চট্টগ্রাম
মীরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ আরও এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ আরও এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের একটি খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের নাম তৌফিক আহম্মেদ তারেক (২২)। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ছিলেন।
এ নিয়ে তিনদিনে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত রবিবার (১৯ জুন) রাতে উদ্ধার করা হয় তৌফিকের বন্ধু ইশতিয়াকুর রহমান এবং গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উদ্ধার করা হয় তারেকের বড় ভাই ইউএসটিসির ছাত্র মাসুদ আহম্মেদ তানভীরের লাশ।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে তারেকের লাশ খালে ভেসে যেতে দেখে স্থানীয়রা রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে তারেকের বন্ধুরা খোঁজ পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুজনের লাশ উদ্ধার
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকালে নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা থেকে চার কিলোমিটার দূরে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাগল খাইয়া ছড়া থেকে ভাসমান অবস্থায় তারেকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ইশতিয়াকুর রহমান প্রান্ত ও মাসুদ আহম্মেদ তানভীরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, নগরীর হালিশহর থেকে দুই ভাইসহ তিন বন্ধু রবিবার সকালে মীরসরাইয়ের পাহাড়ি এলাকা নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা দেখতে যায়। সেদিন সন্ধ্যার দিকে সেখান থেকে তারা নিখোঁজ হয়। নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা চূড়া থেকে নিচে পড়ে যায় তানভীর, তার ভাই তারেক ও তাদের বন্ধু ইশতিয়াকুর। ওইদিন রাতে ইশতিয়াকুরের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে নিখোঁজ দুই সহোদর তানভীর ও তারেককে উদ্ধার করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কাজ চালায়। পরে সোমবার বিকালে স্থানীয় একটি ছড়ার পানিতে নিখোঁজ তানভীরের লাশ পাওয়া যায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার একই ছড়ার পানিতে তারেকের লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ইশতিয়াক জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. জাকারিয়ার ছেলে। চট্টগ্রামের হালি শহরের বি-ব্লকে তার বাড়ি। আর তানভীর ও তারেকের বাবার নাম শাহাবুদ্দিন। তাদের গ্রামের বাড়ি মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের হলেও নগরীর হালিশহর বি-ব্লকে থাকেন সপরিবারে।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ট্রেন থেকে পড়ে নিহত ১, আহত ১
চট্টগ্রামে বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড় এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে এক নারীকে বাসে তুলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাসটির চালকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরের দিকে অক্সিজেন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বাসের চালক বাঁশখালী বানিগ্রাম এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আলম (৩০), চালকের সহকারী ভুজপুর থানা নতুনপাড়া এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে রবিউল (২৩), বাসের সুপারভাইজার ও খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রাজু (২৬) এবং ভুজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে মো. শাহাদাত (২২)।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানিয়েছে, সেসময় বাইরে প্রচুর বৃষ্টিপড়ার কারণে তার চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। প্রায় একঘন্টা পর বৃষ্টি থেমে গেলে তিনি চিৎকার করতে থাকায়, তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয় অভিযুক্তরা।সোমবার বিকালে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী বায়েজিদ ছিন্নমূলে তার চাচার বাসা থেকে রিকশাযোগে অক্সিজেন মোড়ে পৌঁছান। সেসময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই নারী অক্সিজেন রেলবিটের পাশে একটি ছাউনির নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় সেখানে পার্ক করে রাখা একটি বাসের চালক ও সহকারীরা নারীকে দেখে কোথায় যাবেন জিজ্ঞেস করেন। ওই নারী কোর্ট বিল্ডিং যাওয়ার কথা বলেন। বাসটি কোর্ট বিল্ডিং যাবে বলে ওই নারীকে বাসে তোলেন তারা। এরপরই ওই নারী অভিযুক্ত চারজনের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।’তিনি আরও জানান, ‘এরপর ভুক্তভোগী নারী তাৎক্ষণিক অক্সিজেন পুলিশ বক্সে এসে ট্রাফিক পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পরে ট্রাফিক সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ব্যবহৃত বাসটি জব্দ এবং শাহাদাত নামে একজনকে আটক করে।পরে রবিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অভিযুক্ত বাসচালক নুরুল আলম ও সুপারভাইজার রাজু এবং ফটিকছড়ি থেকে রবিউলকে আটক করে।’এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নামে বায়েজিদ থানায় একটি মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
চট্টগ্রামে দুই সন্তানের জননীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি আবাসিক এলাকার ভবনের নিচে তলায় বৃষ্টির পানি জমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাঁচলাইশ থানাধীন কাতালগঞ্জ আবাসিকের ১ নম্বর সড়কের একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে খান বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার সত্তরোয়া এলাকার ছালেহ আহমেদের ছেলে গাড়ি চালক মো. হোসেন (৩৮) ও খাগড়াছড়ির রামগড় থানার গজলতলা এলাকার মৃত আবদুর রউফের ছেলে বাড়ির কেয়ারটেকার আবু তাহের (৬৫)।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারায়ণগঞ্জে ৩ জায়ের মৃত্যু
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন মজুমদার জানান, রাতে খান বাড়ির নিচতলায় বৃষ্টির কারণে হাঁটু পরিমাণ পানি উঠে যায়। এতে পরিবারের সদস্যরা দ্বিতীয় তলায় উঠে যান। নিচতলায় আইপিএসের সংযোগ ছিল, পানি ওঠায় কেয়ারটেকার আবু তাহের আইপিএস বন্ধ করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে গাড়ি চালক হোসেনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
আরও পড়ুন: লাইনে সংস্কারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লাইনম্যানের মৃত্যু
পরে তাদেকে উদ্ধার করে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় অপমৃত্যু মামমলা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধভাবে বসবাসকারী ১৮৫ পরিবার উচ্ছেদ
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
রবিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া দিনভর চালানো অভিযানে ১৮৫টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া মোট ৩০০টি বসতঘর ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পূর্ব ফিরোজশাহ ১ নম্বর ঝিল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব, পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত টিম।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে প্রাণহানী ঠেকাতে খোলা হল ১৯ আশ্রয়কেন্দ্র
উচ্ছেদ কাজে জেলা প্রশাসনের পক্ষে সমন্বয় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব, পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। প্রথম দিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ১৮৫টি ঘর উচ্ছেদ করেছি। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও বিজয় নগর এলাকায় টানা বৃষ্টির কারণে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় চারজন নিহত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে নিহত ৪
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজে ২ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু!
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজে কাজ করার সময় দুই ভারতীয় মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন-জাহাজের টেকনিশিয়ান কেরালার বাসিন্দা জিষ্ণু রাজ (২৯) ও অখিল শেখর (২৬)।
রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, তারা এমটি নরড ম্যাজিক নামে জাহাজে কর্মরত ছিলেন।
এই বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ডেনমার্কের পতাকাবাহী এমটি নর্ড ম্যাজিক জাহাজটি ১৫ জুন চট্টগ্রাম বন্দরের আসে। জাহাজটি আনোয়ারার পারকি চরের কাছাকাছি এলাকায় নোঙর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট
ওসি জানান, সেখান থেকে জাহাজে আনা সয়াবিন তেল খালাস করা হয়। ওই দুই ভারতীয় টেকনিশিয়ান জাহাজে নেমে ট্যাঙ্কারের থিকনেস পরীক্ষা করতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। জাহাজে থাকা কর্মকর্তারা তাদেরকে কোস্টগার্ড এবং লোকাল শিপিং এজেন্টের সহায়তায়্বেএকটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিষ্ণু রাজকে মৃত ঘোষণা করেন। আর অখিল শেখরকে আইসিইউতে ভর্তি করে, পরে তিনিও মারা যান। এবিষয়ে জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট এমটিসিএল পতেঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে নিহত ৪
বন্দর সূত্র জানায়, জাহাজটিতে মোট ২৫ জন নাবিক ছিলেন। তাদের মধ্যে ২১ জন ভারতীয়, ডেনিস ও লুথিয়ানরার একজন করে, দুইজন ফিলিপিনো নাগরিক রয়েছে। বাকি ২৩ জন নাবিক সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন মর্মে জাহাজটির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মাহেন্দ্রা এম্বার নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে প্রাণহানী ঠেকাতে খোলা হল ১৯ আশ্রয়কেন্দ্র
চট্টগ্রামে লাগাতার বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যুর পর প্রাণহানির ঠেকাতে খোলা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বা পাহাড়ের ওপর বসবাসকারীরা যাতে সরে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে সে জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, কাট্টলী ও চান্দগাঁও সার্কেলে এসব আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার প্লাবণ কুমার বিশ্বাস।এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও রাত ৩টার দিকে ফয়েস লেকের বিজয় নগর এলাকায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নারী-পুরুষ নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার্তদের জন্য ১৯৯ আশ্রয়কেন্দ্র
মীরসরাইয়ে ট্রেন থেকে পড়ে নিহত ১, আহত ১
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট এলাকায় ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও একজন। তাদের কারো নাম পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে বারৈয়ারহাট মাছ বাজারের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের আনুমানিক ৩২ বছর বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সেলফি তুলতে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
রেল পুলিশের ধারণা দুইজন ট্রেনের দুই বগির মাঝে আটকে পড়েছিল। আহত কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের এসআই মো. খোরশেদ জানান, দুপুরে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এবং ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস একসঙ্গে অতিক্রম করছিল। এ সময় কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এক যুবক ও এক কিশোর পড়ে যায়। হয়তো তারা ট্রেনের দুই বগির মাঝখানে ছিল। ঘটনাস্থলের যুবকের মৃত্যু হয়।
রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে একজন মারা গেছেন। এসময় আরও অজ্ঞাত এক কিশোর আহত হয়েছেন। তাকে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। সিআইডির মাধ্যমে ডিএনএ টেন্টের মাধ্যমে নিহত যুবকের পরিচয় উদঘাটনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলছাত্র নিহত
গাজীপুরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৩
চট্টগ্রামে বৃষ্টি অব্যাহত, নগরজুড়ে জলজট
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নগরজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
গত তিনদিনের বৃষ্টিতে হালিশহর বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, বহদ্দার হাটসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিভিন্ন স্থান হাঁটু থেকে কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গত রাতে নগরীর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেট অংশেও সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে ফ্লাইওভারে যানজট লেগে যায়।
আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে আটকে থাকা সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সড়কে পানি থাকায় ফ্লাইওভারে উঠেছিলাম জলাবদ্ধ সড়ক অতিক্রম করতে। কিন্ত এক ঘণ্টা ধরে ফ্লাইওভারেও যানজটে আটকে আছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে নিহত ৪
এদিকে ভারী বর্ষণের কারণে পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় রিকশায় অথবা পায়ে হেঁটে হাঁটু পানি মাড়িয়ে যাত্রা করতে হয়েছে কর্মস্থলে।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৪৮ দশমিক ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ ও আগামীকাল বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে নিহত ৪
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টির কারণে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও বিজয় নগর এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শাহীনুর (৩২), লিটন (২৪), ইমন (১৪) ও মাইনুর আখতার (২০)।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, রাত ১টার দিকে বরিশাল ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহিনুর আক্তার (২৬) ও মাইনুল আক্তারকে (২৪) মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
অন্যদিকে একই দিন রাত ৩টার দিকে বিজয় নগর এলাকায় আরেকটি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিটন ( ২৩) ও ইমন (১৪) নামে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র অনুযায়ী, চট্টগ্রামে গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৪৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজকেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং ও সেখান থেকে এলাকাবাসীকে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইউপি নির্বাচনে বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
এছাড়া ভারী বর্ষণ ও দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, কাট্টলী ও চান্দগাঁও এলাকায় ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রামে বাসচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বাসের চাপায় এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার চুনতি বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মারুফুল ইসলাম (২২) চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের নয়া বাজার এলাকার সাংবাদিক ছিদ্দিক আহমদের ছেলে এবং কনস্টেবল হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রাফিকুল ইসলাম জামান, মারুফুল ইসলাম মোটরসাইকেল চালিয়ে হারবাংয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার চুনতি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।