চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে চিকিৎসা কর্মকর্তার পকেট থেকে ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিমান বন্দরের ভেতর থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক শরীফ মিঠু বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আরও একজনকে আটক করা হলেও তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আটক একজন সকালে শারজাহ থেকে আসা এয়ার অ্যারাবিয়ার জি-৯৫২৬ ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় জাটকা ধরায় ৭ জেলে আটক, কারেন্ট জাল ও জাটকা জব্দ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ জানান, বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তার পকেট থেকেও চারটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো শুল্ক গোয়েন্দার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আটক অন্য এক যাত্রী স্বর্ণের বার পকেটে বহন করছিলেন। এ বিষয়ে আটক দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সিআইডির সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মতিন তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে বিমানটি অবতরণের পর ওই বিমানের এক যাত্রী অবৈধভাবে নিয়ে আসা স্বর্ণগুলো ডা. শরীফকে দেন। তিনিই মূলত নিরাপদে পাচার করার চেষ্টা করছিলেন। পরে তাকে স্ক্যান করা হয়, স্ক্যানে স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া যায়। প্রতিটা বারের ওজন ছিল ১১৬ গ্রাম।
আরও পড়ুন: থানা-আদালত প্রাঙ্গণে জব্দ করা মালামালের তথ্য জানাতে আইজিপিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে সিএনজি চালক নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা স্টেশন এলাকায় দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে মো. বেলাল (৩০) নামে এক সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার লাইন নিয়ে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর টাইগারপাস থেকে ঝাউতলা রুটে চলাচল করা সিএনজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাবুল গ্রুপ এবং মিজান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে বাবুল গ্রুপ ও জুয়েল গ্রুপ মিলে মিজান গ্রুপের সিএনজি চালক মো. বেলালকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুত্বর আহত বেলালকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ঝাউতলা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় সিএনজি চালানো নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের বাকবিতণ্ডায় বেলাল নামে এক সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল অভিযান পরিচালনা করছে। এখনও কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক নিহত
গ্যাস সংকট: ৪ সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ
চট্টগ্রামে আবাসিক গ্যাস সংকট কিছুটা কমলেও শিল্প কারখানায় গ্যাস সংকট এখনো কাটেনি।
গত ৯ দিন ধরে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত বৃহৎ সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) সহ চারটি সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
অন্য তিনটি সার কারখানা হলো- কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো), সিইউএফএল এর ডিএপি-১ ও ডিএপি-২ ইউনিট।
গ্যাস সংকটের পাশাপাশি কারখানাগুলোয় চলমান কারিগরি সমস্যাকে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি সকাল থেকে কক্সবাজারের মহেশখালীতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ) কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। দুই দিন পর আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ শুরু হলেও শিল্প কারখানায় গ্যাস সংকট থেকেই যায়। গ্যাসের চাপ পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভারী শিল্প কারখানাগুলোকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ফলে গত ৯ দিন ধরে চট্টগ্রামের বড় বড় শিল্প কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: তীব্র গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম নগরবাসী
এদিকে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হলেই আবার কারখানা চালু হবে বলে জানান, সিইউএফএলের কর্মকর্তারা।
সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে গত ১৯ জানুয়ারি রাত থেকেই সিইউএফএল কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধের আগ পর্যন্ত সিইউএফএল থেকে প্রতিদিন ১২০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হতো।
দেশে সার উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখে কাফকো ও সিইউএফএল।
কেবলমাত্র কাফকো থেকেই বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টন সার দেশের বিভিন্ন গুদামে পাঠানো হয়। দেশে মোট ২৭ লাখ টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ টন দেশীয় কারখানাগুলো উৎপাদন করে। বাকি ১৭ লাখ টন কাফকো ও বিদেশ থেকে আমদানি করে।
তবে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এবং কারখানার যন্ত্রপাতি মেরামতের কাজ শেষ হলে- পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।
গ্যাস বিপণনকারী সংস্থা কর্ণফুলী ডিস্ট্রিবিউশন (কেজিডিসিএল) সূত্র বলছে, প্রথমে কারিগরি সমস্যার কারণে চট্টগ্রামের কাফকো ও সিইউএফএল এর কারখানাগুলো বন্ধ রাখা হয়, পরে গ্যাস সংকটে ব্যাহত হয় উৎপাদন। এরপরে গ্যাস সরবরাহ শুরু হওয়ার পরে, আবারও কারিগরি সমস্যায় বন্ধ হয় উৎপাদন।
চট্টগ্রামে মোট গ্যাসের চাহিদা ৩০ থেকে ৩২ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে শিল্প কারখানায় দৈনিক চাহিদা ৮ থেকে ১০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের।
এর মধ্যে চাহিদার দুই–তৃতীয়াংশ পরিমাণ গ্যাসও পাচ্ছে না কারখানাগুলো।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সংকট পুঁজি করে সিলিন্ডার ও বৈদ্যুতিক চুলার দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সিরামিকস ছাড়া চট্টগ্রামে নিবন্ধন করা কারখানা আছে ৪ হাজার ৯৪৯টি। এর মধ্যে ১ হাজার ২৪টি পোশাক কারখানা, বাকি ৩ হাজার ৯২৫টি নন-আরএমজি কারখানা।
আর ছোট-বড় মিলিয়ে চট্টগ্রামে ইস্পাত কারখানা রয়েছে ২৯টি। অন্যদিকে সিমেন্ট কারখানা আছে ৮টি। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় এসব কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ফলে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার লোকসান গুনছেন কারখানা মালিকরা। এতে পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের শিল্প খাত।
দেশের অন্য অঞ্চলে নিজস্ব গ্যাসকূপ থেকে সরবরাহ দেওয়ায় সেখানে গ্যাসের সংকট খুব বেশি নেই। এলএনজি টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। তাই এলএনজি টার্মিনালে সমস্যা হলেই চট্টগ্রামে গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। আর তাতে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়।
কেজিডিসিএল সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ১ হাজার ২০০-এর বেশি শিল্পগ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে বিএসআরএম, জিপিএইচ ইস্পাতসহ বড় বড় কারখানা আছে ১৫ থেকে ২০ট। এর বাইরে সিইউএফএল, কাফকো, ডিএপি সার কারখানা ও রাউজান ও শিকলবাহায় দুইটি করে চারটি পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে।
সরকারি এই সাতটি প্রতিষ্ঠানসহ সবগুলো শিল্প কারখনা ও আবাসিক গ্রাহককের গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ছাড়া বেসরকারি শিল্প কারখানা ও আবাসিক গ্রাহকদের চাহিদা প্রতিদিন প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। মহেশখালীতে স্থাপন করা দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকেই গ্রাহকদের এই গ্যাস সরবরাহ করা হয়।
এরই মধ্যে শনিবার ভোর থেকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা। বাকি ৩টি প্রতিষ্ঠানের সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কনকনে শীতেও তীব্র গ্যাস সংকটের মধ্যেই চলছে লোডশেডিং
গ্যাস নিয়ে শিল্প কারখানাগুলোর টালমাটাল অবস্থা হলেও এ নিয়ে অন্য কথা বললেন বিপণনকারী সংস্থা কর্ণফুলী ডিস্ট্রিবিউশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, গ্যাসের প্রেশারের এখন কোনো সমস্যা নেই। আমাদের সাধারণ যেসব গ্রাহক রয়েছে- শিল্প প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক ও বাসাবাড়ি, তাদের স্বাভাবিকভাবেই গ্যাসের সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে।
তবে যারা বাল্ক গ্রাহক, যেমন বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সার কারখানা, সেগুলোর মধ্যে কাফকোকে স্বল্প পরিমাণ করে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। কারণ উপর থেকে নির্দেশনা এসেছে।
চট্টগ্রামে মাসব্যাপী ফুল উৎসব শুরু হচ্ছে আজ
বিশ্বখ্যাত দুবাইয়ের ফুলের পার্ক মিরাকল গার্ডেনের আদলে সেজেছে চট্টগ্রামের ডিসি ফ্লাওয়ার পার্ক। এ সময় মাদকসেবীদের আখড়া হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলীয় ফৌজদারহাট সেই ডিসি পার্কে নানান রঙের ফুল ছড়াছে এখন সৌরভ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) উদ্বোধন হচ্ছে মাসব্যাপী ফুল উৎসব। লক্ষাধিক ফুল গাছের সমারোহে দ্বিতীয়বারের মতো এই পার্কে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী এই উৎসব। উৎসবে দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে ১২৭ প্রজাতির বাহারি ফুলের সমারোহ। উৎসবে এবার বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ঘুড়ি উৎসব, পিঠা উৎসব, নৌকা প্রদর্শনী, চিত্র প্রদর্শনী, মিউজিক ফেস্ট।
চট্টগ্রাম শহরের কাছেই বন্দর লিংক রোডের ফৌজদারহাট অংশে এই জায়গাটি এক সময় ছিল মাদকসেবীদের আখড়া। পরে ১৯৪ একর জায়গা উদ্ধার করে এখানে পার্ক গড়ে তুলেছে জেলা প্রশাসন। নামকরণ করা হয় ‘ডিসি পার্ক’। এরইমধ্যে পার্কটি নগরবাসীর আগ্রহের জায়গায় পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ সারা দেশে ঘন কুয়াশা হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে দেশের বাকি অংশে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকলেও অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত পুরো দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা ঢেকে যেতে পারে, কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এই কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
ফলে ভ্রমণকারী এবং যাত্রীদের সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে আবহাওয়া পূর্বাভাসে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের সর্বশেষ আবহাওয়ার প্রতিবেদনের সঙ্গে আপডেট থাকতে এবং ভ্রমণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হযেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পদুয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
নিহতরা হলেন- লোহাগাড়ার পদুয়া এলাকার জালাল আহমদের ছেলে মো. আবছার, চুনতি এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে জুবায়ের ও রাঙ্গুনিয়া থানার বাবুলের ছেলে মো. জাহেদ।
দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ এরফান দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ডেমরায় ট্রাকের ধাক্কায় পথচারী নিহত, চালক আটক
কালীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ট্রাকচাপায় যুবক নিহত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ট্রাক চাপায় মো. জিহাদ (২২) নামের এক সাইকেল আরোহী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার জামালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জিহাদ বাঁশখালী উপজেলার জহির উদ্দিন হেলালের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকার বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় নিহত ৩
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জিহাদ শ্রমিকের কাজ করতো। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে ক্রসিং জামালপাড়া পৌঁছালে ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন। তিনি বলেন, রাতে ট্রাকচাপায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাকের হেলপারকে আটক করা হলেও চালক পলাতক। ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মেয়ের বাড়িতে এসে ট্রাকচাপায় লাশ হলেন মা
এলএনজি টার্মিনাল থেকে উৎপাদন শুরু, চট্টগ্রামসহ অন্য স্থানে গ্যাস সরবরাহে উন্নতি
মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের ৪৫ দিনের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি শেষে উৎপাদন শুরু হওয়ার পর চট্টগ্রামসহ অন্যান্য স্থানে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
এক্সিলারেট এনার্জির এফএসআরইউ শনিবার (২০ জানুয়ারি) নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণের পরে উৎপাদন শুরু করেছে।
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এখন এটি প্রতিদিন ২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস সরবরাহ করবে এবং আশা করছি শিগগিরই সরবরাহ ৫০০ এমএমসিএফডিতে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান আরপিজিসিএল বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি এবং মহেশখালীতে বিদ্যমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে রি-গ্যাসিফিকেশন সেবা গ্রহণ করেছে। একটি সামিট গ্রুপ ও অন্যটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
প্রতিটি এলএনজি টার্মিনালে জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষমতা রয়েছে। এর বড় অংশ চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়।
এক্সেলারেট এনার্জির এফএসআরইউ ৪৫ দিনের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচিতে জাতীয় গ্যাস গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করে এবং সামিটের এফএসআরইউ কারিগরি ত্রুটির কারণে জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। যার ফলে চট্টগ্রাম ও অন্য স্থানে গ্যাস সংকট দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: তীব্র গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম নগরবাসী
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের অনেক এলাকায় চরম গ্যাস সংকট বা গ্যাসের নিম্নচাপের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আরপিজিসিএল কর্মকর্তা জানান, সামিটের এফএসআরইউ খুব স্বল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু করেছে এবং ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতার বিপরীতে ১৩০ এমএমসিএফডি সরবরাহ করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গ্যাস সংকটের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা নেই কারণ সামিটের এফএসআরইউতেও তিন থেকে চার দিনের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি শুরু করার সময়সূচি রয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, আমরা মনে করি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে, তবে পুরোপুরি নয়।
এদিকে জ্বালানি বিভাগ মহেশখালীতে কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানে গ্যাস সংকট নিয়ে গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও আশপাশের শিল্পকারখানায় সিএনজি হিসেবে আসছে ভোলার গ্যাস
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহেশখালী এলএনজি এফএসআরইউতে কারিগরি ত্রুটির কারণে শুক্রবার ভোর থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রামে ভাড়া বাসা খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার ১
চাকুরির সন্ধানে চট্টগ্রামে এসে বাসা খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮ বছরের এক তরুণী।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে নগরীর কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় এই ঘটনার পর শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা করে তার পরিবার।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. আকাশ, ওমর ফারুক, মো. সোলেমান, মো. রাজু, মো. নাজমুন, মো. জোবাইদ ও মো. আসিফ।
তাদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি মো. আকাশ গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা এখনও পলাতক। তারা সবাই উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ট্রেনের কেবিনে ধর্ষণের দায়ে অ্যাটেনডেন্ট গ্রেপ্তার
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন জানান, তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর নানী। পুলিশ প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়। তিনি চাকরির সন্ধানে বৃহস্পতিবার পেকুয়া থেকে কর্ণফুলী আসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী পেকুয়া থেকে বিকালে কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক এলে সেখানে মাহিন্দ্রাচালক মো. শওকতের সঙ্গে পরিচয় হয়। সে সময় এই এলাকার গার্মেন্টে চাকরি করবে জানিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী তাকে কর্ণফুলী এলাকায় একটি ভাড়া বাসা খুঁজে দিতে বলেন। পরে মাহিন্দ্রাচালক বাসা খোঁজার জন্য তার পরিচিত দুইজন নারীসহ শিকলবাহা এলাকায় বাসা খুঁজতে থাকেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিকলবাহা ইউনিয়নের বিল্লাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা তাদের মারধর করে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নিয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পেছনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
১২০০ মুরগিসহ আগুনে পুড়ে ছাই পোলট্রি খামার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১ হাজার ২০০ মুরগিসহ একটি পোলট্রি খামার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ভোরের দিকে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব কালুরঘাট এলাকায় কামাল হোসাইনের পোল্ট্রি খামারে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই পুরো খামারটি পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে পোশাককর্মী নিহত
খামারের মালিক কামাল হোসাইন বলেন, ভোর ৪টার দিকে আগুন লেগে আমার পোল্ট্রি খামার পুড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই খামারে ১ হাজার ২০০ মুরগি ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে আগুনে পুড়ে প্যারালাইজড নারীর মৃত্যু
বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ে গেছে ৫ দোকান ও ১২টি অটোরিকশা