কোভিড-১৯
করোনা উপসর্গে দিনাজপুরে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫১.৫১ শতাংশ
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিস্তারে দিনাজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন রোগী মারা গেছেন।
একই হাসপাতালে ২৫ জনসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। এ নিয়ে জেলার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৯ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৩৪ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এতে করে শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ। মেডিকেল কলেজের স্যাম্পল কালেকশন বুথে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। গেল ডিসেম্বর পর্যন্ত বুথ প্রায় ফাঁকা ছিল।
এছাড়া জেলায় নমুনা পরীক্ষা ছাড়াও টিকার পাশাপাশি চলছে বুস্টার ডোজ গ্রহণ।
আর পড়ুন: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
এদিকে, করোনার বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য বিধিসহ অন্যান্য শর্ত মেনে চলতে মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছে করোনা প্রতিরোধ কমিটি। মাস্ক না পরার কারণে শনিবার (২২ জানুয়ারি) খানসামা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কয়েকজনকে আর্থিক জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ১৯। এসময় করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমণে কোনো রোগী মারা যাননি। তবে করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসিইউতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে তিনি হাসপাতালে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
এদিকে, ১০৪ শয্যার রামেক করোনা ইউনিটে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা ৪২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ২৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চার, নওগাঁর তিন, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, জয়পুরহাটে একজন করে, পাবনার পাঁচ ও কুষ্টিয়ার তিন জন রয়েছেন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে ৩০ জন, উপসর্গ নিয়ে ১০ জনে ও ভর্তিকৃত দুই রোগীর করোনা ধরা পড়েনি। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন তিন জন। এই এক দিনে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ জন রোগী।
আরও পড়ুন: একদিনে খুলনায় করোনায় ২ মৃত্যু
গত শনিবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯ জনের পজিটিভ এসেছে। একই দিনে রামেক ল্যাবে ২৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৮ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এই দিন করোনা শনাক্তের হার রাজশাহীতে ৪৪ দশমিক ১৯।
বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৫০ শতাংশ। ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের করোনা শনাক্ত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
রবিবার পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ১২৫ জন এবং মারা গেছে ১৪৪ জন। এই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬ হাজার ৯৩৫ জন। এর পরেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
আরও পড়ুন: একদিনে খুলনায় করোনায় ২ মৃত্যু
বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৫০ শতাংশ। জোরদার করা হয়েছে ভ্যাকসিন কার্যক্রম। এ পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে শতকরা ৬৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪১ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফোন দিলেই করোনা রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত বাগেরহাটে ১১ লাখ ২২ হাজার ২৬৯ জনকে প্রথম ডোজ, সাত লাখ ৩০ হাজার ৬২৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ও ২০ হাজার ৯০৫ জনকে বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়স্ক শিক্ষার্থীদের এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৬১ জনকে প্রথম ডোজ ও ৪৬ হাজার ৪৩৭ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
একদিনে খুলনায় করোনায় ২ মৃত্যু
খুলনা বিভাগে একদিনে বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২০০ জনে। নতুন করে ১৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ৪১৯ জনের করোনা শনাক্ত ও একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: যুক্তরাজ্যে নতুন সতর্কতা
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় ও ঝিনাইদহে একজন করে মারা গেছেন। একই সময়ে খুলনা বিভাগে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৬৩ জন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া সর্বোচ্চ ৮১ জন, খুলনায় ৬০, ঝিনাইদহে ১৮, নড়াইলে তিন ও চুয়াডাঙ্গায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিবেদনে জানানো হয়, খুলনা বিভাগে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট এক লাখ ১৫ হাজার ৫৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৪২৭ জন। শনাক্ত সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এখানে ২৮ হাজার ৫৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যায় সবচেয়ে কম মাগুরায় চার হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে খুলনায়। এই জেলায় মারা গেছে ৮১০ জন। আর মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে কম সাতক্ষীরায় ৮৮ জন।
আরও পড়ুন: ফোন দিলেই করোনা রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন
খুলনা ২০০ শয্যা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুর (৭০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আর শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের ১৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে রেডজোনে আটজন ও ইয়েলো জোনে ৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিলেটে একদিনে ২ শতাধিক করোনা রোগী শনাক্ত
সিলেটে গত ২৪ ঘন্টায় দুই শতাধিক ব্যক্তি করোনা শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ১৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারী) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১১৭৯টি। এর মধ্যে ২০৯ জন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হন। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৭৩ ভাগ।
আরও পড়ুন: খুলনায় একদিনে করোনায় মৃত্যু ২, শনাক্ত ১৫৮
শনাক্তদের মধ্যে ১৪৭ জনই সিলেট জেলার। বাকিদের মধ্যে সুনামগঞ্জে সাত, মৌলভীবাজারের ২৯ ও হবিগঞ্জের ২৬ জন রয়েছেন।
এ পর্যন্ত সিলেটে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ১৮৫ জন। এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় মারা গেছেন এক হাজার ১৮৬ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: চট্টগ্রামে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৭৪২
খুলনায় একদিনে করোনায় মৃত্যু ২, শনাক্ত ১৫৮
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে বিভাগের ১০ জেলায় ১৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৭৭ জন।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এই সব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: চট্টগ্রামে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৭৪২
এতে বলা হয়, খুলনা বিভাগের করোনায় মৃত দু’জনের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ১৫৮ জনের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৫০ জন, যশোরে ৩৩, কুষ্টিয়ায় ২৯, ঝিনাইদহে ২৮ জন রয়েছেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ছয় জন, নড়াইল, বাগেরহাট ও মাগুরায় তিন জন করে, সাতক্ষীরায় দুই, মেহেরপুরে এক জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিবেদন জানা যায়, খুলনা বিভাগে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট এক লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৩৪৭ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন তিন হাজার ১৯৭ জন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
শনাক্ত সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা এবং সবচেয়ে কম সংখ্যা হচ্ছে মাগুরা জেলায়।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি করোনায় আক্রান্ত
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার তাদের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
বিভাগীয় কমিশনারের করোনার বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার অভিজিৎ সরকার জানান, আগামী ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি ঢাকায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন আছে। সেই সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য রবিবার করোনার পরীক্ষা করেন বিভাগীয় কমিশনার। নমুনা দিয়ে তিনি ঢাকায় রওনাও হয়েছিলেন। সিরাজগঞ্জে পৌঁছে খবর পান তিনি করোনায় আক্রান্ত। পরে সেখান থেকেই ফিরে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা: চট্টগ্রামে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৭৪২
এছাড়া রবিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের করোনা পজিটিভ আসে। খবর শোনার পরই বিকালে জেলা প্রশাসক অফিস ছেড়ে তার সরকারি বাসভবনে হোম আইসোলেশনে চলে যান।
এই বিষয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য করোনার পরীক্ষা করেন জেলা প্রশাসক। সকালে নমুনা দেয়ার পর তিনি অফিসেই ছিলেন। তবে নমুনা পরীক্ষার পর বিকালে তার রিপোর্ট পজিটিভ হয়। এরপরই তিনি অফিস থেকে চলে যান।
তিনি জানান, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের শরীরে ঠাণ্ডা লাগা ভাব আছে। এ ছাড়া আর কোন সমস্যা নেই। তিনি শারীরিকভাবে ভালো আছেন। করোনা শনাক্ত হওয়ায় জেলা প্রশাসক সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
এদিকে, শনিবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকেরও করোনা ধরে পড়ে। বর্তমানে তারা ঢাকায় আইসোলেশনে আছেন।
করোনা: চট্টগ্রামে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৭৪২
চট্টগ্রামে নতুন করে করোনা সংক্রামণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন ৭৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
সোমবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
তথ্য অনুসারে, রবিবার চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি ১৩টি ল্যাবে সর্বমোট দুই হাজার ৮৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৭৪২ জনের ফলাফল পজিটিভ পাওয়া যায়। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এদের মধ্যে নগরীতে ৫৯৭ জন আর উপজেলার ১৪৫ জন রয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ৭১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুনদের নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৩৮ জনে৷
আরও পড়ুন: করোনার ছুটি শেষে শাবিপ্রবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে থাকছে নজরদারি
এদিকে, দীর্ঘদিন মৃত্যুশূন্য থাকলেও চট্টগ্রামে একদিনেই করোনায় তিনজন মৃত্যুতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
খুলনায় একদিনের ব্যবধানে করোনা শনাক্ত দিগুণেরও বেশি
খুলনা বিভাগে একদিন পর ফের করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ১০ জেলায় ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩২ জনের। সেই তুলনায় রবিবার করোনা শনাক্ত হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
রবিবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, খুলনা বিভাগের করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৮৯ জন। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা যশোরেই ৪০ জন শনাক্ত হয়েছে। খুলনায় ২৫, ঝিনাইদহে ১৩, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে তিনজন করে এবং সাতক্ষীরায় দু’জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, খুলনা বিভাগে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট এক লাখ ১৪ হাজার ৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ২৯৩ জন। আর মোট মারা গেছেন তিন হাজার ১৯৫ জন।
আরও পড়ুন: খুলনা করোনা হাসপাতালে রোগী রাখার জায়গা নেই
শনাক্ত সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এখানে ২৮ হাজার ১২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যায় সবচেয়ে কম মাগুরায় চার হাজার ১৬১ জন।
এছাড়া করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে খুলনায়। এই জেলায় মারা গেছে ৮০৯ জন। আর মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে কম সাতক্ষীরায় ৮৮ জন।
খুলনা ২০০ শয্যা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, রবিবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের ইয়েলো জোনে ১৪জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, শনিবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৩৫ জন খুলনা মহানগরী ও জেলার। সব মিলিয়ে ১৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ১৬ জন এবং সাতক্ষীরার একজনের শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মতলবের ইউএনও মেয়েসহ করোনায় আক্রান্ত
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, চলতি মাসের শুরু থেকে খুলনায়ও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। জেলায় ৯ শতাংশ সংক্রমণ রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চললে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
সারা দেশে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার টিকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে দেশের সকল পর্যায়ে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে তৃতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হল।’
আরও পড়ুন: বরিশালে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়া শুরু
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক্ষেত্রে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শুধুমাত্র স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের (১২-১৭ পূর্ণ বছর বয়সী) উভয় ডোজ এবং যারা প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাজধানীসহ সারাদেশের সীমিত পরিসরে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। শুরুতে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ফাইজার হিসেবে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার নিবন্ধন এখন বিকাশ অ্যাপে