চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি এলাকায় ছুরিকাঘাতে এক যুবক খুন হয়েছে। এ সময় ছুরিকাঘাতে আরও একজন আহত হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে কাজীর দেউড়ি ২ নম্বর গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মঈন উদ্দিন (২৯) চান্দগাঁও থানার পাঠান্যা গুদাম এলাকার আব্দুল মাবুদের ছেলে।
আহত মো. মোবারক (২৭) কাজীর দেউড়ি এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, পলোগ্রাউন্ডে চলমান মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলায় চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ভোরে নিহত মঈন উদ্দিন মেলার জন্য মালামাল কিনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে বাসায় যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ তাদের ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে নেয়ার পথে মঈনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে গৃহবধূ খুন, স্বামী পলাতক
সীতাকুণ্ডে ১০ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ
অননুমোদিত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১০ জনকে আটক ও ১০ হাজার সিলিন্ডার জব্দ করেছে।
বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৫ জনের প্রাণহানির ঘটনায় মঙ্গলবার ও বুধবার সীতাকুণ্ড উপজেলা জুড়ে অভিযান চালায় এলিট ফোর্সের সদস্যরা।
র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, র্যাব-৭ এর দলগুলো ফৌজদারহাট তুলাতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এবং অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের তিন নেতাসহ ১০ জনকে আটক করে।
এসময় এলাকার বেশ কয়েকটি গ্যাস ও তেলের ডিপো সিল করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা
সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
‘আয়না পড়ার’ নামে কিশোরী ধর্ষণ, চট্টগ্রামে কবিরাজের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে এক কবিরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে আসামি মো. হারুন বৈদ্যকে তিন লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিনজনকে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
বুধবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি জোরারগঞ্জ থানার মধ্যম আজমনগর ছুনিমিঝির বাড়ির মো. হারুন কবিরাজের কাছে এক ব্যক্তি পানির মোটর চুরির বিষয়ে আয়না পড়ার জন্য গেলে হারুণ বলে আয়না পড়া দিতে হলে একজন কুমারী লাগবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
পরের দিন, লোকটি তার ১২ বছর বয়সী নাতনিকে কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে তাকে তাবিজ দেয়া হয় এবং পরে কৌশলে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।
ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে তার দাদা মেয়েটিকে উদ্ধার করে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা।
সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ আদেশ দেন। জরিমানার টাকা ভুক্তভোগীর পরিবারকে দিতে বলেছে আদালত।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় পিবিআই পরিদর্শক মাসুদ কারাগারে
হবিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
৮৫ ঘণ্টা পর নিভল চট্টগ্রামের কন্টেইনার ডিপোর আগুন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা ভয়াবহ আগুন টানা ৮৫ ঘণ্টা পর নিভেছে।
বুধবার চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আনিসুর রহমান জানান, অবশেষে সকাল ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, তারা (ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা) এখনও ডিপোতে ডাম্পিং কাজ পরিচালনা করছে এবং আজ সারাদিন এ কাজ চলবে।
বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পুড়ে যাওয়া কন্টেইনারগুলো সরিয়ে সেখানে পানি ছিটানোর কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মাসুদ রানা নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।
নিহত মাসুদ রানা (৩৬) জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা এবং ওই কনটেইনার ডিপোর শ্রমিক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই )মো. আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, ওই শ্রমিক কনটেইনার ডিপোতে মাল লোড-আনলোডের কাজ করতেন। পরবর্তী নিয়ম অনুসরণ করে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন,বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৫ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে টানা ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১৩০ জন সিএমএইচের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে। ফলে মৃতের সংখ্যা ৪৩ হয়।
মঙ্গলবার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রাতে ডিপো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাওয়ায় আগুন নেভানোর জন্য দমকলকর্মীরা এখনও ডিপোতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে ইতোমধ্যেই তিনটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ সদস্য নিখোঁজ
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মাসুদ রানা নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিইউর চিকিৎসক ডা.হারুনুর রশিদ।
নিহত মাসুদ রানা (৩৬) জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা এবং ওই কনটেইনার ডিপোর শ্রমিক বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই )মো. আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, ওই শ্রমিক কনটেইনার ডিপোতে মাল লোড-আনলোডের কাজ করতেন। পরবর্তী নিয়ম অনুসরণ করে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন,বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৫ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে টানা ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১৩০ জন সিএমএইচের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ সদস্য নিখোঁজ
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে। ফলে মৃতের সংখ্যা ৪৩ হয়।
মঙ্গলবার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রাতে ডিপো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাওয়ায় আগুন নেভানোর জন্য দমকলকর্মীরা এখনও ডিপোতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে ইতোমধ্যেই তিনটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: নিহতদের পরিচয় শনাক্তে চলছে ডিএনএ টেস্ট
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ারম্যান সাকিলের দাফন সম্পন্ন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারানো ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যের একজন সাকিল তরফদারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের শুকদাড়া গ্রামে সাকিলের বাড়িতে মরদেহটি নেয়া হয়।
এরপর সাকিলকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়। পরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে সাকিল তরফদারের মরদেহটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরে নেয়া হয়। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার প্রথম জানাজা সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ –পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দীন বলেন, ‘যারা অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় মারা যান, তারা সাধারণত শহীদ হন। সাকিলও শহীদ হয়েছেন। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের জুনে খুলনার কমার্স কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থান ফায়ার সার্ভিসে চাকরি পান সাকিল। প্রথমে তিনি বটিয়াঘাটা ফায়ার স্টেশনে, পরে মোংলা ইপিজেডে ফায়ার স্টেশনে বদলি হন। সেখান থেকে ছয় মাস আগে তাকে চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ সদস্য নিখোঁজ
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার সরকার এবং ভারতের জনগণ বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রেরিত এক শোক বার্তায় মোদি আরও বলেছেন, চট্টগ্রামে একটি কনটেইনার ডিপোতে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে এত মূল্যবান প্রাণের ক্ষতি এবং অনেকের আহত হওয়ার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি।
তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে সমগ্র ভারতবাসী বাংলাদেশের সঙ্গে শোকাহত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার ও জনগণের আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনাও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১: প্রশাসন
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া নির্গমনে আতঙ্ক
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিনের পুরনো একটি কনটেইনার থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখা গেলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কনটেইনারটি সরিয়ে নেয়ার পর ধোঁয়া নির্গমন বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে বন্দরের ৭ নম্বর ইয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, কনটেইনারের পণ্য অনেক আগে আমদানি করা হয়েছিল। কনটেইনারে অ্যাসিড থাকতে পারে। পুরনো ও জরাজীর্ণ কনটেইনারগুলো বন্দরের এক পাশে রাখা ছিল। দ্রুত বন্দরের যন্ত্র দিয়ে কনটেইনারটি আলাদা করে সরিয়ে রাখা হয়। এর আগেই ধোঁয়া নির্গমন বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কন্টেইনার ডিপোতে আগুন: সরকারের অবহেলাকে দুষল বিএনপি
বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ২০১২ সাল থেকে কনটেইনারটি বন্দরে পড়ে আছে। সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে রাসায়নিক ভর্তি কনটেইনার বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড, টার্মিনালে বছরের পর বছর পড়ে থাকা রাসায়নিকের কনটেইনার চিহ্নিত করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে।
তারা জানান, কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষও যত দ্রুত সম্ভব স্পট নিলাম বা ধ্বংসের উদ্যোগ নিচ্ছে। সোমবার স্পট নিলামে দুই কনটেইনার হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বিক্রি করেছে কাস্টম হাউসের নিলাম শাখা।
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো থেকে আরও দুজনের লাশের অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জ্বলতে থাকা কন্টেইনারের পাশ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কন্টেইনারের পাশ থেকে লাশের হাত-পা শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায়। এগুলো দুজনের লাশ বলে ধারণা করছি। তবে আমরা এখনও নতুন লাশ হিসেবে মনে করছি না। কারণ এগুলো আগে উদ্ধার হওয়া লাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গও হতে পারে। তবে আমরা এ ব্যাপারে যাচাই বাছাই করে বলবো।
উদ্ধার হওয়া লাশের অংশ দেখে প্রাথমিক অবস্থা এদের একজন ডিপোর গার্ড, অন্যজন ফায়ারকর্মী বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
বিএম কন্টেইনার ডিপোকে সেনাবাহিনী ঝুঁকিমুক্ত করার ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেছেন এটা সেনাবাহিনীর বক্তব্য আমাদের না। তাদের কাছে হয়তো ঝুঁকিমুক্ত মনে হয়েছে। তবে আমরা এটাকে ঝুঁকিমুক্তও বলছি না ঝুঁকিপূর্ণও বলছি না।
মীরসরাইয়ে জবাই করা মায়া হরিণ উদ্ধার
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মহামায়া লেক এলাকা থেকে জবাই করা অবস্থায় রশি দিয়ে পা বাঁধা একটি মায়া হরিণ উদ্ধার করেছে বনবিভাগের কর্মীরা।বন বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টায় মহামায়া বন বিট এলাকায় সরকারি বাগানে কর্মরত বিট অফিসের স্টাফরা জবাই করা পা বাঁধা অবস্থায় একটি মায়া হরিণ উদ্ধার করেন। নতুন বাগান সৃজন কাজে নিয়োজিত বন বিভাগের স্টাফ হাসান, মো. গনি ও মো. মোর্শেদকে দেখে হরিণ শিকারে জড়িতরা পালিয়ে যায়। পরে হরিণটি উদ্ধার করে উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্টামফোড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিভাগের ডিন ও চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বলেন, এভাবে বন্য প্রাণী হত্যা করা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিপন্ন প্রজাতির পশুপাখির অভয়ারণ্য দিনদিন কমে যাচ্ছে। মানুষ প্রকৃতির ক্ষতি করে নিজেই নিজের ক্ষতি করছে। এদের আইনের আওতায় না নিয়ে আসলে অপরাধ আরো বাড়বে । আমরা এ বিষয়টি তদন্ত করবো।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে চিত্রা হরিণ উদ্ধার, সুন্দরবনে অবমুক্তমীরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, বিপন্ন প্রজাতির মায়া হরিণ শিকারের ঘটনায় মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জড়িতদের নাম তদন্তে বেরিয়ে এলে আইনের আওতায় আনা হবে।
মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান জানান, এতো সুন্দর মায়া হরিণ যে বা যারা হত্যা করতে পারে তাদের দ্বারা সব ধরণের অপরাধ করা সম্ভব। মায়া হরিণ হত্যাকারীর বিরুদ্ধে মামলা হবে। অপরাধী যে হোক তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। বন বিভাগ বাদি হয়ে মামলা দেয়ার কথা। সন্ধ্যা পর্যন্ত এজাহার নিয়ে কেউ আসেনি। মামলা হলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় ২ হরিণের চামড়া উদ্ধার
কয়রায় হরিণ ধরার ফাঁদসহ গ্রেপ্তার ৪