দুদক
বিআইডব্লিউটিএ'র অতিরিক্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে দুদক
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন ওরফে আরিফ হাসনাতের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক (তদন্ত ও তদন্ত-২) হাফিজুল ইসলামকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। টিমের আরেক সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক সুভাষ চন্দ্র মজুমদার।
বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর দুদকের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক (তদন্ত ও অনুসন্ধান-২) মো. হাফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ চিঠি জারি করা হয়।
চিঠিতে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট) সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চাওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ'র প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত আরিফ উদ্দিন ওই সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের দায়িত্বে ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ নিয়োগ: জেইউএসটি’র সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চিঠিতে আরিফ উদ্দিন বিআইডব্লিউটিএতে যোগদানের পর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত তার প্রাপ্ত বেতন-ভাতা এবং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সংক্রান্ত অফিস আদেশের বিবরণ চাওয়া হয়েছে।
আরিফ উদ্দিন ও তার স্ত্রী, সন্তান ও ভাইদের নামে ব্যবসা বা শেয়ার রাখার জন্য আবেদন ও অনুমোদনসংক্রান্ত সব রেকর্ড চেয়েছে দুদক।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়, চলমান তদন্তের স্বার্থে উপরোক্ত তথ্য চেয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট বিআইডব্লিউটিএ'র কাছে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ তা দেয়নি। এ কারণে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে একই তথ্য ও নথি চাওয়া হয়।
তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ দুদকে কোনো তথ্য পাঠায়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (প্রশাসন) ওয়াকিল নওয়াজ ইউএনবিকে বলেন, গত মাসের ৩ আগস্ট পাঠানো দুদকের কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি তার কার্যালয় (বিআইডব্লিউটিএ প্রধান কার্যালয়)। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে তার অফিস ইতোমধ্যে দ্বিতীয় চিঠি পেয়েছে, যা ৩ সেপ্টেম্বর পাঠানো হয়েছিল।
চলতি মাসের ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ কেন দুদককে তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে- জানতে চাইলে ওয়াকিল নেওয়াজ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কাজ করছেন এবং খুব শিগগিরই দুদকের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবেন বলে আশা করছেন।
আরিফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনবিকে বলেন, কয়েক বছর আগে তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কিছুই পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর পর কেউ আবার আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ এনেছে। দুদক এখন বিষয়টি তদন্ত করছে। দুদকের অনুসন্ধান শেষ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি তার অনুসন্ধান অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
কাস্টমসের অডিট কমিশনার এনামুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ নিয়োগ: জেইউএসটি’র সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ নিয়োগের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেইউএসটি) সাবেক উপাচার্য আবদুস সাত্তারসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের উপপরিচালক আল আমিন বাদী হয়ে যশোর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি করেন বলে ইউএনবিকে জানান উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
মামলায় ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আবদুস সাত্তার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আবদুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: নবনিযুক্ত দুদক কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি
২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আবদুর রউফ। এ নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্যের বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন উপাচার্য মো. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি কামাল উদ্দিন। ওই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরও তিন পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষায় পাস করেনি কেউ।
আরও পড়ুন: কাস্টমসের অডিট কমিশনার এনামুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অন্যদিকে প্রজ্ঞাপনের শর্ত অনুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও আবদুর রউফকে সহকারী পরিচালক পদে প্রথমে নিয়োগের চেষ্টা করে সিলেকশন বোর্ড। পরে অভিজ্ঞতার অভাব বিবেচনায় সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। বোর্ড অব রিজেন্টের সভাপতি হিসেবে সাবেক উপাচার্য আবদুস সাত্তার সার্কুলার প্রদান ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।
অবৈধভাবে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান আবদুর রউফ। এরপর সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করার সময় ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এবং ২০১৪ সালে উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ পান এবং আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তার বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
আরও পড়ুন: নারী ফুটবল লিগের চেয়ারপারসন কিরণকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমের মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দেয় দুদক।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্টের সাহেদের জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
এসময় তিনি সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্ধিত সময়ের মধ্যেও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়।
২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল মামলায় অভিযোগ গঠন করে সাহেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এ মামলার মোট ১০জন সাক্ষীর দশজনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: ঋণ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন
করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
নারী ফুটবল লিগের চেয়ারপারসন কিরণকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী ফুটবল লিগের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুপুর সোয়া ১২টায় সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
ক্লাবসহ বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও ঢাকায় ফ্ল্যাটসহ অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে মাহফুজা আক্তার কিরণের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির মামলায় জামিন পেলেন বাফুফের কিরণ
একই ধরনের অভিযোগে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে গতকাল। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কেনাকাটায় কোনো দুর্নীতি হয়নি, ফিফা বা বাফুফে কেউই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেছেন।
দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ ও প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করে ফিফা। তখনই বাফুফের কর্তা-ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিষয়টি আবারও সামনে চলে আসে। বিভিন্ন মহল থেকে আবারও দাবি ওঠে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের।
আরও পড়ুন: কাস্টমসের অডিট কমিশনার এনামুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আসাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
তবে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
অভিযোগ গঠনের পর গত ১৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় রায় ২ আগস্ট
এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত ২৬ জুন হাইকোর্ট মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনও খারিজ করেন হাইকোর্ট।
তারা দু’জনই পলাতক থাকায় আদালত রিট আবেদনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তা খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
ওই বছরেই জুবাইদার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।
হাইকোর্ট ২০১৭ সালে রুলটি খারিজ করে তাকে আট সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, ভোগদখল ও পাচারের অভিযোগে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার ড. এস এম নাজমুল হক ও তার স্ত্রী সাহেলা নাজমুল এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা করেছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ মামলাটি করেন।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আরিফ সাদিক ইউএনবিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত সাহেলা নাজমুল তার স্বামী ড. এস এম নাজমুল হকের (চিফ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার, নৌপরিবহন অধিদপ্তর) দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তিনি স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে দুদক কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত ড. এস এম নাজমুল হক (৫২) চাকরিকালীন ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে করা আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছদ্মাবৃত্ত করতে তার স্ত্রী সাহেলা নাজমুল এর নামে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনী প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দণ্ডবিধির ১০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
চাকরিকালীন সময় ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এসব অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে প্রমাণ পায় দুদকের তদন্ত দল।
আরও পড়ুন: দুদকের চার্জশিটে নাম আসায় খুলনার সিভিল সার্জনকে ওএসডি
ইবিতে নিয়োগে অনিয়ম: ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
খুলনায় পুকুর থেকে দুদকের আইনজীবীর লাশ উদ্ধার
দুদকের চার্জশিটে নাম আসায় খুলনার সিভিল সার্জনকে ওএসডি
করোনা পরীক্ষার ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় খুলনার বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান এই চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- খুলনার সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুজাত আহমেদ, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, সাময়িক বরখাস্ত থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী এবং ক্যাশিয়ার তপতী সরকার।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে গালমন্দ করে ওএসডি হলেন টেকনাফের ইউএনও
দুদক কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন শুধু প্রকাশ কুমার দাস।
মামলার তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ওই ছয়জন পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রশিদ বইয়ের বাইরে হাসপাতালের বুথে ডুপ্লিকেট রশিদ বই ব্যবহার করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে নমুনার সংখ্যা ফরওয়ার্ডিংয়ে বসিয়ে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠান। সে অনুযায়ী ফলাফল পেয়ে তা প্রকাশ ও রোগীদের সরবরাহ করেন।
পরবর্তীতে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে সে অনুযায়ী ইউজার ফি’র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেন। প্রকৃত আদায় করা ইউজার ফির টাকা জমা প্রদান না করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোডিড-১৯ রোগীদের ইউজার ফি বাবদ আদায় করা মোট ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। অবশিষ্ট ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা জমা প্রদান না করে আত্মসাৎ করা হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসককে জরিমানা করে ওএসডি হলেন সাতকানিয়া ইউএনও
ইবিতে নিয়োগে অনিয়ম: ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের করেন এম শাহবুব আলম নামে একজন চাকরিপ্রার্থী এবং ওই বিভাগের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল ও উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মাইদুল ইসলাম নামে দুই সদস্যের একটি দল ইবি উপাচার্যের বাসায় গিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বুধবার ইউএনবিকে বলেন, তারা ইবির ভিসির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
উপাচার্যের ফাঁস হওয়া অডিও কথোপকথন, মেগা প্রজেক্ট ও তার আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখছেন বলে জানান। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া ক্যাম্পাসে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা বসেন।
চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে বোর্ড সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হওয়ায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম বখতিয়ার হাসান নির্বাচন বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ান।
পরে বিভাগের চেয়ারম্যানের সই ছাড়াই বোর্ড দুই প্রার্থীকে বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নির্বাচন করে।
সিলেকশন বোর্ড সংক্রান্ত অডিও কথোপকথন ফাঁসসহ বিভিন্ন অভিযোগে অধিদপ্তরের চাকরিপ্রার্থী শাহবুব আলম ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, উপাচার্য ঘুষ ও অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষক জোট শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এম মাহবুবর রহমান বলেন, বাছাই বোর্ডের চূড়ান্ত ট্যাবুলেশন শিটে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সই ছাড়া কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। ইবি ভিসি অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ করেছেন অবৈধভাবে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
শাহবুব আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ইবি ভিসি বেআইনি ও অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে ওই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভাগের নিয়োগ বোর্ড সংক্রান্ত ভিসি ও একজন ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন সম্বলিত অডিও ক্লিপ এটি প্রমাণ করেছে।’
তিনি নতুন নিয়োগ বোর্ডের দাবিও জানান।
এ বিষয়ে ইবি ভিসির মন্তব্যের জন্য মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এর আগে, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ জুন পর্যন্ত উপাচার্য ও বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন সম্বলিত মোট ১৩টি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ জন বহিষ্কার
খুলনায় পুকুর থেকে দুদকের আইনজীবীর লাশ উদ্ধার
খুলনায় পুকুর থেকে দুদকের এক আইনজীবীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ জুলাই) বটিয়াঘাটার কাজিবাছা নদী সংলগ্ন হ্যাচারির পুকুর থেকে এ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আইনজীবী লুৎফুল কবির নওরোজ (৫৮) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি)। লাশের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নুরুল ইসলাম জানান, হ্যাচারির পুকুরটি কাজিবাছা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। নদীর জোয়ারের পানি পুকুরটিতে যায়।
তিনি আরও বলেন, নদী থেকে লাশটি ভাসতে ভাসতে পুকুরে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের পকেট থেকে মোবাইল ফোন ও আইডি পাওয়া গেছে।
এছাড়া গত ২/৩ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
দুদক খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল পিপি খন্দকার মুজিবুর রহমান জানান, তার সহকর্মী আইনজীবী লুৎফুল কবির নওরোজ গত বৃহস্পতিবার আদালতে আসেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। ফলে তারা কোনও খোঁজ নিতে পারেননি। আজও আদালতে আসেননি, রাতে তার লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতার লাশ উদ্ধার
সিলেটে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে ৩০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আরিফ সাদিক ইউএনবিকে জানান, সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদক তদন্তে তার স্থাবর সম্পদের ২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা, অস্থাবর সম্পদ ৫২ কোটি ৪৭ লাখ এবং পারিবারিক ও ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার অন্যান্য খরচসহ ৮৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ খুঁজে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুদকে তলব
কমিশন ৩০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সম্পদের আয়ের আইনী উৎস খুঁজে পায়নি এবং তার দায় ১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
গুলজার আহমেদের কথিত অপরাধগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ধারা ২৬(২) এবং ২৭(১) এর অধীনে শাস্তিযোগ্য, কমিশন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করতে প্ররোচিত করে।
এর আগে ২০১৭ সালে গুলজার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের সাবেক এমডিসহ ৩ জনের নামে দুদকে মামলা