি পাঁচ হাজার দিয়ে বলি, বাচ্চা তো নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। ১০ হাজার কেন দিতে হবে? আপাতত ৫ হাজার রাখেন। বাচ্চার চিকিৎসা শেষে বাকি টাকা দিবো। কিন্তু তারা বাচ্চাগুলোকে অক্সিজেনও দিতে পারেনি, অন্য হাসপাতালেও নিতে দেয়নি। ফলে অক্সিজেন না পাওয়ায় আমার দুই সন্তান মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্লিনিকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, দুই নবজাত শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশের টিম ওই ক্লিনিকে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লিনিকের চার জন নার্স ও কর্মচারীকে আটক করেছে।
তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ আপাতত ওই ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
চট্টগ্রামে ২ নবজাতককে হত্যার অভিযোগ, ক্লিনিকে তালা