দুদক
হাওলাদারকে দেয়া দুদকের নোটিশ কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট
জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া নোটিশ কেন বেআইনি ও আইন বর্হিভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্ত্রীসহ রুহুল আমিন হাওলাদারের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য ৫ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ২৮ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান এ নোটিশ দেন। নোটিশে ১০ নভেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়। পরে ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সস্ত্রীক রিট করেন রুহুল আমিন হাওলাদার। এর আগে ২০১৯ সালে তাকে নোটিশ দিয়েছিল দুদক। পরে ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি রিট করেছিলেন। একই সালের ৩ এপ্রিল সেই নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দেশের সব নদীর তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
করোনা ফি’র আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের
করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি’র ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্ৰকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান এ মামলা করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রকাশ কুমার দাস খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি গ্রহণ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ৪ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ টাকা আদায় করেন। এর মধ্যে তিনি এক কোটি ৬৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। তবে বাকি দুই কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন: থ্রিএমটিতে প্রথম হলেন খুলনার সুমাইয়া রহমান
এর আগে, আত্মসাতের বিষয়টি সন্দেহ হলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন কাম তত্ত্বাবধায়ক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানেও অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর পরপরই খুলনা সিভিল সার্জন অফিস থেকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর খুলনা থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়। ওই জিডির কপিসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করে প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরাধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আনসার সদস্য নিহত
দুদকের মামলায় হাইকোর্টে বগুড়ার তুফান সরকারের জামিন
বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় আলোচিত শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত নেতা তুফান সরকারকে দুদকের মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ।
এর আগে, ১৮ অক্টোবর তাকে কেন এ মামলায় জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারি পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানার মামলা করেন। মামলায়, ২৯ লাখ ৭৯ লাখ ৮৭০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে এক কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ: বগুড়ার সেই তুফান সরকারকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
জানা যায়, ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার কথা বলে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই এক ছাত্রীকে এক বাসায় নিয়ে যান সে সময়ের বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক (বর্তমানে বহিষ্কার) তুফান সরকার। পরে সেখানে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তুফান সরকারের স্ত্রীর বড় বোন কাউন্সিলর মারজিয়া গত বছরের ২৮ জুলাই ওই মেয়ে এবং তাঁর মাকে বাড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ মা-মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে মারজিয়া হাসান এবং পরে তুফান সরকারসহ সহযোগীদের আটক করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই রাতেই মামলা করেন। এ মামলায় গত জানুয়ারিতে হাইকোর্ট তুফান সরকারকে জামিন দেন। তবে ২০১৯ সালে দুদকের এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও অর্ধডজন মামলা রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকেই কারাগারে রয়েছেন তুফান সরকার।
আরও পড়ুন: বগুড়ার সেই তুফান সরকারের জামিন আপিল বিভাগেও খারিজ
তদন্তকালে অনৈতিক দাবির অভিযোগ, দুদকের আইওকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
অনৈতিক টাকা দাবির অভিযোগের ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরকে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে মোবাইলে যোগাযোগের বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে দুদকের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
ঢাকা সদরের সাবেক সাব রেজিস্ট্রার এবং বর্তমানে পিরোজপুরের জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত মো. আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে দুদকের করা একটি মামলার তদন্ত করছেন তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। কিন্তু ওই জেলা রেজিস্ট্রারের ভাইয়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে ঘুষ দাবি করছেন-এমন অভিযোগ তুলে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে পরিবর্তনের দাবিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন দাখিল করেছিলেন। কিন্তু দুদক চেয়ারম্যান তাতে সাড়া না দেয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ২০৬ হাসপাতাল-ক্লিনিক কেনো বন্ধ হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
এ রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ৭ মার্চ হাইকোর্ট রিট আবেদনকারী জেলা-রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারের ভাই এবং দুদকের ওই সহকারি পরিচালক আলমগীর হোসেনের মধ্যে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল কথোপকথনের রেকর্ড এবং কল লিস্ট আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন। ওই আদেশ অনুযায়ী বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন) এবং গ্রামীণ ফোন (জিপি) প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সহকারী পরিচালক এবং অভিযুক্ত জেলা রেজিস্ট্রারের বড় ভাইয়ের মোবাইল নাম্বারে দফায় দফায় কথোপকথন হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, তদন্তের প্রয়োজনে কথা বললে অভিযুক্তদের সাথে তদন্ত কর্মকর্তা কথা বলবেন। কিন্তু অভিযুক্তের বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলেছেন। এ কারণে হাইকোর্ট দুদকের ওই সহকারি পরিচালককে তলব করেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: সন্তানের অভিভাবকত্ব সংক্রান্ত সব মামলা ৬ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
আদেশের পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, সোমবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন। রায়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে এ মামলার তদন্ত কাজ থেকে প্রত্যাহার করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে মোবাইলে যোগাযোগের বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
২০১৯ সালের ৩ মার্চ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য জানাতে জেলা রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগমকে নোটিশ পাঠায় দুদক। দুদকের (ঢাকা-১) উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পাঠানো নোটিশের উপযুক্ত জবাব না পেয়ে ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলা করে দুদক। মামলায় ২৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন, ৯০ লাখ ১২ হাজার ৭৯৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক দখল রাখার অভিযোগ আনা হয়। মামলা দায়েরের পর তদন্তে নামেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন। তদন্তের সময়ে তিনি আসামিদের অনৈতিক লেনদেনের প্রস্তাব দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় সিআইডির এসআই কারাগারে
দেড় কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে নওয়াব আলী জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্নীতির মামলায় আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামি নওয়াব আলী। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে আদালত নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাবেক কাউন্সিলরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলাতিনি বলেন, এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে ২০২০ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত গোলজার বেগম, তার স্বামী এসআই নওয়াব আলীসহ চার আসামির বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামি গোলজার বেগম ৮ মার্চ আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। তিনি এখন জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে দুদকের তলব
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালে দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে দুদক ঢাকা কার্যালয়ে মামলাটি করেছিলেন।
দুদক সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন নওয়াব আলী। বর্তমানে তিনি এসআই পদে কর্মরত। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন স্ত্রী গোলজার বেগমকে। গোলজার মাছ চাষ থেকে এক কোটি ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন বলে কাগজপত্রে দেখালেও বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ এক হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে। গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে।
আরও পড়ুন: তদন্তকালে ঘুষ দাবি, দুদকের সহকারী পরিচালককে হাইকোর্টে তলব
চট্টগ্রামে সাবেক কাউন্সিলরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা ও মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক এক কাউন্সিলরসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়।
মঙ্গলবার দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ আলাদাভাবে মামলাগুলো দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এফ আই কবির আহমদ মানিক, লালখান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী মাহমুদুল ইসলাম বিলু, সাধারণ সম্পাদক এএন ফারুক আহমদ ও জাগো ফাউন্ডেশনে প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুদক সূত্র জানায়, সাবেক কাউন্সিলর এফ আই কবির আহমদ মানিক বিরুদ্ধে একটি মামলায় সরকারি পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ, পুকুর খনন করে ভাড়া বাবদ ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আরেকটি মামলায় এফ আই কবির আহমদ মানিক, কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু ও এ এন ফারুক বিরুদ্ধে মসজিদের দোকান বরাদ্দের নামে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। অপর মামলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে নকশা বর্হিভূত মার্কেট নির্মাণ করে ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া মানিক ও জাগো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ২৮ লাখ ১১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও একটি মামলা করে দুদক।
আরও পড়ুন: পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক লুৎফর কবির চন্দন জানান, বিভিন্ন অভিযোগে চার জনের বিরুদ্ধে চার মামলা হয়েছে। অনুসন্ধান করে দুদক টিম অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। দ্রুত মামলার কাজ শেষ করা হবে।
দুর্নীতির অভিযোগে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে দুদকের তলব
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহানারা বেগমকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৫ নভেম্বর সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে তাকে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য রেকর্ড করাতে বলা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রদত্ত সময়ে তিনি (শাহানারা বেগম) উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: তদন্তকালে ঘুষ দাবি, দুদকের সহকারী পরিচালককে হাইকোর্টে তলব
কুষ্টিয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
মানি লন্ডারিং মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বিচারিক আদালতে জামিন খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন দিদারুল আলম।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের এমডির ৩ বছরের জেল
রবিবার শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি তাকে জামিন দিলেও বেঞ্চের অপর বিচারপতি তার আবেদন খারিজ করেছেন। এখন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবরে পাঠানে হবে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অর্থবছর ২০০৯-২০১০ থেকে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অর্থ স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তোলে দুদক। পরে ২২ জনকে আসামি করে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় মামলা করে দুদক। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর দিদারুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি।
আরও পড়ুন: ঋণখেলাপির আইনি অধিকার থাকতে পারে না: হাইকোর্ট
তদন্তকালে ঘুষ দাবি, দুদকের সহকারী পরিচালককে হাইকোর্টে তলব
তদন্তকালে ঘুষ দাবির অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী সাত নভেম্বর তাকে স্বশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আদালত তাকে ঘুষ দাবির অভিযোগে কেন অভিযুক্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ঢাকা সদরের সাবেক সাব রেজিস্ট্রার এবং বর্তমানে পিরোজপুরের জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত মো. আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে দুদকের করা একটি মামলার তদন্ত করছেন তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। কিন্তু ওই জেলা রেজিস্ট্রারের ভাইয়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে ঘুষ দাবি করছেন এমন অভিযোগ তুলে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে পরিবর্তনের দাবিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন দাখিল করেছিলেন। কিন্তু দুদক চেয়ারম্যান তাতে সাড়া না দেয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত সাত মার্চ হাইকোর্ট রিট আবেদনকারী জেলা রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারের ভাইয়ের ও দুদকের ওই সহকারি পরিচালক আলমগীর হোসেনের মোবাইলে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কথোপকথনের রেকর্ড এবং কল লিস্ট আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন। ওই আদেশ অনুযায়ী বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন) এবং গ্রামীণ ফোন (জিপি) প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক জানান, প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় ওই সহকারি পরিচালক এবং অভিযুক্ত জেলা রেজিস্ট্রারের বড় ভাইয়ের মোবাইল নাম্বারে দফায় দফায় কথোপকথন হয়েছে। এখানে কথা হচ্ছে, তদন্তের প্রয়োজনে কথা বললে অভিযুক্তদের সাতে তদন্ত কর্মকর্তা কথা বলবেন। কিন্তু অভিযুক্তের বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলেছেন। এ কারণে হাইকোর্ট দুদকের ওই সহকারি পরিচালককে তলব করেছেন।
ফের পেছাল এস কে সিনহার মামলা রায়
ঢাকার একটি বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আবার পিছিয়ে দিয়েছে। আগামী ৯ নভেম্বর রায় ঘোষণার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম খান নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে ৫ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। ঢাকার বিশেষ জজ (কোর্ট-৪) শেখ নাজমুল আলম খান ছুটিতে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আলী হোসেন নতুন তারিখ হিসেবে ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন।
এর আগে গত ২৯ অগাস্ট আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে ১১ জন আসামির মধ্যে সাতজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তারা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রাত এবং মো. লুৎফুল হক,সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
পড়ুন: এস কে সিনহার দুর্নীতি মামলা: ২১ অক্টোবর পর্যন্ত রায় স্থগিত
২৪ আগস্ট প্রতিরক্ষা আইনজীবীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মামলায় প্রায় ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদক সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এবং অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ আহরণ এবং চার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
সরকার দুর্নীতি মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করতে পারবে না: হাইকোর্ট